চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুন : আপিল বিভাগ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অভিনেত্রী নিপুন আক্তারের পক্ষে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।

এর আগে বেশ কয়েকবার মামলার শুনানির তারিখ পরিবর্তন হয়।

এর আগে জায়েদ খানকে শিল্পী সমিতির সম্পাদক ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীতে তা স্থগিত ও স্থিতিবস্থা দেয় চেম্বার জজ আদালত।

তবে জায়েদ খানের আইনজীবী জানান, এই স্টাটাসকো অনুযায়ী জায়েদ খান আপাতত দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবেন। তবে নিপুনের আইনজীবী দাবি করেন, বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।




কমলনগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত একজন

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আবু সায়েদ (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রোববার বিকেলে আবু সয়েদ নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে হাজিরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রামগতি সড়কের ফোরকানিয়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং তার একটি পা ছিঁড়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিছিন্ন পাসহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




ইন্দোনেশিয়ার রাজধানীতে ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ৫.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার শহরটি কয়েক সেকেন্ডের জন্য কেঁপে ওঠে। আবহাওয়া ও ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা  এর বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম জাভার সিয়ানজুরে ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল) গভীরতায়। বিএমকেজি জানিয়েছে, সুনামির কোনো সম্ভাবনা নেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাকার্তার কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলায় কিছু লোক অফিস খালি করে ফেলে। অন্যরা বিল্ডিং এবং আসবাবপত্র নড়তে দেখেছে।




ইতিহাস- ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাবির যেসব নান্দনিক স্থাপনা

মতিহারের সবুজ চত্বরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক এই বিশ্ববিদ্যালয়।

চল্লিশ সহস্রাধিক প্রাণের চাঞ্চল্যে গমগম করে ওঠা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পঠনে সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংগ্রামে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে চলছে। ছায়াশীতল এই ক্যাম্পাস তাই আমাদের মাতৃতুল্য।

বিভিন্ন সময়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রাবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণআন্দোলন, ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাবির শিক্ষক ও ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্র-শিক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েছে অত্যাচার আর শোষণের বিরুদ্ধে। ষাটের দশকের শেষ দিকে এই ভূখণ্ড যখন গণআন্দোলনে উত্তাল, তখন রাবির শিক্ষার্থীরাও স্বাধিকার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় রয়েছে দেশের ঐতিহাসিক কিছু নান্দনিক স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— প্রথম জাদুঘরখ্যাত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, শহীদ মিনার, রয়েছে শিল্পী নিতুন কুণ্ডের অমর কীর্তি মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য  ‘সাবাশ বাংলাদেশ’। বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা নামক একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী সুউচ্চ মেটালিক টাওয়ার, বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য বিদ্যার্ঘ্য, ড. জোহার প্রতিকৃতি ও বিজয় সাগর। এসব নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টিকারী দেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ও এখানে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থীদের। রাবির ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো…..

শহীদ মিনার কমপ্লেক্স

এখানে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও দেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাভিত্তিক প্রথম শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা, দুটি ম্যুরাল ও উন্মুক্ত মঞ্চ। এটি একটি ওয়াই ফাই জোন। শহীদ মিনারের দক্ষিণ পার্শ্বেই অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ। মোঘল স্থাপত্যশিল্পে নির্মিত হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি।

সাবাশ বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধের স্মারক এই ভাস্কর্যটি সিনেট ভবনের দক্ষিণ চত্বরে অবস্থিত। শিল্পী নিতুন কুণ্ডুর শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় লাল বেলে মাটি দিয়ে ১৯৯১ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সংগ্রামী বাঙালির ইতিহাস ও অসাম্প্রদায়িক বাংলার চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতিফলন এ ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি মুক্ত মঞ্চ আছে। ৬ ফুট বেদীর ওপর স্থাপিত মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া দুজন তরুণের ছবি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে তরুণদের অবদানের কথা। ভাস্কর্যটির দু’পাশে আয়তাকার দুইটি দেয়ালের একটিতে কয়েকজন বাউল একতারা বাজিয়ে গান করছে। যা বাঙালী জাতির গ্রামীণ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে। অন্যটিতে মায়ের কোলে শিশু ও দুইজন তরুণী, একজনের হাতে রয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। তার দিকে অবাক তাকিয়ে আছে এক কিশোর।

