শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে যোগ হচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে এবার যোগ হতে যাচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কাল শনিবার খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে রাজধানী ও দেশের মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কোথাও কোথাও আকাশ সামান্য মেঘলা হতে পারে।

এদিকে আজ শুক্রবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে। তবে দিনে রোদ থাকায় শীতের তীব্রতা ছিল কম। আর দেশের ১১টি জেলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। সেই সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকা এবং দেশের উত্তর ও উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। ফলে নৌপথ এবং মহাসড়কগুলোতে রাতে যান চলাচলে সমস্যা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম আলেকে বলেন, দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর আকাশে মেঘ আবার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মেঘ–বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমে সারা দেশে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। ওই শৈত্যপ্রবাহ চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কাল শনিবার এই জেলাগুলোর কয়েকটি এলাকা থেকে শৈত্যপ্রবাহ সরে যেতে পারে। সেখানে রাত ও দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।




শীতে সুস্থ রাখতে উপকারী যেসব ভেষজ চা

শীতে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এই সময় সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন তিন ধরনের ভেষজ চা। এসব চা শরীর ডিটক্স করতে, চুল ও ত্বকের সমস্যা দূর করতে উপকারী।

যেভাবে বানাবেন ভেষজ চা

১. একটি পাত্রে পানি নিন। তাতে আদার টুকরো ও জোয়ান দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এটি গরম করে নিন। এর সঙ্গে চা পাতা মেশান। এবার ছেঁকে নিয়ে তাতে ভালোভাবে লেবুর রস মেশান। এই চা গরম গরম পান করলে উপকার মিলবে।

২. দারুচিনি, লবঙ্গ ও গ্রিন টি দিয়ে বানিয়ে নিন চা। একটি পাত্রে পানি নিন। এবার তা ফুটতে শুরু করলে দারুচিনি ও লবঙ্গ দিন। ফুটে গেলে তা ছেঁকে নামিয়ে নিন। এবার তাতে গ্রিন টি-র ব্যাগ ডুবিয়ে দিন। প্রতিদিন এই চা খেলে মিলবে উপকার।

৩. আমলকী ও আদার চা বানাতে পারেন। এর জন্য আদার গুঁড়া (১ চা চামচ), আমলকীর গুঁড়া (১ চা চামচ), লবণ পরিমাণ মতো, মধু (১ চা চামচ) লাগবে। পাত্রে পানি নিন। পানি গরম হলে তাতে আদা ও আমলকীর গুঁড়া দিন। সামান্য লবণ দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার তা নামিয়ে মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন খেতে পারেন এই চা।




দাম না কমালে বিদ্যুৎ বিল দেব না: বুলু

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বিদ্যুতের যে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে জনগণকে নিয়ে বিদ্যুতের বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ বিল দেব না।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ফোরাম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
রংপুর সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টি উল্লেখ করে বুলু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট চোরদের আর দেখতে চায় না। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। এ কারণে মামলা দিয়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বুলু বলেন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছেন। আজকে বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। বাঘের পিঠ থেকে নামতে হলে একটি রাস্তা আছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে বেয়াদবি করেছেন, অন্যায় করেছেন, তার পরিবারের সাথে যে অন্যায় করেছেন তার জন্য মাফ চেয়ে, বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করুন। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করুন।

সংগঠনের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।




ইউজিসি নিধিরাম সর্দার থাকবে না!

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকলেও সংস্থাটির হাতে বিচারিক ক্ষমতা অর্থাৎ শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে আইনগত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছে ইউজিসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। বর্তমানে ইউজিসি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়ম তদন্ত করা ও তাদের কার্যক্রমের তদারকি করতে পারে। অবস্থার আলোকে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করে এবং সে আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া না নেওয়ার এখতিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। অর্থাৎ ইউজিসির ভূমিকা আমরা দেখছি অনেকটা ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দারের মতো।

