অহনার কাছে রসের হাঁড়ি

ছোটপর্দার অভিনেত্রী অহনা বেশকিছু ধারাবাহিক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী ২ জানুয়ারি প্রচারে আসছে তার নতুন ধারাবাহিক ‘রসের হাঁড়ি’। বৈশাখী টেলিভিশনে প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪৫ এবং রাত ১১টায় নাটকটি প্রচারিত হবে।

পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। রচনা আকাশ রঞ্জন।

অহনা গ্রামের প্রতিবাদী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। গল্পে দেখা যাবে, গ্রাম থেকে শহরে আসেন তিনি। শহুরে মেয়েদের আধুনিকতার নামে অতি স্মার্ট সাজা তিনি মেনে নিতে পারেন না। শহুরে মেয়েদের নানা অসঙ্গতিগুলোর প্রতিবাদ করেন তিনি। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায়।

নতুন বছরের ধারাবাহিকটি নিয়ে অহনা বেশ আশাবাদী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আধুনিকতার নামে আমরা এমন কিছু কাজ করি, সেগুলো সমাজ মেনে নেয় না। হাস্যরসের মাধ্যমে সমাজের এই অসঙ্গতিগুলো নাটকে তুলে ধরা হচ্ছে।

নির্মাতা জানান, গল্পে সমাজের নানান সমস্যা হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে তুলে ধরা হবে। যা থেকে মানুষ হাস্যরসের ছলে কিছুটা হলেও সচেতন হবে।

অহনা ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন চিত্রলেখা গুহ, অহনা, সাঈদ বাবু, ডা. এজাজ, মম মোর্শেদ, নাজিরা মৌ, অরিনা, সানজিদা তন্বী, আ খ ম হাসান ও সিদ্দিকুর রহমানসহ আরও অনেকে।




১৮৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : “শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ-শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই স্লোগান নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৮৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।রবিবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে, উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এর সভাপত্বিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উল্যা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান মোল্লাসহ এসময় ১৮৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা শিক্ষকদের প্রতি আহবান করে বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে যতœবান হবেন, ঝরেপড়া রোধ করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েই উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে এই ল্যাপটপ বিতরণ, তাই শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে।




হজমে সাহায্য করে লেবুর খোসা

লেবুর খোসায় এমন সব পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা লেবুতেও নেই। একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, লেবুতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে তার থেকে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি থাকে লেবুর খোসায়। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফাইবার। এই সবকটি উপদানই নানা ভাবে শরীরে কাজে লেগে থাকে। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকারিতা। যেমন…

১. স্ট্রেস কমায়:
লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার পর এমন কাজ শুরু করে যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে সার্বিকভাবে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই তো এবার থেকে যখনই দেখবেন শরীর আর চলছে না, তখন অল্প করে লেবুর খেসা নিয়ে চটজলদি খেয়ে ফেলবেন। দেখবেন উপকার মিলবে।

২. ওজন কমায়:
পেকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝড়িয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

৩. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
লেবুর খোসায় উপস্থিত স্য়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরের অন্দরে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়া কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। এখানেই শেষ নয়, লেবুর খোসা খাওয়া মাত্র ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৪. মুখ গহ্বরের রোগের প্রকোপ কমবে:
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিস সহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. হাড় শক্তপোক্ত হয়:
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকার কারণে লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৬. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
লেবুর খোসায় উপস্থিত পলিফেনল নামে একটি উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণা রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তাই তো যাদের পরিবারে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে তারা প্রতিদিনের ডায়েটে লেবুর খোসাকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৭. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে লেবুর খোসার অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা যেমন কমে, তেমনি ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। এই কারণেই তো বয়স ৩০-এর কোটা পরলেই প্রতিদিন লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৮. হজমের উন্নতি ঘটায়:
ফাইবার সমৃদ্ধি যে কোন খাবার হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে লেবুর খেসায়। তাই তো বদ-হজন থেকে গ্যাস-অম্বল, যে কোনও ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যায় এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন উপকারে আসে।

