ঢাবির বাংলা বিভাগের হিজাব নোটিস ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের এক নোটিসে বিভাগের সব প্রেজেন্টেশন, টিউটোরিয়াল, মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং ভাইভায় কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নির্দেশনার নোটিসটি ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আযহারী সংবাদমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান।

বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, বাংলা বিভাগের নোটিসটি ছিল ধর্মীয় স্বাধীনতার চূড়ান্ত পরিপন্থী। নোটিসটির বিরুদ্ধে ঢাবির ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। চূড়ান্ত মীমাংসার জন্য তারা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট উক্ত নোটিসটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। চেম্বার জজ আদালতও এ স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে আপিল বেঞ্চ সেই স্থগিতাদেশ বাতিল করে দুই মাসের মধ্যে রিটটি নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন। বর্তমানে রিট নিষ্পত্তির শুনানি চলমান রয়েছে।

হেফাজত নেতারা ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়ে অভিযোগ করে বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার হলো এই স্থগিতাদেশ বাতিল করাকে পুঁজি করে ঢাবির সর্বশেষ পরীক্ষাগুলোতে বিভিন্ন বিভাগে হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জঘন্য আচরণ করা হয়েছে। বাংলা বিভাগের মেয়েদের ওই নোটিস মানতে বাধ্য করা হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) চূড়ান্ত পরীক্ষার ভাইভায় অনেককে পুরো সময় মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। কয়েকজন মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন, কারও কারও ভাইভা নেওয়া হয়নি। অন্যান্য বিভাগের ব্যাপারেও অনুরূপ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা আশা করছি, হিজাব-নিকাবের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে পবিত্র কুরআন, হাদীস এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন রেখেই আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে শিক্ষাঙ্গন থেকে মুসলিম নারীরা ঝরে পড়ার সর্বোচ্চ আশংকা রয়েছে। এতে করে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে পড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

হেফাজতে ইসলামের নেতারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় নারী কর্মচারী কিংবা নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে আলাদা কক্ষে পরিচয় শনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দ্রুততম সময়ে সব অনুষদের সব বিভাগে হিজাব-নিকাব পরিধানকারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা বন্ধে নোটিস প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে ক্লাসরুমে, ভাইভা বোর্ডে অথবা পরীক্ষার হলে নিকাব খুলতে বাধ্য করার মতো ঘটনাগুলো তদন্তপূর্বক বিচারের আওতায় আনতে হবে। হিজাব বা নিকাব পরিধান সংক্রান্ত ঘটনায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় ফিরিয়ে এনে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত জনতা মেনে নেবে না।




কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক, জেমকন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাজী শাহেদ আহমেদ।

কাজী শাহেদ আহমেদের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ যশোর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন ও অনলাইর পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক। কাজী শাহেদ আহমেদের ছোট ছেলে ইনাম আহমেদ জেমকন গ্রুপের পরিচালক।




জাতীয় অনুষ্ঠানে নজরুল ইসলামের গান বাজানো হয় না, আক্ষেপ নাতনির

জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলোতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান বাজানো হয় না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কবির নাতনি খিলখিল কাজী।

তিনি বলেছেন, দেশের যে কোনো সংকট মুহূর্তে কাজী নজরুল ইসলামের গান আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। অথচ জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলোতে তার গান বাজানো হয় না। ‘চল চল চল’ গানটা জাতির পিতা রণসংগীত করেছিলেন। সেই গানটাও এখন সেভাবে গাওয়া হয় না। ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার হে’ গানটি জাতীয় পর্যায়ে ব্যবহার করা দরকার। এটা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গান।

কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে ফুল দিতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

খিলখিল কাজী বলেন, নজরুলের রচনাগুলো আজ পর্যন্ত অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তার অজস্র সৃষ্টি আমাদের বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তিনি যখনই ঢাকায় আসতেন বর্ধমান হাউজে উঠতেন। বর্ধমান হাউজটা কিন্তু সংরক্ষণ করা হয়নি। তার ব্যবহৃত কক্ষটি সংরক্ষণ করে কবির যাবতীয় জিনিস গুছিয়ে রাখা উচিত।