প্রথম কথা হলো, ইউজিসি কেন বিচারিক ক্ষমতা চায়। যদি এমন হয়, কোনো বিষয়ে সুপারিশ করার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেখানে ইউজিসির হাতে থাকলেও সংস্থাটি সে ব্যবস্থা নিতে পারবে কিনা। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে না পারলে ইউজিসিও যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে- এমনটি ভাবার কারণ নেই। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে যারা রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই তারা ক্ষমতাবান এবং সাধারণত তারা ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকে। ফলে সেখানে অনেকক্ষেত্রে ইউজিসি কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অসহায়। এমনকি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যারা জড়িত তারাও কম শক্তিশালী নয়। ফলে সেখানেও সবসময় ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি, প্রতিষ্ঠার ২০-২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য তাদের ইউজিসির পক্ষ থেকে বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও অনেকেই তা বাস্তবায়ন করেনি। অনেকেই আবার দূরে নামকাওয়াস্তে ক্যাম্পাস বানিয়ে রাজধানীতেই শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে হয় স্থায়ী ক্যাম্পাস, না হয় শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ- এমন বার্তা দেওয়ার পরও নিয়ম মানছে না অনেকেই। এরপরও কিন্তু তাদের শিক্ষা কার্যক্রম দিব্যি চলছে। এখনও অন্তত একডজন বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি। ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়- কেউই এদের নিয়ন্তণে আনতে পারেনি।

সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি, সনদ বাণিজ্য, আর্থিক অনিয়ম ঠেকাতে আইনি ব্যবস্থা অবশ্যই থাকা জরুরি। বিদ্যমান ব্যবস্থায় এর এখতিয়ার মূলত শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের হাতে। ইউজিসি কোনো বিষয়ে সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠালে, দেখা যায়, সেখানে বিষয়টি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে যায়। ফলে অনিয়ম থেকেই যাচ্ছে। সেদিক থেকে ইউজিসির হাতে ক্ষমতা থাকলে সংস্থাটি ত্বরিত যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। ইউজিসির জন্য এটি সহজ এ কারণে বিষয়টির তত্ত্বাবধানে সরাসরি সংস্থাটিই করেছে। কোনো বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সিদ্ধান্তের সুপারিশ করলে তারা আবার তদন্তে গেলে অযথা সময় নষ্ট হবে।

শুক্রবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, কেবল বিচারিক ক্ষমতাই নয় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে উপাচার্য নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ও সময়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা, অভ্যন্তরীণ র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু করাসহ ইউজিসি ১৭টি সুপারিশ করেছে। সময়ের আলোকে এগুলো নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো বাস্তবায়ন তখনই হতে পারে, যখন দেশে উচ্চশিক্ষার মূল সংকট দূর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সংকট এখন সর্বগ্রাসী দলীয়করণ। যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষক নিয়োগ কিংবা উপাচার্য নিয়োগে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দলীয়করণ দূর না হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা থাকা আর ইউজিসির হাতে ক্ষমতা থাকার মধ্যে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য নেই। এ ক্ষেত্রে রাজনীতিকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া সংকট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বের হতে পারবে না তেমনি উচ্চশিক্ষার সংকটও কাটবে বলে মনে হয় না।




বিশ্বের দীর্ঘ নৌরুটে যাত্রা শুরু গঙ্গা বিলাসের

বিশাল প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। এর আলো ঝলমলে অন্দরমহল যেন পাঁচ তারকা হোটেল। নানা আনন্দ আয়োজন রাখা হয়েছে এর ভেতরে। ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসী থেকে যাত্রা শুরু করেছে এটি। বাংলাদেশের নদীপথ দিয়ে পৌঁছাবে আসামে। প্রমোদতরীটি বিশ্বের দীর্ঘতম নৌপথ ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে। এ যাত্রায় সময় নেবে ৫১ দিন। এরমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করবে ১৫ দিন। যাত্রাপথে পড়বে অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য তাৎপর্যময় স্থান। এগুলো ঘুরে দেখবেন এতে আরোহী পর্যটকরা।

‘গঙ্গা বিলাস’ নামকরণকে যথার্থই বলতে হবে। কারণ, এতে আরোহণ বিলাসই বটে। এ জাহাজে ভ্রমণে প্রতিদিন মাথা পিছু ভাড়া গুনতে হবে ২৫ থেকে ৫০ হাজার রুপি। ৫১ দিনের ভ্রমণে নূন্যতম খরচ পড়বে ১২ লাখ ৫০ হাজার রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৬ লাখ টাকা।
শুক্রবার বারানসীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রমোদতরী এমভি গঙ্গা বিলাস উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ভারতের কেন্দ্রীয় নৌ পরিবহনমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী যাত্রায় প্রমোদতরীতে যাত্রী হিসেবে আছেন সুইজারল্যান্ডের ৩২ জন ও এক জার্মান পর্যটক। এ ছাড়া সাতজন ক্রু রয়েছেন।

