লক্ষ্মীপুরের এডিসি ও ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব

ঢাকা: সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড  দেওয়ার ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার ইউএনও(উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে তলব করেছেন  হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির এ বিষয়ে তাদের  ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী ও আশফাকুর রহমান।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম।

আদেশের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পত্র পত্রিকায় এসেছে লক্ষ্মীপুরের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টে একজন প্রাক্তন সিভিল সার্জনকে সাজা দিয়েছেন। এডিসি জেনারেলের সাথে ওই ডাক্তারের ব্যক্তিগতভাবে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেটা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। পরে তাকে ডিসি অফিসে নিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।

ব্যারিস্টার আজীম বলেন, ওই রিপোর্টটা আসার পর দুইজন আইনজীবী সংক্ষুব্ধ হয়ে, এখানে যে আইনের শাসনের ব্যত্যয় হয়েছে সে জন্য রিট দায়ের করেছেন।  রিটের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ব্যক্তি আক্রোশের কারণে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমের যে অপব্যবহার, সেটা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। এবং ১৩ ডিসেম্বর এডিসি ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হয়ে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রও সাথে আনতে বলেছেন।ওই সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনও ব্যক্তিগতভাবে আসবেন। এবং আদালতের সামনে ওনার বক্তব্য রাখতে পারবেন।

ব্যারিস্টার আজীম আরও বলেন, মোবাইল কোর্টের যে ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়েছে সেটা সম্পূর্ণরূপে অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত একটা আক্রোশের কারণে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম যেভাবে তারা পরিচালনা করেছেন এবং যেভাবে একজন চিকিৎসককে অপদস্থ করা হয়েছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এতে আইনের শাসনের চরম ব্যত্যয় হয়েছে।

ওনার এটা হয়েছে তাহলে একজন সাধারণ মানুষের বেলায় কি হতে পারে? ।

উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে এনে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠায়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

অবশ্য পরদিন মঙ্গলবার তার জামিন মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর শওকত হোসেন।




আ স ম রবের নতুন রাজনৈতিক জোট ‘যুক্তফন্ট’ : প্রধান বি চৌধুরী

ঢাকা : বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে প্রধান করে নতুন রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। সোমবার রাতে উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় এক বৈঠকে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে এই জোট গঠন করা হয়। প্রাথমিকভাবে যুক্তফ্রন্টে চারটি দল রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।

দলগুলো হলো- সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য।

আব্দুল মালেক রতন বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বি. চৌধুরীকে প্রধান করে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। এই জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করতে আরও সপ্তাহ দুই সময় লাগবে।’ তখনই জোটের সঙ্গে আরও কারা আছে, তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

অবশ্য জোট গঠনের লক্ষ্যে এই দলগুলোর নেতারা আগেও একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সোমবার রাতের বৈঠকে চারটি দলের শীর্ষস্থানীয় চার নেতা ছাড়াও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরী, জেএসবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতনসহ দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




এবার ‘ভায়াগ্রা পান’, মূল্য ৫০০০ রুপি

বিয়ের পর মা একটি বিশেষ পান খাইয়েছিলেন ভারতের আওরঙ্গবাদের মোহাম্মদ সিদ্দিকীকে। এরপরই সেই পানের প্রেমে পড়েন সিদ্দিকী। এক পর্যায়ে এই বিশেষ পান বানিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সময়ের পরিক্রমায় সেই পান ভারতে পরিচিতি পেয়েছে ‘ভায়াগ্রা’ ও ‘কোহিনুর’ এই দুটি নামে। এর দামও আকাশছোঁয়া। সিদ্দিকী একটি পান বিক্রি করতে দাম ৫ হাজার রুপি। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৬ হাজার টাকারও বেশি।

৫০ বছর ধরে ওই দোকানটিতে পানের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। আওরঙ্গাবাদে ওই পানের দোকানটির নাম ‘তারা পান সেন্টার’। তার দোকানের পানের মেন্যুতে রয়েছে প্রায় ৫১ ধরনের পান। এর মধ্যে নববিবাহিতদের জন্য আছে এক রকম পান।
একে বলা হয় স্টার পান। এই পানের কদর অনেক বেশি। এই পানটিই স্থানীয়ভাবে ‘ভারতের ভায়াগ্রা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে এ পানটি ‘কোহিনুর’ পান নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

এই দোকানে কোহিনুর পান বানানো হয় বিশেষ সব উপাদান মিশ্রিত করে। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরনের কস্তুরি, যার প্রতি কিলোগ্রামের দাম ৭০ লাখ রুপি। মিশানো হয় জাফরান, যার প্রতি কেজির দাম ৭০ হাজার রুপি। মিশানো হয় গোলাপ, যার প্রতি কেজির দাম ৮০ হাজার রুপি। এ ছাড়া এই পানে মিশানো হয় বিশেষ তরল। তাতে আছে ভিন্ন মাত্রার সুঘ্রাণ। এ জিনিসটি শুধু পশ্চিমবঙ্গেই পাওয়া যায়।

