ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এ লক্ষ্মীপুরের মানুষের পাশে পুলিশ সুপার

জুনাইদ আল হাবিব-

আন্দামান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে উপকূলীয় জনপদ লক্ষ্মীপুর যখন বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই জেলার ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) পুলিশ সুপার উপকূলীয় অঞ্চলের ১৩ টি আশ্রয় কেন্দ্রের ৫হাজার ৩৫২ জন মানুষের খোঁজ-খবর নেন।

জেলার পুলিশ সুপার মজুচৌধুরী হাট লঞ্চঘাট ও অন্যান্য থানাধীন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষ ও নদী পাড়ের মানুষদের খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। এছাড়াও সাধারণ জনগণের যে কোন প্রয়োজনে জেলা পুলিশের সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে আশ্বাস প্রদান করেন পুলিশ সুপার।

নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার লিখেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং… উপকূলীয় এলাকায় সারাদিন ব্যাপী মানুষের সর্তকীকরণে, সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের পাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত দিতে আমরা লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সদা সর্বদা তৎপর। বাতাসের প্রচন্ড বেগ,নদীর উত্তাল ঢেউ, পানির দ্রুত বৃদ্ধি,ঠান্ডা শীতল প্রভাব,বৃষ্টিপাত যেন অঝোর ধারায় প্রবাহিত আর মানুষের মাঝে আতংক।

উপকূলীয় চর এলাকার মানুষের জীবন সংগ্রাম আর বেঁচে থাকার সংগ্রামই যেন স্বাভাবিক এক স্রোতধারায় বহমান।দূর্যোগের দুর্ভোগ ঘনঘটায় জীবন যেন যাপিত তব তাহাদেরই তরে।




লক্ষ্মীপুরে বন্ধুকে হত্যা: তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করার পর গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে মেহেরাজ হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের জেরে মেহেরাজকে হত্যা করা হয়েছে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন – আবদুল্লাহ আল মামুন, সজিব আহমদ ও তানভীর হোসেন বিজয়। মামুন নোয়াখালীর সুধারাম থানার উত্তর হুগলি গ্রামের মো. ইউছুফের ছেলে, সজিব একই থানাধীন মাতাহাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ও বিজয় রাওয়াল দিয়া গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে।




বিদ্যুৎহীন লক্ষ্মীপুর, স্বাভাবিক হতে লাগতে পারে আরও দুই দিন

এভাবে টানা বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে আছেন জেলার বাসিন্দারা। কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন ‘সোমবার সকালে বিদ্যুৎ চলে গেছে, এখনো আসেনি। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।’

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল ও রায়পুর উপজেলার চর বংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, গাছ উপড়ে পড়ে তাঁদের এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। খুঁটি ভেঙে গেছে অনেক জায়গায়। দুদিন বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। মুঠোফোনের চার্জও শেষ হয়ে যাচ্ছে।’

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যুতের লাইনে অসংখ্য গাছ পড়েছে। খুঁটি ভেঙে গেছে। তারও ছিঁড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব খারাপ অবস্থা।

তিনি আরও বলেন, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৫ লাখ ৩ হাজার গ্রাহক আছেন। এখন পর্যন্ত পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ১২০টি টিম কাজ করছে। পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে সন্ধ্যায় মধ্যে শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হবে।




ঘুর্নিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের জরুরি সভা

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় জনজীবন থমকে গেছে। বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘সিত্রাং’। আগামী মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরের দিকে এটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান আবহাওয়াবিদরা।

তাই এনিয়ে রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৪(অক্টোবর) সোমবার বেলা ২ টায় এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানাযায়, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

এটি আরও শক্তিশালী হলে ২৪ ও ২৫ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর জেলার সবকয়টি উপজেলা আঘাত হানতে পারে।
লক্ষ্মীপুর জেলায় ৭ নম্বর স্থানীয় বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। এখনও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি রয়েছে। যদি ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার হয়, তাহলে এটি সাইক্লোনে রূপ নেবে। পরিস্থিতি বুঝে তখন সংকেত আরো বাড়ানো হবে।

এসময় উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরা সরকারি সকল  কর্মকর্তাগণকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, অবস্থার অবনতি হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন লোকজনদের  যাতে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় দেওয়া যায়। তাই সাইক্লোন শেল্টারে প্রস্তুত রাখার জন্য।

জরুরি সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন  রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমদাদুল হক, পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু,রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা গন।

এসময় দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোলরুম  গঠন করা হয় । যেকোনো  জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুমের মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
মোঃ জুয়েল রানা -০১১৭৫৫৮২২৬৪৫,  মোঃআব্দুল বাকের -০১৮৪৯৬২২১৫৬, মোঃ আল আমিন খান -০১৮১৩৬৭৪৩৫৭




ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সর্বশেষ অবস্থান বিষয়ে যা জানা গেল!

