যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, তাদের সম্পর্কে নবীজি যা বলেন

আল্লাহর ভয়ে নির্গত চোখের পানির মূল্য আল্লাহর নিকট অনেক বেশি। হাদিসে এসছে, ‘আল্লাহর নিকট দুটি ফোঁটা ও দুটি চিহ্নের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কিছু নেই। এক. আল্লাহর ভয়ে নিঃসৃত অশ্রুফোঁটা। দুই. আল্লাহর রাস্তায় নির্গত রক্তের ফোঁটা।’ (তিরমিজি : ১৬৬৯)

যার চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি নির্গত হয়, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর জাহান্নামে যাওয়া এমন অসম্ভব, যেমন দোহনকৃত দুধ পুনরায় ওলানে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। আর আল্লাহর পথের ধুলা ও জাহান্নামের ধোঁয়া কখনও একত্রিত হবে না।’ (তিরমিজি : ১৬৩৩)

অন্য হাদিসে , ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, ‘জাহান্নামের আগুন দুটি চোখকে স্পর্শ করবে না। এক. আল্লাহর ভয়ে যে চোখ ক্রন্দন করে। দুই. আল্লাহর রাস্তায় যে চোখ পাহারা দিয়ে বিনিদ্র রাত কাটায়।’ (তিরমিজি : ১৬৩৯)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে মুমিন বান্দার দুচোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি বের হয়, যদি তা মাছির মাথার পরিমাণও হয়, এবং তা চেহারা বেয়ে পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন। (ইবনে মাজাহ, কিতাবুজ জুহুদ: ৪১৯৭) হাশরের কঠিন দিনেও আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারীর জন্য বিশেষ ঘোষণা রয়েছে হাদিসে। সেদিনের কঠিন পরিস্থিতিতে সাত শ্রেণির মুমিন আরশের নিচে আশ্রয় পাবেন। তাদের এক শ্রেণি সম্পর্কে রাসুল (স.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণের সময় তার দুই চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বইতে থাকে।’ (বুখারি: ৬৬০; মুসলিম: ৭১১)

রাসুলুল্লাহ (স.) সাহাবিদের বেশি বেশি কান্না করার উপদেশ দিতেন। কেননা মহাপ্রতাপশালী আল্লাহ যেখানে গুনাহের শাস্তি হিসেবে বান্দাকে মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিতে পারেন, সেখানে রহমত করছেন, বান্দাকে দিয়ে যাচ্ছেন অবারিত সুযোগ-সুবিধা; ভাবতেই তো মুমিনের চোখ দিয়ে পানি চলে আসার কথা। তাই তো রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন— ‘..আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা খুব কম হাসতে, বেশি কাঁদতে এবং বিছানায় স্ত্রীদের উপভোগ করতে না, বাড়ী-ঘর ছেড়ে পথে-প্রান্তরে বেরিয়ে পড়তে এবং চিৎকার করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে যে- আল্লাহর শপথ! হায়, আমি যদি একটি গাছ হতাম এবং তা কেটে ফেলা হত!’ (ইবনে মাজাহ: ৪১৯০; মেশকাত: ৫৩৪৭; সহিহাহ: ১৭২২)

অতএব আমাদের উচিত, মহান আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে কৃত গুনাহর জন্য ইস্তেগফার করা, তওবা করা। ইনশাআল্লাহ, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের সব পাপ সাফ করে দেবেন এবং জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর অন্তরে তাঁর ভয় জাগ্রত করে দিন। তাঁর আদেশ নিষেধ পুরোপুরি মেনে চলার তাওফিক দিন। আমিন।




বাড়ছে সরকারি খরচে আইনি সেবায় আগ্রহ

আইনি সহায়তা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। সেই লক্ষে সরকার সামর্থ্যহীন ও অস্বচ্ছল মানুষকে নিজ খরচে আইনি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

