‘ভোটের দিন মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন সাংবাদিকরা’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে সাংবাকিদরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তাদেরকে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক সরবরাহ করা স্টিকার ব্যবহার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আশাদুল হক গণমাধ্যম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন তুলে নিয়েছে। আজকের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে। তবে সব সাংবাদিকদের অবশ্যই ইসি নির্ধারিত স্টিকার ব্যবহার করতে হবে।’

এর আগে, গত ২১ ডিসেম্বর এক নীতিমালা জারি করে নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞাটি দিয়েছিল। এরপর দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবীরা এর বিরোধিতা করেন। গত মঙ্গলবার ইসির সঙ্গে বৈঠক করেও সিদ্ধান্তটির তীব্র প্রতিবাদ জানায় সাংবাদিকরা। ফলে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বুধবার আলোচনায় বসে।




পুলিশ-র‌্যাব ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামবে সেনা

ঢাকা:

ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি (বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ) ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী এই নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, সিআরপিসির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী, তারা দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি ব্যর্থ হলে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুমে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অনু বিভাগের (এনআইডি) ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

পরে মেজর রাজু আহমদ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে মোতায়েন করা হয়েছে তা মানচিত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তুলে ধরেন।

নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতের ২২ প্রার্থী বিষয়ে শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, আদালতের আদেশ আমাদের মেনে চলতে হবে। শেষ মুহূর্তে যে আদেশ আসবে সে অনুযায়ী কাজ করবো। সেভাবে আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।

‘একদিনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করাই বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করি না। রাজনৈতিক চাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে।’

নির্বাচন কমিশনার শাহাদত বলেন, নির্বাচনের জন্য ইসিতে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে তিনশটি আসনের সরাসরি তদারকি করা হবে। কোন ধরনের ঘটনা কোন কেন্দ্রে ঘটলে এখন থেকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে তিনি বলেন, ৬টি আসনে ইভিএম মেশিন ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। এখন চলছে মক ভোটিং। সার্বিক দিক থেকে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। পুরো নির্বাচনে প্রায় ৫ লাখের বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। যেসব পাওয়া গেছে সেগুলোর সমাধান আসন থেকে করা হবে। ইসি থেকে নয়। জেলা পর্যায়ে এসব ব্যাপারে ১২২ ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করা আছে। তারাই এসব সমস্যার সমাধান করবেন।




শীতের তীব্রতা বাড়ছে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৭ ডিগ্রিতে

পৌষের মাঝামাঝি এসে বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে মৌসুমের প্রথম শৈত‌্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ জায়গায় মাঝরাত থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে ঘনকুয়াশা। তাপমাত্রা কমে গিয়ে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। শৈত্যপ্রবাহ এলাকার আওতা আরো বাড়বে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, দেশে পশ্চিম অংশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এখনকার পূর্বাভাস অনুযায়ী এটা আগামী ২ থেকে ৩ দিন অব্যাহত থাকবে। শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে। তবে এই মুহূর্তে যে প্যাটার্নটা আছে তাতে শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করার সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, শৈত্যপ্রবাহের কাভারেজ এরিয়া বাড়লেও তা ঢাকায় আসবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ ঢাকায় উচ্চ ভবনসহ এখানকার অবকাঠামো এমন যে, শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হওয়া কঠিন। তবে ঢাকার আশপাশে শৈত্যপ্রবাহ প্রায় এসে গেছে।

বাতাসের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৫, দিনাজপুরে ৮, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৪, ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।




ঐক্যবদ্ধ থাকলে নৌকাকে কেউ হারাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে নৌকাকে কেউ হারাতে পারবে না। বিএনপি ভোট পাবে না জেনেই সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবন সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চাঁদপুর, কুষ্টিয়া ও নওগাঁয় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের খারাপ আচরণের জন্য নিন্দা জানান প্রধানমন্ত্রী। ড. কামাল হোসেনকে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত বড় মাপের মানুষ, এত বড় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন মানুষ, তার মুখে এ রকম নোংরা ভাষা মানায় না।

তিনি বলেন, আপনারা এ রকম সন্ত্রাসী আচরণ বন্ধ করুন। মাস্তানি ও সন্ত্রাসী আচরণ দেশের মানুষ পছন্দ করে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১০ বছরে মানুষের জন্য কাজ করেছি। দেশের মানুষ উন্নয়ন পেয়েছে। প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ ভালো আছে। আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস প্রায় নির্মূল করেছি। আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশকে মাদক মুক্ত করব।

ভিডিও কনফারেন্সের প্রথমে কুষ্টিয়া জনসভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় কুষ্টিয়ার দলীয় প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।




ধানের শীষে ভোট দিলে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে; আ স ম রব

 ধানের শীষে ভোট দিলে রামগতি-কমলনগরের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে। মেঘনা নদী ড্রেজিং ও ভুলুয়া নদী খনন করা হবে।  আমাদেরকে হুমকি ধমকি মিথ্যা মামলা দিবেন না। আগামী ৩০ তারিখে ভোটের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে। সোমবার ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ইং সন্ধ্যায় ৭টায় হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মাঠে পথসভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম আবদুর রব এ সব কথা বলেন। পথসভায় উপস্থিত ছিলেন পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আবু নুর সেলিম, বাংলাদেশের সাবেক ডিজিএম প্রফেসর নুরুল ইসলাম, ভবানি কলেজর অধ্যক্ষ শাহদাত হোসেন, জেএসডির সহসভাপতি মো. খোরশেদ আলম মেম্বার, জেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. ফকরুল ইসলাম নাহিদ, চরফলকন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল অদুদ হাওলাদার, জেলা যুবদলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর করিম, ছাত্র দল নেতা মো, শরীফ ও জামাল উদ্দিন আফগানিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ।

 




