জাতীয় ধারাভাষ্যের মঞ্চে রাজীবপুরের পলাশ

সাব্বির মামুন,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ভাবুন আপনি খেলা দেখছেন কিন্তু কোনো ধারাভাষ্য নেই তাহলে কেমন হবে? নিশ্চয়ই আপনার বুঝতে বাকী নেই। অর্থাৎ ধারাভাষ্য একটি শিল্প যা কোনো খেলাকে আরও উপভোগ্য ও প্রানবন্ত করে তোলে। আর এই মহান দায়িত্ব পালন করে ধারাভাষ্যগণ।

সম্প্রতি জাতীয় মিডিয়ার হয়ে এই প্রথম দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা সদরের সবুজবাগ গ্রামের শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসাইন পলাশ। বাংলাদেশ বেতারে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এক প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন।

এসম্পর্কে পলাশের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন,অষ্টম শ্রেণী থেকেই রাজীবপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ধারাভাষ্য ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতাম।সে-সময় বাংলাদেশ বেতার বা বিটিভিতে চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত, খোদাবক্স মৃধাসহ গুনী ধারাভাষ্যকারদের ধারাভাষ্য শুনতাম।

কিন্তু ভাবিনি আমিও কখনও বাংলাদেশে বাংলা ধারাভাষ্যের অন্যতম এই শীর্ষ স্থানটিতে ধারাভাষ্য দেব। আলহামদুলিল্লাহ, রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার আহবানে জাতীয় মাইক্রোফোনে ধারাভাষ্য  দেব এটা ভাবতেই এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। যারা দোয়া ও সাহস যুগিয়েছেi তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নবাগত এই জাতীয় ধারাভাষ্যকার। শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসাইন পলাশ রফিকুল ইসলাম ও আঞ্জুমান আরা বেগমের বড় সন্তান। এছাড়াও আসমাউল হুসনা (শাপলা) নামের তার একটি বোনও রয়েছে।তিনি সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত করেছেন।

তবে তার এমন অর্জনে আনন্দের জোয়ার বইছে উপজেলার খেলোয়াড় থেকে শুরু করে তরুন-তরুনীদের মনে।তারা বলছেন,আমরা সত্যিই আজ অনেক আনন্দিত আমাদের এলাকা থেকে এই প্রথম কেউ জাতীয় ধারাভাষ্যে। পলাশের বাবা-মা বলছেন,ছোট বেলা থেকেই ওর এটার প্রতি অনেক নেশা ছিলো। কোনো বাঁধা দিয়েই আটকানো যেতো না,কোনো অনুষ্ঠান বা খেলা হলেই ছুটে যেতো, আবার মাঝে মাঝে লোকজন বাসায় এসে ডেকে নিয়ে যেতো। ও আজ এমন জায়গায় যাবে আমরা কখনও ভাবিওনি। আমরা আজ অনেক আনন্দিত। আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।




মৃত ভেবে ফেলে গেল,বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হামলা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম কলাতলা গ্রামে জমি সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে বশির হাওলাদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে রাতের আধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে।

পরে মৃত ভেবে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারিরা। মঙ্গলবার(৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে মৃত ভেবে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। আহত বশির হাওলাদারের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, রাতে আমার স্বামী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। রাত থেকেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান পাই না।

বুধবার সকাল ৮ টার দিকে এ হাসপাতাল থেকে এক নারী আমাকে মোবাইলে কল দিয়ে বলেন, আপনার স্বামী পাঁচ তলায় ভর্তি, তার অবস্থা ভাল না, আপনারা দ্রুত আসেন। তখন আমি আমার স্বামীর সাথে কথা বললে সে বলে, তাকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে গেছে। আহত বশির হাওলাদার বলেন, রাতে আমি ঘর থেকে বের হলে আমাকে রেজাউল মাতব্বরের ছেলে শাহিন মাতুব্বর ও সাদ্দাম সহ ৭ জন আমার মুখ চেপে পাশের মাঠে নিয়ে যায়।

