লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. মমিন উল্যার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার মেয়র এম এ তাহের।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন পাঠান।
জেলা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকি, সহ-সভাপতি ছফি উল্যা খাঁন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, জজ আদালতের সহকারী পি পি অ্যাডভোকেট বাবু প্রেমধন মজুমদার, ইউসুফ জালাল কিসমত, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল কাশেম মিজান ও জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের আহবায়ক মাহবুবুর রশিদ চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকগণ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার মানোয়ন্ন এবং ডিজিটাল শিক্ষা সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। শিক্ষকদের চাকুরী জাতয়িকরণের দাবিতে প্রয়াত শিক্ষক নেতা কামরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ শিক্ষক সমতির পতাকা তলে সমবেত হওয়ার আহবান জানানো হয়।




মিয়ারমারে গণহত্যার প্রতিবাদে কমলনগরে বিক্ষোভ

লক্ষ্মীপুরঃ

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তোরাবগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসি।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) আছর নামাজের পর তোরাবগঞ্জ সমাজ কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশটি তোরাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে বাজার প্রদিক্ষণ শেষে বাজারের কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় প্রায় ২ সহ¯্রাধিক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া সিনিয়র মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহীম শামীম, স্থানীয় আশরাফুল উলুম মাদরাসা পরিচালক মাওলানা মানজুরুল হক, তোরাবগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুজ্জাহের ভুইঁয়া, ফরাশগঞ্জ ফয়েজ আম আলীম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মমিন উল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মোঃ হারুন অর রশিদ, আরিফ হোসেন প্রমুখ।

পরে সমাবেশে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য দোয়া ও মুনাজাত করেনতোরাবগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ খতিব মাওলানা মহসিন।




 কমলনগরে টাকা লেনদেনের জের, ধর্ষণের মামলা !

 

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পাওনা টাকা আদায়ে আইনি নোটিশ করায় এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ব্যবসায়ী আবু তাহেরকে (৪২) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। এনিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় লোকজন। প্রতিবাদে তারা করুনানগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিলও করেছে।

এবিষয়ে ঘটনাস্থল চরজাঙ্গালিয়া গ্রাম ও করুনানগর বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী, স্থানীয় লোকজনসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলা হয়। এসময় মামলাটি সম্পূর্ণ সাজানো বলে তারা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ২০মে উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের অঞ্জন চন্দ্র দাস আবু তাহেরের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ধার নেয়। এসময় তিন মাসের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করার কথা বলে নিজের সোনালী ব্যাংক কমলনগর শাখার (হিসাব নম্বর-১০০০১৩১৫৯) একটি চেক দেওয়া হয়। পূর্ব নির্ধারিত ২২ আগস্ট তাহের চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে দেখেন, ওই হিসেবে টাকা নেই। ব্যাংক থেকে চেকটি ফেরত দেওয়া হয়। পরে ২৭ আগস্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজওনার করেন। পরদিন তাহেরের পক্ষে লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবি আব্দুল ওদুদ আইনি নোটিশ পাঠান অঞ্জন চন্দ্র দাসকে। এসময় ৩০ দিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করার জন্য বলা হয়। নচেৎ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অঞ্জন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অঞ্জন চন্দ্র দাসের স্ত্রী (৩৫) বাড়ির পাশে পুকুর ঘাটে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আবু তাহেরসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জন তার মুখ চেপে ধরে। পরে তাহের জোরপূর্বক তার মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় অন্যদের সহযোগীতায় একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। পরে খোঁজাখুজি করে ঘটনাস্থল থেকে তাকে বিবস্ত্র অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর অঞ্জনের ভাই সুদীপ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে কমলনগর থানায় মামলায় দায়ের করেন। এতে আবু তাহেরের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়।

তাহের প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত করুনানগর বাজারের মো. মনিরের মুদি দোকানের সামনে কাঁচামাল বিক্রি করেন। রোববার সাপ্তাহিক বাজার সেখানে। ওইদিন বিকেল থেকে রাত ১১ টায় পর্যন্ত তিনি কেনাবেচা করেছেন। অথচ মামলায় বলা হয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় চরজাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনি ধর্ষণ করেছেন।

 

সরেজমিনে চরজাঙ্গালিয়া গ্রাম ও করুনানগর বাজারের গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাহের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য অঞ্জনকে চাপ দিয়ে আসছে। স্থানীয়দের দিয়ে টাকা উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়েও তিনি ব্যর্থ হন। এজন্য সম্প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণ নাটক সাজানো হয়। আর ঘটনার সময় তাহের বাজারেই ছিলেন। শত-শত লোক তাকে বাজারে দেখেছেন।বাজার থেকে ঘটনাস্থলে যেতে এক-দেড় ঘন্টা সময় লাগবে। পরিকল্পিতভাবে তাবে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাহেরকে গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন বুধবার করুনানগর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

পুলিশ হেফাজতে আবু তাহের সাংবাদিকদের বলেন, পাওনা টাকা চাওয়াই আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে আসতে হয়েছে। আমাকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করার পর থানায় নিয়ে পুলিশ বেদম পিটিয়েছে। এখন হাত-পাসহ পুরো শরীরের ফোলা-জখম রয়েছে। আমি মামলাটির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

মামলার বাদী সুদেব চন্দ্র দাস বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে তাহেরের লেনদেনের ঘটনা সত্য। মিনতি রানী ধষর্ণের কথা বলায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটিকে এখনই ধর্ষণ বলা যাবে না। তবে প্রাথমিকভাবে যৌনাঙ্গে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, প্রতিবেদন হাতে পেলেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিন উদ্দিন বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি তাহেরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষা করানো হয়। পুলিশ হেফাজতে আসামিকে পেটানোর অভিযোগ সঠিক নয়। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না।




আরাকান রাজ্যের সহিংসতার পেছনে কাজ করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী …লক্ষ্মীপুরে ডিআইজি মনির-উজ-জামান

লক্ষ্মীপুর : বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস এম মনির-উজ-জামান বলেন, আরাকান রাজ্যে যে সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে, এর পেছনে কাজ করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পকিস্তানী সেনাবাহিনী এ সহিংসতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে এ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভোমত্ব কিভাবে বিপন্ন করা যায় তার বিরুদ্ধে সে পাকিস্তানের একাত্তরের রাজাকারের শক্তি তারা কিন্তু লেগে আছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ প্রাঙ্গনে আয়োজিত মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডাভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) কাজল কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান ও লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি সৈয়দ জিয়াউল হুদা আপলু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সিভিল সার্জন মোস্তফা খালেদ আহমেদ, র‌্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) শাহ নেওয়াজ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া সমাবেশে সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি, কমলনগর ও চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।




বিধবা মায়ের সংবাদ সম্মেলনে: কমলনগরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মুক্তিযোদ্ধা মো. মহসিনের ছেলে মাহমুদুল হাছান হিরুকে একটি হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যমূলক অভিযুক্ত করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ মামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করেছে পরিবারটি। এ নিয়ে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলনগর প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেবেকা মহসিন জানান, উপজেলার চর জাঙ্গালীয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা স্বামী মো. মহসিন ২০১২ সালে মারা যান। তিনি হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমীর শিক্ষক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর সৎ ভাই (দেবর) মো. ছানা উল্যাহ তহশিলদারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তার স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি দখল করার জন্য ছানা উল্যা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। ২০১৬ সালের ২৯ মে চরলরেন্স এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের পিয়ন মো. মাকসুদ (২৬) নিখোঁজ হয়। ঘটনার ৮দিন পর ছানা উল্যার বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে পুলিশ তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বেলাল হোসেন ওই দিন রাতে অজ্ঞাতনামা ৪-৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারে তার ছেলের নাম ছিল না। পরবর্তীতে ছানা উল্যাসহ একটি কুচক্রি মহল পুলিশকে ম্যানেজ করে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান হিরুকে ৩নম্বর অভিযুক্ত করে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) দাখিল করায়।
তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনার সাথে আমার ছেলে সম্পৃক্ত নয়। আমিও এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার চাই। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জব্দ করা আলামতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জুুডিশিয়াল তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনার উম্মোচন হবে। এজন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

 

 




রামগতির খোকন বাহিনীর প্রধান খোকন গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরের রামগতির খোকন বাহিনীর প্রধান দস্যু খোকনকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়ার কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেনেন্ট বোরহান উদ্দিন অভিযান চালিয়ে ঘাসিয়ার চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এসময় তার কাছ থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি, বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, রামগতির চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি খোকন। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ভোলার তজুমুদ্দিন ও নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও ধর্ষনসহ ১৮-২০টি মামলা রয়েছে।