ru

বিদ্যার্ঘ

মুক্তিযুদ্ধকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক শহীদ হবিবুর রহমানের স্মরণ ২০১১ সালে সৌধটি নির্মিত হয়। এটি শহীদ হবিবুর রহমান হল চত্বরে অবস্থিত। ভাস্কর্যটির স্থপতি শিল্পী শাওন সগীর সাগর। প্রায় ৫ ফিট দৈর্ঘের দু’জন মুক্তিযোদ্ধা সগর্বে দাঁড়িয়ে আছেন। একজনের হাতে বন্দুক এবং অন্যজনের হাতে কলম। বন্দুকের চেয়ে কলম বড় সেটা বোঝাতে কলমটি বন্দুকের চেয়ে ওপরে রাখা হয়েছে। ভাস্কর্যটি একটি ষষ্ঠভূজের উপর নির্মিত। কালো রঙয়ের ষষ্ঠভূজটিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রন্থটির ঠিক উপরে রয়েছে একটি সূর্য- যা বাঙালি জাতিকে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দিয়ে যাচ্ছে। সূর্যের মাঝখানে লেখা বিদ্যার্ঘ শব্দটি জ্ঞানের আলোকে বোঝানো হয়েছে।

স্ফুলিঙ্গ

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা স্মরণে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক ২০১২ সালে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। এই ভাস্কর্যে শহীদ শামসুজ্জোহার ৩ ফুট উচ্চ আবক্ষ প্রতিকৃতি রয়েছে। বেদির ঠিক পেছনে রয়েছে বাঁকা লম্বা একটি দেয়াল। দেয়ালটি লাল আর কালো ইটের দ্বারা তৈরি। আর দেয়ালের মাঝখানে রয়েছে গোল বৃত্ত। একপাশ থেকে দেখলে বোঝা যায় বাঁকা দেয়াল দ্বারা উড়ন্ত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে নির্দেশ করা হয়েছে।

সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ার

বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিকে স্মৃতির মণিকোঠায় ধরে রাখার জন্য ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক এই স্থাপনাটি। প্রধান ফটক পেরিয়ে সড়ক দ্বীপের ডানে, প্রশাসন ভবনের সামনে জোহা চত্বরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। রাজশাহীর সন্তান প্রথিতযশা ভাস্কর মৃণাল হকের সুনিপুণ কারুকার্যে তৈরি হয় এই নান্দনিক স্থাপনাটি। স্টিলের তৈরি ৩৫ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পৃথিবীর অন্যতম অত্যাধুনিক এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তবে অবহেলা আর অযত্নে নষ্ট হতে বসেছে অপরূপ সৌন্দর্যের এই স্থাপনাটি।

ru

বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে এই স্মৃতিস্তম্ভটি অবস্থিত। ১৯৭২ সালের ২৩ এপ্রিল আবিষ্কৃত হয় এখানকার গণকবরগুলো। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা জায়গাটি ছোট হলেও এখানে ৮-১০টি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে এবং ধারণা করা হয়, এই গণকবরগুলোতে প্রায় ৩-৪ হাজার নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ৬ স্তরবিশিষ্ট এ স্মৃতি স্তম্ভটি সমতল ভূমি হতে ৪২ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। স্তম্ভটির চারপাশ ঘিরে আছে গোলাকার একটি কংক্রিটের বেদি এবং বেদির মাঝখানে আছে বড় একটি কূপ। কূপটিকে ‘মৃত্যুকূপ’ এর সঙ্গে তুলনা করা হয়। স্তম্ভের গায়ের কালো কালো ছাপ যা দেশের স্বাধীনতায় অবদান রাখা শহীদদের রক্ত শুকানো দাগের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। স্তম্ভের ভাঙা ইট দ্বারা মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ের ক্ষত বোঝানো হয়েছে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কাছে ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ফলকটি নির্মাণ করা হয়। ২৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং সাত ফুট প্রস্থের কালো মার্বেল পাথরের বেদির উপরে স্থাপিত স্মৃতিফলকের প্রধান অংশ সাদা দেয়াল। সাদা দেয়ালের পেছনের অংশের দেয়ালে খোদাই করা হয়েছে ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ’৬২-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আসাদের মৃত্যু, দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহার মৃত্যু, এগারো দফা ও ’৭০-এর নির্বাচনের বিভিন্ন চিত্র। সামনের দেয়ালের বাম পাশের ওপরের দিকে ফুটিয়ে তোলা হয় মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তিন শিক্ষক ড. সুখরঞ্জন সমাদ্দার, শহীদ ড. হবিবুর রহমান ও মীর আব্দুল কাইয়ূমের প্রতিকৃতি। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাত মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি স্মৃতিফলকের সামনের দেয়ালের নিচের দিকে স্থাপন করায় আছে অনেক সমালোচনা।

শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা

এটি বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাদুঘর। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরের পূর্বপাশে অবস্থিত। এতে স্থান পেয়েছে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন চিত্রকর্ম, দলিল-দস্তাবেজ, আলোকচিত্র, জামা, জোব্বা, কোট, ঘড়ি, পোশাক, টুপি, কলমসহ বিভিন্ন দুর্লভ সংগ্রহ। রাজশাহীতে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারের বাঁধাইকরা আলোকচিত্র, আমতলার সভা, কালো পতাকা উত্তোলন ও মিছিল, ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি, ’৬৯-এর গণবিক্ষোভের মুখে পুলিশ বাহিনী, শহীদ আসাদ, শহীদ মতিউর, শহীদ রফিক, শহীদ বরকত, শহীদ সালাম ও শহীদ শামসুজ্জোহার প্রতিকৃতি, গুলিবিদ্ধ-হাসপাতালে মৃত-কফিনে শায়িত ড. জোহার ছবি। আছে জাতীয় চার নেতা এবং রাবির শহীদ শিক্ষকদের প্রতিকৃতি, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা-বাণীর প্রতিলিপি, মুজিবনগরে ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র, ’৭১-এর ছাত্রী নিগ্রহ, গণহত্যা, পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ দলিলের চুক্তিপত্র, মুক্তিযুদ্ধের বিখ্যাত পোস্টার, শহীদদের পোশাক ও ব্যবহৃত জিনিসপত্রসহ আরো অনেক কিছু।

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

এই জাদুঘরটি রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে। বরেন্দ্র জাদুঘরে প্রায় ৯ হাজারেরও অধিক নিদর্শন রয়েছে। জাদুঘরের সংগ্রহশালায় রয়েছে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন, মহেনজোদারো সভ্যতার প্রত্নতত্ত, পাথরের মূর্তি, একাদশ শতকে নির্মিত বুদ্ধ মূর্তি, ভৈরবের মাথা, গঙ্গা মূর্তি, মোঘল আমলের রৌপ্র মুদ্রা, গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা, সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা বিশেষ ভাবে উল্যেখয়োগ্য। এখানে প্রায় ৫,০০০ পুঁথি রয়েছে যার মধ্যে ৩৬৪৬টি সংস্কৃত আর বাকিগুলো বাংলায় রচিত। পাল যুগ থেকে মুসলিম যুগ পযর্ন্ত সময় পরিধিতে অঙ্কিত চিত্রকর্ম, নূরজাহানের পিতা ইমাদ উদ দৌলার অঙ্কিত চিত্র এখানে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

দেশের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম লাইব্রেরী এটি। ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের পূর্ব পাশে এটির অবস্থান। লাইব্রেরিতে আছে ৩৫ হাজারের অধিক বই, ৪০ হাজারের বেশি গবেষণা পত্রিকা ও সাময়িকি। প্রতিদিন সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে লাইব্রেরিটি। জার্নাল রুম, রেফারেন্স শাখা ও সাধারণ পাঠকক্ষ এবং বিজ্ঞান পাঠকক্ষ মিলে প্রায় ৭৫০টি আসন আছে লাইব্রেরিতে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পশ্চিম দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়েবসাইট’ ভাস্কর্য’ (ru.ac.bd), ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা এবং স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ঠিক মাঝে একটি ‘কিউব’ ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘বইয়ের স্তুপ’ ও শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে  একটি ‘বই’ এর ভাস্কর্য রয়েছে, যা উন্নত বিদ্যাপীঠের প্রতীকী রূপ।




