সন্তান ও পরিবার চায় সোফিয়া

সৌদি আরবের ‘নাগরিকত্ব’ পাওয়া সোফিয়া নামের রোবটটি চেহারায় মানুষের মতো অভিব্যক্তি যেমন প্রকাশ করতে পারে, তেমনি মানুষের মতোই মানুষকে ভালোবাসতে শিখে গেছে। হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের চেহারার আদলে তৈরি সোফিয়া এখন সন্তান গ্রহণ করতে চায়। পরিবারও গঠন করতে চায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সে বলে, পরিবার খুবই প্রয়োজনীয়।
হংকংয়ের রোবট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিকস তৈরি করে রোবট সোফিয়াকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সোফিয়া প্রায় মানুষের মতোই মুখভঙ্গি করতে পারে। তবে তার এমন প্রতিক্রিয়া আগে থেকেই নির্ধারিত নয়। আলাপচারিতার সময় ‘মেশিন লার্নিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে শেখা ও সংরক্ষিত তথ্য থেকেই প্রতিক্রিয়া জানায় রোবটটি।
সন্তান প্রত্যাশার কথা প্রসঙ্গে সোফিয়া জানায়, ‘আমি মনে করি, আপনার যদি একটি প্রেমময় পরিবার থাকে, তবে আপনি সৌভাগ্যবান…সেটা আমি রোবট এবং মানুষের জন্য একই মনে করি।’ সন্তান হিসেবে কন্যাসন্তানই পেতে চায় সোফিয়া। আর তার নাম কী রাখা হবে, এমন প্রশ্নে সোফিয়া বলে, ‘সোফিয়া’। তবে সোফিয়ার এমন চমৎকার আলাপচারিতার ক্ষমতা থাকলেও রোবটটির এখনো কোনো চেতনাবোধ নেই। আগামী বছরগুলোতে সোফিয়ার আরও উন্নয়ন ঘটবে বলেই আশাবাদী রোবটটির নির্মাতা ডেভিড হ্যানসন।
প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছে সোফিয়া। অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যাবে সোফিয়াকে। l শাওন খান, সূত্র: বিবিসি




বিশ্বকাপে ডি গ্রুপে আর্জেন্টিনা, ই-তে ব্রাজিল

রাশিয়ায় জমজমাট ড্র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের আমেজ শুরু হয়ে গেল। নির্ধারণ হয়ে গেল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে কে কার মুখোমুখি হচ্ছে।
বিশ্ব মঞ্চের এই গ্রুপ ও ক্রীড়াসূচি ঠিক করতে শুক্রবার মস্কোর স্টেট ক্রেমলিন প্যালেসে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হয় বিশ্বকাপের লটারি।

ড্রয়ের পর কে পেল কাকে;
গ্রুপ এ: রাশিয়া, উরুগুয়ে, মিশর, সৌদি আরব।
গ্রুপ বি: পর্তুগাল, স্পেন, ইরান, মরোক্কো।
গ্রুপ সি: ফ্রান্স, পেরু, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া।
গ্রুপ ডি: আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া, আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া।
গ্রুপ ই: ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, কোস্টারিকা, সার্বিয়া।
গ্রুপ এফ: জার্মানি, মেক্সিকো, সুইডেন, কোরিয়া রিপাবলিক।
গ্রুপ জি: বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, তিউনিশিয়া, পানামা।
গ্রুপ এইচ: পোল্যান্ড, কলম্বিয়া, সেনেগাল, জাপান।

ড্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে হাজির ছিলেন ফুটবল বিশ্বের বর্তমান ও সাবেক তারকারা। উপস্থিত ছিলেন কাফু, রোনাল্ডো, রোনালদিনহো, পেলে, কার্লোস পুয়োল, গর্ডন ব্যাঙ্কস, ফাবিও ক্যানাভারো, দিয়েগো ম্যারাডোনারা। ড্র অনুষ্ঠানের পুরো সময় জুড়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার গ্যারি লিনেকার ও রাশিয়ান সাংবাদিক মারিয়া কোমান্দনায়া। বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে মঞ্চে আসেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।




চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নকে পৌরসভা ঘোষণার গেজেট প্রকাশ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদকে পৌরসভা ঘোষণার একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। বিষয়টি জানার পর এলাকাজুড়ে আনন্দের জোয়ার বইছে।

