কর্মসূচি নির্ধারণে বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ে আন্দোলনের কৌশল-কর্মসূচি নির্ধারণ করতে বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে এই বৈঠক শুরু হয়।
ড. কামাল হোসেনর পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।




চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাকে ৩টা ৪০ মিনিটে শপথ বাক্য পাঠ করান।

এর আগে রবিবার প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, নতুন মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।




জেনে নিন মন্ত্রীরা কে কোন দফতর পাচ্ছেন

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম নতুন মন্ত্রিসভার তালিকা প্রকাশ করেছেন।

তিনি আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তালিকা প্রকাশ করেন।

এর মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন ২৪ জন। তারা হলেন, ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহণ ও সেতু), আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক) , আবদুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র), হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাঠ), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তাফা জব্বার (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)।

১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হলেন

কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমবান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যু ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌ পরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পাণি সম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থানা ও ত্রান), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ (ধর্ম)।

৩ উপমন্ত্রী হলেন

হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।

আগামীকাল সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।




এক নজরে বিপিএলে কে কোন দলে?

বাংলাদেশের সবচেয়ে জমজমাট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে ৫ জানুয়ারি। এরমধ্যেই অনুশীলনে নেমে গেছে অংশগ্রহণকারী ৭টি দল। আসা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা।

তিনটি ভেন্যুতে এবারের বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে। ৫- ১৩ জানুয়ারি প্রথম পর্ব মিরপুরে, ১৫-১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব সিলেটে, ২১-২৩ জানুয়ারি তৃতীয় পর্ব মিরপুরে, ২৫-৩০ জানুয়ারি চতুর্থ পর্ব চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের বাকি সব ম্যাচ মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এবার দেখে নেওয়া যাক বিপিএলের দলগুলো।

রংপুর রাইডার্স:

দেশি ক্রিকেটার: মাশরাফি বিন মর্তুজা (আইকন), মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, শফিউল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, সোহাগ গাজী, মেহেদি মারুফ, ফারদিন হোসেন এনি, নাহিদুল ইসলাম, আবুল হাসান রাজু ও নাদিফ চৌধুরী।

বিদেশি ক্রিকেটার: ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, রবি বোপারা, অ্যালেক্স হেলস, রিলে রুশো, শেন উইলিয়ামস, বেনি হাওয়েল ও শেলডন কটরেল।

ঢাকা ডায়নামাইটস:

দেশি ক্রিকেটার: সাকিব আল হাসান, শুভাগত হোম, রনি তালুকদার, নুরুল হাসান সোহান, রুবেল হোসেন, শাহাদাত হোসেন রাজীব, কাজী অনিক, মিজানুর রহমান, আসিফ হাসান ও নাইম শেখ।

বিদেশি ক্রিকেটার: সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, রোভম্যান পাওয়েল, কাইরন পোলার্ড, হজরত উল্লাহ জাজাই, অ্যান্ড্র বার্জ এবং ইয়ান বেল।

সিলেট সিক্সার্স:

দেশি ক্রিকেটার: লিটন দাস (আইকন), সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, নাবিল সামাদ, এবাদত হোসেন, অলক কাপালি, জাকির আলী ও মেহেদি হাসান রানা।

বিদেশি ক্রিকেটার: ডেভিড ওয়ার্নার, সোহেল তানভির, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, সন্দীপ লামিচানে, মোহাম্মদ ইরফান, গুলবাদিন নাইব, আন্দ্রে ফ্লেচার, প্যাট ব্রাউন, নিকোলাস পুরান।

রাজশাহী কিংস:

দেশি ক্রিকেটার: মুস্তাফিজুর রহমান (আইকন), মুমিনুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, আলাউদ্দিন বাবু, আরাফাত সানি, ফজলে রাব্বি,মার্শাল আইয়ুব, কামরুল ইসলাম রাব্বি।

বিদেশি ক্রিকেটার: মোহাম্মদ হাফিজ, ক্রিস্টিয়ান জাঙ্কার, লরি ইভেনস, ইসুরু উদানা, রায়ান টেন ডেসকাট, কাইস আহমেদ, সেকুগে প্রশন্ন।

চিটাগং ভাইকিংস:

দেশি ক্রিকেটার: মুশফিকুর রহিম (আইকন), আবু জায়েদ রাহী, মোহাম্মদ আশরাফুল, মোসাদ্দেক হোসেন, নাঈম হাসান, খালেদ আহমেদ, সানজামুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রবিউল হক, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, নিহাদুজ্জামান এবং সাদমান ইসলাম।