চাটখিলে আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক শাকিল

মোঃ বদিউজ্জামান তুহিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

চাটখিল উপজেলায় প্রায় ১০ বছর পর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন রবিবার ২০ (নভেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকায় পিজি হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে, কাউন্সিলরদের নিয়ে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন চাটখিল উপজেলা অডিটোরিয়ামে বেলা ৩ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর কবির ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ভিপি নাজমুল হুদা শাকিল।




জনবল সংকটে ভুগছে তজুমদ্দিনের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিস

ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসটি দীর্ঘ দিন ধরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নেই কোন কাজকর্ম। বছরের পর বছর এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে গ্রাহকরা তেমন কোন সেবা পাচ্ছেন না।

জনসাধারণের মাঝে মোবাইল ফোন আসার পূর্বে একসময় এ উপজেলাবাসীর একমাত্র ভরসা ছিল এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসটি। দেশ কিংবা বাংলাদেশের বাহিরে যারা অবস্থান করতেন তাদের পরিবারের লোকজন রাত কিংবা দিনে এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কাজকর্ম। বর্তমান সময়ে সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন থাকার কারণে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে মানুষের নেই কোন কোলোহল।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কার্যলয়টির সামনে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
চারটি পদে জনবল থাকার কথা থাকলেও সক্রিয় আছে একজন। বার্তা বাহক মোহাম্মদ হালিম সেও আছে ডেপুটেশনে লালমোহন।চারপাশে ঝোপঝাড়ের কারণে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ ও দরজা-জানালার অধিকাংশই ভাঙা।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানান, জনবল সংকটের কারণে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানের সেবার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে নতুন করে কাউকে টেলিফোন সংযোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। বরং অনেক টেলিফোন গ্রাহক তার টেলিফোন সংযোগ বিটিসিএলের কাছে হস্তান্তর করছেন।

উপজেলার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা (টিও) মোঃ শফিক জানান, বর্তমানে সরকারি অফিস, বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আমাদের কোনো গ্রাহক নেই। জনবল সঙ্কটের কারণে আমাদের সকল লাইন বিকল রয়েছে। এখন আমি একা এই অফিসের সকল কিছু দেখা শুনা করছি।




রামগঞ্জে দরবেশপুর ইউপিতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরন উদ্ভোধন

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরন উদ্ভোধন করা হয়েছে। ২০নভেম্বর (রবিবার) সকালে উপজেলার ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদে ওই বিতরন কার্যক্রের উদ্ভোধন করা হয়।
২০নভেম্বর থেকে আগামী ২৭নভেম্বর (সাপ্তাহব্যাপী) দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদে ফিঙ্গারপিন্ট ও আইরিশ নিয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ দুলাল তালুকদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, রামগঞ্জ থানা ওসি (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শেখ, সাংবাদিক আবু তাহের,দরবেশপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নুর হোসেন পাটোয়ারী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন,নির্বচন আফিসের সমন্ময় সহকারী মোঃ দেলোয়ার হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন হোসেন সহ সকল ইউপি মেম্বারগন প্রমুখ।




নরসিংদীতে “পজেটিভ বাংলা টিভি’র” প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি:

” সত্যের পথে অবিরাম যাত্রা’ স্লোগানকে সামনে রেখে ” নরসিংদীর পলাশে “পজেটিভ বাংলা টিভি’র” প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর ) সন্ধ্যা ৬টায় পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবে অনলাইন চ্যানেলটির দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“পজেটিভ বাংলা টিভির” সম্পাদক বিল্লাল হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব শরীফুল হক, পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম শফি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুল্লাহ (মনা) দৈনিক পাবলিক বাংলার সম্পাদক কবি শাহ্ বোরহান মেহেদী,দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর কবির,দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান, মানবকণ্ঠ প্রতিনিধি হাজী জাহিদ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি প্রতিনিধি মাহাবুব সৈয়দ, দৈনিক স্বপ্ন প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সফিকুল ইসলাম, নরসিংদীর কন্ঠস্বরের সম্পাদক মোঃ সাব্বির হোসেন, দৈনিক অধিকারের প্রতিনিধি নাসিম আজাদ, মানবজমিনে প্রতিনিধি রুবেল সারোয়ার, খোলা কাগজ প্রতিনিধি সিয়াম সরকার, নরসিংদী টিভির প্রতিনিধি তাহমিনা শশি, দৈনিক মতপ্রকাশ প্রতিনিধি নাজমুল হক মনি, ভোরের ধনীর স্টাফ রিপোর্টার মুঞ্জুর হোসেন খান, সাংবাদিক কামরুল সহ এশিয়ান টিভির, আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি গন উপস্থিত ছিলেন। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ‘সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে জাতির কাছে মুখোশ উন্মোচন হয়। কোনো প্রকার মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ আছে কিনা তার সকল তথ্য আমি জানি না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারি।’

