সংসারে শান্তি বজায় রাখার আমল

শয়তানের প্ররোচনাতেই মূলত সংসারের শান্তি দূর হয়। ঘরে লেগে থাকে অশান্তি ও কলহ-বিবাদ। শয়তানের কাছে পবিত্র সম্পর্ক নষ্ট করার চেয়ে বড় খুশির খবর নেই। তেমনই এক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘শয়তান পানির ওপর তার সিংহাসন স্থাপন করে, তারপর (পুরো বিশ্বে) তার বাহিনী পাঠিয়ে দেয়। আর (ওই শয়তান সদস্য) তার সবচেয়ে বেশি নৈকট্যপ্রাপ্ত, যে (মানুষের মাঝে) সবচেয়ে বেশি ফেতনা সৃষ্টি করে। শয়তান সিংহাসনে বসে সবার ঘটানো ফেতনার বর্ণনা শোনে। একজন এসে বলে আমি অমুক কাজ করেছি, শয়তান বলে তুমি তেমন কোনো কাজ করোনি। এভাবে শয়তান তার পাঠানো অন্যদের (শয়তান সদস্যদের) মন্দ কাজের বিবরণ শুনতে থাকে। অতঃপর একজন এসে বলে- ‘আমি অমুকের সঙ্গে ধোঁকার আচরণ করেছি, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। এ (ফেতনার) কথা শুনে শয়তান তাকে তার কাছাকাছি (বুকে) টেনে নেয়। আর বলে- তুমিই বড় কাজ করেছ। হাদিস বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, অতঃপর শয়তান তাকে তার বুকের সঙ্গে জড়িয়ে নেয়।’ (মুসলিম: ৭২৮৪; আহমদ: ১৪৩৭৭)

অতএব সংসারে শান্তি বজায় রাখতে হলে শয়তানের ধোঁকা-প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আর শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচতে কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী আমল ও দোয়ার বিকল্প নেই। এ বিষয়ে যেসব দোয়া ও আমল করা জরুরি তা হলো-

১) ঘরে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া: বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করতেই সালামের পর সুন্নতের দিকনির্দেশনা মোতাবেক এ দোয়া পড়া- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাল মাউলিজি, ওয়া খাইরাল মাখরাজি; বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা; ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আগমন ও প্রস্থানের কল্যাণ চাই। আপনার নামে আমি প্রবেশ করি ও বের হই এবং আমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করি।’ (আবু দাউদ: ৫০৯৬)

২) পরিবারে সালামের প্রচলন করা: পরিবারের কোনো সদস্য বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করতেই ঘরে অবস্থানরত পরিবারের অন্য লোকদের সালাম দেওয়ার প্রচলন চালু করা। এটি কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশ। আর এতেই রয়েছে কল্যাণ। আল্লাহ তাআলার নির্দেশ-
فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُون ‘যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম করবে অভিবাদন স্বরূপ যা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র। (সুরা নূর: ৬১)। রাসুলুল্লাহ (স.)আনাস (রা.)-কে বলেন, ‘হে বৎস, যখন তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরবে, তখন তাদের সালাম দেবে। এটা তোমার ও তোমার ঘরবাসীর জন্য বরকতের কারণ হবে।’ (তিরমিজি: ২৬৯৮)

৩) খাবারগ্রহণের আগে-পরে দোয়া পড়া: খাবার গ্রহণের আগে পরে দোয়া পাঠ করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে খাবারে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, সে খাবারে শয়তানের অংশ থাকে। সেই খাবার মানুষের সঙ্গে শয়তানও ভক্ষণ করে।’ (মুসলিম: ৫৩৭৬) তাই খাওয়া বিসমিল্লাহ বলে ডান হাত দিয়ে শুরু করতে হবে। অতঃপর এই দোয়াটি পড়া- اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَ اَطْعِمْنَا خَيْراً مِّنْهُ ‘আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা- ফী-হি ওয়া আত্বইমনা খাইরাম্ মিনহু।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো উত্তম খাদ্য দিন’। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মেশকাত: ৪২৮৩)

