ফসল সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে: শেখ হাসিনা

শুধু ফসল উৎপাদন নয়, এখন থেকে ফসলের গুণগতমান নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বড় বড় ফল উৎপাদন করাটাই শেষ কথা নয়, এগুলোর পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হবে।

শুধু খাদ্য প্রাণ নয়, পুষ্টি নিশ্চিত কতে হবে। সেই সঙ্গে ফসল সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। প্রয়োজনে প্রযুক্তি আমদানি করতে হবে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। মঙ্গলবার  শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। সভাশেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদেও এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না। তিনি বলেছেন, কোনোমতেই পরিবেশকে ডিস্টার্ব করা যাবে না।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেন খালগুলো ভরাট না হয়ে যায়। যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নেই ঢাকার খালগুলো ঠিক রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রকল্পে অহেতুক ভূমি অধিগ্রহণ না করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন। এর বাইরে প্রকল্পের বারবার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টিতে নজর রাখতে হবে।




আর্জেন্টিনার জালে জোড়া গোল সৌদির

বিরতির পর মুদ্রার উল্টো পিঠই যেন দেখল আর্জেন্টিনা। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জালে সৌদি আরবের জোড়া গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে গেছে এশিয়ার পরাশক্তিরা।

বিস্তারিত আসছে… 




যে ছকে আজ মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা, জানালেন কোচ

নতুন ছকে আজ মাঠে নামতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। এমনটি ইঙ্গিত দিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিতে ভর করে চলছে আর্জেন্টিনার অপ্রতিরুদ্ধ জয়যাত্রা।

একদিকে মেসির শেষ বিশ্বকাপ, আরেকদিকে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর পালা। কেমন পরিকল্পনা সাজাবেন স্কালোনি- প্রশ্নটা এতক্ষণে হয়তো ঘুরপাক খাচ্ছে আকাশি-সাদার সমর্থকদের কাছেও।

আক্রমণভাগ:
এবার আক্রমণভাগে সলিড তিনজনকেই পাচ্ছেন লিওনেল স্কালোনি। যেখানে মেসিকে দেখা যাবে তার পছন্দের পজিশন রাইট উইংয়ে। আর লেফট উইংয়ে থাকবেন কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচের নায়ক ডি মারিয়া। সেন্টার ফরোয়ার্ডে লাওতারো মার্টিনেজকে রাখতে পারেন স্কালোনি। তাতে মাঝমাঠ পেরিয়ে আক্রমণ ডিবক্সের আশপাশে এলেই সেটি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা ঘিরে ধরার আগে সামনে বাড়াতে পারবেন মেসি বা ডি মারিয়া। প্রয়োজনে লাওতারো একটু নিচে নেমে খেলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সেকেন্ড স্ট্রাইকার পজিশনে লাওতারো নামলে মেসিকে সেন্টারে গিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। আর ডি মারিয়া যদি আক্রমণ শানান, তা হলে তিনি খুঁজবেন মেসি বা লাওতারোকে। সামনের পথ ব্লক থাকলে তিনি রাইট উইংয়ে থাকা মেসিকে বলটা বাড়িয়ে দেবেন। এর পর মেসিকে নিতে হবে রক্ষণ ভাঙার চ্যালেঞ্জ।

মাঝমাঠ:
মাঝমাঠ নিয়েই বেশি চিন্তায় ছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ। তার গোনার মধ্যে থাকা লো সেলসো ইনজুরিতে পড়ায়ই যত গণ্ডগোল পাকে। এর পর অনেক ভেবেচিন্তে মাঝমাঠটা ঠিক করেন তিনি। যেখানে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে পারদেসই পারফেক্ট। তার সঙ্গে রদ্রিগো ডি পল ও অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারকে নিতে হবে বলের পজেশন রেখে আক্রমণভাগকে সহায়তা করা। রক্ষণভাগ থেকে বল বাড়িয়ে মাঝমাঠ পর্যন্ত আনার পর যদি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের বাধায় পড়েন ডি পল-ম্যাক, সে ক্ষেত্রে মেসি বা ডি মারিয়াকে খানিকটা নিচে নেমে বল রিসিভ করতে হবে। এর পর ডি-বক্সের সামনে ওঁৎ পেতে থাকা লাওতারোকে খুঁজতে হবে। লাওতারোর সামনের পথটা খালি থাকলে তিনি চাইবেন দ্রুত ডি-বক্সের দিকে ছুটতে। আর পেছন থেকে মেসি বা মারিয়া যদি ক্রস দিতে পারেন, তা হলেই হয়তো মিলবে সফলতা।

