এসএসসির ফল; যেভাবে জানবেন

আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন । এছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ফলাফল প্রকাশের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd -তে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট করলে ফলাফল জানতে পারবেন।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

যেমন ঢাকা বোর্ডের কোনও পরীক্ষার্থী ফল জানতে চাইলে- SSC DHA 123456 2022 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।




আজ প্রকাশিত হবে এসএসসি’র ফল

সোমবার (আজ) প্রকাশিত হবে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল।

সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নেতৃত্বে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে গণবভনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হবে পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ।

এরপর দুপুর ১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সংবাদ সম্মেলনের পর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে প্রকাশ করা হবে ফল।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।




নরসিংদীতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মোঃ মোবারক হোসেন ,নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে একটি কাঠবাগান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের বেলতলী এলাকার রায়পুরা-বারৈচা আঞ্চলিক সড়কের পাশের কাঠবাগান থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৫০/৫৫ বছর। তার পরিচয় সনাক্তের জন্য আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কের পাশে একটি কাঠবাগানের গাছের ডালের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল ওই ব্যক্তির লাশ। সকালে বাগানের পাশের জমিতে কাজ করতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখেন স্থানীয় কৃষকরা। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে । নিহত ওই ব্যক্তির পরনে ছিল লুঙ্গি ও শর্ট পাঞ্জাবী। তাঁর পকেট থেকে দুটি নাপা ট্যাবলেট ও বিড়ির প্যাকেট পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , গতকাল শনিবার দিনভর অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিকে কাঠবাগানে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। পরে সকালে বাগানের গাছের ডালের সঙ্গে তাঁর লাশ ঝুলছিল। নিহত ওই ব্যক্তি অন্য কোন এলাকার বলে ধারণা করছেন তাঁরা।
রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম আরোও জানান, নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্তে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ । লাশের সুরতাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।




লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পাঁচ নেতা কারাগারে

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন পাটওয়ারী হত্যা মামলায় যুবদল নেতা একেএম ফরিদ উদ্দিনসহ পাঁচ বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠালেন আদালত। রবিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ সময় জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আলিম হুমায়ুন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আদালতে ভিড় জমান। ফরিদসহ গ্রেফতার নেতাদের আদালতের হাজতে নেওয়ার সময় দলীয় স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদেরকে।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় ফরিদসহ পাঁচ অভিযুক্ত উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন। নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ায় তারা লক্ষ্মীপুর জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আবারও জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় আরও তিন আসামি কারাগারে রয়েছেন।

গ্রেফতার ফরিদ জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা। গ্রেফতার অন্যরা হলেন– সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল গনি, যুদবল নেতা আক্তার হোসেন, শিপন ও পারভেজ। তারা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন।

সূত্র জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার ছেলে মেহেদি হাসান আকাশ বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি জাবেদ, সাইফুল ও সুমন নামে তিন জন কারাগারে রয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান জানান, ‘এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। ফরিদ ও গনিসহ গ্রেফতার ব্যক্তিরা কেউই হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা উচ্চ আদালতে তাদের জামিন আবেদন করবো। উচ্চ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করবেন বলে আমরা আশাবাদী।’




জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে প্রতিবাদ সমাবেশ

মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনায় বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মদনায়, আমাদের জাতীয় পতাকার বিধিমালা লংঘন করে জাতীয় পতাকার অমর্যাদাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা পালনের কারনে প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর) ‘চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ’ ফোরামের আয়জনে ও বরগুনা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় সকাল ১১ টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সোহেল হাফিজ, পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক মোঃ হাসানুর রহমান ঝন্টু, জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, মুক্তিযোদ্ধা সুখ রঞ্জন শীল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্পাদক অ্যাড. মনিরুজ্জামান, বরগুনা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার, বরগুনা জাগোনারী প্রধান নির্বাহী হোসনেয়ারা হাঁসি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুকরের ট্রাস্টি চিত্তরঞ্জন শীল, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি নাজমা বেগম, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সোহেল হাফিজ তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রীতি সারা বাংলাদেশ জুড়ে চলছে ফুটবল প্রেমি মানুষের ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মদনা এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সারা বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে জাতীয় পতাকার অবমাননা যা মোটেই কাম্য নয়। প্রায় সব শ্রেনীর ফুটবল ভক্ত মানুষরা যে যার পছন্দ অনুযায়ী নিজ বাড়িতে অন্য দেশের জাতীয় পতাকা টানিয়েছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছেন তাদের জন্মভূমি এই বাংলার মাটিতে। ফুটবলের তাদের এই ভালোবাসা কে ইস্যু করে আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জায়গা হারিয়ে ফেলছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান অক্ষুন্ন রাখা সকলেরই দায়িত্ব।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুকরের ট্রাস্টি চিত্তরঞ্জন শীল বলেন, আমি একদিন বাড়ি ফেরার সময় রিকশায় উঠলে দেখতে পেলাম রিক্সার দু হেন্ডেলে অন্য দেশের পতাকা, তখন ওই রিক্সা চালকে পতাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন আমি সেই দেশের ফুটবলের ভক্ত তাই লাগিয়েছি। দেশে এত এমপি-মন্ত্রীরা আছে তাদের গাড়িতে যখন পতাকা লাগাতে পারে তাহলে আমি সামান্য রিক্সা চালক হয়ে কেন পারব না। আমি সেদিন তার কেন র উত্তর দিতে পারি না। তাহলে বুঝতেই পারছেন দেশের জাতীয় পতাকার সম্মান মানুষের কাছে কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে। আমরা জাতীয় পতাকার প্রতি মানুষের সম্মান আবারও পুনরুদ্ধর করতে চাচ্ছি। এর জন্য প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ একত্র হয়েছি। দরকার হলে আমরা বাংলাদেশের সম্মান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনে নামবো।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি প্রেরণ করেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্যরা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বরাবরও এই স্মারক লিপি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।




