বাধা পেরিয়ে বরিশালে পৌঁছালেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি।

এর আগে বৃহস্পতিবার লঞ্চ এবং শুক্রবার ও শনিবার গণপরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় আগেই ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী এবং বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নগরীতে পরিবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রলার ও বালবাহী জাহাজ-বাল্কহেড শুক্রবার মধ্যরাতেও নগরীতে প্রবেশ করতে দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের। রাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে পৌঁছান দলটির নেতাকর্মীরা।




সমাবেশে যোগ দিতে বরিশালের পথে ইশরাক , গাড়িবহরে হামলা

বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বহরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।

এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে গাড়িবহরটি। এসময় বরিশালের কাছেকাছি গৌরনদীর মাহিরা বাজারে পৌঁছালে হামলার শিকার হয় তারা।




সকালে খালি পেটে কতটুকু পানি পান করবেন ?

সকালে খালি পেটে পানি পানের কথা অনেকেই বলে থাকেন। অনেকে নিয়মিত পানি পানও করেন। কিন্তু কতটুকু পানি পান করতে হবে সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না। অনেকে ঢক ঢক করে চার-পাঁচ গ্লাস পানি পান করে থাকেন। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, একবারে বেশি পানি পান করা উচিত নয়, অল্প অল্প করে পান করাই ভালো। আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই পানি। তাই শরীর সুস্থ রাখতে পানি পানের বিকল্প নেই। পরিমাণ মতো পানি পানের ফলে ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের হয়ে যায় সহজেই, সেই সঙ্গে ত্বক সুস্থ থাকে। আর পরিমাণ মতো পানি পান করলে খাদ্যাভ্যাসও পরিমিত হয়ে যায়।

গরমের দিনে পানিশূন্যতা এড়াতে পরিমিত পানি পানের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

ওজন কমাতে পানিকেই দাওয়াই হিসেবে ব্যবহার করেন জাপানিজরা। প্রায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে জাপানিজরা এই টোটকায় বিশ্বাস রেখে আসছে। ফলও মিলছে হাতেনাতে। তাই স্বাস্থ্যকর ও সতেজ থাকতে আপনি দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি দিয়ে। দেখবেন কয়েক দিন পর হালকা অনুভব করবেন।

যাদের হজমের সমস্যা আছে, তারা সকাল বেলা পানি পানের উপকারিতা বুঝতে পারবেন। শরীরের শক্তি বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে হজমশক্তিও। ত্বক সুন্দর হবে। ত্বকের গ্লো বাড়বে।




ঘাটলা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষের বিদায় ও আলিম পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

মোঃ বদিউজ্জামান নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বেগমগঞ্জের ১৬ নং কাদিরপুর ইউনিয়নের ঘাটল সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা বাকী সাহেবের বিদায় ও আলিম পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ৩ নভেম্বর সকাল ১০ টা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন মাদ্রাসা গভর্নিংবডির সভাপতি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর নবী চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল মাদ্রাসার সুপার হাফিজুল্লাহ।
অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা গভর্নিং বডির অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী জাফর উল্যাহ বিদ্যুৎসাহী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম ( স্বপন) সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ।




রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা রহমত উল্যাহর দাফন সম্পন্ন

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সৌদি প্রবাসী মোঃ রহমত উল্যাহ পাটোয়ারী।

৪নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০ টায় রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে অশ্রুসিক্ত চিরবিদায়ের মধ্য দিয়ে পৌরসভার সাতারপাড়া হাসানআলী পাটোয়ারী বাড়ির নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠ মুখরিত হয় শোকাহত মুসল্লিদের পদভারে।

চোখে অশ্রু আর নীরব বেদনা নিয়ে মানুষ অংশ নিলেন রহমত উল্যাহ পাটোয়ারীর নামাজে জানাজায়। জানাজা শেষে মানুষ ছুটেন তার কফিনের দিকে। নিথর দেহে কফিনবন্দি রহমত উল্যাহকে দেখতে ভীড় জমান সর্বস্তের মানুষ। মরহুমের নিজ এলাকা নন্দনপুর, সাতারপাড়াসহ রামগঞ্জ উপজেলা ও আশপাশের এলাকার মানুষ কাঁদছে নীরবে, তারা স্তব্ধ রহমত উল্যাহর অকাল মৃত্যুতে। সবার মুখে একই কথা। মরহুম রহমত উল্যাহ যখন যাকে যেখানেই দেখতেন, সালাম দিতেন এবং হাসিমুখে করে কথা বলতেন।