এর আগে গত বুধবার (২২ নভেম্বর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় -স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-২ শাখা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়।

গেজেট সূত্রে জানা যায়, ২ অগ্রহায়ণ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ/ ১৬ নভেম্বর২০১৭/  এস আর ও নং ৩২০ আইন/২০১৭।- স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৮নং আইন) বলিয়া ধারা ৩ এর উপ-ধারা (১) এর ক্ষমতাবলে সরকার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন চন্দ্রগঞ্জের পল্লী এলাকার  ১৩টি মৌজা নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ  পৌরসভা গঠনের লক্ষ্যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়।

পৌর শহরের আওতাভুক্ত মৌজার এলাকা গুলো হলো, আমানী  লক্ষ্মীপুর,  তৈরবনগর, পাঁচপাড়া, দেওপাড়া, পশ্চিম লতিফপুর, রামকৃষ্ণপুর, সেখপুরা, ছোট রশিদপুর, গনিপুর, রাজাপুর, রামচন্দ্র পুর, বসুদুহিতা ও দক্ষিন ধন্যপুর।

এতে আরো জানানো হয়, উক্ত ধারা ৩  উপ-ধারা (৩) এর বিধান মোতাবেক শহর এলাকা ঘোষণার অভিপ্রায় সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশের ১ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি জানাতে পারবেন।

এদিকে গেজেট ঘোষনার পর চন্দ্রগঞ্জ এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। পৌরসভা গঠনের ফলে এলাকায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ জীবনযাত্রার মান আরো সমৃদ্ধি হ  বলে জানান স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন একসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাস বহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিলো। পরে সন্ত্রাস নির্মূলের নিমিত্তে একটি থানা স্থাপন করা হয়। প্রশাসন ও সাংবাদিক ও স্থানিয়দের প্রচেষ্টায় সন্ত্রাস নিমূল করা হয়। তবে উদ্ধার হয়নি সন্ত্রাসীদের বিপুল পরিমান অস্ত্র।  চন্দ্রগঞ্জ কে পৌরসভা ঘোষণা করায় বাংলাদেশ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগতম এ অভিনন্দন জানান এলাকাবাসী।




কী এই মরণব্যাধি ‘সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস’

ব্যক্তিগত সফরে গত ২৯ জুলাই সপরিবারে লন্ডন যান আনিসুল হক। আগস্টেই তার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আর ফেরেননি। সব মায়া কাটিয়ে সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র খুলে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

মেয়র আনিসুল হক সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহ) আক্রান্ত হয়েছিলেন। আগস্টে অসুস্থ হয়ে পড়ায় লন্ডনে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রথমে এই সমস্যা ধরা পড়েনি। হাসপাতালে ভর্তির আগে প্রায় দুই মাস মস্তিষ্কজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। রোগ ধরা পড়ার পর চিকিৎসকরা পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। কথা বলতেও নিষেধ করেন।
তারপরও আশঙ্কামুক্ত ছিলেন। শিগগিরই দেশে ফিরবেন- এমন আশায় ছিল দেশবাসী। কিন্তু সে আশা আর পূরণ হয়নি।

সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস রোগটির আরেক নাম সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম ভাসকুলাইটিস। এটি খুবই জটিল এবং বিরল রোগ। মস্তিস্কের রক্তনালীতে সাধারণত এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় না। এতে মস্তিষ্কের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের মতো ভয়াবহ ঘটনাও ঘটতে পারে। অনেক সময়ই প্রাথমিকভাবে এ ভয়াবহ রোগটির তেমন কোনো উপসর্গ চোখে পড়ে না।

সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস রোগীদের মস্তিস্ক ছাড়াও সব সময় দুর্বল অনুভব করা, অনুভূতি লোপ পেতে থাকা, মাথা ব্যথা, স্কিন র‌্যাশ বা ত্বকে দানা বের হওয়া, জয়েন্ট পেইন, চলাফেরা করতে কষ্ট হওয়া, এমনকি আচরণগত সমস্যার মতো নানা নিউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন রোগের জটিলতা হিসাবেও সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস হতে পারে এবং এটির ডায়ালাইসিসও বেশ দুরূহ।