ফরিদপুরে বালু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মো. কাউসার হোসেন খান (৪৫) নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় সাফায়েত ইসলাম সিফাত (১৬) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ওই তরুণকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ডিবি ও জেলা পুলিশের একটি টিম।

সিফাত নামের ওই তরুণ বালু ব্যবসায়ী মো. কাউসার হোসেন খানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু মন্ডল জানান, নিহত কাউসার সিফাতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে সমকামিতা করে আসছিলো।

ঘটনার দিনও শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে কাউসার সিফাতকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে উক্ত স্থানে নিয়ে গিয়ে সমকামিতার চেষ্টা চালালে দু’জনের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কাউসারের সঙ্গে থাকা চাকু কাউসারের ঘারে আঘাত হানলে কাউসার মাটিতে লুটিয়ে পরে বলে জানান।

এসময় সিফাত কাউসারের পিঠের উপড় চরে ওই চাকু দিয়ে কাউসারের ঘারে ও পিঠের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

শনিবার(২৬ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়রা কাউসারের মৃত দেহ উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের জাকেরারসূরা ভাঙা মাথা নামক স্থানে পদ্মা পাড়ের বালুর ডিভিটে পরে থাকতে দেখে ওই ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি’ মেম্বারকে খবর দেয়। পরে ইউপি’ মেম্বার পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার ও চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে, হত্যায় ঘটনায় আটক সিফাতকে রবিবার সকালে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে, জানান, চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মিন্টু মন্ডল।




নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে চাঙ্গা নেতাকর্মীরা

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেত্রকোনা জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ২৯ নভেম্বর। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক মাঠে কাজ করছেন দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ডজন খানেকের বেশি নেতা। তারা দলীয় প্রধান ও হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন ঢাকায়—পদপ্রাপ্তির আশায় চালাচ্ছেন চেষ্টা-তদবির।

জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ছবিসহ কেন্দ্রীয় নেতা এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পদপ্রার্থীদের ছবিসংবলিত তোরণ।

জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নেত্রকোনা সদর, মদন, খালিয়াজুরী, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের চমক এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা সম্মেলনে কে হচ্ছেন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড পর্যন্ত লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা।

জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কমিটির সভাপতি মতিয়র রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লে. কর্নেল (অব.) আবদুর নূর খান, সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান খান রতন।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ নুর খান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-৩ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শামছুর রহমান ভিপি লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান নোমান, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকারের নাম আলোচনায় রয়েছে।

২৯ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।




চর এলাহীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মোঃবদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮নং চর এলাহী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) চর এলাহী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ২ রা ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এ মত বিনিময় সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনির সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহাব উদ্দিন।
মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা।
জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান। সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল। আওয়ামীলীগ নেতা পিপুল। আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল হক নাজিম। উপজেলা আওয়ামীলীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মহরম আলী। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মালেক মেম্বার। চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান

সভায় বক্তারা বলেন, গত দুইবছর উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে যে বিরোধ ছিল তা এখন শেষ হয়ে গেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের বিরোধ ইউনিয়ন গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেটা নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই আমাদের আজকের এই মত বিনিময়সভা।

ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, চর এলাহী ইউনিয়ন অতীতে ও আওয়ামীলীগের ঘাটি ছিল এখনো আছে, তবে মাঝখানে বিরোধের কারণে কিছুটা এলোমেলো ছিল। আজ থেকে তা আবার ঠিক হয়ে যাবে। এসময় তারা বলেন, আপনারা ভুলে গেলে চলবে না আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই বিএনপি জামাত নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রকে রুখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। এছাড়াও আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে পুনরায় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের আপনাদের প্রিয় নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি। তাই তার সম্মান রক্ষার্তে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পরিশেষে সবাইকে আগামী ২ ডিসেম্বরের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, এ সম্মেলন হবে কোম্পানীগঞ্জের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সম্মেলন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবারও আহবান জানাবো
আমাদের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদেরকে যেন তৃতীয় বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।




মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন

মোঃবদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার তুষি গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ও মিসেস ফাতেমা বেগম-এর ৪র্থ পুত্র মোঃ নিজাম উদ্দিন (জিটু) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে SAFETY-NET PROGRAMS FOR WOMEN WORKERS IN READYMADE GARMENT (RMG) SECTOR IN BANGLADESH বিষয়ে এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

তাঁর এই ডিগ্রী গত ১২ অক্টোবর ২০২২ তারিখের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার আদেশক্রমে প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় ২য় হয়ে ১ম শ্রেণিতে এমএসএস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সকলের দোয়াপ্রার্থী।




স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাবেন যেভাবে

ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে ওজন ঠিক থাকে। যারা জাঙ্কফুডে অভ্যস্ত তাদের ওজন বেশি হয়ে থাকে।

ক্যালরি হচ্ছে ওজন পরিমাপের উপায়। যদি ওজন কমাতে হয় তবে প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয় তার থেকে কম পরিমাণ ক্যালরি সমপরিমাণ খাবার খেতে হবে অর্থাৎ কম ক্যালরি খেতে হবে বা কম ক্যালরিযুক্ত খাবার পরিমাণমতো খাওয়া যাবে।

সে ক্ষেত্রে কোন কোন খাবারে ক্যালরি কম থাকে তা জানতে হবে ও সে অনুযায়ী কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে ওজন কমাতে গেলে দেখা যায় কিছু দিন বা কয়েকদিন পরই প্রচণ্ড ক্ষুধার কারণে এই পদ্ধতি বাদ দেয় ও আগের অবস্থায় ফিরে আসে, তাই ওজন কমাতে কিছু টেকসই ও কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যা নিম্নরূপ-

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেডিনোভা মেডিকেলের অধ্যাপক মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. তৌফিকুর রহমান ফারুক।

প্রোটিন জাতীয় খাবারে ক্যালরি কম

খাবারে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি সবচেয়ে সহজ, কার্যকরী, মুখরোচক, বৈজ্ঞানিক ও কম কষ্টের। প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে অল্প খাবারে তাড়াতাড়ি তৃপ্তি আসে অর্থাৎ ক্ষুধার অনুভূতি তাড়াতাড়ি কমে এবং আমাদের শরীরের মেটাবলিক রেট বা শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার হার বাড়ে, কারণ প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার হজম করতে ও মেটাবলিজম হতে বা খাবার ভেঙে শক্তি উৎপাদনে বা অন্যান্য কাজে অনেক বেশি শক্তি ব্যয় হয়।

প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার হজম বা মেটাবলিজমে বেশি শক্তি অর্থাৎ ৮০-১২০ ক্যালরি শক্তি বেশি ব্যয় হয়। একজন ব্যক্তি যদি খাবারের ৩০ ভাগ প্রোটিন জাতীয় খাবার খায় তবে সে প্রতিদিন ৪৪১ ক্যালরি সমপরিমাণ খাবার কম গ্রহণ করল।

তাই খাবারে পরিমিত পরিমাণ প্রোটিন যোগ করে একদিকে যেমন শরীরে ক্যালরি কম প্রবেশ করে তেমনি ক্যালরি খরচও বেশি হয়। প্রোটিন জাতীয় খাবার আমাদের ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয়।

যারা ডায়েট করেন ও না খেয়ে ওজন কমাতে চান তাদের মাঝেমাঝে তীব্র ক্ষুধার অনুভূতি হয়, ফলে তারা আর না খেয়ে থাকতে পারেন না, ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে ও আবার ওজন আগের মতোই বাড়তে থাকে। প্রোটিন জাতীয় খাবার এ ধরনের হঠাৎ ক্ষুধার তীব্র অনুভূতি কমিয়ে দেয়।

এক গবেষণায় দেখা যায়, খাবারে যদি ২৫ ভাগ প্রোটিন বা আমিষ থাকে তবে এই প্রোটিন বা আমিষ মস্তিষ্কে খাবারের চিন্তা ৬০ ভাগ কমিয়ে দেয় ও রাতের গভীরে বা ভোর রাতে ø্যাক্স বা নাস্তা খাবার ইচ্ছা বা প্রবণতা ৫০ ভাগ কমিয়ে দেয়।

