রামগতিতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ,আটক ১

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারের শিক্ষা গ্রামে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমকে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। এ ঘটনায় স্থানীয় বখাটে যুবক ও ধর্ষণে অভিযুক্ত মো. মোহনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় শিশুটিকে বাগানে নিয়ে ওই বখাটে যুবক তাকে ধর্ষন করে বলে পরিবারের অভিযোগ।
ভিকটিমের মা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ীর পাশে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পার্শবর্তী মোহন নামের এক বখাটে শিশুটিকে বাগানে নিয়ে ধর্ষন করে এবং তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। সে বিষয়টি প্রথমে জানায়নি পরে সে ব্যাথা অনুভব করলে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনার বিচার দাবী করেন তিনি।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো: ইউসুফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলার পক্রিয়া চলছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সে চিকিৎসাধীন আছে।




উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩৯ জনপ্রতিনিধির শপথ চাঁদপুরে

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও চাঁদপুরের ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩৯ জনপ্রতিনিধি শপথ নিবেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান তাদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।

আয়োজনে শপথ গ্রহণ করবেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা। ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, ভাইস চেয়ারম্যান তসলিম আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজুদা বেগম। হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গাজী মো. মাঈনুদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরদা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলী পারভীন।

শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উল্যাহ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ মিরান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার। কচুয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা খানম। মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম.এ.কুদ্দুছ, ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খাঁন সুফল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা বেগম। মতলব দণি উপজেলায় এইচ.এম. গিয়াস উদ্দিন ও ভাইস চেয়ারম্যান মবিন সুজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আক্তার রুনু।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ্যাড. রহমত উল্লাহ বিপ্লব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী খালেদা আক্তার। রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার। রায়পুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান মারুফ বিন জাকারিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম। রামগতি উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাহীদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা আক্তার জোসনা। কমলনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পি, ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রোকসানা আক্তার।

দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন হওয়া নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন ও ভাইস চেয়ারম্যান ওবায়দ উল্যাহ বিপ্লব ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শওকত ওসমান জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য উপজেলার জনপ্রতিনিধিগণ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথ নিলেও এবার চাঁদপুরের ৭ উপজেলা, লক্ষ্মীপুরের ৫ উপজেলা ও নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণ চাঁদপুরে শপথ নিবেন।




কমলনগরে দগ্ধ সেই তরুণীর মৃত্যু

ঢাকা: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে শরীরে আগুন দেয়া শাহিনুর আক্তার নামে এক তরুণী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) তাকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শাহিনুর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সোনাগাজী গ্রামের জাফর আলমের মেয়ে।

বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া  জানান, শাহিনুরের শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ ওই তরুণী  বলেন, মোবাইলে তার সঙ্গে সালাহ উদ্দিনের পরিচয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালাহ উদ্দিন প্রথম স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রাখেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি চট্টগ্রাম থেকে কমলনগরে গিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে সালাহ উদ্দিন কেরোসিন তেল দিয়ে আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ উল্লাহ ও গ্রাম পুলিশ আবু তাহের বলেন, স্থানীয়রা ওই তরুণীকে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। পরে ওই তরুণী বাজারে গিয়ে কেরোসিন নিয়ে সালাহ উদ্দিনের বাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে গিয়ে নিজের তার শরীরে আগুন দিয়ে একটি গোয়াল ঘরে গিয়ে বসেন। ওই সময় এলাকার নারীরা ছুটে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভান।

তিনি আরও জানান, ঘটনার শুরুর দিকে তরুণী বলেছেন, তিনি নিজে তার শরীরে আগুন দেন। আবার হাসপাতাল আসার পর বলছেন স্বামী আগুন দিয়েছেন। বিষয়টি রহস্যজনক।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, ওই তরুণীর ব্যাগ থেকে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গেছে। তিনি কেরোসিন নিজেই বহন করেছেন বলে মনে হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, তিনি নিজেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছেন। তবে সত্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।




অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনই জাতীয়করন রুখে দেওয়ার প্রধান হাতিয়ার

