জর্জিয়ায় নির্বাচনের ফল জালিয়াতির মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের ফল জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার আদালতে লিখিতভাবে ট্রাম্প এই মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ১৩টি আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ভয়ভীতি দেখানোর বিরুদ্ধে জর্জিয়ার গুণ্ডামি-বিরোধী র‍্যাকেটিয়ারিং আইন লঙ্ঘন করা, সরকারি কর্মকর্তার শপথ লঙ্ঘন এবং জালিয়াতির ষড়যন্ত্র।

হোয়াইট হাউসের সাবেক স্টাফ প্রধান মার্ক মেডোস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি এবং মার্কিন বিচার বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা জেফরি ক্লার্কসহ আরও ১৮ জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আত্মসমর্পণের পর ২ লাখ ডলার মুচলেকায় তাকে জামিন দেয় আদালত।




চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ড্র: মৃত্যুকূপে পিএসজি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২৩-২৪ মৌসুমের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। এতে কঠিন গ্রুপে পড়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি। ওই তুলনায় চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি, রেকর্ড সংখ্যক ইউসিএল জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ এবং তাদের লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা সহজ গ্রুপে পড়েছে।

পিএসজি আছে গ্রুপ ‘এফ’-এ। সেখানে তাদের খেলতে হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, এসি মিলান ও প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ফুটবল খেলতে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

রিয়াল মাদ্রিদ পড়েছে গ্রুপ ‘সি’-তে। তাদের প্রতিপক্ষ নাপোলি, ব্রাগা ও ইউনিয়ন বার্লিন। চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি গ্রুপ ‘জি’ তে আছে। তারা বিপক্ষ হিসেবে আরবি লাইপজিগ, জভেজদা ও ইয়াং বয়েজ ক্লাবকে পেয়েছে।

অন্যদিকে বার্সেলোনা আছে গ্রুপ এইচ- এ। তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে পোর্ত, শাখতার দোনেস্ক ও এন্টওয়ার্পকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বায়ার্ন মিউনিখ একই গ্রুপে পড়েছে। গ্রুপ এ- তে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ কোপেনহেগেন ও গ্লাতাসারে।

কোন গ্রুপে কোন দল

গ্রুপ-এ: বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, কোপেনহেগেন, গ্যালাতাসারে

গ্রুপ-বি: সেভিয়া, আর্সেনাল, পিএসভি, লেন্স

গ্রুপ-সি: নাপোলি, রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাগা, ইউনিয়ন বার্লিন

গ্রুপ-ডি: বেনফিকা, ইন্টার, সালজবার্গ, রিয়াল সোসিয়েদাদ

গ্রুপ-ই: ফেইনুর্ড, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, ল্যাজিও, সেলটিক

গ্রুপ-এফ: পিএসজি, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, এসি মিলান, নিউক্যাসল

গ্রুপ-জি: ম্যানসিটি, লাইপজিগ, জভেজদা, ইয়াং বয়েজ

গ্রুপ-এইচ: বার্সেলোনা, পোর্তো, শাখতার দোনেস্ক, এন্টওয়ার্প




ড. ইউনূসের পক্ষে বিশ্বনেতাদের বিবৃতি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চিঠি দিয়ে যে আহ্বান জানিয়েছেন তা বেআইনি ও অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ।

একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এধরনের বিবৃতি হুমকি- উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপাচার্যরা বলেন, বিষয়টি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি, গাজীপুর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বের ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সাম্প্রতিক একটি বিবৃতি বা চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের অভিমত হলো, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সবকিছু আইন অনুসারে পরিচালিত হয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং এক্ষেত্রে কারো কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

‘বাংলাদেশ সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন। অর্থাৎ, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে, নির্বাহী বিভাগ এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।’

‘বাংলাদেশের সংবিধানে দেশের সব নাগরিকের যেমন আইনের আশ্রয় গ্রহণের অধিকার রয়েছে, তেমনি আইনের প্রয়োগ সকল নাগরিকের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য’—উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় মন্তব্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপাচার্যগণ) দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি যে, বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগকে না জেনে, যথাযথ পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে বিবৃতি বা চিঠি দেওয়া ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ, যা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ বিশ্বাস করে যে, বিবৃতি বা চিঠি প্রদানকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁদের বিভ্রান্তিমূলক ও অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের মতো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।




নেপালকে বিধ্বস্ত করে রেকর্ড জয় পাকিস্তানের

এশিয়া কাপে খেলাই ছিল নেপালের কাছে স্বপ্নের মতো। বাবরকে বোলিং করা, শাহিনের পেস সামলানো উচ্ছ্বাসের। লড়াই করা সেখানে বিলাসিতা। ব্যাটে-বলে ওই লড়াই করতে পারেনি এশিয়া কাপের নবাগত হিমালয় শেরপারা। পাকিস্তান তাদের মাত্র ১০৪ রানে অলআউট করে দিয়েছে। তুলে নিয়েছে ওয়ানডেতে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩৮ রানের বিশাল জয়।