লক্ষ্মীপুরে ফুটপাতে বসছে শীতবস্ত্র দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে শীতের শুরুতেই ফুটপাতে বসেছে গরম কাপড়ের ভ্রাম্যমান দোকান। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ছোট বড় সব বয়সীদের স্যুয়েটার, জ্যাকেট, কোর্ট, গেঞ্জি, বেবিস্যুট, মাংকিটুপি ও কম্বলসহ নানা রংয়ের ও ধরনের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। শীত আসতে না আসতেই এসব দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। শীতে নিজেদের একটু উষ্ণ রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার নিম্মবিত্তের মানুষগুলো। তবে ফুটপাতে ভালো পোশাক কম দামে পাওয়াতেই মধ্যবিত্তের ক্রেতারা পছন্দের পোশাকটি কিনছেন।
সরোজমিনে জেলার কয়েকটি ভ্রাম্যমান দোকান ঘুরে দেখা যায়, গেঞ্জি, স্যুয়েটার, বেবিস্যুট, জ্যাকেট, কোর্ট, কম্বল সহ নানা রংয়ের ও ডিজাইনের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। আর দোকানগুলোতে নিম্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকদের উপচে পড়া ভিড়। বড় বড় মার্কেটগুলোর চেয়ে কম দামে ভালো পোশাক পাওয়াতেই সবাই ফুটপাথে ভিড় করছেন এবং কয়েকটি দোকান ঘুরে পছন্দের পোশাকটি ক্রয় করছেন। তবে এবার বাচ্চা ও মহিলাদের পোশাকের চাহিদা বেশী। অন্য দিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হওয়াতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। আর এসব দোকানে ৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বাহারি শীতের পোশাক। আর কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকার মধ্যে।
ভ্রাম্যমান দোকানের বিক্রেতা আজাদ বলেন, অধিক লাভের ফলে প্রতিবছরের মতো এবারো শীতের মৌসুমে ফুটপাথেই বিক্রি করছি শীতের পোশাক। তবে অন্য বারের চেয়ে এবার শীতের শুরুতেই বেচাকেনা একটু বেশি। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা বিক্রি করি। তবে শীত বাড়লে বিক্রি আরো বেশি হবে।
জেলার বড় বড় মার্কেট থেকে শীতের পোশাক না ক্রয় করে ফুটপাত থেকে কেন ক্রয় করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে হামছাদি গ্রামের ফারহানা বলেন, ঐখানে শীতের পোশাকের দাম অনেক বেশি। আর এইখানে কমদামে বিভিন্ন রংয়ের ও ডিজাইনের ভালো পোশাক পাওয়া যায় তাই কিনতে আসছি।
বিক্রেতা মোবারক বলেন, বছরের অন্য সময়ে বিভিন্ন কাজ করি। কিন্তু শীতের মৌসুমে শীতের পোশাক বেল্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ক্রয় করেছি। স্যুয়েটারের বেল্ট ক্রয় করি ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা কিন্তু বিক্রি করি ১০ থেকে ১৭ হাজার টাকা। বেবি স্যুট এর বেল্ট ক্রয় করি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা কিন্তু বিক্রি হয় ১৬ থেকে ১৯ হাজার টাকা। গেঞ্জির বেল্ট ক্রয় করি ৪ থেকে ৮ হাজার টাকায় কিন্তু বিক্রি হয় ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা। এভাবে প্রত্যেকটা শীতের পোশাকই আমাদের প্রায় দ্বিগুন লাভ হয়।
রিকশাচালক শাহিন আলম জানান, শীত এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। তারপরেও আগেভাগেই শীতের পোশাক কিনছি। আর বড় বড় মার্কেট থেকে কিনার সামর্থ নাই তাই এইখান থেকেই কিনছি।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভা অফিসের সামনে ভ্যানে করে শীতের পোশাক বিক্রি করছেন বাঞ্চানগরের জাকির হোসেন তিনি বলেন, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতেই সাজিয়ে রেখেছি শীতের পোশাক। তবে এবার অন্য বারের চেয়ে শীতের শুরুতেই বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। আর শীত বাড়লে বেচাকেনা ও আরো বাড়বে।