এরপরে যে জিনিসটি মিশানো হয় সেটিই এই পানের বিশেষত্ব। কি সেই উপাদান সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করে না। ব্যবসায়িক স্বার্থে তারা এ বিষয়টি গোপন রেখেছেন। এমনকি ওই দোকানে যেসব কর্মচারী কাজ করেন তারা পর্যন্ত জানেন না কি সেই গোপন উপাদান। এ গোপন উপাদানটি সম্পর্কে জানেন শুধু দু’জন। একজন হলেন দোকানের মালিক মোহাম্মদ সিদ্দিকী ও তার মা।

সিদ্দিকীর মা-ই এই ব্যবসার মূলে। তিনিই তার ছেলে সিদ্দিকীকে গোপন রেসিপি দিয়েছেন। সেই রেসিপি অনুসরণ করে তারা এখন ভারতজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন। এমনকি বিদেশি অনেক অতিথিও তাদের দোকানে ভিড় জমান।

বিশেষ করে ‘ভারতীয় ভায়াগ্রা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় নবদম্পতি এবং যারা যৌন জীবনে অসুখী তারা পর্যন্ত ছুটে যান ওই দোকানে।

সিদ্দিকী বলেন, আমি বিয়ের আগে এই পান বিক্রি করি নি। আমার বিয়ের পর মা আমাকে এই পান দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এটা আমার খাওয়া উচিত। তারপর যদি আমার পছন্দ হয় তাহলে আমাকে এটা বিক্রি করার জন্য বলেন। তারপর থেকেই এই পানের ভক্ত হয়ে যান সিদ্দিকী। তিনি এই পানকে তার দোকানের মেন্যুতে যুক্ত করেন। ফলে তার দোকানে প্রতিনিয়ত ভিড় লেগে থাকে কোহিনুর পানের জন্য। কিন্তু দামটা একটু বেশিই হয়ে যায়। তাই কম দামেও এটি বিক্রি করার একটি বিকল্প পন্থা আবিষ্কার করেছেন সিদ্দিকী। এর দাম রাখা হয় ৩০০০ রুপি।

তার দোকানের একজন কর্মচারী বলেন, ৩০০০ রুপির একটি পান যদি আপনি খান তাহলে তার প্রভাব থেকে যায় তিন দিন। এই তারা পান সেন্টারে পুরুষদের পাশাপাশি আছে নারীদের জন্য কোহিনুর পান। প্রতিদিন এই দোকান থেকে বিক্রি হয় ১ হাজার পান।




কারামুক্ত হলেন লক্ষ্মীপুরের সেই সিভিল সার্জন

লক্ষ্মীপুরে ভ্রাম্যামাণ আদালতে ৩ মাসের সাজা আদেশের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হলেন সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন শরীফ।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক মীর শওকত হোসেন ৫ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে কারাগার থেকে স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে আসেন ।

এসময় সাবেক সিভিল সার্জন তার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় এবং সিনিয়র চিকিৎসক যেন অসম্মানিত ও অপমানিত না হন এ জন্য জোর দাবী জানাই। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টের নামে যে তৎপরতা চালানো হচ্ছে অবশ্যই এটি বন্ধ করাসহ যারা এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. নিজাম উদ্দিন, ডা. জাকির হোসেন, ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. হামিদ প্রমুখ।

সালাউদ্দিনের আইনজীবি রাসেল মাহমুদ মান্না জানান. অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ডা. সালাউদ্দিন শরীফের জামিন আবেদন করলে আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকা দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের বড় ছেলে মিনহাজের সঙ্গে বাক বিতন্ডা হয়। এসময় ডা. সালাহ উদ্দিন এগিয়ে এসে পরিচয় জানতে চান। কিন্তু এডিসি পরিচয় না দিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন।

এক পর্যায়ে এডিসিকে থাপ্পড় মারেন ডাক্তার।
বাবা ছেলে ও এডিসি’র মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ ডেকে ডাক্তারকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় ডাক্তারকে। খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত চিকিৎসকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছুটে যান। বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা প্রশাসনের সকল সেবা কার্যক্রম ও সকল হাসপাতাল ক্লিনিক বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে নিঃশর্তভাবে ওই চিকিৎসকের মুক্তি দাবিকরেন।

জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগমের সঙ্গে প্রায় আধা ঘন্টার মতো রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তারা। তবে বৈঠকে চিকিৎসকরা তড়ি ঘড়ি করে সাজা দেয়ার বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসককের কাছে প্রশ্ন তোলেন। এসময় জেলা প্রশাসক আপিল করলে সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন বলে জানান চিকিৎসকরা।