এরপর শাহিন আমাকে রড, ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপায়। আমি তখন তাদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাইলেও তারা শুনে নাই। এ সময় ওরা ফোন করে আব্দুল মজিদ ব্যাপারীর ছেলে শাহাবুদ্দিনকে ডেকে আনে। শাহিন এসময় বলে ও মরে গেছে এখন কি করবি। চল পালাই। তখন শাহাবুদ্দিন বলে না ওরে হাসপাতালে দিয়ে আসি। এরপর আমার আর জ্ঞান ছিল না।

বুধবার সকালে জ্ঞান ফিরলে আমি পাশের বেডের একজনকে আমার স্ত্রীর নাম্বার দিয়ে আমার অবস্থা জানাতে বলি। আহত বশির হাওলাদারের ছেলে রাশেদ হাওলাদার বলেন, আমার ভগ্নীপতি আনু মাতব্বরের সাথে প্রতিবেশী ছবেদ আলী ও রেজাউল মাতব্বরের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

রেজাউল মাতব্বর ও ছবেল আলী তাদের ওয়ারিশের কিছু মাঠের জমি বিক্রি করে যা আমার ভগ্নীপতির জমির লাগোয়া। রেজাউল ও ছবেল আলীকে তাদের বিক্রিত জমি বুঝিয়ে দেওয়া সময় আমার ভগ্নীপতি জমির সীমানা মেপে নির্ধারণ করে দিতে বলে। কারণ তারা তাদের অতিরিক্ত জমি যা ভগ্নীপতির তা তারা জোর করে দখল করতে চাচ্ছিল।

গত রবিবার এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সে ঘটনায় দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন।

এর জের ধরে মঙ্গলবার দিনগত রাতে রেজাউল মাতব্বরের ছেলে শাহিন, সাদ্দাম, শাহাবুদ্দিন ও ছবেদ আলী মিলে আমার বাবাকে রাতের আধারে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। রাশেদ আরও জানান, অনেক আগে থেকেই গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য সব সময় সাধারণ গ্রামবাসীকে হুমকি ধামকিতে রাখে। শক্তির বড়াই করে গ্রামের অনেক মানুষকে তারা নির্যাতন করেন। আমার বাবার অবস্থা ভালো না। আল্লাহ জানে কি হয়।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ইর্ন্টার্নি চিকিৎসক কামাল হোসেন জানান, আমরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাই। তার হাতে ও পায়ের হাড় ভাঙ্গা। তার চিকিৎসা চলছে। তবে তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আহত বশিরের পরিবারকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




নেটওয়ার্ক না থাকলেও কল করা যাবে নতুন আইফোনে

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাজারে এলো আইফোন ১৪। বুধবার অ্যাপল তাদের সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইফোন ১৪ সিরিজের চারটি ফোন উন্মুক্ত করে। এগুলো হলো-আইফোন ১৪, আইফোন ১৪ প্লাস, আইফোন ১৪ প্রো এবং আইফো ১৪ প্রো ম্যাক্স। এসব ফোনে রয়েছে দুর্দান্ত ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশন।

নতুন আইফোনগুলোর অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে এর স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি। নেওয়ার্ক না থাকলেও নতুন আইফোন দিয়ে কল করা যাবে। 

নতুন চারটি আইফোনেই থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি। বিপদের সময় ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকলে কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আপৎকালীন মেসেজ পাঠাতে পারবে ফোনগুলো।

এছাড়াও কোন কারণে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তা নিজে থেকেই বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় মেসেজ নিজে থেকেই পাঠাতে পারবে আইফোন ১৪ সিরিজের ৪টি ফোন। এই ফোনগুলোতে রয়েছে আরও অনেক দুর্দান্ত ফিচার। আইফোন ১৪ সিরিজের ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট বা উপগ্রহের মাধ্যমে কল, বার্তা ও ছবি আদান-প্রদানের সুবিধা।