সরকারের এই উদ্যোগ সম্পর্কে আগে মানুষের মধ্যে তেমন জানাশোনা না থাকলেও দিন দিন তা বাড়ছে। সরকারি খরচে আইনি সহায়তা নেওয়া মানুষের পরিসংখ্যান দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার  সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাড়ে ১৩ বছরে সরকারি খরচে সারাদেশে আইনি সহায়তা পেয়েছেন প্রায় আট লাখ মানুষ। একই সময়ে মামলার রায়ের আগেই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের প্রায় ৯৯ কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ টাকা আদায় করে দেওয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়, এই সময়ে আইনি পরামর্শ পেয়েছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৬০৫ জন। তিন লাখ ২৮ হাজার ৫৮৩টি মামলায় সহায়তা করা হয়েছে। আর এসব মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৬২৪টি। মামলার রায়ের আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে ৬৪ হাজার ১৪০টি মামলা।

এডিআরের মাধ্যমে উপকার পেয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ৩১৮ জন। হটলাইনের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে।

এই প্রতিবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকারে থাকাকালে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ নেন। সেই লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করে দেন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে সরকারি আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন।

তবে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এই আইনের বাস্তবায়ন কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যায়। এরপর ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করলে আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে গতিশীল ও সেবাবান্ধব করার লক্ষ্যে ঢাকার বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয় এবং এর অধীনে প্রত্যেক জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপনসহ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, চৌকি আদালত এবং শ্রম আদালতে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম চালু করা হয়।
বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে, এমনকি সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টেও লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা আইনি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম স্বপ্ন ছিল সবার জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০০ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করে। এ আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে এই সেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে।




রামগঞ্জে আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক জিএস নজরুল

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক জিএস ও সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং বর্তমান চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সদস্য জিএস নজরুল ইসলামকে একই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১নং যুগ্ন আহবায়ক করা হয়েছে৷

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু, সহ সভাপতি ড. আনোয়ার খান এমপি ও সাধারন সম্পাদক আ ক ম রুহুল আমিনের দলীয় প্যাডে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষনা দেওয়া হয়৷

জি এস নজরুল ইসলাম চন্ডীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও ড. আনোয়ার খান এমপি, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আকম রুহুল আমিন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন ফরাজির মৃত্যুতে দলের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়৷ জিএস নজরুল ছাত্রজীবন থেকে দলের প্রতি একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলে যে কোন মিটিং মিছিল সভা সমাবেশে সরব উপস্থিতি লক্ষনীয় ছিলো ৷ এছাড়াও তিনি বহুবার জেল জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে৷ তাঁকে যুগ্ন আহবায়ক করায় দলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন৷

জি এস নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও রামগঞ্জ সরকারি কলেজর নির্বাচিত জি এস ছিলাম । আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো।




লক্ষ্মীপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে লক্ষ্মীপূজা উদযাপন 

প্রদীপ কুমার রায়ঃ

লক্ষ্মীপুরের সোমবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা উদযাপন করা হয়েছে। দিনভর পুরোহিত ঠাকুর দিয়ে কোথাও কোথাও পূজা শেষ হয়েছে। আবার কোথাও রাতে পূর্ণিমা থাকা পর্যন্ত চলবে পুজোর আনুষ্ঠানিকতা।

বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপের পাশাপাশি ঘরে ঘরে সকালে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হয়েছে। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘর-বাড়ির আঙিনায় আঁকা হচ্ছে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্জালন করা হয়েছে।

সনাতন ধর্মের ভক্তবৃন্দের বিশ্বাস ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী। তিনি ঈশ্বরের পালন রূপ শক্তি নারায়ণী। যাকে ভক্তরা ধন-সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী অন্নদাত্রী দেবীরূপে পূজা করেন। তবে এই ধন শুধু পার্থিব ধন নয়, চরিত্র, ধন ও সর্বাত্মক বিকাশেরও প্রতীক। বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যার যার সাধ্যমত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে পূর্ণিমা তিথিতে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করেন। সাধারণত প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করা হয়। পারিবারিক লক্ষ্মীপূজায় লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করে পূজার্চনা করা হয়। কিন্তু আজকের পূজার রয়েছে বিশেষ বিশেষত্ব। আজকের পূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামে পরিচিত। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। লক্ষ্মী পদ্মফুলের উপর উপবেশন করে থাকেন। সাধারণত লক্ষ্মীপূজা পঞ্চোপচার, দশোপচার বা ষোড়শোপচারে করা হয়ে থাকে। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত গৃবধূরা উপবাস ব্রত করে থাকেন। অনেকে রাতে আবার কেউ কেউ দিনের আলোতেই পুজো শেষ করেন।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।