এদিন কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শোভাযাত্রা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম চিরদিনই আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক। আমাদের সংকটে, সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে তিনি অফুরান এক প্রেরণার উৎস। তিনি চিরদিন বাঙালির জীবনে বেঁচে থাকবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাস শেষ হয়নি। এই আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জন্য ট্র্যাজেডির মাস। এ মাসে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, কাজী নজরুল ইসলামকেও হারিয়েছি। কাজী নজরুল ইসলাম সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা, গানে, চেতনায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা এখনও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছি। সাম্প্রদায়িকতা এখনও আমাদের স্বাধীন দেশের অগ্রগতির পথে অন্তরায় রয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ সমূলে তুলে ফেলতে আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা যখন মিছিল, স্লোগান দেই বা কারাগারে যাই তখন কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের প্রেরণা জোগায়। এই মহান জাতীয় কবির আজকে প্রয়াণ দিবস। এ দিনে আমরা তাকে গভীরভাবে স্মরণ করি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের এক দুঃসময় এবং দুঃশাসনের মধ্যে আমরা বাস করছি। আজকে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বন্দি, তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না। শুধু গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি। একটি স্বাধীন দেশ তো এমন হওয়ার কথা ছিল না। এই দুঃসময় অতিক্রম করার জন্য, ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান আমাদের প্রেরণা জোগায়। আমাদের উদ্দীপ্ত করে, উজ্জীবিত করে।

এ ছাড়া কবির সমাধিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়।




মন্ত্রিপরিষদের কাগজ ছিল, সাইফার নয়

পাকিস্তানের কুখ্যাত অ্যাটক কারাগারে আটক আছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান। সেখানেই তাঁকে নিখোঁজ সাইফার মামলা নিয়ে এক ঘণ্টা ধরে একের পর এক প্রশ্ন করে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সাইবার ক্রাইম সার্কেলের তিন সদস্যের টিম। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপপরিচালক আয়াজ খান। গভীর ধৈর্যের সঙ্গে তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ইমরান। 

গত বছর জনসমাবেশে গোপনীয় একটি ডকুমেন্ট (সাইফার) প্রদর্শন করেছিলেন ইমরান। সে বিষয়ে কারাগারে ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানিয়েছেন কোনো সাইফার প্রদর্শন করেননি। তা ছাড়া সেটা কোথায় রেখেছেন তাও তিনি ভুলে গেছেন। 

তিনি বলেন, ওই জনসমাবেশে আমি যে কাগজটি প্রদর্শন করেছিলাম, তা ছিল মন্ত্রিপরিষদের কাগজ। কোনো সাইফার ছিল না।

ইমরান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখার অধিকার তাঁর ছিল। কেন তিনি তা জনসমাবেশে প্রদর্শন করেছেন তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

এটা ছিল সাইফার-বিষয়ক ইস্যুতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের শেষ পর্যায়। এর পরই তদন্তকারীরা একটি সিদ্ধান্তে যাবেন। এ নিয়ে যে মামলা আছে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তদন্ত রিপোর্ট আগামী সপ্তাহের মধ্যে আসতে পারে।

এদিকে তাঁর জামিনের নবম আবেদন ইসলামাবাদ হাইকোর্টে প্রত্যাখ্যান হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছেন শনিবার। আইনজীবী সালমান সফদারের মাধ্যমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে নবম জামিন আবেদন করেন তিনি।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিপ্লব করতে চেয়েছিলেন ইমরান খান, এমনটাই অভিযোগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খট্টক। ইমরান খান হচ্ছেন পারভেজ খট্টকের সাবেক রাজনৈতিক নেতা এবং সাম্প্রতিক দমনপীড়নের পর তিনি পিটিআই-পার্লামেন্টারিয়ানস (পিটিআই-পি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। পেশোয়ারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইমরানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।

এ ছাড়া বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত বিলের কারণে তিন দিন ধরে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ। এই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।

জাতীয় পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির পর সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন শহরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে অনেকে। খবর জিও নিউজের




যৌন নির্যাতনে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফলে যৌন নির্যাতনে এক মাদ্রাসাছাত্রের (১৩) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তবে ওই ছাত্রের বাবার ভাষ্য, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা পরিচালকের বিচার দাবি করেছেন তিনি।

নিহত শিক্ষার্থী নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফেজিয়া নূরানি কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

ছেলেটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত সেলিম গাজী মাদ্রাসা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ছেলেটির পরিবারের ভাষ্য, ভর্তির পরই তাকে বিভিন্ন কৌশলে যৌন নির্যাতন করত মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী। দুই সপ্তাহ আগে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছেলেটির বাবা বলেন, তার ছেলে মৃত্যুর আগে তাকে জানায়, ‘হাফেজ সেলিম গাজী ভর্তির পর থেকেই খুব আদর করত তাকে। পরে পরিচালক তার সঙ্গে রেখে প্রায় প্রতিদিনই তাকে যৌন নির্যাতন করত।’ এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে ছেলেকে হত্যার ভয়ভীতি দেখায়। ছেলে বাড়িতে আসতে চাইলে সেলিম তাকে নিয়ে আসত। মা-বাবা ও দাদার সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে আবার সঙ্গে করে নিয়ে আসত। তিনি বলেন, ‘আমরা সরল বিশ্বাসে ছেলেকে হাফেজ তৈরি করার জন্য দিয়েছি। কিন্তু পশুটা মোর বাবাকে মেরে ফেলেছে।’ এর বিচার চাই বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত সেলিম গাজীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, বিষয়টি জেনে থানায় জিডি করে লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালীর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মাদ্রাসা পরিচালক সেলিম প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়েছে বলে জানান ওসি।




রুবিয়ালেসের বক্তব্যের জেরে স্পেনের ১১ কোচিং স্টাফের পদত্যাগ

’পদত্যাগ করবো না, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।’ স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রুবিয়ালেসের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে স্পেন নারী দলের ১১ জন কোচিং স্টাফ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসির

তবে হেড কোচ জর্জ ভিদাল পদত্যাগ করেননি। তিনিও বেশ বিতর্কিত। তাকে ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রুবিয়ালেস চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়েছেন।

পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিতে স্পেন নারী ফুটবল দলের স্টাফরা জানিয়েছেন, উল্লিখিত কোচিং স্টাফ তাদের পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে। জেনি হেরমোসের প্রতি রুবিয়ালেস যে মনোভাব প্রকাশ করেছেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে রুবিয়ালেস ফেডারেশনের দায়িত্বে থাকলে ফুটবল খেলবেন না বলে অন্তত ৮০ জন ফুটবলার হুমকি দিয়েছেন।

এদিকে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ফিফা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলের কোনো কার্যক্রমে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।

ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিতের পর পুরস্কার নিতে যখন নারী দলের ফুটবলাররা একে একে স্টেজে উঠছিলেন, সে সময় সকলকেই জড়িয়ে ধরে চুমু দিচ্ছিলেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এ সময় আনন্দে আপ্লুত হয়ে কয়েকজনকে কোলেও তুলে নেন তিনি। স্পেনের সংস্কৃতি অনুযায়ী যা অতি স্বাভাবিক দৃশ্য।

তবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জেনিফার হারমোসোর সঙ্গে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন রুবিয়ালেস। অন্যদের তুলনায় হারমোসোকে দীর্ঘ সময় আলিঙ্গন করেন রুবিয়ালেস। দুহাতে জড়িয়ে উঁচুতেও তুলে ধরেন। একে অপরের সঙ্গে কথাও বলেন। একপর্যায়ে হারমোসোকে জাপটে ধরে ঠোটে চুমু খান স্পেন ফুটবল প্রধান। মুহূর্তে এই দৃশ্য ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এমন কাণ্ড ঘটিয়ে সমালোচনার শিকার হন স্পেন ফুটবল প্রধান। হারমোসোকে ঠোঁটে চুম্বনের ঘটনায় রুবিয়ালেসের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। যদিও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চুম্বনের ঘটনাটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, পারস্পরিক, উচ্ছ্বসিত ও সম্মতিসূচক। রুবিয়ালেস এও দাবি করেন, ভুয়া নারীবাদীরা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে।

যদিও হারমোসো শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, চুম্বনে তার মোটেও সম্মতি ছিল না। এ ঘটনায় তিনি নিজেকে অরক্ষিত ও আগ্রাসনের শিকার হিসেবে অনুভব করেছেন।

এদিকে সভাপতি রুবিয়ালেসকে আগলে রাখছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। তাই উল্টো বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়ের মন্তব্যের কারণে ক্ষেপেই গেছে ফেডারেশন। যে কারণে হারমোসোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।

রোববার এক বিবৃতিতে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন জানায়, বিশ্বকাপজয়ী ওই নারী ফুটবলার লুইসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সত্য নয়। লুইস রুবিয়ালেস মিথ্যা বলেননি। হারমোসোর এমন অনভিপ্রেত অভিযোগের ফলে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বিব্রত বোধ করছেন।