সরাসরি কৃত্রিম উপগ্রহে কানেক্ট করবে আইফোন ১৪। টেক্সট-ছবি পাঠিয়ে ভয়েস কলও করা যাবে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। যেখানে কোন কোম্পানির ফোনের নেটওয়ার্ক নেই, সেখানেও চালানো যাবে নতুন আইফোন।

নতুন আইফোনে প্রাথমিক ভাবে স্যাটেলাইট পরিষেবাটি কেবল মাত্র টেক্সট করার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। পরবর্তীতে ছবি এবং ভয়েস কলিংয়ের সাপোর্টও মিলবে।


আইফোন ১৪ ও আইফোন ১৪ প্লাস মডেলে ডিসপ্লের উপরে আগের মতো নচ ব্যবহার হলেও আইফোন ১৪ প্রো ও আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মডেলে ডিসপ্লের ওপরে পিল কাট-আউট দেখা গিয়েছে। আইফোন ১৪ মডেলে রয়েছে ৬.১ ওলিড ডিসপ্লে। অন্যদিকে আইফোন ১৪ প্লাসে ৬.৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে অ্যাপল।

এই দুইটি ফোনের ওলিড ডিসপ্লেতে থাকছে সর্বোচ্চ ১২০০ নিটস ব্রাইটনেস। ফোনের ভেতরে থাকছে এ১৫ বায়োনিক চিপ।  অ্যাপলের দাবি আগের থেকে নতুন আইফোনে ভালো ব্যাটারি ব্যাক আপ পাওয়া যাবে।

এই দুইটি ফোনেই ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম দেখা যাবে। প্রাইমারি ক্যামেরায় রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের সেন্সর শিফট ওআইএস। সেলফি তোলার জন্যে থাকছে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ফোন থেকে বাদ যাচ্ছে সিম ট্রে। বদলে ই-সিমের মাধ্যমে সেলুলার নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হবে এই ফোন।




আজমির-শরিফ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

ভারতের রাজস্থানের আজমির শরিফ পরিদর্শনে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটিতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিন আজমিরে যান সরকারপ্রধান।

একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে আজমিরে যান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশ, জনগণ এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে নফল নামাজ ও মোনাজাত করবেন। এর আগে ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ১২ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুফি মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরিফে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে কিছু সময় কাটাবেন। পরে শেখ হাসিনা আজমির দরগাহ শরিফের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ভারত সরকার। আজমির শরিফ এলাকায় মানুষের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দরগাহ শরিফ জিয়ারত শেষে ফের সার্কিট হাউজে ফিরবেন শেখ হাসিনা। পরে জয়পুর বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।




একই ব্যক্তিকে একাধিক নোটিশ দিতে পারবে দুদক

দুর্নীতির একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে একাধিক নোটিশ দিতে পারবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।

অনুসন্ধান বা তদন্তের স্বার্থে কোনো ব্যক্তিকে একাধিক নোটিশ দেওয়া হলে তাতে দুদক আইন ও বিধির কোনো ব্যত্যয় হয় না। আপিল বিভাগ এমন রায় ঘোষণা করেছেন।

‘দুদক বনাম আশরাফুল হক’ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ে দুর্নীতির যথাযথ ও কার্যকর অনুসন্ধান বা তদন্তের স্বার্থে কোনো ব্যক্তিকে একাধিক নোটিশ দেওয়ার এই বিধান অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং কমিশনের স্বচ্ছতাই প্রতিষ্ঠিত হয়।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