 রায়পুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হরিপদ পাল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দঘন পরিবেশে এবার পুজা করেছি। ঈদে মিলাদুন্নবী ও পুজা একই দিনে পড়ায় প্রতিটি সংখ্যা লঘু পরিবারই কিছুটা মানসিক চাপ থাকলেও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি।




ভোলা তজুমদ্দিনে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত

 ভোলা   প্রতিনিধি:

ভোলা তজুমদ্দিন বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে।

স্লান করলে রাতের আলো পাখিরা থাকবে আরো ভালো’ এই প্রতিপাদ্যে রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপকূলীয় বন বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে দৌলতখান উপজেলা রেঞ্জ অফিসার মোঃ মাহবুব আলম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মরিয়ম বেগম,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার দেবাশীষ দাস, মোঃ মামুন অর রশিদ পল্টন এস আই তজুমদ্দিন থানা, তজুমদ্দিন ভিট কর্মকর্তা রোমেল হোসেন,

মোঃ জসিম উদ্দিন প্রশিকা অফিসার, স্কুল, মাদ্রাসা,গার্লস স্কুলের ছাত্র ছাত্রী,সুফল প্রজেক্টরের এফসিবি’র সদস্য সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ ।




ফের গোলাবর্ষণ মিয়ানমার সীমান্তে

সপ্তাহ খানেক বিরতির পর মিয়ানমার সীমান্তে আবারো ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু হয়েছে। ঘুংধুম থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে গোলা বর্ষণের ঘটনা ।

এদিকে আজ সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

এদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ আজ সকাল ১১ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির রেজুপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ি ( বিওপি) পরিদর্শনের কথা রয়েছে বলে   জানিয়েছেন বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।




রামগঞ্জে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  থেকে আবদুল মতিন মুন্সী (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

৯অক্টোবর (রবিবার) বিকেলে উপজেলার  চন্ডিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বকসী বাজার মৃতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। আবদুল মতিন মুন্সী চন্ডিপুর হেদুে  কোম্পানী বাড়ির মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে।

সংবাদ পেয়ে রামগঞ্জ থানা ওসি  (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত মতিন মুন্সীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গ্রেরন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় আবদুল  মতিন মুন্সী রবিবার সকাল ১০টায় ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু বেলা ৪টার সময় সে বাসায় না ফেরার কারনে  পরিবারের লোকজন ভিবিন্ন স্থানে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে মৃতের ছেলে তাদের নিজ চা দোকানে গিয়ে  তার বাবাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রামগঞ্জ থানা পুলিশ  ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গ্রেরন করা হয়েছে।

নিহত আঃ মতিনের ভাই আবদুর  রশিদ জানান, আমার ভাই মতিন মুন্সীর ১ম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আবার ২য় স্ত্রী খুকি বেগম নামের একজনকে বিয়ে করে।২য় বিয়ের পর থেকে  পারিবারিক অসান্তি চলে আসছিলো। তবে কি কারনে ফাঁস  দিয়েছিলো সেটা আমি জানি না।

রামগঞ্জ থানা ওসি (ভারপ্রাপ্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, মৃর্তের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গ্রেরন করা হয়েছে।




তজুমদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি:

তজুমদ্দিনে জমি সংক্রন্ত বিরোধের জের ধরে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের উপর দায় চাপিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দেয়া প্রেস রিলিজের প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করেছে। ৯ অক্টোবর (রবিবার) দুপুর ১২টায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের নেতা কর্মিদের নিয়ে তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে সভাপতি সাইফুদ্দিন সবুজ দাবী করেন, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আলী ফরাজী বাড়ির জৈনিক খোরশেদ কাজীর সাথে তার চাচাতো ভাই আবদুর রবের সাথে একটি সুপারি বাগানের মালীকানা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। গত ০৭/১০/২০২২ তারিখ সকাল সাড়ে আটটায় খোরশেদ কাজী গংরা বাগানে সুপারী পাড়তে গেলে এসময় তাদের একই বাড়ির আবদুর রব ও তার স্বজনরা বাধা দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে খোরশেদ কাজীর ছেলে ও ছাত্রদলের কর্মি কাজী হুমায়ুন আহত হয়ে তজুমদ্দিন হাসপাতালে এবং প্রতিপক্ষের আরেক ছাত্রদল কর্মি হোসেন লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এঘটনায় দু-পক্ষের অন্তত ৮জন আহত হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেয়। পরে ওই দিনই ছাত্রদলের কর্মি কাজী হুমায়ুনের বড়ভাই দন্ডবিধির (পেনাল কোড-১৮৬০) এর৷ ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ ধারায় তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর প্রতিপক্ষের ছাত্রদল কর্মি হোসেন কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।