জানা যায়, সৌদি আরবে গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর২০২২) ফুটবল খেলার সময় হঠাৎ বুকে ব্যাথা উঠে রহমত উল্যাহ পাটোয়ারীর। পরবর্তীতে হসপিটালে নেওয়ার পর ডাক্তার জানায় সে স্টোক করে মারা গেছে। তার মৃত্যুর ১ মাস ৫ দিন পর ৩নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মরহুম রহমত উল্যাহর লাশ এসে পৌঁছায়।
মরহুম রহমত উল্যাহর বড় ভাই সাংবাদিক মোঃ রাজু হোসেন জানান, ভাইয়ের এ অকাল মৃত্যুতে তাদের পরিবারে চরম শোকের ছায়া নেমে আসে। তার এই মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেনা রহমতের পরিবার। তিনি তার ভাইয়ের জন্য সবার নিকট দোয়া কামনা করেন।

মরহুম রহমত উল্যাহর ২ বছরের ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।




প্রথম বারের মতো তজুমদ্দিনে সংবিধান দিবস পালিত

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ সংবিধান দিবস আজ শুক্রবার। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছে সংবিধান দিবস। এবছর থেকে ৪ নভেম্বর ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ হিসেবে ‘ক’ ক্রমিকে পালিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের সভাপতিত্বে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যলয়ে শুক্রবার ৪ নবেম্বর সকাল ১০টায় আলোচনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

এই সময় সংবিধান দিবসটির উপলক্ষে আলোচনায় সভায় উপস্থিতি ছিলেন, তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফজলুল হক দেওয়ান, তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমন মুরাদ, হোসনেয়ারা চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সুমন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার সেলিম রেজা, মুক্তিযুদ্ধা শাহাবুদ্দিন মাষ্টার, বিএ মোফাজ্জল সহ তজুমদ্দিন উপজেলা দাপ্তরিক কর্মকর্তা, রাজনীতি ব্যক্তিবর্গ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।




আরও ৪ দিন বাড়ল বান্দরবানে নিষেধাজ্ঞা

যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও চার দিন বাড়িয়েছে সরকার।

জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, আলীকদম ও থানচি উপজেলায় আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি জানানো হয়।




কোনো বাধাই দমিয়ে রাখতে পারেনি তাদের

আব্দুর রহমান ঈশান,নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নীল ভৌমিকের বাসায় কোনো দাবার বোর্ড ছিল না। কিন্তু ছিল দাবা খেলার খুব শখ। ঘরের ফ্লোরে চক দিয়ে দাবার বোর্ড আঁকত নীল। আর মাটি দিয়ে বানাত দাবার ঘুঁটি। এরপর সেই বোর্ডে স্কুলশিক্ষক বাবা হৃষিকেশ ভৌমিকের সঙ্গে দাবা খেলত। পড়া নষ্ট হবে ভেবে স্কুলশিক্ষিকা মা নীল আর তাঁর বাবার দাবা খেলা খুব একটা পছন্দ করতেন না। তাই শোবার চৌকির নিচে গিয়ে বাবা-ছেলে দাবা খেলতেন। দাবার প্রতি এই ভালোবাসার প্রতিদান পেয়েছে নীল। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া নীল ভৌমিক ময়মনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন স্কুল নেত্রকোনা জেলার আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নীলের জন্য গর্বিত বাবা হৃষিকেশ ভৌমিক বলেন, ‘দাবার বোর্ড কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না আমাদের। কিন্তু দাবা খেলার প্রতি নীলের আগ্রহের কারণে কিছুতেই দমিয়ে রাখতে পারিনি নীলকে।’