লক্ষ্মীপুরে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেয়া নিয়ে সংঘর্ষ

লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির প্রচারণায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এ্যানিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তির হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ছেড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।




যেভাবে জানা যাবে জেডিসি/জেএসসির ফল

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোবাইলে এসএমএস করে এবং অনলাইনে ফল দেখা যাবে।

মোবাইল এসএমএসের পদ্ধতি:
যে কোন মোবাইল অপারেটরের মেসেজ অপশনে যান। পরীক্ষার নাম JSC অথবা JDC লিখুন। স্পেস দিন। সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে। আবার স্পেস দিন। এরপর রোল নম্বর লিখুন। আরেকটি স্পেস দিন। পরীক্ষার বছর অর্থাৎ 2018 লিখুন। বোর্ডের নামের ক্ষেত্রে Dhaka Board হলে DHA, Comilla Board-COM, Rajshahi Board-RAJ, Jessore Board-JES, Chittagong Board-CHI, Barisal Board-BAR, Sylhet Board-SYL, Dinajpur Board-DIN এবং Madrassah Board হলে MAD লিখতে হবে। জেএসসি’র পুরো মেসেজটি যেমন হবে: JSC<স্পেস>DHA<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>2018। আর জেডিসি’র মেসেজটি যেমন হবে: JDC<স্পেস>MAD<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>2018। এবার মেসেজটি পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএস এ পরীক্ষার্থীদের ফল জানিয়ে দেয়া হবে।

অনলাইনে ফল জানার পদ্ধতি:
ব্রাউজারে এড্রেস বারে লিখুন www.educationboard.gov.bd। ওয়েবসাইটের মাঝে Examination এর সামনে JSC/JDC সিলেক্ট করুন। Year 2018 সিলেক্ট করুন। এরপর নিজের শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করুন। রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখুন। এরপর দুটি সংখ্যা যোগ করতে বলা থাকবে। যোগফল লিখুন। লেখাগুলো সঠিক থাকলে নিচের ডানে সাবমিট বাটন প্রেস করুন। এরপরই রেজাল্ট ভেসে উঠবে।  এই পেইজটি প্রিন্ট করা যাবে।




৩৮৯ উপজেলায় সেনা, ১৮ উপজেলায় নামছে নৌবাহিনী

ঢাকা:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দায়িত্ব পালনে নামছে সশস্ত্র বাহিনী। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী দেশের ৩৮৯ উপজেলায় এবং নৌবাহিনী ১৮ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান বিষয়টি জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। নির্বাচনের ছয় দিন আগে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে ইসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

পরিপত্রের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা সহায়তা চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা-থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিযুক্ত হবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনাকক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ইসির কাজে যাবতীয় সহায়তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনা বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই বাহিনী।’

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী কাজ করবে সশস্ত্র বাহিনী। অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ডাকা হলে এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায়ে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না গেলে ঘটনাস্থলে থাকা সর্বোচ্চ পদের ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন। জরুরি পরিস্থিতিতে যদি কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতে পারবেন। সামরিক শক্তি প্রয়োগের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত নির্দেশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব তা লিখিত আকারে দেবেন।’

‘ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে কম-বেশি করা যাবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিবেচনায় প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনাসদস্য সংরক্ষিত হিসেবে মোতায়েন থাকবেন। বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান জননিরাপত্তা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে উড্ডয়নে সহায়তা করবে।’

এদিকে নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের ৬টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে। ওই ৬টি কেন্দ্রেও সেনাবাহিনী টেকনিক্যাল টিম হিসেবে কাজ করবে। সেজন্য ইসি একটি পরিপত্র জারি করেছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘যে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেখানে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য ৩ হাজার ৩শ’র মতো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। বাহিনীর সদস্য পোশাকে থাকবেন, কিন্তু কোনো ধরনের অস্ত্র-গোলাবারুদ বহন করবেন না। ইভিএম কেন্দ্রে যেসব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নিকটতম টহল দল ও স্থানীয় ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি কেন্দ্রীয় কো-অর্ডিনেশন সেল থাকবে। সেলের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুরূপ জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেল স্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় সেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ২৭ ডিসেম্বর স্থাপিতব্য জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেল এ জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন।’ যোগ করা হয় পরিপত্রে।




নির্বাচন ঘিরে যান চলাচলে বিধিনিষেধ

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব ধরনের যান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। রবিবার এক প্রজ্ঞাপনে এ বিধিনিষেধ জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর (রবিবার) মধ্য রাত পর্যন্ত সড়কপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এর আগে, ২৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) মধ্য রাত পর্যন্ত মোটরসাইকেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।




কাল নামছে সেনাবাহিনী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও পরে শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আগামীকাল থেকে মাঠে নামছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তারা আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন থাকবেন। নির্বাচনে ‘ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী কাজ করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তারা জেলা/উপজেলা/মহানগর এলাকার সংযোগস্থলে (নডাল পয়েন্ট) ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্রে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার সহায়তা চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তারা সহায়তা করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে বা ভোট গণনাকক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ইসির কাজে যাবতীয় সহায়তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ডাকা হলে, তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায়ে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না গেলে ঘটনাস্থলে থাকা সর্বোচ্চ পদের ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন। জরুরি পরিস্থিতিতে যদি কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতে পারবেন। সামরিক শক্তি প্রয়োগের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত নির্দেশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব তা লিখিত আকারে দেবেন। পরিপত্র অনুযায়ী, যে ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে, সেখানে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। তবে তারা কোনো ধরনের অস্ত্র-গোলাবারুদ বহন করবেন না, কিন্তু বাহিনীর পোশাকে থাকবেন। ইভিএম কেন্দ্রে যেসব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নিকটতম টহল দল ও স্থানীয় ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।