কিন্তু গত ০৭/১০/২০২২ ইং শুক্রবার কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত “ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ” শিরোনামে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুকে আপলোড করে। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা ছাত্রলীগ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।

এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন সবুজ আরো জানান, এধরনের পারিবারিক একটি বিষয়কে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের জন্য উপমহাদেশের প্রচীনতম একটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের উপর দায় চাপিয়ে ছাত্রদল নিজেদের জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তারা আজ প্রেস রিলিজ নির্ভর সংগঠনে পরিনত করেছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় কমিটির এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রেস রিলিজ দেয়ায় তজুমদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ সময় সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক অপু চৌধুরীসহ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।




রায়পুরে ব্যাবসায়ীদের নেতার ওপর হামলা : বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রদীপ কুমার রায়:

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একটি ব্যস্ততম মার্কেটে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় মার্কেট ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শিপলু ভাট (৩৭) এর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় মার্কেট ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন(৩০), দারোয়ান হারুন (৪৫), ও জেনারেটর কর্মচারি রবিন (২৫)কেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। গুরুতর আহত রবিনকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং শিপলু ভাটকে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাত ১২টার দিকে শহরের গাজী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সৃষ্ট ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে আজ রবিবার দুপুরে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন শেষে সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট বরাবর পেশ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকে গাজী মার্কেট সংলগ্ন জায়গায় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর সৈয়দ আহম্মদ গং ৯তলা একটি ভবন নির্মান শুরু করেন। নির্মান সামগ্রী এবং গাড়ী পার্কিং করে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করে আসলেও সৈয়দ আহম্মদ প্রভাবশালী হওয়ায় কিছুতেই কারো অভিযোগ অনুযোগ কর্ণপাত করছিলেন না। শুক্ররার রাতে নির্মানাধীন ভবনের ময়লা পানি পাইপ দিয়ে গাজী মার্কেটের দিকে দিতে দেখে দারোয়ান হারুন বাধা দিলে তার ওপর হামলা চালান সৈয়দ আহাম্মদ ও তার দুই ছেলে আমির হোসন ও আনোয়ার হোসেন। তাকে বঁাঁচাতে এগিয়ে আসলে মার্কেট ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শিপলু ভাট (৩৭), মার্কেট ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন(৩০), ও জেনারেটর কর্মচারি রবিন (২৫)কেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ নিয়ে আজ রবিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে গাজী কমপ্লেক্সের সকল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে অভিযুক্ত সৈয়দ আহাম্মদ ও তার দুই ছেলেকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনজন দাশ ও রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দীন রুবেল ভাট বরাবর ব্যবসায়ীদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারক লিপি প্রদান করেন ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

রায়পুর থানার ওসি তদন্ত হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




আবারো প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী লক্ষ্মীপুরে

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে সিতি রাহাইউ নামে আরও এক তরুণী লক্ষ্মীপুরে এসেছে। বাংলাদেশের মামুন হোসেন ও সিতি মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এই সুবাদে তাদের পরিচয় ও প্রেম। সেই টানেই বাংলাদেশে ছুটে আসেন সিতি।

আজ রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

মামুন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহর ছেলে এবং সিতি ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ের মৃত জুমিরানের মেয়ে।

গত শনিবার বিকেলে মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন মামুন ও সিতি। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামে নিজবাড়িতে যান।

মামুন বলেন, ২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে সিতির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করতেই বাংলাদেশে এসেছেন সিতি। এক মাসের ছুটি শেষে ফের মালয়েশিয়ায় চলে যেতে হবে। তবে, সিতি বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ মার্চও প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী। ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামেও ওই তরুণী রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের রাসেল আহমেদকে বিয়ে করেন।