অপু বিশ্বাসকে শাকিবের ডিভোর্স লেটার

ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছেন। জানা গেছে, প্রায় মাসখানেক আগেই শাকিব খান ডিভোর্সের চিঠি তৈরি করে রেখেছিলেন। ভারতে শুটিংয়ে যাওয়ার মুহূর্তে সেই চিঠি অপুর কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। ডিভোর্সের সেই চিঠিটি শাকিব তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অপুর কাছে পাঠিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।




ডা.সালাহ উদ্দিন শরীফের কারাদন্ড

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে অসাদচরণের অভিযোগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.সালাহ উদ্দিন শরীফকে আটকের পর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের কাকলি শিশু অঙ্গণ বিদ্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে দু’জনের বাক বিতন্ডার পর হাতাহাতির ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সালাহ উদ্দিন শরীফকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। পরে পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠান। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। এ ঘটনার পর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরে জেলা প্রশাসক আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দিলে শান্ত হন তারা। তবে এসব ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের কেউ। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র ও চিকিৎসকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, সকালে শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে শিশুদের আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের বাক বিতন্ডা হয়। এসময় তাদের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পুলিশের মাধ্যমে ডাক্তারকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ভ্রাম্যামাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে জানিয়ে পুলিশ ওই ডাক্তারকে কারাগারে পাঠায়। তড়িঘড়ি করে সাজা দেয়ার বিষয় নিয়ে জেলায় কর্মরত বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এসময় গণমাধ্যমকে কোন ছবি তুলতে দেয়া হয়নি। বৈঠক থেকে বের হয়ে বিএমএ জেলা সভাপতি ডা. আশফাকুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসক আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দিলে চিকিৎসকরা শান্ত হন। নিয়ম মেনেই আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন, ডা. রাবিক হোসেন, ডা. জাকির হোসেন, ডা. হামিদ হোসেন প্রমুখ।




লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র ও গুলিসহ লাদেন বাহিনীর সদস্য গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় সন্ত্রাসী লাদেন বাহিনীর সদস্য হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ২টি একনলা বন্দুক, ১টি দোনলা বন্দুক ও ১৮ রাউন্ডগুলি উদ্ধার করা হয়। জাহাঙ্গীর বালাইশপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ও সম্প্রতি গোলাগুলিতে নিহত সন্ত্রাসী লাদেন বাহিনীর সদস্য। চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওই এলাকার একটি বাগান থেকে বস্তা ভর্তি অবস্থায় ৩টি বন্দুক, ১২ রাউন্ড লাইফেলের ও ৬ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করা হয়। সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর হত্যাসহ একাধিক মামলা আসামি। তার অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।




কমলনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মুত্যৃ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্কুল ছাত্র রাসেল (১৪) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় হাজিরহাট টু মাতাব্বরহাট রোডে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

রাসেল মিল্লাত একাডেমীর ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ও চর ফলকন এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, রাসেল সাইকেল যোগে স্কুলে যাওয়ার পথে অটো রিকশা (বোরাক) তাকে চাঁপা দেয়। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়। কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।




লক্ষ্মীপুরে হামদ-নাত প্রতিযোগীতা

লক্ষ্মীপুর: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে হামদ-নাত প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে লক্ষ্মীপুর শিশু একাডেমী এ আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাইন উদ্দিন পাঠান। বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. রেজ্জাকুল হায়দার, শিশু একাডেমীর পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল মোবারক ভূঁইয়া, দৈনিক লক্ষ্মীপুর সমাচার পত্রিকার সম্পাদক জাকির হোসেন ভুঁইয়া আজাদ ও প্রফেসর আবদুল কাদের।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জব্বার। দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন জেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবুল কাশেম।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হামদ-নাত প্রতিযোগীতায় শিশু একাডেমীসহ জেলার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে ১২জনকে পুরস্কার বিতরণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।




কিমের হাতের মুঠোয় যুক্তরাষ্ট্র, মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

উত্তর কোরিয়ার দাবি মেনে নিলেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। গত বুধবার আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হাওয়াজং -১৫ পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, গোটা মার্কির ভূখণ্ড এখন তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায়।

দাবি প্রমাণ করতে বৃহস্পতিবার বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ করে তারা। সেই ছবি দেখেই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিমের দাবি মিথ্যে নয়। সত্যিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডি’র ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ মাইকেল ইলম্যান জানান, উত্তর কোরিয়া যে সব ছবি প্রকাশ করেছে, তা আগের ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে অনেক বড় এবং শক্তিশালী। তার দাবি, ‘প্রাথমিকভাবে হিসেব করে জানা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনও প্রান্তে এই অস্ত্র আঘাত হানতে পারে। ‘

উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর রাতে হাওয়াজং-১৫ নামে দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। ১৩ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪,৫০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে দিয়ে জাপান সাগরে আঘাত হানে।