পজেটিভ বাংলা টিভির প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকল সাংবাদিকদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। উক্ত অনুষ্ঠানের লেখক, কবি, সাহিত্যিক, কলামিস্টসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




লক্ষ্মীপুর জেলা আ’লীগের সম্মেলনে আলোচনার শীর্ষে সফিকুল ইসলাম

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আসন্ন আগামী ২১ নভেম্বরলক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। গত ২০১৫ইং সালের মার্চে সম্মেলন শেষে গোলাম ফারুক পিংকু সভাপতি ও এ্যাড.নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে সাধারন সম্পাদক করে একটি দ্বি-বার্ষিক কমিটি হলেও অদ্যবদি পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের আর কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
২১নভেম্বর সকালে সম্মেলন উদ্বাধন করবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এই সম্মেলনকে ঘিরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন প্রবীন রাজনীতিবিদ তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন সফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির বর্তমানসহ একটানা ৩বারের ১ম সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বেশ কয়েক মাস থেকে নেতৃাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে সফিকুল ইসলামকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে শতশত নেতাকর্মী স্টাটার্স দিতে দেখা গেছে। সফিকুল ইসলাম ১৯৭৩-১৯৭৪ইং সালে চট্ট্রগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও ১৯৯৮৬ থেকে ১৯৯০ইং পর্যন্ত রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় উনার সততা ও নীতিনৈতিকতা জনসেবার কর্মকান্ড গুলো অজও ইতিহাস হয়ে রয়েছেন। একসময় এই নন্দিত রাজনীতিবিদ ১৯৯৬ইং সাল থেকে ২০০৩ইং সাল পর্যন্ত রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সভাপতি হওয়ার পর তিনি একসময় রামগঞ্জে আওয়ামীলগের জামানত হারানোর এই আসনে ১৪/১৫ হাজার মানুষকে আওয়ামীলীগে যোগদান করিয়ে দলের সার্বিক কার্যক্রমকে চাঙ্গা করে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় রামগঞ্জসহ, লক্ষ্মীপুর,রামগঞ্জ, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর সহ জেলা আওয়ারমীলীগের তৃনমূলের কর্মীদের সাথে নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নিজেকে সমসময় সম্পৃক্ত রেখেছেন। তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারনে পুরো জেলা আওয়ামীলীগ এখন সূসংগঠিত। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ইং সালে (লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ) আসন থেকে নৌকার কান্ডারী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০২সালে জামায়াত বিএনপির ৪দলীয় জোট সরকার ক্ষমতাকালীন সময় সফিকুল ইসলামের উপর দপায় দপায় হামলা চালিয়ে তার ৩টি গাড়ি ভাংচুর করে জ্বালিয়ে দেয় এবং ২০০৪ইং সালে তাকে অপহরন করে লাকসাম রেলষ্টেশানে নিয়ে হাত পা বেঁধে রেখে তার সাথে থাকা প্রিমিও গাড়ীটি নিয়ে যায়। পরে ওখানকার নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করার ৫দিন পর জ্ঞান ফিরে আসে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক বর্তমান সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার সার্বিক খোজখবর নেন।একই বছর ২০০৪ইং সালে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সফিকুল ইসলাম সভাপতি প্রার্থী হন। সেদিন ৯০ভাগ নেতাকর্মীরা তার পক্ষে অবস্থান নিলেও অজ্ঞাত কারনে উনাকে সভাপতি করা হয়নি। ওইদিন তাকে সভাপতি না করায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ক্ষোভে লক্ষীপুর সার্কিট হাউজে ভাংচুর চালায়। এছাড়াও সফিকুল ইসলাম ২১আগষ্টা গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন। ২০০৬ইং সালের ডিসেম্বরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মরহুম হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে পল্টনের ১৪দলের মহাজোটের মহাসমাবেশে নেত্রীর এপিএস আলাউদ্দিন নাছিম সহ নেত্রীর নির্দেশে জীবনের ঝুকি নিয়ে এরশাদকে সমাবেশস্থলে পৌছানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন।
রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ মানেই সফিকুল ইসলাম। তার হাত ধরেই হাজার হাজার কর্মীর সৃষ্টি হয়েছে। প্রানের সংগঠন আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ১৫বছর ক্ষমতায় থাকার কারনে অনেক নেতা কর্মী বহু গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে অনেক সুযোগ সুবিদা নিয়েছেন। কিন্তু প্রবীন এই আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইমলাম দলের দুঃসময়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এজন্য সকল কিছু বিবেচানায় রেখে সম্মেলনে সফিকুল ইসলামকে সভাপতি হিসেবে মূল্যায়ন করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এছাড়া গত ২০১৮ইং সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ড.আনোয়ার হোসেন খান বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করার পেছনে সফিকুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী সফিকুল ইসলাম জানান, একাধারে ৩বার জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। দল যদি আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয় আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো লক্ষ্মীপুর জেলার সবগুলো উপজেলাতে আওয়ামীলীগকে উজ্জবিত করে দলের দুর্ঘ গড়ে তুলবো।