খাবারগ্রহণ শেষে এই দোয়া পড়া—الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়া সাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন।’ (আবু দাউদ: ৩৮৫০)

৪) সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা: রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘সবকিছুরই একটি চুড়া থাকে আর কোরআনের চুড়া হল সুরা আল-বাকারা। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যে বাড়িতে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সে বাড়িতে শয়তান প্রবেশ করে না।’ (তিরমিজি: ২৮৭৭)

৫) অশ্লীল বিনোদন থেকে পরিবারকে মুক্ত রাখা: ঘর ও পরিবার-পরিজনকে গান-বাজনা এবং গান-বাজনার সরঞ্জাম থেকে মুক্ত রাখা শান্তির অন্যতম উৎস। কেননা গান-বাজনা হলো শয়তানের আওয়াজ। শয়তানের উদ্দেশে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ বলেন চলে যা, অতঃপর তাদের মধ্য থেকে যে তোর অনুগামী হবে, জাহান্নামই হবে তাদের সবার শাস্তি-ভরপুর শাস্তি। তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ (বাদ্য-বাজনা) দ্বারা, স্বীয় অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ কর, তাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে শরিক হয়ে যা এবং তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দে। ছলনা ছাড়া শয়তান তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয় না।’ (সুরা বনি ইসরাঈল: ৬৩-৬৪)

আরও পড়ুন: জাহান্নামের আগুন থেকে পরিবারকে বাঁচাবেন যেভাবে

আল্লাহর জিকির যেমন শয়তানকে দূরে রাখে তেমনিভাবে গান এবং বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ রহমতের ফেরেশতাগণকে দূরে রাখে। আর ঘর থেকে যখন ফেরেশতা বের হয়ে যায়, তখন সেখানে শয়তান তার রাজত্ব কায়েম করে। এভাবে সংসার থেকে শান্তি দূর হয়ে যায়।

৬) ঘরে কুকুরের প্রবেশ থেকে সাবধান থাকা: ঘরকে কুকুরের প্রবেশ থেকে হেফাজত করা। হাদিসে এসেছে- ‘যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।’ (নাসায়ি: ৫৩৪৭-সহিহ)

৭) ঘরে ছবি ও জীব-জন্তুর মূর্তি না থাকা: ছবি এবং বিভিন্ন জীব জন্তুর মূর্তি থেকে ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখা। হাদিসে এসেছে- ‘যে ঘরে মূর্তি বা ছবি থাকে সেখানে ফেরেশতা প্রবেশ করে না’ (মুসলিম)। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেয়ামতের দিনে ছবি বা মূর্তি নির্মাতাদের সর্বাধিক কঠিন শাস্তি হবে।’ (বুখারি: ৫৯৫০, মুসলিম: ২১০৯)

অতএব মুসলমানের উচিত হবে ঘরে অবস্থানকালীন সময়ে কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মেনে চলা। সুন্নতের পুরোপুরি অনুসরণ ও অনুকরণ করা। তাতে শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ঘরে ফিরে আসবে শান্তি ও নিরাপত্তা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।




গুগল-ক্রোমে যে পরিবর্তন করলেই বাড়বে ফোনের স্পিড ও ব্যাকআপ

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজার গুগল ক্রোম। সম্প্রতি এই ব্রাউজারে এসেছে নতুন আপডেট। এই আপডেট ইনস্টল করলেই মিলবে দুটি দারুণ সুবিধা। একদিকে বাড়বে ডিভাইসের স্পিড। অন্যদিকে বাড়বে ব্যাটারি লাইফ।