বিদেশি ক্রিকেটার: সিকান্দার রাজা, লুক রঙ্কি, রবি ফ্রাইলিংক, নজিবুল্লাহ জাদরান, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, দাসুন সানাকা ও নাজিবুল্লাহ জাদরান।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস:

দেশি ক্রিকেটার: তামিম ইকবাল (আইকন), এনামুল হক, আবু হায়দার, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান, জিয়াউর রহমান, মোশরারফ হোসেন রুবেল, মোহাম্মদ শহীদ, শামসুর রহমান শুভ ও সঞ্জিত সাহা।

বিদেশি ক্রিকেটার: স্টিভ স্মিথ, শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, এভিন লুইস, থিসারা পেরেরা, অ্যাসেলা গুনারত্নে, লিয়াম ডসন, ওয়াকার সালমা খাই, আমের ইয়ামিন।

খুলনা টাইটানস:

দেশি ক্রিকেটার: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (আইকন), নাজমুল হোসেন শান্ত, আরিফুল হক, মোহাম্মদ আল আমিন, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম অমি, জহির খান, শুভাশিষ রায়, জুনায়েদ সিদ্দিকী, তানভীর ইসলাম এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

বিদেশি ক্রিকেটার: কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, লাসিথ মালিঙ্গা, ডেভিড মালান, আলী খান, সেলফেইন রাদারাফোর্ড, ইয়াসির শাহ ও ব্রেন্ডন টেলর।




একাদশ সংসদে বিরোধী দলে থাকছে জাতীয় পার্টি

একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়া মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির কোনো সদস্য থাকবেন না বলেও জানানো হয়।

শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির চেয়ারম্যান এ তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পদাধিকার বলে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভাপতি হবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। জাতীয় পার্টির কোনো সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না।

সংসদের মাননীয় স্পিকারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এরশাদ।




নতুন মন্ত্রিসভার শপথ সোমবার

ঢাকা:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার পুনরায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী সোমবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের লেভেল-১ এ একাদশ সংসদের সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। সাক্ষাতের সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ।

সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন  মোবাইল ফোনে জানান, আগামী সোমবার বিকেলে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। এবার নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা সব মিলিয়ে মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে




শপথ নিলেন নতুন এমপিরা

ঢাকা:

নতুন বছরে ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। আর দেশের ইতিহাসে চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথকক্ষে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনাসহ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। তারপর সংসদ সচিবালয়ে সিনিয়র সচিবের রুমে শপথ বইতে স্বাক্ষর করবেন এমপিরা। এর আগে সংসদ সদস্য ও স্পিকার হিসেবে শপথ পাঠ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। আর সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সব দলের অংশগ্রহণে এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ রেকর্ড গড়ে।

এবারের নির্বাচন মূলত দুটো জোটে বিভক্ত হয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভোটের লড়াইয়ে নামে। এরমধ্যে একটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের মহাজোট। এ জোটে এবার নতুন যোগ হয় ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ। অন্যদিকে ছিল গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধার একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় ওই আসনটির নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। এছাড়া একটি আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে ওই আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়। স্থগিত কেন্দ্রেগুলোর ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ওই আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

বাকি ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮টি আসন। তারমধ্যে আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৫৭টি আসন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। তাদের আসন সংখ্যা ২২। তারপর ৫টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে বিএনপি। বিএনপির জোট ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম পায় দু’টি আসন। অর্থাৎ জোটগতভাবে ঐক্যফ্রন্ট পায় ৭টি আসন। এছাড়া মহাজোটভুক্ত ওয়াকার্স পার্টি ৩টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দু’টি, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ) দু’টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন একটি এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসনে বিজয়ী হয়।

২৯৮টি আসনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করে। সংবিধানের ১৪৮ (২ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটভুক্ত দলের এমপিরা শপথ নিলেও শপথ নেননি বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের সাত এমপি। যদিও বৃহস্পতিবারই শপথ নেওয়ার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে না।

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর আগামী ৫ বা ৬ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে। আগামী ১০ জানুয়ারির আগেই নতুন সরকার গঠন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে ৫ বা ৬ জানুয়ারিই হতে পারে নতুন সরকার- এরকম একটি আলোচনা রয়েছে।




গোসলের ভিডিও প্রকাশ করে ফের আলোচনায় পুনম পাণ্ডে

আবারও আলোচনায় ভারতের বিতর্কিত মডেল ও অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা ভারত জিতলে নিজের কাপড় খোলার কথা বলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে নিয়ম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়ে ঝড় তোলা তার রীতি হয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের প্রথম দিন ভক্তদের নিরাশ করলেন না ২৭ বছর বয়সী এই মডেল। বাথটবে গোসলের ভিডিও প্রকাশ করে ফের আলোচনায় এলেন পুনম পাণ্ডে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ইনস্টাগ্রামে বছরের প্রথম দিনেই ভাইরাল হলো পুনম পাণ্ডের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বাথটবে নগ্ন অবস্থায় নেমে যাচ্ছেন লাস্যময়ী এই মডেল। ভিডিওতে ভক্তদের একটি বার্তাও দিচ্ছেন পুনম।এই ভিডিওর ক্যাপশান ‘‘কামিং সুন, হ্যাপি ২০১৯’’। তাহলে কি এটা ট্রেলার-এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পুনম ভক্তদের মধ্যে। তাই তো বাকিটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে তাদের।

https://www.youtube.com/watch?v=ZcgfLGiM1KA




নতুন এমপিদের শপথ আজ

আজ একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ গ্রহণ করবেন। বিধি মোতাবেক দশম সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ পাঠ করাবেন। বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে শপথ অনুষ্ঠান হবে।

এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। নবনির্বাচিত এমপিদের শপথকক্ষে প্রবেশের সময় ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হবে। শপথকক্ষে ঢোকার পর সবার হাতে তুলে দেওয়া হবে শপথনামার ফোল্ডার। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন গ্রহণের পর পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হবে শপথ অনুষ্ঠান।
এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে। স্পিকার নিজেও একাদশ সংসদের এমপি নির্বাচিত হওয়ায় অন্যদের শপথ পড়ানোর আগে তিনি নিজে নিজের শপথ গ্রহণ করবেন। এরপর অন্য এমপিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

একাদশ সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে স্পিকারের পর শপথ নেবেন আওয়ামী লীগের এমপিরা। এমপির সংখ্যা বেশি হওয়ায় কয়েক ভাগে তাদের শপথ পড়ানো হতে পারে। তাদের শপথ গ্রহণ শেষে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেব জাতীয় পার্টির এমপিরা ও সব শেষে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র এমপিরা শপথ নেবেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন সংসদ সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান।

এদিকে একাদশ সংসদের নবনির্বাচিত এমপিদের স্বাগত জানাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। ইতিমধ্যে শপথকক্ষসহ সংসদ সচিবালয় ধুয়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। শপথকক্ষ পর্যন্ত নতুন লাল কার্পেট বিছানো হয়েছে। ফুলের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে সংসদের প্রবেশপথ ও লবি।

শপথ গ্রহণের পর সদস্যদের জন্য নির্ধারিত ফরম ও কার্যপ্রণালিবিধির কপি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট গতকাল সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছেছে। সে অনুযায়ী সংসদ সচিবের স্বাক্ষর করা আমন্ত্রণপত্র নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পাঠানোর পাশাপাশি টেলিফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র আরও জানান, শপথ গ্রহণের পর এমপিদের তৃতীয় তলার ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ায় আপ্যায়ন করা হবে। এরপর নবনির্বাচিত এমপিরা সংসদ সচিবের কক্ষে রক্ষিত সংরক্ষিত রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করবেন এবং সংসদ স্টুডিওতে গিয়ে প্রোফাইল ছবি তুলবেন। শপথ অনুষ্ঠানের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ নেতা নির্বাচন করা হবে।

এসব বিষয়ে গতকাল দফায় দফায় রিহার্সাল করতে দেখা গেছে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের। সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নতুন এমপিদের শপথ গ্রহণের ও এক মাসের মধ্যে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের আইন কর্মকর্তা জানান, একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন। নতুন স্পিকারকে রাষ্ট্রপতি শপথ পাঠ করাবেন। তবে বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের জানান, সংবিধান অনুযায়ী আমরা বিরোধী দল হতে পারব, সমস্যা নেই। মহাজোটের সঙ্গে আলোচনা করে ও দলের প্রেসিডিয়ামের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব আমরা বিরোধী দলে যাব কিনা।

এদিকে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আজকের শপথ অনুষ্ঠানে তাদের নির্বাচিত সদস্যরা অংশ নেবেন না। উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন স্থগিত ছিল।




দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন মার্চে

ঢাকা: 

আগামী মার্চে সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ভবনে বুধবার (২ জানুয়ারি) ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে সময় নেই। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা আর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় আছে কেবল মার্চ মাসে। তাই এ সময়টাই বেছে নিতে চায় কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চে নির্বাচন করতে হলে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।

সেসময় ছয় ধাপে ৪৮৭টির বেশি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে গতবার নির্দলীয় ভোট হলেও এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে ওই সব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, মেয়াদ পূর্তির আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে