ফরিদপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:-
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ২ হাজার ২০০টি ইয়াবা বড়িসহ মামুন কাজী (৩৪) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানায়, ইয়াবাগুলি তিনি ছোট পলিথিনে ক্যাপসুলের আকারে পাকা কলার মধ্যে ঢুকিয়ে সে কলা খেয়ে পেটে করে নিয়ে আসেন।

মামুন ভাঙ্গা উপজেলার কোর্টপাড় এলাকার জনৈক আলী হোসেন সেন্টুর বাড়িয় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত কোর্টপাড় এলাকায় মামুনের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ ইয়াবাগুলি জব্দ ও মামুনকে গ্রেফতার করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তকরের একটি দল।
মামুন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজা মিয়া বাদী হয়ে মামুনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলাদায়ের করেছেন মঙ্গলবার বিকেলে।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই রাজা মিয়া মামুনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তিনি বলেন, ভাঙ্গা থানায় এ মামলাটি হলেও এ মামলার তদন্ত কাজ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরই করবে।




মিরাজের শতকে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭১

ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে বরাবরই যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে স্বাগতিক বাংলাদেশ। যেখানে টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে বসছিল দলটি, সেই জায়গা থেকে টাইগারদের বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

এই দুইজনের ১৪৮ রানেই ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের সম্মানজনক রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

বিস্তারিত আসছে…




শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর আগে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের

শুরু হয়েছে শীতকাল। এ সময় শিশুদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। সঙ্গে থাকে পেটের সমস্যাও। এসব রোগ থেকে শিশুকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন সেটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম

* শীতের শুরুতে ও শেষে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায় কেন?

** এ ঠান্ডা তাপমাত্রায় কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস পরিবেশে বংশবৃদ্ধি করে। শিশুর শরীরও তাপমাত্রার হঠাৎ এ পরিবর্তন অর্থাৎ ওঠা-নামা অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। ফলে শিশুর দেহে পরিবেশগত কিছু পরিবর্তন হয় এবং জীবাণুগুলো রোগ বিস্তার করে। ধুলাবালি বেড়ে যাওয়ার কারণেও এ সময় শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এ সময় হাঁচি, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা ছাড়াও ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কিওলাইটিস রোগ ছড়ানোর সুযোগ বেশি থাকে। ঠান্ডা বাতাস নাক দিয়ে ঢুকে এখানকার পাতলা পর্দা বা ঝিল্লি যাকে মিউকাস মেমব্রেন বলে, তা ঠান্ডা হয়ে গিয়ে রক্তনালির সংকোচন ঘটে, ফলে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও বাড়ে।

* এ লক্ষণ বা রোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক করণীয় কী?

** সর্দি, কাশি, ঠান্ডা, গলা ব্যথার সঙ্গে শিশুর শ্বাসের গতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বুকের পাজরের নিচে দেবে যাচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে। শ্বাসের হার প্রতি মিনিটে ২ মাসের নিচের বাচ্চাদের ৬০-এর বেশি হলে, ২-১২ মাসের বাচ্চার ৫০-এর বেশি এবং ১-৫ বছরের বাচ্চার ৪০-এর বেশি হলে শিশুর নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কিওলাইটিস হয়েছে ধরা যায়। এ অবস্থায় ঘরোয়া চিকিৎসা না দেওয়াই ভালো। শ্বাসের হার স্বাভাবিক ও ঠান্ডা-কাশি থাকলে ছোট বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, কুসুম গরম পানি, লেবু পানি, জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, শরীর স্পঞ্জ করে মুছে দিতে হবে, ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করে এমন রুমে শিশুকে রাখতে হবে এবং জনসমাগম হয় এমন জায়গা যেমন মার্কেট, কোনো অনুষ্ঠান, বাস-ট্রেন স্টপেজে না নিয়ে যাওয়াই ভালো। এন্টি হিস্টামিন ওষুধ খেতে পারে। এরপরও সংক্রমণ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* এক্ষেত্রে কোনো ধরনের এন্টি অ্যালার্জিক ও কফ সিরাপ ব্যবহার করা যায়?

