‘আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো কোন দল নেই’

আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো কোন দল নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, জনপ্রিয়তায় আওয়ামী লীগের ধারে-কাছে কোন দল নেই। জয় বলেন, আমি একটা জরিপ করেছি, জরিপে দেখেছি- আওয়ামী লীগ অনেক বেশি জনপ্রিয়। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২০০৮ -এর নির্বাচনের চেয়েও ভালো করবে। আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো কোন দলই নেই। আজ বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি বিএনপি আগুন দিযে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেল করাই একটা চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ তাকে হারাতে পারবে না। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবা‌দিক‌দের প্রশ্নের জবা‌বে আজ বিকেলে তি‌নি এসব তথ্য জানান। জাতীয় মানবা‌ধিকার ক‌মিশন এ স‌ম্মেল‌নের আ‌য়োজন ক‌রে।

আইন মন্ত্রী আ‌নিসুল হক ব‌লে‌ন, নিম্ন আদাল‌তের বিচারক‌দের শৃঙ্খলা বি‌ধির গে‌জেট আজ প্রকা‌শিত হ‌চ্ছে। এসময় তি‌নি শৃঙ্খলা বি‌ধি প্রণয়‌নে বিল‌ম্বের জন্য সা‌বেক প্রধান বিচারপ‌তি সু‌রেন্দ্র কুমার সিনহাকে দায়ী ক‌রেন।

এরআগে বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশে সরকারকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় আপিল বিভাগ।




লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন তারিখ ঘোষণা : নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিজস্ব ওয়েব পোর্টালে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির ছেড়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এদিকে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর পরই জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দেয়। অনেকেই সরাসরি ও ফেসবুকের মাধ্যমে ষ্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের হতাশার বিষয়টি জানান দেয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি লেখা ছিলো, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখাকে আরও গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং, শনিবার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অতএব, আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং, শনিবার লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সম্মেলনের সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ ও সফল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।




জোঁক থেরাপি কি!

সময় যত এগচ্ছে, তত ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে আমাদের চারপাশ। বদলাচ্ছে রোগের চরিত্রও। তাই তো চিকিৎসাক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে প্রতিনিয়ত। এই যেমন জোঁক থেরাপির কথাই ধরুণ! কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে প্রাণীটিকে আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে জেনে এসেছে সমগ্র মানবসমাজ, সেই জোঁককে কাজে লাগিয়ে আজকাল সারিয়ে ফেলা সম্ভব হচ্ছে একের পর এক জোটিল রোগ! এই থেরাপির নাম দেওয়া হয়েছে জোঁক থেরাপি।

প্রসঙ্গত, এই ২১ শতকে লিচ থেরাপি এতটা জনপ্রিতা পেলেও প্রাচীনকালেও কিন্তু একাধিক রোগের চিকিৎসায় জোঁককে কাজে লাগানো হত। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে জানতে পারা যায় ১৫০০ বিসি-এর পর থেকে সারা বিশ্বেই জোঁক থেরাপির চল ছিল। সে সময় এত মাত্রায় জোঁকের ব্যবহার হত যে এক সময় গিয়ে এই প্রাণীটির সংখ্যা মারাত্মক কমে আসে। এই কারণেই কিনা জানা নেই, তবে একটা সময়ের পর থেকে ধীরে ধীরে লিচ থেরাপির জনপ্রিয়তা করতে শুরু করে। ফের এই অভিনব পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু হয় ২০০৪ সালের পর থেকে। এই সময় একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে জোঁক বাস্তবিকই নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন…