রায়ে আদালত বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নোটিশ প্রদান সংক্রান্ত ২০০৪ সালের দুদক আইনের ১৯ ও ২০ ধারা এবং ২০০৭ সালের দুদক বিধিমালার ৬, ৮ ও ১১ বিধিতে এ বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আইনের এসব ধারা ও বিধিমালার বিধি পর্যালোচনায় এটা কাঁচের মত পরিস্কার যে দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুতে একাধিক নোটিশ দেওয়ার এই আইনি প্রক্রিয়া অত্যন্ত সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক। এই একাধিক নোটিশ দেওয়ার ফলে যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান বা তদন্ত চলমান তিনি তার পক্ষে তথ্য উপাত্ত দিয়ে সঠিকভাবে অভিযোগ খন্ডানোর সুযোগ পাচ্ছেন।




২০৩০ সালে রোজা রাখতে হবে ৩৬টি

প্রতি বছর আমরা ২৯ কিংবা ৩০টি রোজা রাখি। তবে ২০৩০ সালে রাখতে হবে ৩৬টি রোজা। কিন্তু কেন- তা জানালেন দুবাই অ্যাস্ট্রোনমি গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হাসান আহমেদ আল হারিরি।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালে দুটি রমজান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইংরেজি বর্ষপঞ্জি ও চন্দ্র বছরের মাসগুলোর পার্থক্যের কারণে এমনটা ঘটবে। সাধারণত ইংরেজি বছরের মাসগুলো ৩০ অথবা ৩১ দিনে নির্ধারিত থাকে। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজের।

কিন্তু চন্দ্র বছরের মাসগুলো নির্ধারিত হয় ২৯ অথবা ৩০ দিনে। মাসে দিনের এই পার্থক্যের কারণে ইংরেজি বছর শেষে চন্দ্র বছর ১১ দিন কমে যায়। এভাবে বছরে ১১ দিন পার্থক্য থেকে যাওয়ায় ২০৩০ সালে দুবার রমজান মাস পাবে মুসলিমরা।

এ বিষয়ে সৌদি আরব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের জলবায়ুর অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মুসনাদ মনে করছেন, দুবার রমজান মাসের সাথে সে বছর রোজা হবে ৩৬টি। তবে এই ৩৬টি রোজা একবারে হবে না।

চন্দ্রবর্ষ হিসেব মতে, ২০৩০ সালের প্রথম রমজান মাস পাওয়া যাবে ৫ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি। এ হিসাবে ১৪৫১ হিজরির পবিত্র রমজান মাসের রোজা হবে ৩০টি।

এর ঠিক ১০ মাস পর আরো একটি রমজান মাস পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া এই রমজান মাসে রোজা হবে ৬টি। ইংরেজি বর্ষপঞ্জি ও চান্দ্র বছরের মাসগুলোর পার্থক্যের কারণে মুসলমানরা ২০৩০ সালে দুটি রমজান মাস পাবে। সেই সঙ্গে রোজা রাখতে হবে ৩৬টি।




আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পরিদর্শনে দুই এমপিসহ জেলার সর্বোচ্চ দুই কর্মকর্তা

চুয়াডাঙ্গা জেলাধীন আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যা করে এই বধ্যভূমিতে পুঁতে রাখা হয়।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পরিদর্শন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, মাননীয় সাংসদ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা-১, জনাব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা এবং জনাব আবদুল্লাহ্ আল-মামুন, পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, ১৯৭১ সালে কুমার নদের উপর অবস্থিত লাল ব্রিজের দুই পাশে মিলিটারি ক্যাম্প ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথমে চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা পাকিস্তান সামরিক বাহিনী জেনে যায় এবং চুয়াডাঙ্গার সাধারণ জনগণের উপর অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

পরবর্তীতে মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। সে সময় পাকবাহিনী লালব্রিজ দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলো আলমডাঙ্গায় এবং কালিদাসপুর প্রান্তে দাঁড় করিয়ে নিরাপরাধ যাত্রীদের ধরে ধরে নিয়ে যায় এবং শত শত নারী- পুরুষকে নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলে।

১৯৭১ সালের জুন মাসের শেষ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারকীয় নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক-ওয়াপদা ভবনের বাউন্ডারির কাছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হলুদ খালাসি ঘর ছিল, যা ‘টর্চার সেল’ হিসেবে পরিচিত ছিল। এই স্থানটিতে বধ্যভূমি কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়।




তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে বশেমুরবিপ্রবিতে মেলবুর বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মোঃফজলে রাব্বি, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তা তৈরি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের MELBU (More Entrepreneurial Life at Bangladeshi Universities) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মশালায় মূলত তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা তৈরিতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়৷এছাড়া কর্মশালায় প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিজনেস আইডিয়াসহ মার্শম্যালো গেইমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিচক্ষণতা পরীক্ষামূলক কয়েকটি ইভেন্ট পরিচালনা করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মেলবুর প্রতিনিধিগণ। প্রকল্পটির কো-অর্ডিনেটর ও জার্মানির লেইপ জিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. উটজ ডর্নবার্গার, ওজসেইখ রস্কিউইসজ, জোলান্টা কোসজেলেউ, মেলাডেন মনোলোভ, পোল্যান্ডের মেলবু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. পিওটর ওটেজেসজাও বগুসজ উইস্নিকি বশেমুরবিপ্রবির প্রধান সমন্বয়ক ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মো. রকিবুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, বর্তমান চলমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে তরুণ উদ্যোক্তার বিকল্প কিছু নেই৷ তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে আগামীর বাংলাদেশ। এ বিষয়ে প্রকল্পটির কো-অর্ডিনেটর ড. উটজ ডর্নবার্গার বলেন, আমরা উদ্যোক্তার শক্তিতে বিশ্বাসী। আমাদের এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা ও মোকাবিলা সম্পৃক্ত যাবতীয় বিষয়ের বাস্তব ধারণা পাবে।
উল্লেখ্য,গত ১৯ আগস্ট বশেমুরবিপ্রবি থেকে ৩ জন শিক্ষক ও ৩ জন শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশ থেকে মোট ৩৬ জন জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যোক্তা তৈরিবিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন৷ নির্বাচিত সবাই ইরাসমাস প্রোগ্রামের অর্থায়নে জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী সামার স্কুলে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। জার্মানিতে প্রায় অর্ধমাস ধরে অনুষ্ঠিত হওয়া সামার স্কুলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও এসিসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুজ্জামান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রকিবুল ইসলাম ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আল-আমিন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আদর্শ উদ্যোক্তা বানাতে যাবতীয় বিষয় শিক্ষা দেয়। এক্ষেত্রে তাদের যাতায়াত খরচসহ জার্মানে অবস্থান কালীনসব খরচ বহন করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, মেলবু মূলত জার্মান, পোল্যান্ড ও বাংলাদেশকে নিয়ে গঠিত প্রকল্প। ত্রিদেশীয় এ প্রকল্পটি বাংলাদেশের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুলনা অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করে আসছে।



চন্দ্রগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা নতুন কমিটি গঠিত

মো. বদিউজ্জামান (তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আমিন কে সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ হাছানকে সাধারণ সম্পাদক করে লক্ষ্মীপুর জেলার সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র চন্দ্রগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়েছে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এ কমিটি গঠন করা হয়।
হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা আইন২০১৮ এর বিধান মোতাবেক গঠিত কমিটির অপর সদস্যরা হলো চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, এলজিইডির কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অফিসার মোঃ আবুল বাশার, স্থানীয় ইউপি সদস্য মহি উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহান আরা বেগম, বাজারের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম শিপন, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মোরশেদ আলম, ভ্যানও রিক্সা শ্রমিক এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা গৌতম চন্দ্র মজুমদার, বাস-ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিনিধি মোঃ সাহাব উদ্দিন।
চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, চন্দ্রগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বাবুল আনসারী, চন্দ্রগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মামুন অর রশিদ নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।



কালুয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

মো. বদিউজ্জামান (তুহিন) নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার কালুয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা /অভিভাবক সমাবেশ ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর-রশিদ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।