জাতীয়করন দেশের সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান আকুতি।এই আকাংখিত লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নে প্রায় সকল শিক্ষক সংগঠনই একমত।কারন জাতীয়করন হলে একই মাধ্যমিক বিদ্যালয়,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ুয়া একই মানের দুজন শিক্ষকের(এমপিওভুক্ত ও সরকারি) বেতন -ভাতা, আর্থিক সুবিধা ও সামাজিক সন্মান একই সারিতে আসবে।সাথে সাথে প্রাইমারি স্কুলের পিয়নের থেকে ও যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতন কম হওয়াতে মাধ্যমিক শিক্ষক যে অপমান বোধ করত , তার ও সুরাহা হবে।(সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমান হারে) অবসর পরবর্তী আরামে কিছুদিন কাটানো কিংবা সারা জীবনে থাকার ঠাই করতে না পারা মানুষগুলো একটা আশ্রয় নির্মান করতে পারত।কিংবা এক সাথে হজ্জ্বের ইচ্ছা করা দুজন মানুষ হজ্জ্ব ও করতে পারত।কিন্তু তার কোনটাই বাস্তবে দেখা যায়না।কারন সরকারি শিক্ষক প্রতি মাসের ১ তারিখে সময় মত বেতন পান,উৎসবে ১০০% বোনাস পান,বাড়ি করার ঋন পান,অবসরে গেলে সামান্য কিংবা টাকা জমা না দিয়েও অবসরের প্রথম বছরেই চাকরি জীবনের শেষ মাসের বেসিকের সমান ১০০ মাসের অবসর ভাতা পান।অথচ একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক উপরিউক্ত সুবিধার ধারে কাছে ও থাকেন না।এমনকি সারা জীবন নিজের ৬% করে টাকা জমা দেওয়ার পরে ও কমপক্ষে অবসরের ৭/৮ বছর পর ও নিজের জমানো টাকা উঠাতে জালিমের পিছনে লাইন ধরতে বাধ্য হন।সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকের এই সমস্ত বৈষম্যর ফলেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয়করন মুখী। তদুপরি সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষকের অল্প বেতন থেকে ৬% অর্থ কেটে নেওয়ার পর কত টাকা জমা হল তার হিসেব না দেওয়া,কত% হারে লাভ দিবে তার সঠিক তথ্য না পৌছনো,আমার জমাকৃত টাকা অবসরের সময় আমায় দেরি করে দেওয়া কিংবা আমার মৃত্যর আগে না দেওয়া প্রভৃতি কারনেই শিক্ষকরা জাতীয়করন মুখী। অন্যদিকে অবসর কল্যান ট্রাস্টের এক কপি হিসেব সংগ্রহ করে জানলাম ৬% জমা দেওয়া শিক্ষক যারা ২০১৮ তে অবসরে গিয়েছেন তারা ক• অধ্যক্ষ ৩০ বছরে অবসর+ কল্যানে জমা দিয়েছেন ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অবসরে গেলে পাবেন ৪৬লাখ টাকা।এবার যদি হিসেব দেখি বর্তমান বাজারে জনতা,অগ্রনী,সোনালী সহ সব ব্যাংক প্রতি লাখে কত লাভ দেন, দেখা যায় প্রতি লাখে প্রতি মাসে কমপক্ষে এক হাজার তাহলে ঐ ১০ লাখ ৮০ হাজারে পেতেন চক্রবৃদ্ধি ছাড়া ৫০ লাখ,চক্রবৃদ্ধি সহ ৫৫ লাখ।তাহলে অবসর – কল্যান ট্রাস্টে জমা দিলে লস ৯ লাখ।( এটি ৬% হারে) ।তাহলে ১০% কর্তনে এই হারে হিসেব করলে অধ্যক্ষ পদে পাওনা হবে ৮২ লাখ।এমতাবস্থায় অবসর কল্যান ট্রাস্ট ৬% এর মত সুবিধা বহাল রেখে বাড়তি সুবিধা ঘোষনা না করে ১০% কর্তন করে শিক্ষকদেরকে বেকুব বানানোর চিন্তা নিতান্তই পাগলামি বৈই আর কিছুই নয়। প্রভাষক পদে ৬% হারে জমা হবে ৪লাখ ৯৬ হাজার ৮০০।পাবেন ২০লাখ ৯২ হাজার ৮০০।ব্যাংকে থাকলে পেত চক্রবৃদ্ধি ছাড়া ২৩ লাখ।চক্রবৃদ্ধি সহ ২৫ লাখ।লস ৪ লাখ ৮ হাজার।১০% কর্তনে প্রভাষক পদে পাওয়ার কথা ব্যাংক থেকে ৩৮ লাখ।তাহলে সুবিধা ঘোষনা না করে ১০% কর্তন অযৌক্তিক।সহকারি শিক্ষক বেসিক ১৬০০০ হলে ৬% হারে জমা হবে প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০।পাবেন ১৪ লাখ ৫৬ হাজার। ব্যাংকে রাখলে পাওয়া যেত চক্রবৃদ্ধি ছাড়া ১৬লাখ ১০ হাজার ,চক্রবৃদ্ধি সহ ১৮ লাখ।লস ৪ লাখ ৪৪ হাজার।সহকারি শিক্ষক পদে ১০% কর্তনে পাওয়ার কথা ২৪ লাখ।বাড়তি সুবিধা ঘোষনা করা ছাড়া ১০% কর্তন প্রকাশ্য জুলুম। একই ভাবে উপাধ্যক্ষ,প্রধান শিক্ষক,সহকারি অধ্যাপক,সিনিয়র প্রভাষক পদে ও একই দূর্গতি।এমতাবস্থায় ১০% কর্তন করে একদিকে শিক্ষকদের প্রতি জুলুম হচ্ছে অন্যদিকে জাতীয়করন আন্দোলন বাধা গ্রস্ত হবে।১০% কর্তন বাস্তবায়ন হলে সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যে চরমে উঠবে।শিক্ষকরা যেখানে ১০০ ভাগ বেতন ই পাবেন না,বরং ১০ মাসে ১ মাসের বেতনই থাকবেনা সেখানে জাতীয়করন আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হবে চরমভাবে। তাই ১০% কর্তন বাতিল করতে হবে, সরকারিদের ন্যায় অবসর – কল্যানে কোন অর্থ জমা না নিয়েই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসরের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।তদুপরি ৬% কর্তনে যদি অবসর ভাতা, আগে চাকরি জীবনের শেষ মাসের বেতন হিসেবে ১০০ মাসের বেতন হয় তাহলে বাড়তি ৪% হিসেবে আর ও ৭৫ মাসের মোট ১০০+ ৭৫= ১৭৫ মাসের হওয়ার কথা।তাহলে ৭৫ মাসের বাড়তি অবসর ভাতা সুবিধা ঘোষনা না করে ১০% কর্তন নিতান্তই অযৌক্তিক।আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে,যারা ৬% জমা দিয়েছেন এবং ২০১৮ সালের মধ্যই অবসর নিয়েছেন তাদের অবসর ভাতা মিটাতে বর্তমানের শিক্ষকদের বাড়তি ৪% চাঁদা দেওয়া লাগে তাহলে ২০২৮ সালে যিনি অবসর নিবেন তার সমস্যা সমাধানে আরো ৪% তথা ১৪ % চাঁদা দেওয়া লাগবেনা?আর এভাবে চলতে থাকলে চাঁদার পরিমান ক্রমাগত বাড়তেই থাকবে।এক সময় জাতীয়করন অান্দোলন সম্পুর্ন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