শিগগিরই ব্যবহারকারীদের ফোনে নতুন এই আপডেট পাঠাতে শুরু করবে গুগল। সুবিধাটি পাবেন উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, ক্রোম ওএস গ্রাহকরা। নতুন আপডেট ইনস্টল করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ২০ শতাংশের নিচে গেলে গুগল ক্রোম নিজে থেকেই পাওয়ার সেভিং মোডে চলে যাবে। ফলে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়বে। সেভিং মোড ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাকটিভিটি লিমিট করবে। একই সঙ্গে কমাবে ওয়েবসাইটের ভিজুয়াল অ্যাকটিভিটিও।

এই আপডেট ইনস্টল করার পরে ওপরের ডান কোণায় একটি পাতার আইকন দেখা যাবে। যার মাধ্যমে যেকোনো সময় এনার্জি সেভিং মোড এনেবেল বা চালু করা যাবে। আর ফোনের ব্যাটারি যদি ২০ শতাংশের নিচে নামে, তবে এই মোড নিজে থেকেই এনেবেল হয়ে যাবে। নতুন আপডেট ইনস্টলের পরে ক্রোমে অ্যাকটিভ হবে মেমোরি সেভিং মোড। যেসব ব্যবহারকারী একই সঙ্গে অনেক ট্যাব ওপেন করে কাজ করেন তাদের কাজ আরও সহজ করবে এই ফিচার। এটি ইনস্টলের ফলে ল্যাপটপ ও মোবাইল ৩০ শতাংশ ফাস্ট চলবে। বাড়বে ব্রাউজিং স্পিডও।

কীভাবে নিজের ডিভাইসে এই আপডেট ইনস্টল করবেন?

প্রথমে গুগল ক্রোম ব্রাউজার ইনস্টল করুন। এবার ওপরের ডান কোণায় থাকা থ্রি ডট মেনু সিলেক্ট করুন।
এখান থেকে ‘হেল্প’ অপশন সিলেক্ট করে ‘অ্যাবাউট গুগল ক্রোম’ অপশনে যান। এবার ‘গুগল ক্রোম আপডেট’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

কোনো আপডেট পেন্ডিং না থাকলে এখানে ‘ইউর গুগল ক্রোম ইজ আপডেটেড’ লেখা দেখাবে। নাহয় এখানে আপডেট ইনস্টল করার অপশন দেখা যাবে। আপডেট ইনস্টলের পর গুগল ক্রোম ব্রাউজার বন্ধ করে আবার ওপেন করুন। এবার সেটিংসে পারফরম্যান্স সাইড বার দেখতে পারেন।




জয়ের পরামর্শেই দেশ ডিজিটাল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শেই দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগে জয় আমাকে পরামর্শ দিলো; এবার নির্বাচনী-ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিতে হবে। তাই জয়ের পরামর্শেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেই। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে। এছাড়া ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট আর সমাজ হবে স্মার্ট সোসাইটি এমন ঘোষাণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ নিয়ে থাকছে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।




বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেমিফাইনালে হারেনি আর্জেন্টিনা

টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। কিন্তু সেই জয়রথের দৌড়ে বাধা হয়ে দাড়ায় সৌদি আরব। অপরদিকে সেই ম্যাচে লিওনেল মেসিদের হোচটের পরের সৌদি কোচ হার্ভি রেনারে জানিয়েছিলেন, ‘আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব পার করবে এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতবে।’ হয়তো শেষ পর্যন্ত তার কথায় সত্য হতে যাচ্ছে। সেই ভবিষ্যৎ বাণীকে সত্য প্রমাণ করার একদম দ্বারপ্রান্তে আলবিসেলেস্তারা।

আর মাত্র ২টি ম্যাচ পার করতে পারলেই মরুর বুকে সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন মেসি-ডি মারিয়ারা। আপাতত সেমিফাইনাল বাধা টপকাতে হবে স্কালোনিদের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ গত আসরের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া। তবে অতীতের পরিসংখ্যান বলছে ‘সেমিতে কখনো হারেনি আলবিসেলেস্তারা।’ কারণ, সেমিফাইনাল মানেই আর্জেন্টিনা ফেবারিট! অন্তত অতীত পরিসংখ্যান সেই কথা বলে আর্জেন্টাইনদের। কাতার বিশ্বকাপের আগে এ পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে মেসিরা। যার একটিতেও হারের মুখ দেখতে হয়নি তাদের। প্রথমে ১৯৩০ সালের উরুগুয়ে বিশ্বকাপে এরপর ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে ও সর্বশেষ ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রত্যেকটিতে সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। যার কোনটাতেই পরাজয়ের নাম নেই লাতিন আমেরিকার দেশটি।