** কিছু কফ সিরাপ আছে যা কফ সাপ্রেসেন্ট বা কফ দমিয়ে রাখে। কিছু আছে কফ এক্সপেকটরেন্ট বা কফ বের করে দেয়, কিছু আছে কফ হওয়ার তীব্রতা কমিয়ে দেয়, কিছু আছে সিডেটিভ অর্থাৎ তন্দ্রালুতা সৃষ্টি করে কফ কমায়।

গভীর, তীব্র কফে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শেই ব্যবহার করা ভালো। যদি নাক দিয়ে পানি পড়ে তাহলে ক্লোরোফেনারমিন ম্যালিয়েট, সেট্রিজিন ব্যবহার করা হয়। নাক পরিষ্কারের জন্য নাকের ড্রপ দেওয়া হয়। ছোট বাচ্চাদের কুসুম গরম পানি দিয়ে নরমাল স্যালাইন ড্রপ দেওয়া ভালো। বাচ্চার বুক পরীক্ষা করে এন্টি হিস্টামিন দেওয়া ভালো।

* অনেক শিশু দীর্ঘমেয়াদে খুসখুসে কাশিতে ভুগে। এক্ষেত্রে করণীয় কী?

** এটি সাধারণত অ্যালার্জিক কফ। ডাস্ট ও কোল্ড অ্যালার্জি এবং ঘাম থেকে হয়। তাই ঘাম যেন না হয় এবং ধুলাবালি ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি বুকে স্পাজম বা ঘরঘর শাঁই শাঁই আওয়াজ থাকে তাহলে নেবুলাইজেশন, ইনহেলার দেওয়া হয়। ছোট বাচ্চাদের স্পেসারের মাধ্যমে নেবুলাইজেশন দেওয়া হয়। বড় বাচ্চাদের ইনহেলার ব্যবহার করতে বলি। তবে দীর্ঘমেয়াদি কাশির কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন, ব্রঙ্কিয়েকটেসিস, যক্ষ্মা কিংবা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও এ সমস্যা হতে পারে।

* শ্বাসতন্ত্রের রোগে ভুগে এমন শিশুদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কেন?

** নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া ও হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দিলে শিশুর কিছু উপকার হয়। প্রতি বছর নভেম্বরে ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়া হয়।

* শীতে শিশুদের ডায়রিয়া বা পেটে ব্যথার সমস্যা হলে কী করবে?

** ২ বছরের নিচের বাচ্চারা রোটা ভাইরাস ডায়রিয়ায় ভোগে। এডেনোভাইরাস বা অন্যান্য ভাইরাস দিয়েও শীতকালীন ডায়রিয়া হয়। এ জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন খেতে হয়। ১ বছরের নিচের বাচ্চাদের লো অসমোলার ওরস্যালাইন বা নিওস্যালাইন দেওয়া ভালো। ১ বছরের বেশি বাচ্চাদের রাইস স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে। ডায়রিয়া হলেও বাচ্চারা বুকের দুধ খাবে। জিঙ্ক ওষুধ খেতে পারে। সঙ্গে ফলিক এসিডও দেওয়া হয়। এ ডায়রিয়া সাত দিনে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। ৭ দিনের বেশি ডায়রিয়া থাকলে সে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম আছে বলে ধরা হয়।

* শ্বাসতন্ত্রের ও পেটের এই সমস্যায় কখন অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়?