জোহানেসবার্গ থেকে দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচ দিনের সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ২টায় জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর রোববার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর-বাসস

প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁর সঙ্গে হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে সাক্ষাৎ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে তিনি ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ২২ আগস্ট রাতে জোহানেসবার্গে পৌঁছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা আয়োজিত ১৫তম ঐতিহাসিক ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দেয়। কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাব এবং পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী বিধিনিষেধের পর এটিই প্রথম সশরীরে উপস্থিতির ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা, চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্মেলনে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’-এ প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন। পরে তিনি আফ্রিকার দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে’ যোগ দেন। বিকেলে তিনি হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

ওই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ব্রিকসের বর্তমান চেয়ারম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজে যোগ দেন। তিনি ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ‘ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ – ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগ (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ)- এর সদস্য হিসেবে ২৪ আগস্ট বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেন।

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে শেখ হাসিনা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে জ্যাকিন্টো নিউসি, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট ডক্টর সাইমা সুল্লুুহু এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা ভানা রুসেফের মধ্যেও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।




সরু সেতুর মাঝে গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী-ডাংধরা সড়কের তারাটিয়া বাজারের দক্ষিণে খালের ওপর নির্মিত সরু সেতুতে গর্ত হয়েছে। বিকল্প সড়ক না থাকায় ওই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। দ্রুত ভাঙা সেতু অপসারণ করে সড়কের উপযোগী প্রশস্ত একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

দেওয়ানগঞ্জ শহর থেকে উত্তরের ডাংধরা, চরআমখাওয়া, পাররামরামপুর– তিনটি ইউনিয়নসহ রাজীবপুর ও রৌমারী উপজেলার মানুষ প্রতিদিন ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে থাকে। দেওয়ানগঞ্জ শহরে তাদের চলাচলের একমাত্র সড়কে সেতুটির অবস্থান। জামালপুর জেলা শহরে যাতায়াতের বিকল্প পথ থাকলেও দূরত্ব অধিক। এ কারণে জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জ শহরে যাতায়াতে ভাঙা সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
সানন্দবাড়ী মুগিরচরের আব্দুল হাই সরকার বলেন, উত্তরাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী-ডাংধরা। এই সড়কে নির্মিত ভাঙা সেতু পার হয়েই প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। একদিকে সেতুটি অপ্রশস্ত, অন্যদিকে মাঝখানে গর্ত। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে, বলা কঠিন।

তারাটিয়া মণ্ডলপাড়ার আবুল কালাম জানান, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও সেতুটির ভাঙা অংশ সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। বিষয়টি দুঃখজনক। ওই স্থানে সড়কের উপযোগী প্রশস্ত সেতু নির্মাণ ও ভাঙা সেতু দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

কাঠারবিল সাপমারী গ্রামের নজরুল ইসলামের ভাষ্য, দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী-ডাংধরা সড়কে নির্মিত সেতুগুলো অপ্রশস্ত ও পুরোনো। এর আগে সড়কটির কাঠারবিল মহারাণী খালের ওপর নির্মিত সেতু ও পোড়ারভিটার কাছের সেতু দুটির মাঝখানে গর্ত হয়। তবে সেতু দুটির ভাঙা অংশ সিমেন্ট ও বালু দিয়ে সংস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাতেও ঝুঁকির মাত্রা শেষ হয়নি। সেতু দুটি দুর্বল হয়ে পড়েছে বিধায় যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে।

ট্রাকচালক আব্দুস সবুর জানান, অনেক দিন আগে সেতুটির মাঝখানে গর্ত হয়েছে। ভাঙা ওই সেতুতে উঠলে ভয় লাগে। কখন যে সেতু ভেঙে যায়, বলা কঠিন। বিকল্প সড়ক না থাকায় তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। বড় যানবাহনের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা বেশি। মালবোঝাই ট্রাক উঠলে দুমড়েমুচড়ে যাওয়ার মতো হয়ে পড়ে সেতুটি।

দ্রুত সেতুটি সংস্কার বা সড়কের উপযোগী প্রশস্ত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন পাররামরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া জেকে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলডিইডি) প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, সেতুতে গর্তের বিষয়টি জানেন তিনি। খুব দ্রুতই সংস্কার করা হবে।




নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসার কোনো রাস্তা নেই: আব্দুর রহমান