১. হার্টের রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে:
২০১১ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা যায় ঠিক পদ্ধতিতে জোঁককে ব্যবহার করলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। আসলে জোঁকের স্যালাইভা বা থুতু এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, অলটারনেটিভ মেডিসিন রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা পত্রে আরও দাবি করা হয়েছিল যে ব্লাড ক্লট এবং পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা কমাতেও এই অভিনব পদ্ধতিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা করে:
২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে মহামারির আকার নিতে চলা এই মারণ রোগের চিকিৎসায় দারুন কাজে আসে জোঁক। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে চিরাচরিত ওষুধের পাশাপাশি ক্যান্সার রোগীর শরীরে যদি জোঁকের স্যালাইভা প্রবেশ করানো যায়, তাহলে ব্রেস্ট, মেলানোমা, লাং এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রকোপ অনেকাংশেই কমানা সম্ভব হয়। পসঙ্গত, জোঁকের থুতুতে থাকা গিলেন্টেন নামক একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী ২০ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রায় ৩৬৬ মিলিয়ান মানুষ এই মারণ রোগের শিকার হবে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে জোঁক থেরাপির প্রয়োজন যে বেড়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আসলে বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে রক্তে শর্করারা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া নানাবিধ জটিলতা, যেমন করনারি অ্যাথেরোস্কলেরোসিস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং অক্সিটেডিভ স্ট্রেস কমাতে জোঁক থেরাপি দারুন কাজে আসে।

৪. ছোঁয়াচে রোগের প্রকোপ কমায়:
কেমোথেরাপি নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে জোঁকের শরীরে থাকা ডেস্টাবিলেস নামক এক ধরনের প্রোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর সব ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলে রোগের প্রকোপ কমাতে একেবারেই সময় নেয় না। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে জোঁকের শরীরে থাকা নিউরোসিগনালিং এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড যে কোনও ধরেনর সংক্রমণকে কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা করে:
জয়েন্টে পেইনের কারণে কি একেবারে কাবু হয়ে পরেছেন? তাহলে একবার জোঁক থেরাপি করে দেখুন না! এমনটা করলে উপকার যে পাবেন, তা বলাই যায়। আসলে ব্যথা জায়গায় কিছু সময় জোঁককে রাখলে সেখানে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটে। ফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৬. কানের যন্ত্রণা কমায়:
বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে ক্রণিক কানের যন্ত্রণা কমাতে জোঁকের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে একটা জোঁক কানের পিছনে, আর একটি কানের সামনে কিছু সময় রেখে দিতে হবে। এমনভাবে ৩-৪ দিন করলেই দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে গায়েব হয়ে যাবে।




আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে র্যালী, আলোচনা

লক্ষ্মীপুর: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কমলনগরের র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কমলনগর শাখার উদ্দ্যোগে এ র্যালী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কমলনগর শাখার সভাপতি ডাঃ ইসমাইল হোসাইন বিপ্লব।

সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক কমিটির সহ সভাপতি ও ৭নং হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়াম্যান নিজাম উদ্দিন, বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বামাক কমলনগরের সহ সভাপতি নুরনবী চৌধুরী, সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন আব্বাস,সহ সভাপতি ইয়াকুব নুরী। আরো বক্তব্য রাখেন বামাক উপজেলা যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নুরনবী ও নিলেন্দু কান্তি দাস,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও আরিফুল ইসলাম তারেক, সবুজ বাংলাদেশ উপজেলা সভাপতি ও মানবতাবাদী আলী আযম। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কমলনগর শাখার নেতৃবৃন্দ ও সবুজ বাংলাদেশ কমলনগর শাখার নেতৃবৃন্দ, কমলনগর রিপোর্টাস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের সেবায় আমরা সকল মানবতাবাদী সর্বদায় নিজকে নিয়োজিত রাখব।