ফিরোজ আলম প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান,আয়েশা (রা:) মহিলা কামিল (অনার্স,এমএ) মাদ্রাসা,সদর,লক্ষীপুর। ও সাধারন সম্পাদক বিএমজিটিএ লক্ষীপুর জেলা শাখা।




একাদশে ভর্তির নীতিমালা জারি, আবেদন শুরু ১২ মে

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৯ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগ থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালার জারি করা হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, আগামী ১২ মে থেকে প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে ও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে ২৩ মে পর্যন্ত চলবে। ১০ জুন প্রথম পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির ফল প্রকাশ করা হবে। আর ১৯ ও ২০ জুন ২য় পর্যায়ের আবেদন এবং ২৪ জুন ৩য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আগামী ১ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

নীতিমালা দেখতে নিচে ক্লিক করুন

Vorti Nitimala




কমলনগরে স্ত্রী স্বীকৃতি চাওয়া অগ্নিদগ্ধ তরুনী হাসপাতালে..

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের সয়াবিন ক্ষেত থেকে আগুনে দগ্ধ অবস্থায় শাহেনূর আক্তার (২৪) নামে এক তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই জানিয়েছে, স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় স্বামী সালাউদ্দিন তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

খবর পেয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সফিউজ্জামান ভূঁইয়া ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন সদর হাসপাতালে ওই তরুণীকে দেখতে এসেছেন।

এর আগে বিকেলে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের আইয়ুবনগর এলাকায় একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে শাহেনূরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে রেফার্ড করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই তরুণীর মুখ-হাতসহ শরীরের প্রায় ৩০ ভাগ পুড়ে গেছে।