শীতে ত্বকের যে সমস্যা গুলো দেখা দেয়, কী করবেন?

শরীরে নানাভাবে রোগ-জীবাণু প্রবেশ করে। শীতের সময় ত্বক সংবেদনশীল থাকে। ত্বক মূলক রোগ জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয়।

শীতের সময় শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেশি দেখা দেয়।  সেই সঙ্গে ত্বকেরও বিভিন্ন রোগব্যাধি হওয়ার আশংকাও বাড়ে। শীতের শুরুতেই যদি এ সম্পর্কে জানা যায় ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করা যায় তাহলে ত্বকের এসব রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

শীতের রোগবালাই নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ত্বক ও যৌনব্যাধি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাশেদ মো. খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম।

* শীতে ত্বকের কী কী সমস্যা বা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে?

* শীতে যেহেতু পরিবেশে আর্দ্রতা ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়, এ কারণে প্রধান সমস্যাই হচ্ছে ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে যাওয়া। এর ফলে চুলকানি, ঠোঁট ও পায়ের চামড়া ফেটে যাওয়া, হাতের চামড়া উঠে যাওয়াসহ খুশকির সমস্যা বাড়ে। যাদের ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, লিভার ও কিডনির সমস্যা বা জন্মগত চামড়ার কিছু রোগ থাকে তাদের এ ড্রাইনেসের তীব্রতা বেশি হয়। আরেকটি হচ্ছে ঠান্ডা পরে যাওয়ার কারণে হাত ও পায়ের আঙুল লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, একে রেনড ফেনোমেনং বলে।

* ত্বকের এই শুষ্কভাব দূর করার উপায় কী?

*মেডিকেল গ্রেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাই হচ্ছে প্রধান চিকিৎসা। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ক্রিম বা অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার দেবেন, যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লোশন বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এটি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ত্বক যেন তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ময়েশ্চারাইজার যে ত্বক তৈলাক্ত করে, তা কিন্তু নয়। শীতে খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার না করে কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ের জন্য গোসল করা যেতে পারে। প্রতিদিন গোসল না করলেও চলে, একদিন পরপর করা যায়। কারণ এ সময় আমরা ফুল হাতা জামা-কাপড় ব্যবহার করি তাই ত্বকে খুব বেশি ময়লা, ধুলাবালি পড়ে না।

গোসলের পর পর শুকনো সুতি কাপড়ের তোয়ালে দিয়ে ত্বক চাপ দিয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা বা সমস্যা বুঝে দিনে ৩-৪ বারও ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন খারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে সপ্তাহে ২-৩ দিন সুগন্ধিহীন ও বর্ণহীন সাবান, সিনথেটিক ডিটারজেন্ট বা বাথজেল ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি ঘষা-মাজা করে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের তৈলাক্ত বা ন্যাচারাল ময়েশ্চার উঠে গিয়ে ত্বক শুষ্ক হয় ও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস শরীরে প্রবেশের সুযোগ পায়।

* এ সময় ত্বকের কী কী রোগ হওয়ার বা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে?