বিএনপি আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দেবে : মতিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বড় দুই রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের প্রার্থীরাও বসে নেই। মনোনয়ন প্রত্যাশায় কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগযোগ রক্ষা করে চলছেন প্রার্থীরা। এদের মধ্যে একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুল মতিন চৌধুরী। তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন। দলের টিকেট পেতে স্থানীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। তিনি আশাবাদি বিএনপি তার ত্যাগের মূল্যায়ন করে আগামি নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেবে। আবদুল মতিন চৌধুরী কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সহ-সভাপতি। দলের জন্য নিবেদিত; কর্মীবান্ধব এই নেতা রাজনৈতিক ২৩টি মামলার আসামি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। গ্রেফতার এড়িয়ে বর্তমানে তিনি কৌশলে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করছেন। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করাসহ নির্বাচনী নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। আবদুল মতিন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি শিক্ষক আলহাজ্ব মাওলানা মাইন উদ্দিন হোসেনের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ¯œাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছাত্রদলের সহ-আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সততা, দক্ষতা ও সাংগঠনিক তৎপরতায় তিনি বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেন। যে কারণে দল তাকে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সহ-সভাপতি করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগরসহ দেশের ৬৪ জেলায় তাঁতী দলের শক্ত ভীত তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। তার হাত ধরে বিএনপির এই সহযোগী সংগঠন এখন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অন্যন্য ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সফর সঙ্গী ছিলেন মতিন। ওই সফরে ফেনীতে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন পরবর্তী এক বছর পর ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার নির্দেশে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনে আবদুল মতিন সব বাধা অপেক্ষা করে ঢাকার রাজপথে নামেন। ওইদিন তিনি গ্রেফতার হন। হয়েছেন নির্যাতনের শিকারও। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়। দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, দলের হাইকমান্ড গোপনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করছে। প্রতিটি আসনে সিনিয়র, মাঝারি ও তরুন এ তিন স্তরের প্রার্থীদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সব তথ্য সংগ্রহ করছে দল। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত আসন ভিত্তিক প্রতিবদেন থেকেও নেয়া হচ্ছে তথ্য। সব মলিয়ে শতাধিক আসনে নতুন মুখ আসতে পারে। নতুন মুখ হিসাবে আবদুল মতিন চৌধুরী নিজকে আগ থেকেই তৈরি করে নিতে চেষ্টা করছেন। জানা গেছে, বিএনপি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। দীর্ঘদিন যারা দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, যারা জেল-জুলম নির্যাতনের সহ্য করেছেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। রাজনৈতিক মাঠে থাকতে গিয়ে আবদুল মতিন চৌধুরী বর্তমানে ২৩ মামলার আসামি। ওইসব মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শীর্ষনেতা আমান উল্লাহ আমান, শিমুল বিশ্বান, রিজভী, শহীদ উদ্দিন এ্যানি, শফিউল বারী বাবুসহ বেশ কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ও মাল জব্দের (ক্রোক) নির্দেশও রয়েছে। গ্রেফতার ও আওয়ামী লীগের হামলা থেকে নিজকে রক্ষা করতে এলাকায় আসতে পারছেন তিনি। এলাকায় আসায় তার ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তবুও কৌশলে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে তিনি যোগাযোগ করা রক্ষা করে যাচ্ছেন। সফল এ ব্যবসায়ী কেবল রাজনৈকি অঙ্গনেই নয়; সামাজিক কর্মকান্ড, মসজিদ-মকতবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান ও অসহায়দের পাশ দাঁড়িয়ে বিগত দিনগুলোতে সুনাম অর্জন করেন। এছাড়াও একটি সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সমাজসেবা করে আসছেন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুল মতিন চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান বিপন্ন দশা থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন। এখন গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার সংগ্রাম করছেন। শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসাবে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিয়েছি। মানুষের জন্য রাজনীতি করছি। অবহেলিত রামগতি ও কমলনগরে উন্নয়নে অংশিদার হতে দল থেকে মনোনয়ন চাইছি। আশা করি দল মূল্যায়ন করবে। লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন বিএনপি’র ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। এখানকার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঐক্যবদ্ধ। এ আসন থেকে দল যাকেই মনোনয়ন দিবে সবাই তার জন্য কাজ করবেন; ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিবেন। এমটাই মনে করেছেন রাজনৈতিক সচেতনরা।




শাকিব-অপুর কি আদৌ বিয়ে হয়েছে?

ঢালিউডের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের বিয়ে ও ডিভোর্স নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে মিডিয়া পাড়ায় রীতমত তোলপাড় চলছে। দু’জনের দেওয়া তথ্যে গড়মিল থাকায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে তাদের বিয়ের বিষয়টি।

বিয়ের তারিখ, কাবিনের টাকার পরিমাণ, সাংসারিক বিষয় নিয়ে দু’জনের দেয়া তথ্যে মিল না থাকা ও ডিভোর্সের সময় শাকিব খান কাবিননামা দিতে না পারায় তাদের দু’জনের আদৌ বিয়ে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মুখেই।

অন্যদিকে, শাকিব-অপুর ডিভোর্স ঝড় শেষ না হতেই নতুন করে শুরু হয়েছে তাদের দেনমোহর বিতর্ক।