রামগতির চরগজারিয়া, চর আবদুল্লাহসহ মেঘনা নদীতে খোকন বাহিনী ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে। বিভিন্ন সময়ে তার অস্ত্রধারী বাহিনী রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় থেকে খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে।

 




রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বার্তা জানিয়েছেন।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমারের সঙ্গে একই সুরে রোহিঙ্গা সংকটকে একটি ‘ইসলামী সন্ত্রাসী ইস্যু’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। এখন তার অবস্থানের বড় পরিবর্তন হল। আর এই অবস্থান পরিবর্তনের নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

দিল্লির একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় বাংলাদেশ বেশ বিলম্ব করেছে। দেরিতে হলেও বাংলাদেশ উদ্যোগ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লির অবস্থান পরিবর্তনের কথা জানান।

ঢাকার একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন, সুষমা টেলিফোনে শেখ হাসিনাকে জানান যে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানেই বিশ্বাস করে ভারত। এছাড়াও, বহুপক্ষীয় এবং গোপনীয় বৈঠকেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা বলবে ভারত।

নিউইয়র্ক সফরকালে শেখ হাসিনা ও সুষমা স্বরাজের একই ফ্লাইটে যাওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করেন ঢাকা ও দিল্লির কর্মকর্তারা। তারা আবুধাবি থেকে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একই ফ্লাইটে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জার্নি করে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমেই নামেন সুষমা স্বরাজ। তারপর বিমান থেকে শেখ হাসিনাকে বেরিয়ে আসতে দেখে সবাই নিশ্চিত হন যে, বিমানে তাদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

একাধিক কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করে যে, তাদের মধ্যে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। এ বিষয়ে দু’দেশের করণীয় নানা দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।




মালয়েশিয়ায় গণ-আদালতে সু চি ও সেনাপ্রধানের বিচার শুরু

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধানসহ অন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার একটি আন্তর্জাতিক গণআদালতে বিচার শুরু হয়েছে। শুক্রবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়। কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল অংশ নেয়।
এতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্ট্যাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, অন্যান্য বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং দেশটির বর্তমান বেসামরিক সরকার অভিযুক্ত।

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারের সর্বস্তরে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। ওই শুনানিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকও অংশ নেন।

আজ ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারে মুসলিম নিপীড়ন বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। বিকালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য শেষে বিবাদী পক্ষ বক্তব্য রাখবেন।

বৃহস্পতিবার দিনভর বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা তাদের বক্তব্য পেশ করবেন। আট সদস্যের বিচারক প্যানেলে রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও আইনজীবীরা।

পিপিটি মালয়েশীয় শাখার সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি চন্দ্র মোজাফফর বলেছেন, পাঁচ দিনের অধিবেশনে বিচারকরা প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক, বিশেষজ্ঞ সাক্ষীদের মতামত, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি বিচার বিশ্লেষণ করবেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রায় ঘোষণা হবে। বিচারকদের এ রায় জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও গোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে।




লক্ষ্মীপুরে বাড়ির ছাদে থানকুনি চাষ

সাজ্জাদুর রহমান: থানকুনি পাতার উপকারিতার জুড়ি নেই। এর ব্যবহার আদি আমল থেকেই। রোগ নিরাময়ে এ মহৌষধ এখন তেমন চোখে না পড়লেও একজন স্বাস্থ্য সচেতন শিক্ষক বাড়ির ছাদে শখ করে থানকুনির চাষ করেছেন। বহু রোগ উপশম হওয়া ভেষজ গুণসমৃদ্ধ এ উদ্ভিদ তিনি নিজেও ব্যবহার করেন; অন্যকে দিয়েও সহযোগিতা করেন।

লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম। তিনি শহরের মদিন উল্লাহ হাউজিংয়ের বাড়ির ছাদে টবে সবজি চাষ করেন। বিভিন্ন শাক-সবজির পাশাপাশি থানকুনিও রয়েছে তার আবাদের তালিকায়। মৌসুম ও প্রকৃতির সঙ্গে মিলেয়ে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করলেও সারা বছর থানকুনির চাষ থাকে তার বাড়ির ছাদে।