এর আগেও স্কুল–দাবা প্রতিযোগিতায় নাম নিবন্ধন করে খেলতে পারেনি জয়ন্ত সরকার। কারণ, জয়ন্ত লম্বায় ছোট। খুব মন খারাপ করে বাসায় ফিরে আসে খুদে এই দাবাড়ু। তখন থেকেই জয়ন্তর মনের মধ্যে জেদ কাজ করে। দাবার বোর্ডের মাধ্যমেই জবাব দেবে উচ্চতায় ছোট বলে খেলতে না দেওয়ার বেদনার। অবশেষে সুযোগ হলো নেত্রকোনা জেলার আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়ন্ত সরকার মাহীর। ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতায় শুধু নাম নিবন্ধন করেই বসে থাকেনি জয়ন্ত। দলগতভাবে তার স্কুলকে ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন করিয়ে প্রমাণ দিয়েছে নিজের যোগ্যতার।

‘দাবা খেলতে হয় মাথা দিয়ে, শরীরের কাঠামো দিয়ে দাবা খেলা যায় না।’ এক নিমেষে ফোনের ওপ্রান্ত থেকে কথাগুলো বলে জয়ন্ত। ছোটবেলা থেকে দাবা ভালো খেলত। পরিবারের সবার একসঙ্গে দাবা খেলা দেখতে দেখতেই তার বেড়ে ওঠা। ‘আমার জন্মদিনে বড়দিদি একটি দাবার বোর্ড উপহার দিয়েছিলেন। খুব খুশি হয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ওটাই আমার জীবনের সেরা উপহার।’ ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতাকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে দাবার বোর্ডে নিজেকে বারবার প্রমাণ করতে চায় খুদে এই দাবাড়ু।

আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দাবা–দলের অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ খানের দাবা–প্রতিভা পরিবার থেকেই। ইশতিয়াক জানান, ‘দাবা খেলার সঙ্গে পরিচয় করান আমার মা। প্রতিনিয়ত মায়ের সঙ্গে খেলে হেরে যাওয়া থেকে আমার দাবা খেলা শেখার আগ্রহ জন্মায়। মাকে একবার হারিয়ে দেওয়াই ছিল তখনকার একমাত্র লক্ষ্য। আস্তে আস্তে শিখতে থাকি দাবার খুঁটিনাটি নিয়ম। দাবা খেলার মানসিক লড়াইয়ের বিষয়টা আমাকে মুগ্ধ করে। অল্প সময়ের মধ্যে মাকে খেলায় হারিয়ে দিয়েও থেমে থাকিনি। চ্যাম্পিয়ন হয়েছি ময়মনসিংহ বিভাগে। এবার দেশ সেরা হওয়া লড়াই।’

দলের আরেক সদস্য নবম শ্রেণি পড়ুয়া ফাইয়াজ রহমানের দাবার কোনো উপকরণ ছিল না। স্কুল বা পাড়ার কাউকে দাবা খেলতে দেখলেই দাঁড়িয়ে পড়ত ফাইয়াজ। দাবার সাদা-কালো ৩২টি ঘুঁটির দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতেন। দাবার প্রতি এমন ভালোবাসা দেখেই ছোট খালা একটা পুরোনো দাবার বোর্ড উপহার দেন তাকে। এরপর আর ফাইয়াজকে কে পায়…। অবসর কাটানোর অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে যায় বুদ্ধিবৃত্তিক এই খেলাটি। ফাইয়াজ জানায়, ‘আমার বাবা-মা দাবা খেলা পছন্দ না করলেও আমাকে খেলতে বাধা দিতেন না। তবে শর্ত ছিল একটাই, পড়াশোনা যেন নষ্ট না হয়। এভাবে কয়েক বছর গেল দাবার চালগুলো আয়ত্তে আনতে। একদিন আমার দাবার শিক্ষক ছোট খালাকে হারিয়ে দিলাম। কী যে আনন্দ পেয়েছিলাম সেদিন।’ অসুস্থতার কারণে জেলা পর্যায়ে খেলায় অংশ নিতে পারেনি ফাইয়াজ রহমান। স্কুল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে সুযোগ পায় বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেওয়ার। সেখানেই বাজিমাত করে ফাইয়াজ। চ্যাম্পিয়ন হয় ফাইয়াজের স্কুল।