১৯৩০ উরুগুয়ে বিশ্বকাপ

সেইবার আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল খেলেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। তবে সেই বিশ্বকাপে হট ফেবারিট ছিলেন মার্কিনরা। লড়াইয়ে আগে তারাই ছিল এগিয়ে। কিন্তু সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্র হেরে যায় ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে।

১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপ

এই আসরে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ চারে লড়েছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। তবে ফুটবলের বরপুত্রের অনন্য ফুটবল প্রদর্শনীতে ‘রেড ডেভিলদের’ বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পায় আলবিসেলেস্তারা। সেবার ম্যারাডোনা একাই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ।

১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপ

ইতালি আসরে স্বাগতিক ইতালির বিপক্ষে সেমিফাইনালের পুরো ১২০ মিনিটে ১-১ গোলের ব্যবধানে ড্র করে আর্জেন্টিনা। তবে পেনাল্টি শুট আউটে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও গয়কোচিয়ার অসাধারণ নৈপুন্যে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জয় পায় তারা।

২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ

নেদারল্যান্ডসের সাথের সেমিফাইনালের ১২০ মিনিটই ছিল পুরোপুরি গোলশূন্য। অরেঞ্জদের বিপক্ষে পুরো খেলায় নিজের ছায়াকেই যেন খুঁজে ফিরছিলেন মেসি। তবে গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর নৈপুণে সেদিনের দারুণ সব সেভের পর টাইব্রেকারে ঠেকিয়ে দেন দু-দুটি শট। তাতেই আলবিসেলেস্তাদের জন্য খুলে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালের দরজা। আগামী ১৩ নভেম্বর রাত ১ টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া মহারণ দিয়ে শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ চারের প্রথম লড়াই।




দেশের ফুটবলভক্তদের জন্য ৩০ ফ্লাইট চালু করছে মরক্কো

কাতার বিশ্বকাপের বিস্ময় মরক্কো। গত শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে ইয়াসিন বোনের দল।

এরই সঙ্গে বিশ্বকাপে আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিতের গৌরব অর্জন করল দলটি।তবে মরক্কোর স্বপ্ন আরও বড়। ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর তারা। আর দলের স্বপ্নে সঙ্গী হতে কাতারে যোগ দিতে চান বহু মরক্কান।

নিজ দেশের ম্যাচ সরাসরি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করতে চান তারা। দলের ১১ তারকাকে দিতে চান উৎসাহ ও সমর্থন। আর সেজন্য অতিরিক্ত ৩০টি বিশেষ ফ্লাইট চালু করছে মরক্কোর সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা রয়েল এয়ার মারোক। যাতে সেমিফাইনাল পর্বে নিজেদের দেশের প্রথম ম্যাচ যেন মরক্কোর ফুটবলভক্তরা মাঠে গিয়ে সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।

সোমবার এক বিবৃতিতে রয়েল এয়ার মারোক জানিয়েছে, আগামী মঙ্গল ও বুধবার দোহার উদ্দেশে মরক্কোর বাণিজ্যিক রাজধানী ক্যাসাব্লাঙ্কা থেকে এসব ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। সেমিফাইনালে আগামী বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপক্ষে নামবে মরক্কো। তার আগেই দোহায় পৌঁছে যাবেন ‘মারোকরা’। মরক্কোর জনগণরা ‘মারোক’ নামে পরিচিত।

কাতার বিশ্বকাপে চমকের পর চমক দেখিয়ে যাচ্ছে মরক্কো দলটি। উত্তর আফ্রিকার এই দেশের রক্ষণ সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছে। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মরক্কোর জালে প্রতিপক্ষ কোনো বল জড়াতে পারেনি। একটি গোল হয়েছে অবশ্য, তবে সেটা আত্মঘাতী।




ডায়াবেটিস থাকলে কাজ করুন দাঁড়িয়ে!

ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণে তাই প্রয়োজন নিয়ম মেনে জীবন-যাপন।

হিসাব করে ক্যালোরি গ্রহণ ও খরচ। এক সমীক্ষা বলছে, যারা সারা দিন বসে কাজ করেন, তাদের শরীরের ক্যালোরি বেশি জমা থাকে। অন্যদিকে যারা অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের ১০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খরচ হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেহের শক্তি বাড়ানোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করা উচিত। অতিরিক্ত বসে থাকায় ডায়াবেটিস, ব্যাক পেইনসহ বাড়ছে নানা রোগের ঝুঁকি।

খুব সহজেই টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেন স্পেইনের গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফ্রান্সিস্কো জে আমারো গ্যাহেতে।

তিনি বলেন, এনার্জি ফ্যাটে রূপান্তরিত হওয়া আটকাতে অফিসেও বেশ অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করুন।




সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির লটারির ফল আজ

সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির লক্ষ্যে টেলিটকের কারিগরি সহায়তায় ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রথম দিন বেলা ২টায় সরকারি মাধ্যমিক এবং পর দিন বিকেল ৩টায় বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফল প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। টেলিটক মোবাইল নাম্বার থেকে এসএমএস করে ফলাফল পাওয়া যাবে।

GSA space RESULT space USER ID লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ নাম্বারে।

উদাহরণ GSA RESULT DFSRESGSJD লিখে যেকোনো টেলিটক মোবাইল থেকে পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ নাম্বারে।

অথবা ভিজিট করুন-httpsgsa.teletalk.com.bd




আজ ১২ ডিসেম্বর নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি:

আজ ১২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সম্মিলিত মিত্র ও মুক্তি বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে ১৯৭১-এর এদিনে সমগ্র নরসিংদী অঞ্চল হানাদার মুক্ত হয়।

স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন থানায় শতাধিক খন্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এসব খন্ডযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্মমতার শিকার হয়ে নরসিংদী সদর উপজেলায় ২৭, পলাশে ১১, শিবপুরে ১৩, রায়পুরায় ৩৭, বেলাবতে ১৬ ও মনোহরদী উপজেলায় ১২ জনসহ মোট ১১৬ জন বীর সন্তান শহীদ হন । ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াবহ কালো রাতের পর ৪ এপ্রিল পাকিস্তানীদের বিমান হামলায় নরসিংদী শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। এ হামলায় শহীদ হন আব্দুল হক, নারায়ণ চন্দ্র সাহা, চাঁদ মোহন দাস, জগদীস দাস, নির্মল দাসসহ নাম না জানা আরো অনেকে ।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নরসিংদীর পাঁচদোনা ব্রীজে বিভিন্ন যানবাহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে পাক সেনা ও তাদের দোসর রাজাকাররা নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা করে ব্রীজের নিকট গণকবর দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে এ জেলা ছিল ২নং সেক্টরের অধীনে। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তৎকালীন মেজর জেনারেল সফিউল্লাহ। নরসিংদীকে ৩নং সেক্টরের অধীনে নেওয়া হলে তখন কামান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ নূরুজ্জামান। নরসিংদী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নরসিংদীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব্বোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। সশস্ত্র যুদ্ধে জেলার বিভিন্ন স্থানে শত শত নারী পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে গণকবর দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী।

গণকবরগুলোর বেশিরভাগই চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার এসব সংস্কার করে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছে।
এদিনে বিজয়ী বাংলাদেশের রক্তসূর্য খচিত গাঢ় সবুজ পতাকা উঠেছিল নরসিংদী জেলার সর্বত্র।