আমাদের দেশে উদ্ভিদটিকে কমবেশি প্রায় সবার চেনা। আগে গ্রামের রাস্তার পাশে, পরিত্যক্ত জমি ও বাড়ির আঙিনায় ছায়াযুক্ত স্থানে এ উদ্ভিদের দেখা মিলতো। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষি জমি হ্রাসসহ নানা কারণে গ্রাম-গঞ্জে আগের মতো থানকুনি চোখে পড়ে না। শহরে তো এর দেখাই মেলা ভার। বর্তমান নগরজীবনে বাড়ির ছাদে স্কুল শিক্ষকের থানকুনি চাষের উদ্যোগ সত্যিই ব্যতিক্রমী।

টবে থানকুনি চাষ-ছবি-বাংলানিউজসরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির ছাদ যেন একটি সবজি ও ভেষজ উদ্ভিদ বাগান। পুরো ছাদে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির টব। টবে চাষ করা হয়েছে বেগুন, ঢেঁড়শ, মরিচ ও শাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি। এছাড়াও রয়েছে থানকুনি, তুলসী ও মেহেদীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ভেষজ গাছ। বাড়ির ছাদ জুড়ে আছে ১৪/১৫টি থানকুনির টব। এতে গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। কয়েকটি টবে ঢেঁড়স, মরিচ ও বেগুনের সঙ্গে থানকুনি বেড়ে উঠতে দেখা গেছে।

স্কুল শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, শখ করে অবসর সময়ে ছাদে শাকসবজি ও কিছু ভেষজ উদ্ভিদের চাষ করি। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত এসব শাকসবজি পারিবারিক চাহিদা মেটাই।

থানকুনি বিষয়ে তিনি বলেন, অঞ্চলভেদে থানকুনি পাতাকে নানা নামে ডাক‍া হয়। প্রয়োজনে শহরে এটি খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজের ও অন্যের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে গত কয়েক বছর ধরে টবে থানকুনির চাষ করছি।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট নোয়াখালীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মহী উদ্দীন চৌধুরী বলেন, থানকুনির বৈজ্ঞানিক নাম সেনটেলা এসিয়াটিকা। খ্রিস্টপূর্ব ৯০০ থেকে এটি ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ এলাকায় ফল ও সবজি বাগানে ছায়াযুক্ত স্থানে সমন্বিতভাবে কৃষকরা থানকুনি আবাদ করছেন। কৃষকের জন্য এটি বাড়তি লাভ। থানকুনি চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয় না। লাগে না বাড়তি খরচ। প্রয়োজনীয় যত্ন নিলে পাওয়া যায় অর্থ ও সুস্বাস্থ্য।

থানকুনি পাতায় রয়েছে ওষুধি গুণ। থানকুনি পাতা সব ধরনের পেটের রোগের মহৌষধ। এর ভেষজ গুণাবলি ছাড়াও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করা যায়। অনেকেই ভাতের সঙ্গে থানকুনি পাতার ভর্তা ও সালাদ খান। কেউ-কেউ শাক হিসেবেও রান্না করেন। মুখে ঘা, ক্ষত, সর্দির জন্য উপকারী।

আলসার, বাতের ব্যাথা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্য চর্মরোগ মুক্তিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিয়মিত থানকুনির রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুর্নগঠনেও সাহায্য করে।

বাংলানিউজ সংগৃহীত




কমলনগরে ১০ জুয়াড়ির জরিমানা

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ১০ জুয়াড়ির জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা তাদের প্রত্যেকের ৫০০ টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর উভুতি গ্রামের সফিক উল্লার ছেলে নুরু ইসলাম (২৮), কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার ওসমান আলীর ছেলে মো. খোকন (২২), একই এলাকার মফিজ উল্লার ছেলে আব্বাস উদ্দিন (৪০), সাহাব উদ্দিনের ছেলে মঈন উদ্দিন (৩২), শাহ আলমের ছেলে সাদ্দাম (১৯), চর লরেন্স এলাকার হানিফের ছেলে মাইন উদ্দিন (২৬), একই এলাকার নুরুল হুদার ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৫), রমজান আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন (২৩), মফিজুল হকের ছেলে মো. নিজাম (২৮) ও চর মার্টিন এলাকার ছেলে মো. মোস্তফা (২৮)।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তোরাবগঞ্জ বাজারের একটি দোকান ঘর থেকে জুয়া খেলার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে তাদের প্রত্যেকের ৫০০ টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।