দলের আরেক সদস্য শ্রীজিৎ সরকার শ্রীয়মের গল্পটা একটু ভিন্ন। যে মানুষটি তাকে দাবা খেলায় সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিতেন, সেই মানুষটি হঠাৎ না–ফেরার দেশে চলে যান। দাবা খেলার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে শ্রীজিৎ। মায়ের উৎসাহেই নাম লেখায় ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতায়। তবে শ্রীজিৎ সরকার শ্রীয়মের শুরুটা ছিল সুন্দর একটি গল্পের মতোই। ‘যখন আমার বয়স মাত্র সাত বছর, আমি প্রথম আমার একজন মামাকে দাবা খেলতে দেখি। খেলাটি দেখে আমার মনে খুবই আগ্রহ জন্মায়। তখনই আমি মামার কাছে খেলাটি শিখতে চাই।’ শ্রীজিৎ জানায়, ‘মামাও আমাকে আনন্দের সঙ্গে খেলাটি শিখিয়ে দেন৷ আমি নিয়মিত আমার মামার সঙ্গে চর্চা করতাম৷ পরিবারের পক্ষ থেকে আমি কখনোই বাধার সম্মুখীন হইনি৷ তবে বাবাই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ও কোচ।’ মা ও শিক্ষকদের উৎসাহে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ময়মনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীজিৎ সরকার শ্রীয়মের স্কুল। ‘এ সাফল্য বাবা দেখে যেতে পারলে অনেক খুশি হতেন…’ বলতে বলতেই গলা ভারী হয়ে ওঠে শ্রীয়মের।

‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ ময়মনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন স্কুল আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অন্য সদস্য হলো অনিরুদ্ধ গুণ।

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে এবং আবুল খায়ের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে চলছে ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতা। ‘হয়ে ওঠো আগামীর গ্র্যান্ডমাস্টার’ স্লোগানে প্রতিযোগিতাটি দেশের স্কুলভিত্তিক দাবার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। প্রতিযোগিতায় নিজ নিজ স্কুল বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে ৬৪টি জেলার শিক্ষার্থীরা।




ফুল আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার

ফরিদপুর প্রতিনিধি-
নিজ কার্যালয়ের সহকর্মী আর সর্বস্তরের মানুষের ফুল আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সদ্য পদোন্নতি পাওয় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। তিনি টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান অতুল সরকার ২১তম বিসিএস ক্যাডারের সরকারের সহকারি কমিশনার হিসাবে যোগ দান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই মেয়ে ও এক পুত্র সন্তানের জনক।

গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এবিএম ইফতোখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উপ-সচিব থেকে যুগ্ম সচিবে পদোন্নতির ওই তথ্য জানানো হয়।

তার এই কর্মজীবনের পদোন্নতি পাওয়ার খবরে জেলার বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর হাস্যউজ্জল কর্মবীর প্রিয় এই সরকারি কর্তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এসময় কেউ কেউ তাকে মিষ্টি মুখ করিয়ে তার আগামী কর্মজীবনের আরো সাফল্য কামনা করে দোয়া করেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অতুল সরকারকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ‍মিষ্টিমুখ করার জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। এর পর সরকারির বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, লাইফেল্স ক্লাব, সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, ক্রীড়া সংস্থাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।

এসময় অতুল সরকার বলেন, আপনাদের এই ভালবাসা আমার জীবনের বড় ঋণী করে ফেললো। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করেছি সরকারি দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে। মানুষের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করতে । আজকের এই জেলার মানুষের ভালবাসা পেয়ে আমি সত্যিকার অর্থে আবেগআপ্ফুল্য। আমি সকলের কাছে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারের আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া ও আর্শিবাদ চাই। আমি যেন আগামীতে মুক্তিযুদ্ধে আদর্শকে ধারন করে আমার উপর অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারি।




বিশ্বে করোনায় মৃত্যু আরও ৭৪৪ জনের

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪৪ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ১ হাজার ১২০ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৪ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৫০২ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৭৫ জন এবং মারা গেছেন ১৬৪ জন।