শাহেনূর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সোনাগাজি গ্রামের জাফর আলমের মেয়ে।

জানা গেছে, সালাউদ্দিন স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের আইয়ুবনগর এলাকায় বসবাস করছে। সালাউদ্দিন পেশায় রিকশা চালক। তার বাবার নাম মহর আলী।

চিকিৎসাধীন দগ্ধ তরুণী শাহেনূর বলেন, মোবাইল ফোনে সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছে। একপর্যায়ে প্রায় দেড় বছর আগে কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়। প্রায় ৬ মাস আগে জেনেছি সালাউদ্দিন বিবাহিত। এ কথা শুনে কিছুদিন আগেও কমলনগর এসেছি। কিন্তু স্ত্রীর স্বীকৃতি পাননি। ফের শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবার লক্ষ্মীপুরে আসি। কিন্তু এবারও স্ত্রী স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় আমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে সালাউদ্দিন।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, বিকেলে একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে আগুনে দগ্ধ এক তরুনী চিৎকারে আশেপাশে লোকজন জড় হয়। পুরো শরীরে আগুনে দগ্ধ হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে সদর হাসপাতালে হস্তান্তর করেন।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, দগ্ধ তরুণীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, ওই তরুণীর ব্যাগ থেকে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গেছে। তিনি কেরোসিন নিজেই বহন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিজের গায়ে নিজেই আগুন লাগিয়েছেন। তবে সত্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

 




অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন জাতীয়করনের প্রধান বাধা

শিক্ষা দিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ,দালাল করল সব শেষ।বেশিকদের অবসর ও কল্যান ট্রাস্টে ৪% কর্তনে সারা দেশের এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষক – কর্মচারি ব্যথিত,দু:খিত, শোকাবহ,লজ্জিত সাথে সাথে চিন্তিত। চিন্তার কারন হল ৪% কর্তন কি তাহলে শেখ হাসিনার শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করনের পদক্ষেপে প্রধান বাঁধা? শেখ হাসিনার সরকারকে বিপদে ফেলার জন্যই কি এই অশুভ চক্রান্ত?এই অশুভ শক্তি ঠিক ই বুঝেছেপাঁচ লাখ শিক্ষককে সরকারের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেওয়ার এখনি সময়।তারা এই চক্রান্ত নির্বাচনের আগে ও করেছিল।শেখ হাসিনার সরকার এই চক্রান্ত বুঝে পেলে ৪% কর্তন নির্বাচনের আগে বাতিল করেছিল।আজ আবার ও এই অশুভ দালাল চক্র আবারো মাথা তুলে দাড়িয়েছে। সারা দেশের সব শিক্ষকরা যখন প্রতিবাদে একাগ্র, তখন এরাই চুপ করে আছে।এদের রুখে দেওয়ার এখনি সময়। সারা দেশ যখন শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে একমত,৫০ভাগ বাড়ি ভাড়ার জন্য সহমত,বিনা সুদে গৃহ ঋনের দাবিতে একাট্টা ঠিক তখনি এই চক্র ৫ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষকের আকাংখিত স্বপ্নের ফুলকে বুট জুতোয় থেতলে দেয়।দিয়াশলাইয়ের বাক্সের মত সহজে ভাঙ্গে জাতীয়করনের লালিত বহু আকাংখিত স্বপ্নকে। শিক্ষকরা যখন জাতীয়করনের আন্দোলনকে বেগবান করার পদক্ষেপ নিয়ে ব্যস্ত এই চক্র তখন কৌশলে টেনে হিচড়ে সে লালিত স্বপ্নকে মধ্যযুগে নিয়ে যায়।যাদের কারনে ৪% কর্তন হল এরা কুলাংগার,যাদের আদেশে শিক্ষকদের জাতীয়করনের লালিত স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হচ্ছে,স্বপ্নের জাতীয়করনের আশা ক্ষীন হচ্ছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা প্রকাশ্যে রাস্তায় তাদের বিচার দেখতে চায়।তাদের শাস্তি চায়।যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা প্রাইমারি স্কুলের পিয়নের থেকে ও কম বেতন পায়,তাদের সামান্য বেতন থেকে ও যারা বেশিকদের বেতন কর্তনের ইন্ধন যোগায়,যারা সরকারকে এই কুপরামর্শে সহযোগিতা করে এরা বেকুব আর নব্য রাজাকার ছাড়া আর কেউ নয়।এদের রুখে দিতেই হবে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ শিক্ষা ব্যবস্থা যে বেশিকরা সফলভাবে বাস্তবায়িত করে, এই বেশিকদের স্বপ্ন নিয়ে যারা তামাশা করে এরাই নব্য হিটলার। পরিশেষে বিশ্ব মানবতার বিবেক, মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা,মাদার অফ হিউম্যানিটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সমীপে বিনিত আরজ আপনি দেখুন কিভাবে আজ ৯০ % দেশ গঠনের অন্যতম কারিগরদেরকে ঠকানো হচ্ছে,কিভাবে বেশিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে,আপনি সত্যটা জানুন, বেশিকদের প্রতি আপনার বিশ্ববাসী দ্বারা প্রাপ্ত উপাধি বিশ্ব মানবতার বিবেক দিয়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করুন।