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের দিকেই দ্রুত এগিয়ে আসছে। আবহাওয়াবিদের তথ্যানুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি উপকূলে আঘাত হানবে।

ইতোমধ্যে সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।

সিত্রাং এ মুহূর্তে উপকূল থেকে কতদূরে অবস্থান করছে— এ প্রশ্নে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দ্রুতই বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে এটি। বর্তমানে (বিকাল ৩টা পর্যন্ত) সিত্রাং পায়রাবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।




ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ঝালকাঠিতে তলিয়ে গেছে ১১০ গ্রাম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে সোমবার সকাল থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়া বইছে।

সকাল থেকে ধমকা হাওয়া ও ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবে জেলার অনেক গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।

কাঠালিয়া উপজেলার প্রায় অর্ধ-শতাধিক গ্রামের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমুয়া বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জোহর আলী জানান, জেলায় ত্রাণের শুকনো খাবার মজুদ নেই। তবে নগদ টাকা ও অন্যান্য সব ব্যবস্থা রয়েছে। ৪ লাখ মানুষ আশ্রয় দেয়ার জন্য আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

৬১টি সাইক্লোন শেল্টারসহ চার শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি একাধিক টিম ও শুকনো খাবারসহ সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।




ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সর্বাত্মক প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এই অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সূত্রে সরকারি বার্তা সংস্থা সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে এই খবর জানান।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের উপকূলীয় লঞ্চলে আঘাত করতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে থেকে তথ্য জানছেন এবং এই ঝড়ের ফলে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দিয়েছেন।




উপকূল থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে ‘সিত্রাং’

সাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এছাড়াও এটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের ৯নং বিশেষ সতর্কবার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় (অক্ষাংশ: ১৯.২° উত্তর, দ্রাঘিমাংশ: ৮৯.২° পূর্ব) অবস্থান করছে।

এটি আজ দুপুর ১২টায় (২৪ অক্টোবর, ২০২২) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাত/আগামীকাল ভোর নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।




সন্ধ্যায় আঘাত হানবে; ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক  ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত  হয়েছে। আবহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম  করবে।

তিনি আরও বলেন, সিত্রাং  বাংলাদেশে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। সব থেকে বেশি আঘাত  হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী।




নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চলছে মাইকিং, প্রস্তুত আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলো

বাগেরহাটের উপকূলে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টি, সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। মোংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে ৭ নম্বর সংকেত। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং চলছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গতরাত ভর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সোমবার সকাল থেকে ভারিবৃষ্টি ও ঝড়োবাতাস বইছে। সিত্রাং মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাগেরহাট প্রশাসন।গতকাল বিকেলে দূযোগ কমিটির সভায়

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ৩৪৪ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ২৯৮ মেট্রিকটন চাল ও নগদ চার লাখ ৮০ হাজার টাকা উপকূলীয় উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার মো মহিউদ্দিন জামান বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সাবধান করতে মাইকিং করা হচ্ছে।

তাদের নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এদিকে মাছ ধরার জন্য২৮ তারিখ পযন্ত  নিষেধাজ্ঞা থাকায় সমুদ্রগামি ট্রলার গুলো ও শত শত জেলে নিরাপদে রয়েছে। বাগেরহাটের প্রধান ম্যসৎ অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদীতে অনেক ট্রলার নোঙর করে রয়েছে।

বৃষ্টি  ঝড়ো হাওয়ার জন্য জেলা শহরের রাস্তা ঘাট অনেকটাই ফাঁকা। জরুরী প্রয়োজন এর মধ্যেও কিছু মানুষকে ছাতা নিয়ে বের হতে দেখা গেছে।

তবে আমবশ্যার সাথে ঘুনিঝড় হওয়ায় বাগেরহাটের উপকুলের  মানুষের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকির মধ্যে  আতংক বিরাজ করছে।