লেবুর খোসায় উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান:
১০০ গ্রাম লেবুর খোসায় প্রায় ১৩৪ এমজি ক্যালসিয়াম, ১৬০ এমজি পটাশিয়াম , ১২৯ এমজি ভিটামিন সি এবং ১০.৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। এই সবকটি উপাদানটি শরীরের গঠনে নানাভাবে কাজে লেগে থাকে। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা লেবুর খোসা খাওয়ার পক্ষে মত দিয়ে থাকেন।

খাবেন কীভাবে লেবুর খোসা?
অনেকভাবে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খেতে পারেন। যেমন ধরুন- ১. কয়েক ঘণ্টা লেবুর খোসাটা ফ্রিজে রাখার পর গ্রেট করে নিন। তারপর অল্প পরিমাণ নিয়ে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ২. লেবুর খোসাটা শুকিয়ে নিয়ে। তারপর গ্রায়েন্ডারে লেবুর খোসা, অল্প পরিমাণ লবন এবং গোলমরিচ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রনটি খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ৩. লেবুর খোসাকে শুকিয়ে নিন। তারপর বেটে নিয়ে পাউডার বানিয়ে ফেলুন। সেই পাউডার এবার খাবারের সঙ্গে অথবা অন্য যে কোনওভাবে গ্রহণ করতে পারেন।




প্রশ্ন ফাঁসে সরকারি লোকজন জড়িত : দুদক

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারি লোকজন জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন। তবে তিনি এও বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সার্কুলার দিয়েই সারাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব।

রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক বৈঠকে দুদক কমিশনার এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক কমিশনার বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির কার্যক্রমসহ প্রতিটি সাধারণ কাজ অনলাইনভিত্তিক করার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস কীভাবে ঠেকানো যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার ওপর জোর দেন ড. নাসির উদ্দিন।

দুদক মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার স্তরে স্তরে দুর্নীতি। এসব দুর্নীতি নির্মূলে দুদকের পক্ষ থেকে বৈঠকে ৩৯টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন তিনি।

তবে প্রশ্ন ফাঁসে কিছু সংখ্যক শিক্ষক জড়িত বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আমাদের কাছে বহু পরামর্শ আসছে। এর মধ্যে পরীক্ষার আধঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা রুমে প্রবেশ করার পরপ্রশ্নপত্র পাঠানোর বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে।
তবে শিক্ষকই যখন প্রশ্নফাঁসকারী তখন আধঘণ্টা আগে প্রশ্ন পাঠিয়ে কি লাভ। আমরা বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস রোধের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকের হাতে প্রশ্ন তুলে দিয়ে রাতে নিরাপদে আমাদের ঘুমাতে যাওয়া উচিত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। কিছু শিক্ষক প্রশ্ন ফাঁস করে দিচ্ছেন। এর ফলে আমরা সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আধঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করবে তারপর হলে প্রশ্ন সরবরাহ করা হবে।




লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের কমিটি গঠন

নিজস্ব ‍প্রতিবেদক লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে দেলোয়ার হোসেনকে আহবায়ক ও আবুল বারাকাত সৌরভকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম মামুনের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন- যুগ্ম-আহবায়ক ইয়াসিন বাবলু, রাসেল, শহিদুল ইসলাম শহিদ, নজরুল ইসলাম সৌরভ, মো. জনি, সাইফুল ইসলাম পারভেজ, শামীম হোসেন, কাউসার, বাহার উদ্দিন রুবেল, ফিরোজ আলম, আরমান হোসেন কিরন, মো. রাসেল, সদস্য আকবর হোসেন মুন্না, সাজ্জাদ হোসেন সজিব ও রাকিব হোসেন। আগামি ১৫ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্য পূর্ণাঙ্গ করে জেলা ছাত্রদলের কাছে কমিটি জমা দেওয়ার জন্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। দায়ীত্বশীল জেলা ছাত্রদলের নেতারা জানান, দলীয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক ভাবে গতিশীল করতে কমিটির মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে নেতাকর্মীরা সকল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। প্রসঙ্গত, প্রায় ৬ বছর আগে একইদিন নির্বাচনের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, পৌর ছাত্রদল ও সদর (পূর্ব) উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়।‌ওইসময় পৌর ছাত্রদলের কমিটিতে মোসাদ্দেক হোসেন বাবরকে সভাপতি ও তোফাজ্জল হোসেন রতনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। তবে পৌর ছাত্রদলের নতুন কমিটি দেওয়া হলেও কলেজ ও সদর উপজেলার কমিটি দেওয়া হয়নি।




লক্ষ্মীপুরে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বিষ খেয়ে মেয়ের আত্মহত্যা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে নাসিমা আক্তার (২৫) নামের এক মহিলা আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধা সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুর গ্রামে তাঁর বাবার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত নাসিমা একই গ্রামের ফয়েজ আহম্মদ বাড়ীর মৃত আলী আহম্মদ’র মেয়ে ও এক কন্যা সন্তানের জননী।

এলাকাবাসীরা জানায়, সন্ধ্যার দিকে তাঁর মা জোহরা বেগম’র (জুনি) সঙ্গে ঝগড়া হয়। এরপর রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে যায় নাসিমা। এর কিছুক্ষণ পর ঘরের আঙ্গিনায় অচেতন অবস্থা পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন। এ সময় নাসিমা বিষ খাওয়ার কথা বলে সবাইকে মাফ করে দিতে বলেন।

পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তার বোরহান উদ্দিনের বাড়ীতে নিয়ে গেলে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় মান্নান জানান,পাশের বাড়ীর দুলালের মায়ের কমড়া গাছ উঠানোকে কেন্দ্রকরে ঝগড়া হয়।পরে দুলালের মা স্থানীয় মেম্বারকে জানালে মেম্বার নাসিমার মাকে রবিবার ৩টা শালিসে বসবে বলে জানিয়ে দেয়।পরে তাঁর মা তাঁকে বকাবকি করে এতে সে ইঁদুরের ঔষধ খেয়েছে বলে শুনেছি। তবে সে মানুষিক বিকারগ্রস্ত এর আগে তাঁর তিন বিয়ে হয়েছে। সর্বশেষ স্বামীও গত কয়েকমাস আগে তাঁকে তালাক দেয়।

জানতে চাইলে ডা. বোরহান বলেন, আমার চেম্বারে না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে বিষ খাওয়া রোগীর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নাই। তাই আমি দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদ আলম বলেন,লোকজন থেকে শুনছি সে বিষ খেয়েছে।পরে হাসপাতাল নেয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এব্যাপারে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনসার্জ (ওসি) মোকতার হোসেন জানান, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা এখনো বুঝা যায়নি, তদন্তে সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।




মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই মোহনা নিউজের যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বপ্নের কাছাকাছি স্লোগান সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল মোহনানিউজডটকম। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর শহরের চকবাজারের রতনপ্লাজার অস্থায়ী কার্যালয়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান। মোহনানিউজের চীফ এডমিন জামাল উদ্দিন রাফির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, দৈনিক ভোরের কাগজের স্টাফরিপোর্টার কামাল হোসেন, দৈনিক রূপসী লক্ষ্মীপুর’র সম্পাদক কামালউদ্দিন হাওলাদার, দৈনিক ভোরের মালঞ্চের সম্পাদক মতিউর রহমান, কফিলউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কার্তিক সেন গুপ্ত, জেলাস্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আরাফাত, দৈনিককালের কন্ঠ’র প্রতিনিধি কাজল কায়েস, বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাজ্জাদুর রহমান ও সাপ্তাহিক নতুন পথ’র সম্পাদক বিএম সাগর।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম আছে অনেক। এর মধ্যে আমাদেরকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ মাধ্যম বেচে নিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার চেতনাধারণ করে মোহনানিউজ মূলধারার সাংবাদিকতা করবে। এতে লক্ষ্মীপুরের তৃণমূল পর্যায়ে সমস্যা-সম্ভাবনা উঠে আসবে। ঘটনার পিছনের খবর দায়িত্বশীলভাবে অনলাইনে তুলে আনতে পারলেই মোহনানিউজকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। স্থানীয় উন্নয়নের পাশাপাশি অনলাইটিও তথ্যভান্ডার হিসেবে সমৃদ্ধ হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বণিক বার্তার সিনিয়র রিপোর্টার সাইফসুজন, চ্যানেল আইর প্রতিনিধি মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মুরাদ, দৈনিকসংবাদ প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান খাঁন ভুট্টু, ডেইলি অবজারভার প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম খাঁন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস)প্রতিনিধি মামুনুর রশিদ, দৈনিক বণিক বার্তা’র প্রতিনিধি রাকিব হোসেন রনি, দৈনিক আলোকিত সময়’র প্রতিনিধি জামালউদ্দিন বাবলু, জেটিভি অনলাইন প্রতিনিধি মোঃ রুবেল হোসেন,দৈনিক দিনকাল প্রতিনিধি ড্যানি চৌধুরী শাকিক, দৈনিক মুক্তবাঙ্গালী’র বার্তা সম্পাদক রাজিব হোসেন রাজু, দৈনিক লাখো কন্ঠ
প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ, সংবাদকর্মী আলমগীর হোসেন, হালিমখাঁন লিটন ও মাহফুজুর রহমানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।




লক্ষ্মীপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা ও বর্নাঢ্য আয়োজনে মধ্য দিয়ে ৪৬তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে (আজ) শনিবার সকাল ৬টা ৩০মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় চত্বর স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম।

পর্যায়ক্রমে পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন। সকাল ৬টা ৪৫মিনিটে শহরের বাগবাড়িস্থ গণ কবরের পুষ্পার্ঘ অর্পন শেষে শহীদদের রুহের মাঘফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম, পুলিশ সুপার আসম মাহতাব উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও দিন ব্যাপী নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে ।

কমলনগর: কমলনগরে প্রথমে উপজেলা প্রশাসন পরে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জেএসডি, বাসদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক অঙ্গ সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কমলনগর ‍উপজেলা র্নিবাহী অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার, কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যক্ষ জায়েদ হোছাইন ফারুকী, অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, আওয়ামীলীগ সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু।একই সময়ে জেলার রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।




জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এরপর প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এসময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। পরে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।




বিশ্বের ১১ টি অদ্ভুত যৌন প্রথা

যৌনতা মানুষের আদিম প্রবৃত্তি। নিজের বেডরুম হোক কিংবা যেকোনও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে আপনিও আপনার সঙ্গীর সঙ্গে হয়তো নানা রকম ক্রেজি মুভমেন্টস থুড়ি পাগলামো করে থাকেন। কিন্তু সেক্সের ক্ষেত্রে এই ক্রেজিনেস বোধহয় একান্তই আপনার নিজস্বতা। এর পিছনে কোনও উদ্ভট রীতি বা প্রথা থাকে না। কিন্তু জানেন কি পৃথিবীর বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সেক্স নিয়ে চালু রয়েছে নানা রকমের প্রথা? আর এই সব প্রথা একেবারেই উদ্ভট। যা শুনে তাজ্জব বনে যাবেন আপনি। চলুন এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু প্রথা।

১.সাম্বিয়ান উপজাতি: নিউ গিনির সাম্বিয়ান উপজাতির ক্ষেত্রে ৭ বছর বয়স হলেই ছেলে মেয়েদেরকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এই সেপারেশন চলে ১০ বছরের জন্য। আর এই ১০ বছরের মধ্যে তারা নাকে, কানে পিয়ারসিং করায়। না এখানেই শেষ নয়। আরও আছে। সবচেয়ে বড়ো চমক হল এই ১০ বছর ধরে সাম্বিয়ান গোষ্ঠীর শক্তিশালী যোদ্ধাদের বীর্য পান করতে হয় তাদের।