ফিরোজ আলম,প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান, আয়েশা (রা:) মহিলা কামিল(অনার্স,এম এ) মাদ্রাসা, সদর, লক্ষীপুর।




কমলনগরে বিষপানে আত্মহত্যা

 

আমজাদ হোসেন আমু,কমলনগর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিষপানে তাছলিমা আক্তার (২৪) নামের এক মহিলা আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার চর ফলকন আবদুল হাদী বাড়িতে এ ঘটনা গঠে।

মৃত ব্যাক্তির বোন জান্নাতুল ফেরদাউস জানান, চর ফলকন ইউনিয়নের রাজু’ সাথে তাছলিমার ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে মানসিক নির্যাতনের কারণে তার বোন বিষপানে আত্মহত্যা করেন। মৃত তাছলিমার ৪ বছরের মেয়ে শিশু রয়েছে। তাছলিমা চর ফলকন ইউনিয়নের আয়ুবনগর মোঃ জামালের মেয়ে।

উপজেলা থানা এসআই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।




বিএমজিটিএ লক্ষীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে অবিলম্বে ১০% কর্তনের আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,কারিগরি) শিক্ষক কর্মচারি অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক কর্মচারী কল্যান ট্রাস্টের শিক্ষক- কর্মচারীদের এপ্রিল ২০১৯ এর বেতন থেকে বাড়তি ৪% কর্তন আদেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন লক্ষীপুর জেলার বর্তমান সময়ের মাদ্রাসার অন্যতম প্রধান ও প্রিয় শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) লক্ষীপুর জেলা শাখা।আজ বুধবার পল্লী নিউজকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএমজিটিএ লক্ষীপুর জেলা শাখার সভাপতি  মোহাম্মদ আলী,সহকারী অধ্যাপক ভবানি গন্জ ফাজিল মাদ্রাসা এবং জেলা সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আলম,প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান আয়েশা (রা:)মহিলা কামিল (অনার্স ) মাদ্রাসা ও জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওয়াজি উল্লা জুয়েল, হাজির হাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে শিক্ষকদের বাড়তি ৪% কর্তনের যে আদেশ জারি করা হয়েছে তাতে সাড়ে পাঁচ লাখ বেশিকদের মতামতের প্রতি বৃদ্ধাংগুলি দেখানো হয়েছে।মূলত জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে বিতর্কিত করার জন্যই একটি মহল এমন ষড়যন্ত্র করছে।তাই অবিলম্বে বাড়তি ৪% কর্তন আদেশ পরিহার করে বেশিকদের প্রতি ন্যায় বিচার করার আহ্বান জানান বক্তারা।




বেশিকদের ১০% কর্তন শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের দুর্বল নীতিমালারই বহি: প্রকাশ

২০১৯ সালের এপ্রিলের বেতন থেকে বেশিকদের ১০% কর্তনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে । বিষয়টি অযৌক্তিক, অমানবিক এবং বেশিকদের সাথে প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই নয়। ক•অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকদের অবসর ভাতা সমাধানের জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।তথ্য মন্ত্রনালয়ের সূত্রে জানা যায় বর্তমানে ২৪৩৫৩ টি অবসর ভাতার আবেদন জমা আছে।এসব আবেদন সমাধানে প্রয়োজন ১৭৫৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা।২০১৮- ২০১৯ বাজেটে এই সমস্যা সমাধানে অনুদান পাওয়া গেছে ৫৩২ কোটি টাকা।এফডিআর হিসেবে জমা আছে ১২৮ কোটি টাকা। এসটিডি হিসেবে জমা আছে ২১৬ কোটি টাকা মোট ৫৩২+১২৮+২১৬=৮৭৬ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত অবসর ভাতার ফাইল সমাধান করা সম্ভব।অথচ সরকার এখনো ২০১৫ সালে পড়ে আছে।বাকী ৯০০০ আবেদন সমাধানে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের আরেকটি অনুদান পেলেই সমস্যা সমাধান।কিন্তু সরকার গত বাজেটের মত ২০১৯ – ২০২০ বাজেটে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে যেখানে ১০% কর্তন বন্ধ করে সমস্যার সমাধান করবে, তা না করেই আগেই জোর পূর্বক ১০% কর্তনে তৎপর।বিষয়টি রহস্যজনক।