রক্ষণভাগ:
আর্জেন্টিনার রক্ষণ নিয়ে আগের কয়েকটা বিশ্বকাপে ছিল অনেক সমালোচনা। এবার অন্তত তেমন কথা বলার সুযোগ নেই। চারজনকে রেখেই প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামিয়ে দিতে চাইবেন স্কালোনি। যেখানে রাইটব্যাকে মলিনা, লেফটব্যাকে অ্যাকুনাকে দেখা যেতে পারে। আর সেন্টারব্যাক সামলানোর দায়িত্ব থাকবে রোমেরো ও ওতামেন্ডির কাঁধে। তবে প্রতিপক্ষের কৌশল বুঝে এই পজিশনের কিছুটা নড়চড় করতে পারেন স্কালোনি। কখনো হয় মলিনা ও অ্যাকুনা নিচের দিকে নেমে যাবেন। আর সামনে মাঝমাঠ অবধি বল নিয়ে দৌড়াতে হবে ওতামেন্ডি ও রোমেরোকে। অবশ্য রোমেরো খুব একটা ডিফেন্স লাইন ছেড়ে এগিয়ে খেলতে চান না। যেটি ওতামেন্ডি আবার ভালোভাবে পারেন। আর সব শেষ গোলপোস্টের নিচে তো থাকবেন আকাশি-সাদাদের নাম্বার ওয়ান রক্ষণ মার্টিনেজ।




হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন: হত্যাকারী গ্রেফতার

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর অজ্ঞাতনামা নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

গতকাল সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় গার্মেন্টস কর্মী কমলা খাতুনকে (২৬) শ্বাসরোধ ও দা দিয়ে পেটে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত কমলা খাতুন নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রাত্রা গ্রামের মাতাব উদ্দিনের মেয়ে। সে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করত।

এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় গার্মেন্টস কর্মী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার আগিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ নিজামকে (৩০) ২০ নভেম্বর দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলার মীরের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, আসামী নিজাম বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। আসামী ও ভিকটিম একই গার্মেন্টসে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে চার মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে আসামী কমলাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। এতে কমলা রাজি না হওয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলার পূর্বধলা উপজেলার বালুচরা বাজারের তালতলা মোড়ে গত শনিবার রাতে তাকে প্রথমে শ্বাসরোধ পরে ভূড়ি কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গাজীপুরে পালিয়ে যায়।




সোনাইমুড়ী থানাপুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি –

পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার ডাকাতরা। বাংলাদেশ পুলিশ।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ সম্প্রতি ওই থানা এলাকায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, পিপিএম তাঁর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই ডাকাতির ঘটনা, সাত ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।

তিনি জানান, গত ২৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক সোয়া ২টা থেকে ৩ টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫জন মুখোশধারী অস্ত্রধারী ডাকাত সোনাইমুড়ী থানাধীন সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড সোনাইমুড়ী পূর্বপাড়া চাঁদ মিয়ার বেপারী বাড়ীতে ডাকাতি করে। ডাকাতরা বসতঘরের দরজার ছিটকিনি ভেঙে দেশি ধারালো ছেনি,চাকু, চাপাতি নিয়ে প্রবেশ করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাড়ির লোকদের মুখ হাত-পা বেঁধে আলমারির তালা ভেঙে ৩০.৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ডায়মন্ড সেট ২টি ও নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ১০০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ।

এ ঘটনায় বেপারী বাড়ির বাসিন্দা মো.জাকির হোসেন মানিক সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করেন। এরপর এ মামলার তদন্তভার এসআই মো. জামাল হোসেনের উপর অর্পণ করা হয়। তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপগান, ৩ রাউন্ড রাবার কার্তুজ,দুটি লোহার শাবল,৪টি চিকন দা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন- খোরশেদ আলম টিপু (৩৭),
মো. ফারুক (৪০), নুর কাশেম,
মো. ইউসুফ (৩৫), মুরাদ হোসেন(২৫), রুবেল ও
নুর ইসলাম।




লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের যা বললেন

পুলিশের ওপর হামলা করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সদস্যদের ছিনিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডিসেম্বর মাস আসছে। অপশক্তি মাঠে নেমেছে। অপশক্তি-সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা ২৪ নভেম্বর যশোর থেকে ডাক দেবেন। আপনারা প্রস্তুত হয়ে যান।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে পারবেন না। আল্লাহ যারে রাখে তারে মারে কে? ২০ বার চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে মারতে, পারেনি। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছেন। মানুষ তার পক্ষে আছে, তাকে মারবেন কীভাবে!

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ফখরুল ভাই, দেখে তো মনে হয় ভালো মানুষ। আপনার মুখে মধু, অন্তরে এত বিষ কেন?

কাদের আরও বলেন, মুখের কথায় জনগণ ভোট দেবে না, কাজ দেখে ভোট দেবে।

‘আদালতের ঘটনায় বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদ করে। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তদন্ত হচ্ছে, অপেক্ষা করুন। শায়েখ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই কার সময়ে সৃষ্টি হয়েছে, কখন সৃষ্টি হয়েছে, মনে হয়েছে? জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হলো বিএনপি। আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’

বাংলাদেশে যদি আইন করে মিথ্যাচার নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে বিএনপির অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাকে পুঁজি করে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সংকট। আমরা কিছুটা বিপদে পড়েছি, অস্বীকার করি না। সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। শেখ হাসিনার মুখের কথা। তাই বলে তিনি দুর্ভিক্ষ বলেননি। তিনি বলেছেন, বিশ্ব নেতাদের বলেছি, সারা পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনী। বাংলাদেশের কথা তিনি বলেননি। তারপরও বিএনপি মহাসচিব বারবার মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার রাতে ঘুম হয় না মানুষকে বাঁচাতে। আমরা কিছু সময়ের জন্য বিপদে পড়েছি। এ বিপদ থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, তিনি চেষ্টা করছেন, আমরা সমালে উঠবো। কিন্তু ফখরুলের মিথ্যা কথা কি বন্ধ হবে? মানুষকে বাঁচাতে আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। বিএনপি এটা নিয়ে অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। এখনো ৩৬ বিলিয়নের কাছাকাছি আমাদের রিজার্ভ। ৬ মাসের আমদানির টাকা আছে। সংকট মোকাবিলায় ৩ মাসের থাকলেই হয়। আমরা এটাকে অত সংকট মনে করছি না।

পোস্টার-ব্যানার তৈরি করায় নেতা-কর্মীদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, অনেক মানুষ এখন কষ্ট পাচ্ছে। সংসার চালাতে পারছে না। গরিব মানুষ বৈশ্বিক সংকটের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে টাকাটা দিয়ে দিতে পারতেন।

ব্যানার-বিলবোর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরে এসে এত ছবি দেখলাম। হায়রে আল্লাহ!