** ঠান্ডার সঙ্গে যদি প্রচণ্ড জ্বর, শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বৃদ্ধি ও সঙ্গে নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো যদি দেখা যায় এবং সর্দি যদি ঘন হয়ে পুঁজের মতো হয় ও সাদা রং পরিবর্তিত হয় তখন এন্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তিন দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি বাড়লেও এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়।

হঠাৎ করে পানির মতো পাতলা পায়খানা সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়। এছাড়াও পেট খারাপ জিয়ারডিয়াসিস ও কলেরার জন্য হয়। শীতে কলেরা কম হয়। এছাড়া ইয়ারসিনিয়া এন্টারেকোলিটিকায় পেট খারাপ হয়। ইনভেসিভ ডায়রিয়া অর্থাৎ পায়খানার সঙ্গে রক্ত ও আম যাওয়া, পেটে প্রচণ্ড মোচড় দিয়ে ব্যথা হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মনে করে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

* এখন শিশুদের ডেঙ্গির ও কোভিডের সংক্রমণ কেমন হচ্ছে?

** কোভিড এখন বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। ডেঙ্গির তীব্রতা ও সংক্রমণও কমের দিকে। ডিসেম্বরে যেহেতু বৃষ্টি হয় না তাই ডেঙ্গির পরিমাণও কমে যাবে। বাচ্চা কিছুই খেতে পারছে না, প্রচুর বমি হচ্ছে, হঠাৎ বাচ্চা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, রক্তচাপ ও পালস প্রেসার কমে যাচ্ছে, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হলে, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, হার্টের গতি বেড়ে গেলে, খিঁচুনি হলেও অতি দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে এবং ডেঙ্গিজ্বর হয়েছে কিনা দেখতে হবে। কোনো শিশুকে স্বাভাবিক দেখাচ্ছে কিন্তু তার পালস প্রেসার কমে যাচ্ছে তাহলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন।

* শিশুর ত্বকের যত্নে কী করা যায়?

** গোসল করানোর আগে হালকা রোদে কিছুক্ষণ রেখে ওয়েল ইমালশন লাগিয়ে গোসল করানোর পর লোশন দেওয়া যায়। যে শিশুর ত্বক অতি সংবেদনশীল ও অ্যালার্জিক তাদের এন্টি অ্যালার্জিক লোশন দেওয়া হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকালে প্রচুর পানি, তরল, শাক-সবজি ও ফল খেলে ও মেডিকেটেড ময়েশ্চারাইজার লাগালে উপকার মেলে।

সাক্ষাৎকার নেন ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম




কমলনগর ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল সম্পাদক হারুন

কমলনগর(ল²ীপুর)প্রতিনিধিঃ ল²ীপুরের কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের ১ বছরের জন্য নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে ল²ীপুর জেলা ছাত্রলীগ।

গত সোমবার ৫ ডিসেম্বর নুর উদ্দিন চৌধুরী রুবেল’কে সভাপতি ও হারুনুর রশিদ’কে সাধারণ সম্পাদক করে ল²ীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভ’ইয়া স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এর আগে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১৭ অক্টোবর সাবেক কমিটি স্থগিত করে এবং ১৪ নভেম্বর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে জেলা ছাত্রলীগ।

নতুন কমিটির সহ-সভাপতি তানজুর রহমান রুবেল, প্রিন্স মাহমুদ আরাফাত, মাহবুর আলম শিপুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল শামস, আরাফাত সানি, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম অনিক, সাহেদুজ্জামান নাঈমসহ ৯ সদস্যর এই নতুন নেত্রীত্বে কমলনগর উপজলো ছাত্রলীগ সু-সংগঠিত হবে বলে তৃনমুল ছাত্রলীগের দাবি।




জেনে নিন, কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি ?

পর্তুগাল-সুইজারল্যান্ড লড়াই দিয়ে শেষ হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াই। গ্রুপ পর্বে নানা অঘটন ঘটলেও, দ্বিতীয় রাউন্ডে এসে তেমন কোনো অঘটনের দেখা পায়নি ফুটবল বিশ্ব। তবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ী স্পেনকে হারিয়ে মরক্কোর জয় বাড়তি আমেজ জাগিয়েছে দর্শকদের মাঝে।

সদ্য সমাপ্ত দ্বিতীয় রাউন্ডের লড়াই শেষে এবার শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল যুদ্ধ। যার প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া। ৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শেষ আটের দলগুলোর লড়াইয়ের সময়সূচি:

কোয়ার্টার ফাইনালের সময়সূচি

প্রথম ম্যাচ

৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার (ব্রাজিল : ক্রোয়েশিয়া)

রাত ৯টা, এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, আল রাইয়ান

দ্বিতীয় ম্যাচ

৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার (নেদারল্যান্ডস : আর্জেন্টিনা)

দিবাগত রাত ১টা, লুসাইল স্টেডিয়াম, লুসাইল

তৃতীয় ম্যাচ

১০ ডিসেম্বর, শনিবার (পর্তুগাল : মরক্কো)

রাত ৯টা, আল থুমামা স্টেডিয়াম, দোহা

চতুর্থ ম্যাচ

১০ ডিসেম্বর, শনিবার (ফ্রান্স : ইংল্যান্ড)

দিবাগত রাত ১টা, আল বাইত স্টেডিয়াম, আল খোর




সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে দুপুরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

অসম্ভব সমীকরণকে সম্ভব করে প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ। এবার লক্ষ্যটা সিরিজ জয়ের। ঘরের মাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হাতছানি সাকিব-লিটনদের সামনে।

বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে এই দুই দল। মিরপুরের উইকেট ব্যাটিং নির্ভর হলেও এখানে স্পিনাররা সবসময় বাড়তি সাহায্য পেয়ে থাকেন। সেই কথা মাথায় রেখে দুই দলের কাছেই স্পিন বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।

তাই আজকের ম্যাচে টসজয়ী দলের অধিনায়ক প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাতে পারেন।




বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ: ১০৪৯ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪ লাখের বেশি

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়ছে বিশ্ব। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছেন। কোটি কোটি মানুষ এখনও এ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত। বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাব কমেছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। যদিও মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। তবে অনেক দেশই এখনও করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত।

বুধবার সকালে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস। ওই সকল তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষের।

একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৭ হাজার।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, জাপান, ফ্রান্স ও মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৪৯ হাজার।




বাবার হাত ধরেই বলেউডে অভিষেক হচ্ছে আরিয়ানের

গুঞ্জনই সত‍্যি হল। বলিউডে অভিষেক হচ্ছে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের। তবে অভিনয় নয়, জল্পনা অনুযায়ী পরিচালনায় হাত পাকাতে পাকাবেন তিনি। প্রযোজক হিসেবে থাকবে তার বাবার রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন আরিয়ান। খাতা কলমের পাশে রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্টের একটি ক্ল‍্যাপস্টিক রাখা। ক‍্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘লেখা শেষ। অ্যাকশন বলার জন‍্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’ ছেলের পোস্টে কমেন্ট করেছেন বাবা শাহরুখ। লিখেছেন, ‘প্রথমটার জন‍্য অনেক শুভেচ্ছা। প্রথমটা সবসময় স্পেশাল হয়। খুব ভোরে যেন শুট ফেলো না। বরং বিকেলের দিকে শুট টাইম রাখলে ভালো হয়।’ উত্তরে আরিয়ান লিখেছেন, ‘অবশ‍্যই, রাতেই শুট রাখা হবে।’

ছেলের গর্বে গর্বিত মা গৌরি খানও। তবে আরিয়ানের পরিচালনায় শাহরুখ অভিনয় করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, খান পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নামজাদা প্রযোজক-পরিচালক করণ জোহর নাকি আরিয়ানকে বলিউডে লঞ্চ করার কথা ভেবেছিলেন। প্রস্তাবও দিয়েছিলেন স্টার কিডকে। কিন্তু রাজি হননি আরিয়ান। করণের মুখের ওপরেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।’