বুধবার মুলতান স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিতে দু’বার ভাবতে হয়নি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের। প্রত্যাশা মতো তার দল শুরু না পেলেও বিশাল রান করতেও অসুবিধা হয়নি। ১২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বাবর ও ইফতিখার আহমেদের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৪২ রান তোলে পাকিস্তান।

বাবর তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। সাজঘরে ফেরেন শেষ ওভারে ১৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। ওয়ানডের দ্রুততম ১৯ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৩১ বলের ইনিংস সাজান ১৪টি চার ও চারটি ছক্কায়। তার সঙ্গে ২১৪ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার। তার ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রানের ইনিংস। প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটাতে ১১টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন এই ডানহাতি।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই শাহিন-নাসিমের পেস তোপে পড়ে নেপাল। ১৪ রানে হারায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে। শাহিন আফ্রিদি দুটি ও নাসিম এক উইকেট তুলে নেন।

এরপর ছোট্ট একটা প্রতিরোধ গড়ে নেপাল। মিডল অর্ডারের আরিফ শেখ ও সোমপাল কামি ৫৯ রানের জুটি গড়েন। হ্যারিস রউফ ওই জুটি ভাঙতেই ধসে যায় সফরকারীরা। দলটির হয়ে আরিফ ২৬ ও সোমপাল ২৮ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শাহিন ও হ্যারিস। ৬.৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের ধসিয়ে দেন শাদাব খান।




১৩০০ চালককে কাজী জাফরউল্লাহর অর্থ সহায়তা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের পাশে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।

বুধবার রাতে উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনকান্দা এ এস একাডেমী প্রাঙ্গণে মানিকদহ ও নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০০ জন ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন।

এ সময় কাজী জাফরউল্লাহ তাদের কথা শোনেন ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে চালকদের প্রত্যেকের হাতে ৫০০ টাকা করে সহায়তা তুলে দেন তিনি।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরণ ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে চান্দ্রা ইউনিয়নের ৬০০ চালকের হাতে অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

আগামীকাল ভাঙ্গা পৌরসভায় ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে আরও ১২০০ চালককে সহায়তা প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে ফরিদপুর-৪ আসনের (ভাঙ্গা-সদরপুর ও চরভদ্রাসন) ২৬টি ইউনিয়নেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।




একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধের আহ্বান

দেশে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা। বুধবার রাজধানীর পর্যটন ভবনে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত ‘প্লাস্টিক পল্যুশন টুওয়ার্ডস প্লাস্টিক ট্রিটি নেগোসিয়েশন’ শীর্ষক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্লাস্টিক দূষণ কমানোতে সরকার ও জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যা বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তির পথ সুগম করবে।

এসডোর চেয়ারপারসন ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ড. মাহফুজুল হক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন, প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামিম আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এসডো জানায়, বাংলাদেশের ১৮টি আন্তঃসীমান্ত নদীর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার ৩৪৫ টন একবার-ব্যবহারেযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮০২ টন ভারত ও মিয়ানমার থেকে প্রবেশ করে।




৫ বছর পর উন্মোচিত কলেজছাত্র হত্যারহস্য

গাজীপুর মহানগরের হারবাইদ পূর্বপাড়া গ্রামে একটি বাড়ি নির্মাণ করছিলেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ুয়া ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ইফতি। পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকায় ইফতি তাঁর বাড়ি নির্মাণের দায়িত্ব দেন মামাকে। নির্মাণের মাঝপথে এসে ইফতির মামার কাছে চাঁদা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। চাঁদা না পেয়ে ইফতিকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। গ্রামের বাড়িতে রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন ইফতি। এই সুযোগে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার ৫ বছর পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে উন্মোচন হয়েছে ইফতি হত্যারহস্য। 

মঙ্গলবার বিকেলে পিবিআইয়ের গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে ইফতি হত্যার সঙ্গে জড়িত মৃদুল হাসান ও ফরিদ আহমেদ নামে দু’জনকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হলে ইফতি হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গাজীপুর মহানগরের পুবাইল থানার হারবাইদ পূর্বপাড়া গ্রামের শামসুদ্দিন আহমেদ মারা যাবার পর সংসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন তাঁর ছেলে ইফতি। বাবার রেখে যাওয়া জমির ওপর একটি বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন তিনি। নির্মাণকাজের দেখভাল করেন তাঁর মামা মিজানুর রহমান।

পিবিআই জানায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মৃদুল ও ফরিদ জানিয়েছে, ঘটনার কয়েকদিন আগে ইফতির মামার কাছে তারা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে নির্মাণাধীন ভবনেই রাতে ঘুমিয়ে পড়েন ইফতি। ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর রাতের কোনো এক সময় তারা ওই বাড়িতে গিয়ে ঘুমন্ত ইফতির গলায় ছুরি চালায়। মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা তাঁর মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

নিহত ইফতির মামা মিজান অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পুবাইল থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পিবিআই গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জামালপুরের মেলান্দহ থানার উত্তর আদিপুত গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মৃদুল হাসান ও টঙ্গী পূর্ব থানাধীন শিলমুন মণ্ডলবাড়ী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ফরিদ আহমেদকে ঢাকা ও টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করে।




বালুদস্যুদের হাতে জিম্মি ভূমি কর্মকর্তা, পরে উদ্ধার

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা ইউনিয়নে পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে বালুদস্যুদের হাতে জিম্মি হন হরিরামপুর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা। পরে দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।

হরিরামপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়া বলেন, হরিরামপুর উপজেলা ধুলশুরা ইউনিয়নে পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিনজন পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্য। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর অবৈধভাবে পদ্মায় বালু উত্তোলন করায় একটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। এ সময় বালু উত্তোলনকারীরা কৌশলে তাঁর স্পিডবোট বাল্কহেডের সঙ্গে বেঁধে দোহার উপজেলার সীমানায় নিয়ে যায়। এরপর একটি স্পিডবোটে করে বালু উত্তোলনকারীদের পক্ষে প্রথমে ১৫ জনের মতো লোক আসে। এর কিছুক্ষণ পর ট্রলারে করে আরও এক থেকে দেড়শত লোক আসে। তারা তাঁকে বহনকারী স্পিডবোটটি জোর করে দোহারের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি বিষয়টি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসককে জানান। তাঁর স্পিডবোট যখন দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে আসে, তখন দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এসএম মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জব্দ করা বাল্কহেডটি দোহার উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে নদী পথে হরিরামপুর ফিরে আসেন।

তাপসী রাবেয়া আরও জানান, তিনি গুগল ম্যাপ দেখেই মানিকগঞ্জের সীমানায় পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে যান। কিন্তু দোহার এলাকার বালুদস্যুরা মানিকগঞ্জের সীমানায় এসে বালু উত্তোলন করছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, দোহার এলাকার বালুদস্যু মুত্তার ও শহীদের নেতৃত্বে তাঁর স্পিডবোটকে জিম্মি করে দোহার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এসএম মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তাঁকে দোহারের ইউএনও জানান হরিরামপুর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়া পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। ইউএনওর নির্দেশে দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে গিয়ে তাপসী রাবেয়াকে দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ওই কর্মকর্তাকে তাঁর নিজ উপজেলায় যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জব্দ বাল্কহেড মৈনট ঘাটে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সরকার দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়ালকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জে গণমিছিল কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন আউয়াল।

আমীর খসরু বলেন, বিরোধী দল প্রতিবাদ করতে পারবে না। তাদেরকে গুলি করা হবে। তারা যখন রাস্তার পাশে কোনো বাড়িতে আশ্রয় নেবে, সেখানে ঢুকে দরজা ভেঙ্গে গুলি করতে হবে। সরকারের অবস্থান কি সেই পর্যায়ে গেছে? সরকারের কিসের ভয় যে, সাধারণ নাগরিকরা প্রতিবাদ করতে পারবে না?

হামলা-গুলি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে বলব কেন? তারা নিজেরাই দেখছে। তাদের প্রতিনিধি আছে, দূতাবাস আছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো আছে। এখন ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সারাবিশ্ব জেনে যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।




সালাহর জন্য ১৫০ মিলিয়নের প্রস্তাব সৌদির

লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহর জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদ। ওই প্রস্তাবে রেডস শিবির থেকে খুব একটা সাড়া না পাওয়ায় প্রস্তাব ১৫০ মিলিয়নে উন্নীত করেছে সৌদি।

সংবাদ মাধ্যম সিবিএস দিয়েছে এই তথ্য। তাদের মতে, দলবদলের দরজা বন্ধ হওয়ার আগে সালাহকে সৌদিতে নিতে চায় আল ইত্তিহাদ। তাকে নেইমার-রোনালদোর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে।

লিভারপুলের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন মোহামেদ সালাহ। মিশরীয় এই তারকা অন্য কোথাও যেতে চান না। সালাহ ও তার এজেন্ট সংবাদ মাধ্যমকে তেমনটাই জানিয়েছেন। অন্যত্র যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে চুক্তি নবায়ন করতেন না বলেও উল্লেখ করেছেন তার এজেন্ট।