খ•সরকার ২০২১ সালের মধ্যেই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে (মাথাপিছু আয় ২০০০ ডলার )এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত আয়ের দেশে(১০০০০ ডলার) পরিনত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।এজন্য সরকার জনসংখ্যাকে জন সম্পদে পরিনত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রশ্ন হল কারা এই জনসংখ্যাকে জন সম্পদ বানাবে? নিশ্চয় শিক্ষক।তাহলে নতুন বাজেট আসতে ৩মাস বাকী।নতুন বাজেটে অবসর ভাতা সমস্যার সমাধান না করে কার স্বার্থে বর্তমানে ১০% কর্তন?

গ• প্রাইমারি স্কুলের পিয়নের চেয়ে এমপিওভুক্ত একজন শিক্ষকের বেতন কম,যা বেতন পান মাসের ২০দিন যেতে না যেতেই শেষ,বাকী ১০ দিন নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের অবসর সমস্যার সমাধানে ৩ মাস পরবর্তী ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সমাধান না করেই ১০% কর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ বেশিকদের সাথে প্রতারনা করছে।

ঘ• অন্যদিকে জানা যায়,৪% বাড়তি অর্থ কর্তন ঠেকাতে সরকারের বাড়তি অর্থের প্রয়োজন প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা(তথ্য অর্থ মন্ত্রনালায়) ।২০১৮- ২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে ৩৮২৬২ টি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৫% ইনক্রিমেন্ট ও ২০% বৈশাখি ভাতার জন্য বরাদ্দ দিয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা।খরচ হয়েছিল যথাক্রমে ৪০০ কোটি ৮৪ লাখ + ১৩৩ কোটি=৬০০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।১৪৫ কোটি টাকা সহজেই বাড়তি থাকার পরও সমাধান হয়েছিল।গত বাজেটে এত বিশাল সমস্যা সমাধান করা গেলে নতুন ৩ মাস পর বাজেটে ৩৬০ কোটি টাকার সমাধান করা যেত না? তা না করেই ১০% কর্তনের অন্যায় সিদ্ধান্ত।

ঙ•জাতীয় নির্বাচনের আগে ১০% কর্তন স্থগিত করা হয়।কারন প্রিসাইডিং,সহকারি প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসারদের ৯০% বেশিক।এই শিক্ষকদের মাধ্যমেই সরকার আজ ক্ষমতায়।আর তাদের সাথেই নির্বাচনের আগে একরকম পরে আরেক রকম মনোভাব প্রতারনা নয় কী?

চ•দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার শতকরা ৮০% সফলতা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে।যাদের হাতেই তৈরি হয়েছে এদেশের রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী, আমলা- সচিব,সরকারের নীতি নির্ধারকরা আজ নীতি নির্ধারকদের সকল সুবিধা ঠিক রেখে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষকদের প্রতি ২০১৮ -১৯ বাজেটে ৫% ইনক্রিমেন্ট দিয়ে ৪% কর্তন কোন যুক্তিতে।পরিশেষে প্রাচ্যের নতুন তারকা, বিশ্ব মানবতার বিবেক,বিরল মানবতাবাদী নেতা, বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা,নারী অধিকারের স্তম্ভ,মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা,জোয়ান অফ আর্ক,মাদার অফ হিউম্যানিটি,ক্যারিশম্যাটিক লিডার মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সমীপে আরজ ২০১৯-২০ অর্থ বাজেটে ৩৬০ কোটি বাড়তি বরাদ্দ দিয়ে ৪%বাড়তি কর্তন বাদ দিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ বেশিকদের প্রতি ন্যায় বিচার করুন।

ফিরোজ আলম,প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান,আয়েশা (রা:) মহিলা কামিল( অনার্স,এম এ) মাদ্রাসা, লক্ষীপুর ও সাধারন সম্পাদক বিএমজিটিএ লক্ষীপুর জেলা শাখা।