শুধু করণ নন, পরিচালক জোয়া আখতারও নাকি আরিয়ানকে চেয়েছিলেন নিজের ছবিতে অভিষেক করানোর জন‍্য। আসন্ন ছবি ‘দ‍্য আর্চিস’-এ আরিয়ানকে লঞ্চ করতে চেয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু শাহরুখপুত্র ফিরিয়ে দেন সেই প্রস্তাবও। ইতিমধ‍্যে অবশ‍্য একটি ব্র‍্যান্ডের হয়ে ফটোশুট করতে দেখা গিয়েছে আরিয়ানকে। ছেলেকে দেখে মুগ্ধ হয়ে কমেন্টও করেছিলেন শাহরুখ। নেটিজেনরা বলেছিলেন, বাবার মতো ছেলে।




রেডমি নোট ১২:২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ফোন

আন্তর্জাতিক বাজারে এলো শাওমির রেডমি সিরিজের নতুন ফোন। নয়া এই ফোনের মডেল রেডমি নোট ১২ প্রো প্লাস।

রেডমি নোট ১২ সিরিজ চীনে লঞ্চ হয়েছে অক্টোবর মাসে। এই সিরিজের ফোন এবার অন্যান্য দেশের বাজারেও বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে শাওমি।

রেডমি নোট ১২ সিরিজের টপ এন্ড ভ্যারিয়েন্ট রেডমি নোট ১২ প্রো প্লাস।

রেডমি নোট ১২ প্রো প্লাস ফোন ২০০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি রেয়ার ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। শাওমি ১২ প্রো প্লাস ফোনে হাই স্পিডের চার্জিং সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অবিশ্বাস্য কম সময়ে অনেকটা চার্জ হবে এই ফোনে।




আল্লাহর সবচেয়ে পছন্দের দুই বাক্য

ছোট কিংবা বড় প্রত্যেকটি নেক আমলই মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোনো আমল ছোট বলে অবহেলা বা উপেক্ষা করা সমীচীন নয়। কেননা ইখলাসের সঙ্গে করা ছোট আমলও এনে দিতে পারে বড় প্রাপ্তি। কেয়ামতের দিন ওই ছোট আমলটিই হয়ে যেতে পারে নাজাতের ওসিলা। তাই আল্লাহর পছন্দনীয় আমল ও জিকির যতই ছোট হোকনা কেন, তার প্রতি অবহেলা নয়, বরং গুরুত্ব দিয়ে করাই হবে প্রকৃত মুমিনের কাজ।

হাদিসে মহান আল্লাহর এমন দুটি পছন্দনীয় আমলের উল্লেখ রয়েছে, যা নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তাআলার কাছে বড় বিনিময় আশা করা যায়। সেগুলো হলো—

১) ওজনে সবচেয়ে ভারী কালেমা
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, ‘দুইটি বাক্য এমন রয়েছে— যা বলা সহজ ও আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো- سُبْحانَ اللَّهِ وبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللَّهِ العَظِيمِ ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ অর্থ: ‘মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।’ (বুখারি: ৬৪০৬)

২) যে জিকিরে জান্নাতে খেজুরগাছ রোপণ হয়
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়’ (তিরমিজি: ৩৪৬৪)। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক জয়িফ হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ১০০০ বার এই জিকির পাঠ করবে সে ওই দিনের জন্য আল্লাহর নিকট থেকে নিজেকে কিনে নিল। দিনের শেষ পর্যন্ত সে (জাহান্নাম থেকে) মুক্তি লাভ করল।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ১০/১১৩, ১১৪)

অতএব উল্লেখিত জিকির দুটি আমরা বেশি বেশি করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। মনে রাখতে হবে, জিকির যেকোনো জায়গায় ও যেকোনো মুহূর্তে করা যায়। এতে তেমন কোনো সময়ক্ষেপণ হয় না। কাজ-কর্মেও কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় না।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উল্লেখিত মর্যাদাপূর্ণ ও বিশেষ ফজিলতপূর্ণ দুই বাক্য বেশি বেশি পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।