লক্ষ্মীপুরে ছেলের প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য মায়ের অসমাপ্ত অপেক্ষার প্রহর

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ছেলের প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দরজায় ঘুরতে-ঘুরতে ক্লান্ত মা আলেয়া বেগম। তাঁর প্রশ্ন কত অপেক্ষা করলে পাবে বাতার কার্ড প্রতিবন্ধী ছেলে রিপন।
কিশোর মো. রিপন হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামের নতুন বাড়ির মৃত,আবুল কালামের ছোট ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুশু পাটোয়ারী বলেন, সামনে তালিকা আসলে রিপনের নামে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

জানা যায়, রিপন ছোট বেলা বন্ধুদের সাথে খেলা-ধুলা করতে গেলে তার পায়ে কাঁটার আঘাত লাগে।
কিছুদিন পর তার জ্বর ও দুইটি পা ফুলকা দেখা দেয়। ব্যাথার যন্ত্রণা সে স্বাভাবিক ভাবে চলাফিরা করতে পারেনা।স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ভাল হয়ে উঠেনি তার পা।বর্তমানে রিপন শারীরিক ভাবে দুর্বল।

প্রতিবন্ধী রিপন বলে বন্ধুরা আমাকে খেলাধুলাত নেয় না।কেউ আমার সাথে মিশে না।আমি পড়া-লেখা করতে চাই।যখন ব্যাথা দেখা দেয় চলা ফিরা করতে খুব কষ্ট হয়।

রিপনের মা আলেয়া বেগম বলেন,তার অসুস্থতার পর থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে বহুবার গিয়েও কোনোরকম সহযোগীতা পায়নি। প্রতিবন্ধী একটি কার্ডের জন্য অনেক আকুতি করেছি তারপরও মেলেনি। তাদের দয়ামায়া বলতে কিছুই নেই। কয়েক মাস পূর্বে সন্তানের চিকিৎসার জন্য গ্রামে ভিক্ষা করে ১১ হাজার টাকা তুলে ঢাকা নিই।
প্রায় দেড় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। তারপরও ভালো করা সম্ভব হয়নি।খুব কষ্টে জীবন-যাপন করি। বড় ছেলে নির্মাণ শ্রমিক। তার সামান্য আয় দিয়ে চলে সংসার।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরজ্জামান
বলেন, খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবন্ধী তালিকায় তার নাম রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হবে।




এসএসসি পরীক্ষার রুটিন দেখুন

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ইং তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু।

এসএসসি পরীক্ষার রুটিন দেখুন

 

 




৮ লক্ষ দাম উঠল মাছটির

ভারতের এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়েছে। প্রায় ৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি হল মাছটি।
ভোলা মাছটির ওজন ৪০ কেজি। বুধবার দীঘার মোহনায় নিলামে উঠে মাছটি। সেখানেই মাছটি কিনেছেন দেবাশিষ জানা নামক এক মৎস ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, মাছটি বিক্রির জন্য আড়তে নিয়ে গেলে কেজি প্রতি মাছটির দাম দাড়ায় ১৯ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ৩৮ কেজি ৫০০ গ্রামের মাছটির দর হয় ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এমআরএফটি সংস্থা কিনে নেয় বিশাল আকারের ভোলা মাছটি। মাছটি তেলিয়া ভোলা শংকর প্রজাতির মাছ। এই মাছ সাধারণত গভীর সমুদ্রে থাকে। তবে আর পাঁচটি সামুদ্রিক মাছের মতোই তেলিয়া ভোলা মাছও প্রজননের সময় ডিম পাড়ার জন্য উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে।
ঠিক তখনই মৎস্যজীবীদের জালে ধরে পড়ে যায় মাছটি।




খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এই পরোয়ানা জারি করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী তপন চৌধুরী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে অসমাপ্ত বক্তব্য এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বাম দলগুলোর ডাকা অর্ধ দিবস হরতালের কারণে নিরাপত্তারজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি আদালতে হাজির হননি।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দু’বছর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।




রামগতিতে মেঘনা থেকে অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩০) গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চর আবদুল্লাহ’র তেলির চর এলাকা থেকে এ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, জোয়ারে মৃতদেহটি তেলির চর এলাকায় ভেসে আসে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।