তিনি আরও বলেছেন, কাগজের ছবি ছিঁড়ে যাবে। বিলবোর্ডের ছবি মুছে যাবে। ব্যানারের ছবিও ছিঁড়ে যাবে। হৃদয়ে নাম লেখাতে হবে। সেই নাম কেউ মুছতে পারবে না। মঞ্চ তো ভরপুর, নেতা আর নেতা। বড়, মাঝারি, পাতি নেতা; সব নেতাই মঞ্চে। নেতার ভিড়ে কর্মী চিনতে কষ্ট হয়। কর্মী তাহলে কারা? লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন দেখে মনে হচ্ছে, লক্ষ্মী যেন ফিরে এসেছে। ফিরে যেন না যায়। অকাম-কুকাম, অপকর্ম…শুধরে যান। কে কী করেন, সবার এসইআর শেখ হাসিনার কাছে আছে। কাজেই ভালো হয়ে যান। না হলে খবর আছে।




জেনে নিন সকালের নাস্তা খাওয়া কতটা জরুরী

সকালের নাস্তা নিয়ে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। কেউ কেউ একেবারেই সকালে কিছু খান না। আবার কেউ হাল্কা খাবার খান। দিনের পর দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।

অথচ প্রাতঃরাশই আমাদের সারা দিনের শক্তির জোগান দেয়। রাতের খাবার খাওয়ার পর দীর্ঘ ১০-১২ ঘণ্টা উপবাস ভাঙা হয় প্রাতঃরাশ দিয়ে।

স্বাভাবিকভাবেই এই খাবারটি গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় খরচ হয়ে যায়। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো এটি খরচ হতে থাকে। এ জন্য ঘুম থেকে উঠার পরই এটা পূরণ করে ফেলা উচিত। সেই কারণে যারা সকালে কিছুই খান না, তারা ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন। সকালের নাস্তায় শর্করা কতটা শক্তির যোগান দেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের অবসরপ্রাপ্ত চিফ নিউট্রিশন অফিসার আখতারুন নাহার আলো।

অনেকে মনে করেন সকালের নাস্তা না খেলে ওজন কমে যাবে। আসলে তা হয় না। পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারা দিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি নাস্তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কার্য প্রবণতা ও কর্মক্ষমতা কমে যাবে।

সকালের নাস্তা অবশ্যই সুষম হতে হবে। কারণ আমাদের দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন আছে। এ সময় শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা আমাদের দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমে মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মনকে সজীব ও সতেজ রাখে। অর্থাৎ শর্করা শুধু শক্তিই প্রদান করে না।

সকালের নাস্তায় পানীয় হিসাবে রাখা যেতে পারে গ্রিনটি, চা-কফি, লাচ্ছি, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি। খুব ভালো হয়, যদি ঘুম থেকে উঠার দু’এক ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা খেয়ে ফেলা যায়।

যেহেতু এটা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, সে কারণেই আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই নাস্তার সময় ঠিক করা ভালো। রাতের খাবার ও সকালের নাস্তার মধ্যে যেন বারো ঘণ্টার বেশি ব্যবধান না হয়। নাস্তা খাওয়া উচিত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে।




দারুণ শুরুর দিয়েও জয় পেল না যুক্তরাষ্ট্র

শুরুটা দারুণ করেও শেষ পর্যন্ত জয় পেল না যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে সব মলিনতা ঝেড়ে ফেলে বিরতির পর ভালো খেলেছে ওয়েলস। ঘর সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল দলটি, যদিও পারল না। শেষ দিকে গ্যারেথ বেলের গোলে মূল্যবান একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল ওয়েলস।

মঙ্গলবার আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হলো।

সেই ১৯৫৮ বিশ্বকাপের পর আবার বিশ্বসেরার মঞ্চে ফেরাটা দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে বেশ হলো ওয়েলসের।

প্রথমার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য করা যুক্তরাষ্ট্র টিম ওয়েহর গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু বিরতির পর তাদের সেভাবেই খুঁজেই পাওয়া গেল না। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে শেষ দিকে সমতা টানল ওয়েলস।