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান আগস্ট মাসকে সব হারানোর দিন, বেদনার দিন উল্লেখ করে বলেছেন, সামনে নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অশুভ রাজনৈতিক দল এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার উদ্দ্যেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দফা দিয়ে দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে। তাদেরকে বলি বাংলাদেশের মানুষ, মাটি ও ভৌগোলিক অবস্থা বিশ্বের জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপ নয়; সারা পৃথিবীতে যেভাবে নির্বাচন হয় সংবিধান সম্মত অনুযায়ী। বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে আবারও ম্যান্ডেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে। সারা পৃথিবীর সৎ প্রধানমন্ত্রীদের তিনজনের একজন শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যেও তিনি একজন। 

শুক্রবার বিকেল ৬টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আব্দুর রহমান আরও বলেন, নির্বাচন ছাড়া এদেশে ক্ষমতায় আসার কোন রাস্তা নেই। ষড়যন্ত্রের নীলনকশা না করে আপনারা নির্বাচনে আসুন। স্বপ্ন দেখা ভালো। স্বপ্ন যদি দিবাস্বপ্ন হয় তাহলে ফল উল্টো হয়। বাংলাদেশের মানুষ এতো অকৃতজ্ঞ নয় ওতো আত্মভোলা নয়। যেই তারেক জিয়া ছিল হাওয়া ভবনের মালিক। খুয়াব ভবন তৈরি করে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে নিয়ে গিয়েছিল। এদেশের মানুষ আর তারেক জিয়াকে গ্রহণ করবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন হতে দিবে না, অথচ ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসার রাস্তা তথা আরেকটি ওয়ান ইলেভেন তৈরি করা। বাংলাদেশের কিছু জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে অরাজনৈতিক সরকার গঠন করা।

শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, আলফাডাঙ্গায় আব্দুর রহমানের আসার কথা শুনে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে। আব্দুর রহমান আওয়ামী লীগের অন্যতম একজন নীতি নির্ধারক। আগামীতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আপনাদের আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য কোন মন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হবে না। তিনি নিজেই মন্ত্রী হবেন। এ জন্য তিনি ফরিদপুর-১ আসনের সকলকে আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশে অপর বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে আব্দুর রহমানের বিকল্প নাই। এটা জনসভায় উপস্থিত লোকজনই বলে দেয়। আমি বিশ্বাস করি জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার তাকেই মনোনয়ন দিবেন।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্ব সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল ব্যানার্জি, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন তারা, ইকবাল হোসেন চুন্নু, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, বোয়ালমারী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেলিম রেজা লিপন মিয়া, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল আতাউল সাইক্লোন, আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খান বেলায়েত হোসেন, উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, টগরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া আসাদুজ্জামান, পাচুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল, ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাহাত খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন রবিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনায়েত হোসেন, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী কাওসার টিটো, সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ প্রমুখ।

বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে শান্তি সমাবেশে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটর সাইকেল, নসিমন, করিমনের বহর ও মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা দলে দলে যোগ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের এ শান্তি সমাবেশ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমানের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় পরিণত হয়। সমাবেশে প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে।




ইজেনারেশনে নতুন ৩ স্বতন্ত্র পরিচালক

ইজেনারেশন লিমিটেডের পরিচালক পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ইসহক আলী খন্দকার, ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান এবং ড. মো. মুশফিকুর রহমান। দেশের প্রথম সফটওয়্যার প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির জন্য গত বছরের ২১ অক্টোবর আইপিও অনুমোদন পেয়েছে ইজেনারেশন।

ইজেনারেশনের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. ইসহক আলী খন্দকার বর্তমানে দেশের বৃহত্তম সুতা প্রস্তুতকারক কোম্পানি মাতম ফাইবার মিলস লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর একজন ফেলো সদস্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করার পাশাপাশি তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেছেন।

নতুন আরেক স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মোহাম্মদ শফিউল আলম খান বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের রয়েল হোলোওয়ে, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ইনফরমেশন সিকিউরিটিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইসএসসি সম্পন্ন করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসএস এবং এমএসসি সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।

ইজেনারেশনের নবনিযুক্ত অপর স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৭ সালে জাপানের কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রফেসর ও ডিন ড. কাজুমি সুজুকির তত্বাবধায়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর একজন ফেলো সদস্য। তিনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে আইসিএমএবি এর একজন পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিজ্ঞপ্তি।