শাকিব আর তার আইনজীবী বলছেন, কাবিননামায় দেনমোহর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৭ লাখ ১ টাকা। আর অপুর দাবি, ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। শাকিবের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপু নতুন করে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। ৭ লাখ ১ টাকাকে সে উল্টে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা বানাতে চাইছে। দেনমোহর যদি ১ কোটি টাকাও হয় এরপর ভাঙা টাকা হিসেবে ৭ লাখ টাকা কেমন করে হবে। নিশ্চয়ই একটি রাউন্ড ফিগার হওয়ার কথা। তার এই জালিয়াতির অপরাধে তাকে আইনগতভাবে শাস্তি পেতে হবে।

অপু বলছেন, যদিও আমার কাছে কাবিননামার কোনো কপি নেই, তারপরও মনে পড়ছে কাবিননামায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকাই উল্লেখ ছিল। আমাকে ডিভোর্স দিলে এই অঙ্কের টাকাই দিতে হবে।

শাকিব খান এ কথা শুনে হেসে উঠে বলেন, আমি আর কোনো ঝামেলার মধ্যে নেই। আইনই সব দেখবে।

শাকিব খান বলেন, সংসার জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। তারপরও যখন বিষয়টি ঘোলাটে হচ্ছে তাই বলব, যার সঙ্গে মতের মিল হয় না, তার সঙ্গে কখনো এক ছাদের নিচে বসবাস করা যায় না।

অনেক কষ্ট সহ্য করে ৯ বছর সংসার করেছি। এখন আমার একটি সন্তান আছে। তার সামনে যদি খুনসুটি লেগেই থাকে তাহলে তার মন-মানসিকতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সেপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। বিষয়টি পৃথিবীতে আমার ক্ষেত্রে প্রথম নয়। সচেতন মানুষরা সব সময় সন্তানের ভালোর চিন্তা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়। আমিও তাই নিয়েছি। যখন মনের মিল হচ্ছে না তখন দূরত্ব বজায় রেখে চললেও কারও সমস্যায় আমি তো হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। আমি চাই, আমার ছেলে দেখুক তার বাবা ভালো ভালো কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তার মধ্যে গর্ব কাজ করুক। আমার প্রত্যাশা, জয় ডিজনি ওয়ার্ল্ডসহ বিশ্বসেরা স্থানগুলোতে বিচরণ করুক। দুঃখ, কষ্ট আর অভাব তাকে যেন ছুঁতে না পারে সে চেষ্টাই করে যাব। তাকে আমার চেয়েও উন্নত স্থানে দেখতে চাই। শাকিবের কাছে প্রশ্ন ছিল আপনার নতুন জীবন কেমন হবে?

আত্মপ্রত্যয়ী এই শীর্ষনায়ক বলেন, জীবন তো মানুষের একটাই। সবাইকে একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। মানুষ বেঁচে থাকে কাজের মাধ্যমে। আমি আরও উন্নত কাজ করে যেতে চাই। বলিউডের ছবিতেও কাজ করার কথা ছিল। ব্যস্ততা আর নানা ঝামেলায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন তো আমি বাংলাদেশ আর কলকাতা দুই দেশের ছবিতেই কাজ করছি।

এবার বলিউডের ছবিতেও অভিনয় করব। নিজেকে প্রয়োজেনে হলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে দেব। এটি ব্যক্তি শাকিবের জন্য নয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্যই আমার এই চিন্তা-চেতনা। বিশ্ব আবারও দেখুক এবং জানুক বাঙালি জাতি সাহসী এবং বীরের জাতি। তারা সব সময় শ্রেষ্ঠত্ব এবং বিজয় অর্জন করতে জানে। আমাদের দেশ ক্রিকেট দিয়ে যদি বিশ্বে আলাদা এবং গর্বের পরিচিতি অর্জন করতে পারে, তাহলে চলচ্চিত্র দিয়ে কেন পারবে না।

চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমাদের সেই সোনালি অতীত তো রয়েছেই। সেই ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে জীবনবাজি রেখে লড়ে যাব। এখন ব্যক্তিজীবন বলে আর কিছু নেই। চলচ্চিত্র জীবনই সব। চলচ্চিত্র আর সন্তান জয়ের সমৃদ্ধির জন্যই শুধু ভূমিকা রেখে যাব। অন্য কিছু নয়।