কয়েক প্রজন্মের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপে ফেরার ম্যাচের শুরুতেই নিজেদের ভুলে গোল খেতে বসেছিল ওয়েলস। যুক্তরাষ্ট্রের ফরোয়ার্ড টিম ওয়েহ ক্রস বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে। তাতে তেমন কোনো হুমকি ছিল না, কিন্তু হেডে ঠেকাতে গিয়ে আত্মঘাতী হতে বসেছিলেন জো রোডন। গোলরক্ষক সোজা বল যাওয়ায় সে যাত্রায় রক্ষা হয়। তবে গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসি বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় আবার আক্রমণ শানায় যুক্তরাষ্ট্র। দুরূহ কোণ থেকে জশ সার্জেন্টের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে।




হেলমেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে নেত্রকোণা জেলা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নেত্রকোণা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদের নেতৃত্বে জেলা ব্যাপী মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার নেত্রকোনা জেলার দশটি থানায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহকারী পুলিশ সুপার অফিসার ইনচার্জরা রাস্তায় নামেন।

এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী যারা হেলমেট ব্যবহার করছেন তাদেরকে ফুল, চকলেট দিয়ে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং যারা হেলমেট ব্যবহার করছেন না তাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। হেলমেট ব্যাবহার না করলেই মামলা ও জরিমানা আদায় করা হবে।

সমগ্র নেত্রকোনা জেলার ১০ টি উপজেলায় প্রায় ১১শ মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে ফুল,চকলেট বিতরণ করা হয়। নেত্রকোনা জেলা পুলিশের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার।




অবশেষে ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা পুনরুদ্ধার

জুয়েল রহমান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বিশ্বখ্যাত ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা পুনরুদ্ধার করে “রামনাথ বিশ্বাস স্মৃতি পাঠাগারের নামে সাইনবোর্ড টাংগানো হয়েছে ।
২১ নভম্বর সোমবার দুপুর ১২টায় বানিয়াচং উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও চেইনম্যান নূরুল আমীন উপস্থিত হয়ে খুটি পুতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন।
এ সময় বানিয়াচং থানার এসআই রাকিব হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডভূক্ত ১/১ নং খতিয়ানের ১ একর ১৬ শতাংশ ভূমি রামনাথ বিশ্বাস স্মৃতি পাঠাগারের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়,বানিয়াচং উপজলার আমীরখানী মৌজায় ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের পারিবারিক ভূ-সম্পত্তির প্রায় সাড়ে ৪ একর ভূমি দখল করে রেখেছে স্থানীয় ভূমিদূস্য ওয়াহেদ গং।
ইতিমধ্যে ৩ একরের চেয়ে বেশি ভূমি দখলদার ওয়াহদ গং বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজেদের নামে রেকর্ড করে ফেলেছে।
এরমধ্যে মোট নয়টি দাগর ১ একর ১৬ শতাংশ ভূমি রেকর্ডভূক্ত করতে পারে নাই।
সেই ভূমি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে।
বিশ্ববিখ্যাত ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নর বিদ্যাভূষন পাড়ায়। তিনি বাইসাইকেলে বিশ্বভ্রমন করেছিলেন। তার লেখা ভ্রমনবিষয়ক বই রয়েছে প্রায় ৪০টির মত।
রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা দেখতে সারাদেশ থেকেই পর্যটক,সাইক্লিস্ট ও সাংবাদিকরা আসেন। কিন্তু দখলদার ওয়াহেদ ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর দূর্ব্যবহার ও হামলার কারণে বাড়িটি ঘুরে না দেখতে পেরে সবাই হতাশ হয়ে ফিরে যান।
সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর ৪ সাংবাদিক ওই বাড়িটিতে গিয়ে দখলদার ওয়াহেদ গংদের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলন, এই ভূমি আমাদের ১/১ খতিয়ানভূক্ত। এই ভূমি আমাদের দখলে রয়েছে
সময় সুযাগ এবং বরাদ্ধ সাপেক্ষে এই ভূমিতে রামনাথ বিশ্বাসের নামে স্মৃতি পাঠাগার স্থাপন করা হবে।