গঙ্গা বিলাসের দৈর্ঘ্য ৬২ দশমিক ৫ মিটার; প্রস্থ ১২ দশমিক ৮ মিটার। এতে আছে এলইডি টেলিভিশন, স্মোক ডিটেক্টর লাইফ জ্যাকেট, ফ্রেঞ্চ ব্যালকনি, ৪০ আসন বিশিষ্ট রেস্তোর, স্পা, সানডেক ইত্যাদি। রয়েছে ময়লা পানি পরিশোধনের ব্যবস্থাও। এ পরিশোধন পল্গ্যান্ট নদী থেকে পানি তুলে তা পর্যটকদের জন্য গোসল ও অন্য কাজের উপযোগী করবে। ভ্রমণকালে বিনোদনের জন্য থাকবে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। এ ছাড়া ফিটনেস ঠিক রাখতে জিমের ব্যবস্থাও রয়েছে।

প্রমোদতরীটি বারানসি থেকে বিহার-কলকাতা ছুঁয়ে বাংলাদেশ হয়ে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাবে। এর মধ্যে এটি বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার নদীপথ অতিক্রম করবে। ভ্রমণকালে ২৭টি নদীর পানিতে ভাসবে গঙ্গা বিলাস। তবে সুন্দরবন ডেল্টা, গঙ্গা আরতি, আসমের মায়ংয়ের কালো জাদু এবং কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের মতো অন্তত ৫০টি স্থানে থাকবে।

বারানসীর রামনগর বন্দরের সন্ত রামদাস ঘাট থেকে তরীটি যাত্রা শুরুর পর বিহারের গাজীপুর-বপার-ছাপরা-পাটনা-মুঙ্গের-বৌদ্ধগয়া-নালন্দা, ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা-মুর্শিদাবাদ হয়ে কলকাতায় পৌঁছবে। একদিন বিরতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অংশের নামখানা-সজনেখালি হয়ে তা সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করবে। পরে মংলা বন্দর-বাগেরহাট-মোড়েলগঞ্জ-বরিশাল-সোনারগাঁও হয়ে ফেব্‌রুয়ারি মাসে ঢাকায় পৌঁছবে। এরপর আরিচা-টাংগাইল-সিরাজগঞ্জ-চিলমারী-আসামের ধুবরি-গোয়ালপাড়া হয়ে ফেব্‌রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে গোয়াহাটিতে পৌঁছবে। পরে ফেব্‌রুয়ারির শেষ দিকে মাজুলী আইল্যান্ড পৌঁছবে। ১ মার্চ আসামের ডিব্রুগড়ে গিয়ে যাত্রা শেষ করবে। বিশ্বের এ দীর্ঘতম নৌরুটেই প্রমোদতরীটি যাতায়াত করবে।

তরীটি উদ্বোধনের পর নরেন্দ্র মোদি বলেন, গঙ্গায় বিশ্বের দীর্ঘতম প্রমোদতরী পরিষেবার সূচনা যুগান্তকারী মুহূর্ত। এ প্রকল্প ভারতের পর্যটন মানচিত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে। গঙ্গা বিলাসের যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যা কল্পনা করবেন, এমন সবকিছুই ভারতে আছে। শুধু তাই নয়, আপনাদের কল্পনার বাইরেও অনেক কিছু এখানে আছে।

প্রমোদতরীর পরিচালক রাজ সিং জানান, তিনতলা জাহাজটিকে সাজিয়ে তুলতে খরচ হয়েছে ৬৮ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি)।

গঙ্গা বিলাস নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বনন্দ সোনোয়াল বলেন, গঙ্গা বিলাসের যাত্রা বিদেশি পর্যটকদের কাছে ভারত ও বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতাকে বুঝতে সহায়তা করবে।

ভারতের সরকারি ও বেসরকারি যৌথ ব্যবস্থাপনা মডেলের (পিপি মডেল) ওপর ভিত্তি করি পরিচালিত হবে বারাণসী-বাংলাদেশ-ডিব্রুগড় রুটের এ প্রমোদতরী। এজন্য ভারত সরকার ‘ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র দুই জনপ্রিয় ক্রুজ সংস্থা অন্তরা লাপারি রিভার এবং জেএম বপী রিভার ক্রুজের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। যাত্রার জন্য টিকিট বুক করা যাবে বেসরকারি দুই সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে। তবে লম্বা সময় এবং অর্থ হাতে না থাকল সম্পূর্ণ ট্রিপ বুকিং ছাড়া কেবল সমুদ্রের আমেজ উপভোগ করতে বারাণসী থেকে কলকাতা বা কলকাতা থেকে ডিব্রুগড়ের প্যাকেজও বুক করা যাবে।




স্বামীকে হত্যা করে পালিয়ে থাকার অভিযোগ, গ্রেপ্তার স্ত্রী

দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মিরসরাই থানার মিঠাছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নারীর নাম রুমি আক্তার (২৫)। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া থানার বাজারপাড়া গ্রামের মৃত মো. তাজুর মেয়ে।

র‌্যাব জানায়, দেড়বছর আগে একই এলাকার মো. রিদুয়ানের সঙ্গে রুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রুমি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার কলহ লেগে থাকতো। গত ২৮ আগস্ট একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন রুমি। গত ১৭ অক্টোবর জামিনে বেরিয়ে আসেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর আবারও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়। এর জেরে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে স্বামী রিদুয়ানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরদিন রিদুয়ানের পরিবারের সদস্যরা থাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রিদুয়ানের ভাই বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার বলেন, ‘মামলার একমাত্র আসামি রুমি আক্তারকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা ও ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে র‌্যাব। নজরদারির একপর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে আসামি মিঠাছড়া এলাকায় একটা বাসায় অবস্থান করছেন। অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’




শীতে আলসেমি ছাড়ছে না? শক্তি বাড়াতে খাবেন যেসব খাবার

শীতে কমবেশি সবারই বিছানা ছাড়তে আলসেমি লাগে। কারও কারও গোসল করা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজেও আলসেমিতে পেয়ে বসে। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিতে পারে কিছু খাবার।

কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে শীতকালে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। এসব খাবার পুরো শীতকালে শক্তি বাড়াতে কাজ করে। যেমন-

বাদাম : শীতে বাদাম খুব ভালো বিকল্প হতে পারে। ক্ষুধার্ত থাকলে এবং শক্তির প্রয়োজন হলে বাদাম খেতে পারেন। বাদাম, আখরোট এবং পেস্তা সাধারণত সব বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায়। এর মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

খেজুর মিল্কশেক : খেজুরে থাকা ভিটামিন, প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

মৌসুমি ফল : শীতকালে সবুজ শাকসবজির পাশাপাশি এমন অনেক ফলও পাওয়া যায় যেগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর মধ্যে কমলা, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, আঙুর উল্লেখযোগ্য।

ডিম : শীতকালে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উপকারী হতে পারে। ডিমে প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন ডি-ও থাকে। এসব উপাদান তাৎক্ষণিক শক্তি দিতে পারে।

মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। ১০০ গ্রাম মিষ্টি আলুতে ৯০ ক্যালোরি এবং ২৪ গ্রাম স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।

মেথি : শীতে মেথি খাওয়া খুবই উপকারী। মেথি বীজ, ময়দা, বাদাম এবং কিছু মসলা দিয়ে মেথি বেক তৈরি করতে পারেন। এই মিশ্রণ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।




স্যামসাংয়ের মুনাফায় ভাটা

মূল্যস্ম্ফীতি ও মন্দার শঙ্কায় বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিপণ্যের বেচাকেনা তুলনামূলক কমেছে। এতে পণ্যের চাহিদা কমার পাশাপাশি নির্মাতাদের আয়ও কমেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত হিসাবে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাংয়ের মুনাফায় ভাটা পড়েছে। গত বছরের শেষ তিন মাসের হিসাবে গত আট বছরে সর্বনিম্ন মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। বিশ্বব্যাপী মন্দায় সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যে। চাহিদা কম থাকায় প্রযুক্তি জায়ান্টদের অনেকের ব্যবসায় লাভের অঙ্ক কমে গেছে। গত বছরের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) স্যামসাংয়ের রেকর্ড মুনাফা কমেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ৬৯ শতাংশ কমেছে, যা বিগত ৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। পূর্বাভাসে স্যামসাং জানিয়েছে, বিদায়ী বছরের শেষ তিন মাসে তাদের অপারেটিং মুনাফা প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে।




সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুংগাছড়া গ্রামের সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি বুরুংগাছড়া গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন।

জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুংগাছড়া গ্রামের বাসিন্দা হনুফা বেগম সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে যান। এ নিয়ে বড়ছড়া বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে হনুফা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে বিএসএফের টহলরত এক সদস্য এসে উপস্থিত হন এবং তিনি মহিলাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ ঘটনায় গ্রামের বাসিন্দারা বিএসএফ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। বিএসএফের সদস্যরাও বাংলাদেশি নাগরিকদের ধাওয়া করেন। পরে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের ৫০ গজ ভেতরে এসে তিন রাউন্ড ছড়া গুলি ছোড়ে। এতে বুরুংগাছড়া গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেনের শরীরে গুলি লাগে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আহত হনুফা বেগমকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান (পিবিজিএম) জানান, গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তিকে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে তাৎক্ষণিক বড়ছড়া শুল্ক্ক স্টেশনের জিরো পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন টেকেরঘাট কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাফর আহমদ ও ভারতের বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলং ১৯৩ ব্যাটালিয়নের বড়ছড়া বিএসএফের বড়ছড়া কোম্পানি কমান্ডার দিলীপ সিং। দুই দেশের মধ্যে ১৫ মিনিটব্যাপী পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে ঘটনার বিষয়টি বিএসএফ প্রথমে অস্বীকার করে। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনা ও আহতদের ছবি দেখালে বিএসএফের পক্ষে থেকে বলা হয় ঘটনা ঘটতেও পারে। তবে আগামীকাল (শনিবার) ঘটনাস্থল বিএসএফ পরিদর্শন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

অপর দিকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) মো. সাহিদুর রহমান, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন প্রমুখ।




প্রকাশ পেল ‘হানড্রেড পোয়েটস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ফর লাভ’

‘হানড্রেড পোয়েটস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ফর লাভ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলা মোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ১০০ কবির কবিতা সংবলিত এই সংকলনের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

কবি সাকিরা পারভীন সুমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি জয় গোস্বামী, কবি ও অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, কবি কামাল চৌধুরী, কবি ও অধ্যাপক শামীম রেজা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘গ্রন্থী’ সম্পাদক কবি শামীম শাহান। শামীম শাহানের স্বাগত বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবি শাহেদ কায়েস।

সংকলনটি সম্পাদনা করেছেন ‘গ্রন্থী’ সম্পাদক কবি শামীম শাহান। শামীম শাহান তার বক্তব্যে বলেন, এটি শুধু একটি কবিতা সংকলন নয়, বরং বিশ্বের নানা দেশের ১০০ কবির ভালোবাসার বন্ধন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা আর বিভিন্ন ভাষার অসংখ্য কবির সঙ্গে অনলাইন আড্ডার পর ১০০ কবির কবিতা নিয়ে এই সংকলন প্রকাশ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য কবি, লেখক ও কথাসাহিত্যিক। কবি ফরিদ কবির, কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার, কবি ও সম্পাদক জুয়েল মাজহার, কবি আসাদ মান্নান, কবি মোহাম্মদ সাদিক, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, কবি কুমার চক্রবর্তী, কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা, কথাসাহিত্যিক রাজীব নূর, কবি মুজিব মেহেদী, কবি জাফর আহমদ রাশেদ, কবি আয়েশা ঝর্না, কবি মনিকা চক্রবর্তী, কবি জুনান নাশিদ, কবি আমির খসরু স্বপন, কবি সুমন ফারুক, কবি মনিরুজ্জামান মিন্টু, কবি আলতাফ শাহনেওয়াজ, লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ ও লেখক সুমনকুমার দাশসহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কবি বিভাস রায় চৌধুরী, কবি গৌতম গুহরায়, কবি নিখিলেশ রায়, কবি বনানী চক্রবর্তী, কবি শামীম আহমেদ প্রমুখ। সংকলনের মোড়ক উন্মোচন শেষে অতিথিরা তাদের বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ জুন ব্রিটেনের দক্ষিণ এশীয় সাহিত্য, দর্শন এবং সমাজতত্ত্বের ছোটকাগজ গ্রন্থীর ফেসবুক লাইভ সিরিজ ‘হানড্রেড পোয়েটস্ অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ফর লাভ’ শীর্ষক আয়োজন শুরু হয়। কুড়ি পর্বের এই সিরিজে সারা বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশের খ্যাতনামা কবিরা অংশ নেন।