তাই যদি কেউ ওজন কমোনোর কর্মসূচি কার্যকরী ও টেকসই বা স্থায়ী করতে হয় ও কম কষ্টে ওজন কমাতে চায় তবে খাবারে কমপক্ষে ৩০ ভাগ প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার রাখতে হবে, এটা ওজন কমানোর পাশাপাশি ওজন যাতে আবার না বাড়ে তা নিশ্চিত করবে।

সুগারযুক্ত কোমল পানীয় ও ফলের রস বর্জন করতে হবে

সোডা, ফলের রস, চকোলেট দুধ ও অন্যান্য কোমল পানীয় যেমন কোকাকোলা, ফান্টা, মিরিন্ডা, পেপসি যেখানে অতিরিক্ত চিনি বা সুগার যোগ করা হয় তা ক্ষতিকর ও বর্জনীয়, কারণ সুগার বা চিনির মাধ্যমে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি ঢোকে ও তা আমাদের ওজন বাড়ায়।

বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে বা মোটা হওয়ার রিস্ক ৬০ ভাগ বেড়ে যায় যদি প্রতিদিন সুগারযুক্ত কোমল পানীয় পান করে। ওজন বাড়ার পাশাপাশি এ সুগারযুক্ত কোমল পানীয় নানাবিধ রোগ তৈরি করে।

প্রাকৃতিক জুস বা ফলের রস স্বাস্থ্যকর কিন্তু জুসের সঙ্গে যদি অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয় তবে তা ক্ষতিকর। এসব সুগারযুক্ত পানীয়ের আসলে কোনো লাভজনক দিক তো নেয়ই বরং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর।

বেশি করে পানি পান করলে ওজন কমে

ওজন কমানোর জন্য অন্যতম ট্রিক হচ্ছে প্রতিদিন বেশি পরিমাণ পানি পান করা। বেশি পরিমাণ পানি পান করলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয়। প্রতিদিন ৪ গ্লাস বা ২ লিটার পানি পান করলে ৯৬ ক্যালরি শক্তি অতিরিক্ত খরচ হয় কোনো কায়িক পরিশ্রম ছাড়াই।

তাছাড়া খাবার আগে খালি পেটে পানি পান করলে তাতে পেট আংশিক ভর্তি হবে এবং ক্ষুধা কমবে ও কম পরিমাণ খাবারে পেট ভরে যাবে, তাতে অটোমেটিক্যালি কম ক্যালরি শরীরে ঢুকবে।

১২ সপ্তাহব্যাপী এক গবেষণায় দেখা গেছে খাবার ১-২ ঘণ্টা আগে ১-২ লিটার পানি খেলে ৪৪ ভাগ বেশি ওজন কমে, তাই ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবারের পাশাপশি বেশি পরিমাণে পানি পান করা কার্যকরী। যেসব পানীয় ক্যাফেইনযুক্ত যেমন গ্রিন টি, কফি স্বাস্থ্যক ও ওজন কমাতে সহায়ক কারণ এ পানীয়গুলো শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে সাহায্যকারী।

নিয়মিত ব্যায়াম করা

আমরা যখন কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই, তখন আমাদের শরীর শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে চায়, শক্তি কম খরচ করে শক্তি জমা রাখতে চায়। তাই দীর্ঘমেয়াদি ওজন কমান কর্মসূচি বা ডায়েটিং করলে বা কম খেলে আমাদের শরীরে মেটাবলিকজনিত বা শারীরবৃত্তীয়জনিত ক্যালরি খরচ কমে যায়।

তাছাড়া এতে আমাদের শরীরের মাংসপেশীগুলো শুকিয়ে যায়, তাই ওজন কমানোর জন্য বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার পাশাপাশি মাংসপেশী ঠিকভাবে রাখার জন্য ভারোত্তোলন বা ওজন লিফটিংও করতে হবে, এতে মাংসপেশী শুকিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ হবে ও মেটাবলিক কার্যক্রম ঠিক থাকবে।

তাই ওজন কমানোর জন্য আমরা শুধু শরীরের চর্বিই কমাতে চাইব না, আমাদের শারীরিক গঠনও যাতে ঠিক থাকে, আমাদের যাতে দেখতে অসুন্দর না লাগে, শুকনা শুকনা না লাগে, বরং দেখতে ভালো যাতে লাগে। ওয়েট লিফটিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত এরোবিক ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা ও জগিং করতে হবে।

রিফাইন্ড সুগার ও কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হবে

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে, তাই খাবারে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, আলু, চিনি, মিষ্টি, মধু, কোমল পানীয় কম খেতে হবে।

গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার অর্থাৎ কম কার্বোহাইড্রেট ও কম চর্বিযুক্ত খাবার ওজন কমাতে ২-৩ গুণ অধিক কার্যকর। তাছাড়া কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিন্ড্রোম রোগ প্রতিরোধ করে, তবে ফাইবারযুক্ত কমপ্লেক্সে বা জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন ঢেঁকিছাঁটা লাল চাল শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং উপকারী।