নিজেরা সচেতন হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব : লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, আমরা নিজেরাই দুর্নীতি করে অন্যের সমালোচনা করি। দুর্নীতি না করার জন্য অন্যকে সচেতন করি। কিন্তু আমি নিজে সচেতন হয়না। তাই আমি নিজে যদি প্রতিজ্ঞা করি অন্য যে কেউ দুর্নীতি করুক আমি করব না, তাহলেই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমার কাজ আমি করব, আমার দেশ আমি গড়বো।
আজ (০৯ ডিসেম্বর) শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এসময় উদাহরণ দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের সমাজে ফরমালিন যুক্ত মাছ বিক্রেতা ফলের দোকানে গিয়ে বলে ফলে কোন ভেজাল নেইতো? আবার ভেজাল ফল বিক্রেতা ফার্মেসীতে গিয়ে বলে ঔষদের মেয়াদ ও কোম্পানি ভালোতো? ভেজাল ঔষদ বিক্রেতা থানায় মামলা করতে গিয়ে বলে এখানে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। ঠিক তেমনি থানার পুলিশ পেশাগত কাজে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে কিছু পথ যাওয়ার পরে ভেজাল তেলের কারনে গাড়ি বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবেই আমরা প্রত্যেকেই দুর্নীতির সাথে জড়িত।
তাই আমরা নিজেরাই যদি আগে সচেতন হয় তাহলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে, দেশ দুর্নীতি মুক্ত হবে, স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও নোয়াখালী দুদক সমন্বিত কার্যালয় আয়োজিত এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এর সহযোগিতায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, নোয়াখালী দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আল মামুন, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, জেলা সনাক সভাপতি প্রফেসর মাহবুব মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এর আগে কালেক্টরেট ভবণ প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষে মানববন্ধন ও শপথ বাক্যপাঠ করানো এবং বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়।




কমলনগরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসে আলোচনা সভা

লক্ষ্মীপুর:
“সবাই মিলে লড়বো, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো” এই প্রতিবাদ্য বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. জায়েদ হোছাইন ফারুকী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. তৌহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবু নুর সেলিম, অধ্যক্ষ আলী হোসেন, কমলনগর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ছায়েদের রহমান পিপিএম, জেএসডি উপজেলা সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নিরব, হাজিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আক্তার হোসেন মিলন, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, মো. রাসেল পাটওয়ারীসহ প্রমুখ।

পরে একটি র‌্যালী বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।




ময়লা ফেললে ‘নিতম্বে’ ৫০ বেত্রাঘাত!

লক্ষ্মীপুরে রাস্তায় ময়লা ফেললে দুই হাজার টাকা জরিমানাসহ ‘নিতম্বে’ ৫০ বেত্রাঘাত দেওয়া হবে। এমন একটি নোটিশ সড়কের পাশে খুঁটিতে ঝুলানো হয়েছে।

এতে লেখা রয়েছে ‘দয়া করে ড্রামের ভিতরে ময়লা ফেলুন, যদি ড্রাম ছাড়া রাস্তায় ময়লা ফেলেন তাহলে ২০০০ হাজার টাকা জরিমানাসহ পশ্চাতে ৫০ বার বেত্রাঘাত করা হবে’।

লক্ষ্মীপুর শহর এলাকার মোহাম্মদ আলী সড়কের পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে এমন একটি সাইনবোর্ড (নোটিশ) গত কয়েকদিন থেকে ঝুলতে দেখা গেছে। ওই নোটিশের নিচে লিখা আছে- আদেশক্রমে মোহাম্মদ আলী সড়কের সচেতন নাগরিক।

তবে, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কাউকে জরিমানা কিংবা ও বেত্রাঘাত করার খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী সড়কে একটি নিদিষ্টস্থানে ময়লা ফেলার জন্য তিনটি ড্রাম দেওয়া আছে। এলাকার অসচেতন কয়েকটি পরিবারের লোকজন ময়লা ড্রামের ভেতরে না ফেলে রাস্তার ওপর ফেলে যায়। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, দুর্গন্ধে এলাকাবাসী ও পথচারী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

ওই সব পরিবারের লোকজনদের বলেও কোনো ফল আসছিলো না। যে কারণে ওই এলাকার কয়েকজন মিলে খুঁটিতে এ নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়।

এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে যারা নোটিশ ঝুলিয়েছেন তাদের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।