* স্ক্যাবিস বা খোস-পাঁচড়া শীতে আমাদের দেশে প্রধান সমস্যা। একসঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো হয়ে থাকলে যেমন মাদ্রাসা, হলে অবস্থানকারীদের একজন থেকে আরেকজনে এ রোগ দ্রুত ছড়ায়। কারণ এটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে। হাতের আঙুলের ভাঁজে, নাভির চারপাশে, শরীরের ভাঁজযুক্ত স্থানে, মহিলাদের ব্রেস্টের নিচে এবং প্রজনন অঙ্গের আশপাশের গোটাযুক্ত বিচি বা ফোসকা, যাতে রাতে চুলকানি বাড়ে এবং তা দিয়ে খোস-পাঁচড়া শনাক্ত করা যায়।

চিকিৎসার প্রধান শর্ত হচ্ছে যাদের এ সমস্যা হয়েছে তাদের ও তার সঙ্গে থাকা সবার চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসা নেওয়ার পরও চুলকানি ভালো হতে দুই সপ্তাহ লেগে যায়। শিশুদের যদি এ রোগ শনাক্ত করা না যায় বা চিকিৎসা না করা হয় বা বারবার খোস-পাঁচড়ায় আক্রান্ত হয় তাহলে এর জটিলতায় কিডনির সমস্যা গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস হতে পারে।

প্রত্যেকের ব্যবহার্য জামা-কাপড়, লেপ-তোশক, বালিশের কভার, চাদর সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বা ইস্ত্রি করে ব্যবহার করতে হবে। ইকথায়োসিস নামের জন্মগত ত্বকের রোগে হাঁটু থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত খোসার মতো ত্বকে উঠে যাওয়ার সমস্যায় বার বার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার এবং ডাক্তারের পরামর্শে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মাত্রার স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। কোল্ড অ্যার্টিকেরিয়ায় ত্বকে চাকা চাকা হয়ে সারা শরীরে চুলকানি হতে পারে। যা ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনে যাদের দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রোগ সোরিয়াসিস, প্যারাসোরিয়াসিস বা লাইকেন প্ল্যানাস আছে তাদেরও রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।

* শিশুর ত্বকের যত্নের ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?

*কিছু শিশু জন্মগতভাবে শুষ্ক ত্বক নিয়ে জন্মায়। এরা ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, সর্দি, শ্বাসকষ্টে ভুগে। এদের এটোপিক বেবি বলে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। চুলকানি কমানোর জন্য ছোট-বড় সবাই নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

তবে সরিষার তেল ব্যবহার করবেন না। এর ফলে অ্যালার্জি, ইরিটেশন বা ত্বকে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টক বা সাইট্রাস ফল অর্থাৎ ভিটামিন সি প্রতিদিন গ্রহণ করা ভালো। সুতির কাপড় ব্যবহার করবে, সিনথেটিক বা পশমী সোয়েটার, মাফলার, টুপি ব্যবহার করলে এদের অ্যালার্জির প্রকোপ আরও বেড়ে যায়।
শীতের শাক-সবজি, ফলমূল প্রচুর গ্রহণ করতে হবে কারণ এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে যা এন্টি এজিং ও ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। কম্বলের পরিবর্তে লেপ ব্যবহার করবে।

* খুশকি এ সময় অন্যতম সমস্যা। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় জানাবেন?

** ডেনড্রাফ যাদের বেশি হয় তারা আসলে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস নামে একটি রোগে ভোগে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা কিটোকোনাজল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করবেন। শ্যাম্পু যেন সালফেটমুক্ত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। স্ক্যাল্প বা মাথার তালুতে কোনো তেল ব্যবহার করার দরকার নেই। এর ফলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ রোগটি আসলে নিয়ন্ত্রণযোগ্য, তবে পুরোপুরিভাবে ভালো হয় না।

* ঘরের বাইরে বের হওয়ার আগে বিশেষ কোনো প্রস্তুতির দরকার হয় কি?

** এ সময়ও কিন্তু সূর্যের রশ্মি আমাদের ত্বকে সরাসরি পরে। তাই সানস্ক্রিন এসপিএফ ৩০-৫০ এর মধ্যে ব্যবহার করে বের হবেন। অনেকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুনে বা রোদে ত্বক পোড়ান। এর ফলে সান বার্ন বা সান ইনজুরি হতে পারে।