২.ট্রোব্রিয়ানডর উপজাতি: পাপুয়া নিউ গিনির এই উপজাতির ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়েরা খুব অল্প বয়সেই যৌন কর্মে লিপ্ত হয়। ছেলেরা ১০ থেকে ১২ বছর বয়েসেই সেক্সসুয়াল এক্টিভিটিস-এ যুক্ত হয়। সেখানে মেয়েদের বয়স আরও কম। মাত্র ৬ বছর বয়সেই এই উপজাতির মেয়েরা যৌন কাজে লিপ্ত হয়।

৩.মাঙ্গাইয়া উপজাতি: দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ হল মাঙ্গাইয়া। এখানকার রীতি হল অল্প বয়সী ছেলেরা বয়স্ক মহিলাদের সঙ্গে যৌন কর্মে লিপ্ত হয়। মাত্র ১৩ বছর বয়সী ছেলেরা তাদের থেকে বয়সে অনেক বেশি মহিলাদের সঙ্গে সেক্স করে।

৪.অস্ট্রিয়া: অস্ট্রিয়ার একটি প্রত্যন্ত এলাকায় সেক্স নিয়ে চালু আছে এক অদ্ভুত প্রথা। এখানে মহিলারা নিজেদের বগলের তলায় আপেলের টুকরো নিয়ে নাচ করেন। আর নাচের পর নিজের পুরুষ সঙ্গীকে ওই আপেলের টুকরোটাই খেতে দেন তাঁরা।

৫.ক্রেয়াঙ উপজাতি: কম্বোডিয়ার এই উপজাতির মানুষরা একটা বাড়ি বানান। যার নাম ‘লাভ হাট’। উপজাতির টিনেজার মেয়েরা নিজেদের পছন্দের সঙ্গী খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে এই ‘লাভ হাট’-এ এসে সেক্স করে।

৬.প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় সেক্স করার জন্য বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ হবে এমন ব্যাপার কিন্তু ছিল না। সেক্ষেত্রে এক পুরুষ আরেক পুরুষের সঙ্গেও সেক্স করতো।

৭.নেপালের বেশ কিছু উপজাতি আছে যেখানে একটি বাড়ির সব ছেলেরা থুড়ি ভাইয়েরা একটি মেয়েকেই বিয়ে করে। এবং সব ভাইয়েরই ওই এক মহিলার সঙ্গেই যৌনতায় লিপ্ত হয়।

৮.ওদাবে উপজাতি: পশ্চিম আফ্রিকার নাইজার অঞ্চলের উপজাতি হল ওদাবে। এই নাইজারে প্রতিবছর একটা উৎসব হয়। আর সেই উৎসবে উপজাতির পুরুষরা চোরা মেকআপ এবং রংবেরঙের পোশাক পড়ে। কিন্তু পোশাক পড়ে কি করে সেটা ভারী অদ্ভুত। গোড়া বাংলায় অন্যের বউকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

৯. প্রাচীন মিশরের নানা অদ্ভুত ঘটনা তো শুনেছে। এ বার শুনুন মিশরের সেক্স সংক্রান্ত কিছু অদ্ভুত ব্যাপার। প্রাচীন মিশরীয়রা মনে করতেন, নীল নদের জল ভালো করে বয়ে যাওয়ার একমাত্র কারণ হল মাস্টারবেশন। আর তাই পাবলিকলি থুড়ি খোলা মাঠেই প্রাচীন মিশরীয়রা নীল নদে নিজেদের বীর্য দেন করতেন। আর ইটা রীতিমতো উৎসব করে পালিত হতো।

১০.ইন্দোনেশিয়াতে পন সেলিব্রেশনের সময় নিজের সঙ্গী ছাড়া বাকি যেকোনও ব্যক্তির সঙ্গে সেক্স করার প্রথা চালু রয়েছে। বলা হয় বছরে সাতবার উৎসবের নিজের সঙ্গী ছাড়া অন্য কারোর সঙ্গে সেক্স করলে তাদের সব মনোকামনা পূর্ণ হয়।

১১.আয়ারল্যান্ডের ইনিস বেগ দ্বীপে সেক্স করার সময় পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই তাদের অন্তর্বাস পড়ে থাকেন।