চরভদ্রাসনে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২টি পরিবার কে সহায়তা দিলেন প্রশাসন

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের মধু ফকিরের ডাঙ্গী গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২টি পরিবারকে সহায়তা দিয়েছেন প্রশাসন।

রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপার নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খাইরুল ইসলাম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হক টিটু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের হাতে নগদ ৪হাজার টাকা ও ৫টি কম্বল সহায়তা তুলে দেন। রবিবার বিকেলে রান্নাঘরের চুলা থেকে
মধু ফকিরের ডাঙ্গির সাত্তার মোল্লা ও সরোয়ার মোল্লার বসতবাড়ীতে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে দু’টি টিনের ঘর ও ২টি গরু আগুনে পুড়ে যায়।

প্রশাসন খবর পেয়ে রাতেই সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছে ছুটে আসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, এলজিইডি’র উপসহকারী প্রকৌশলী সাগর হোসেন, জাইকা প্রতিনিধি আব্দুস সামাদ, উক্ত ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুর রব মিয়া প্রমুখ।




বানিয়াচংয়ে স্কুলের বেঞ্চেই চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য

জুয়েল রহমান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
বানিয়াচংয়ের ৬নং কাগাপাশায় স্কুলের বেঞ্চ নিজের বাসায় নিয়ে রমরমা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শামীম হোসেন।

সোর্স মারফত খবর পাওয়ার পর ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের বাগহাতা শান্তিপুরে অবস্থিত ওই শিক্ষকের কোচিং সেন্টারটি
রবিবার (১১ ডিসেম্বর)সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা ও একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।কোচিং চলাকালীন সময়ের স্থিরচিত্র এবং যাবতীয় প্রমাণাদি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

জানা যায়, একতা উচ্চ বিদ্যালয় হাওড় বাওড় ঘেরা ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের চমকপুর গ্রামে অবস্থিত।২০১০ সালে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর এবং ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভূক্ত হয়।বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ৬০০ জন শিক্ষার্থী
লেখাপড়া করছে।স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই হাওর পাড়ের দরিদ্র পরিবারের সন্তান।কিন্তু চোর শুনেনা ধর্মের কাহিনি। অসহায় দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে মাসোহারার বিনিময়ে কোচিং করতে বাধ্য করছেন ওই বিদ্যালয়েরই সহকারী শিক্ষক (কৃষি)মোঃ শামীম হোসেন।

স্থানীয়রা জানান,প্রায় সাত বছর পূর্বে একতা উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মোঃ শামীম হোসেন।যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্কুলের বেঞ্চ নিজের বাসায় নিয়ে মাসিক অর্থের বিনিময়ে প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস দিচ্ছেন।শুধু তাই নয় সরকার নিষিদ্ধ বিভিন্ন গাইড বই শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করা ও স্কুলে বিভিন্ন কোন্দল সৃষ্টির কারন ওই শিক্ষক।ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়ার দাবী জানান তারা।

এব্যাপারে একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মান্নান চৌকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,স্কুলের একটি পরিত্যাক্ত কক্ষ থেকে বেঞ্চ নিয়ে নিজের বাসায় কোচিং করাচ্ছে সে।খবরটি শুনার পর তাকে বারন করা হয়েছে এবং বেঞ্চগুলো স্কুলে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।এসময় তিনি সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান।

অভিযুক্ত শিক্ষক শামীম হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কয়েকটি বেঞ্চ প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে নিজের বাসায় নিয়েছি।কোচিং বানিজ্যের বিষয়ে মাত্র ৫/৬ জনকে কোচিং পড়াচ্ছি বলে জানান তিনি।

এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওসার শোকরানা বলেন,কোচিং বানিজ্য সরকার নিষিদ্ধ। স্কুলের বেঞ্চ নিজের বাসায় নিয়ে কোচিং বাণিজ্য তার ঠিক হয়নি।বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখবো।