ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ‘বড় ছেলে’, মেহজাবীনের নিজের পছন্দ কোনটি

এই প্রজন্মের তরুণদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। নাটক থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজ—সবখানেই নিজগুণে দক্ষতার উদহারণ দেখিয়ে চলেছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি বড় পর্দাতেও নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের কাজ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
কোনো কাজ যখন সবচেয়ে বেশি দর্শকপ্রিয়তা পায়, তখন কেমন লাগে— এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘দর্শক একটা দেখে, তখন অবশ্যই আমার ভালো লাগে। কারণ, দর্শকদের জন্যেই আমরা কাজ করি। তারপরও আমি বলব, আমার নাটকের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার টার্নিং যে নাটকটা ছিল সেটি হচ্ছে, “বড়ছেলে”। যেটা নিয়ে দেশে তুমুল আলোচনা হয়েছিল এবং সবাই পছন্দ করেছিল।

আমাকে নতুনভাবে দর্শক দেখতে পেয়েছিল এবং আমাকে নিয়ে ওই সময় অনেক আলোচনা হয়েছিল। আমার বলতেই হবে ওই দিন থেকে আমার ক্যারিয়ার একটা স্টেপ ওপরে চলে গিয়েছে। সেটা অবশ্যই সব সময় আমার খুব পছন্দের তালিকায় ওপরে থাকবে। ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় আছে ভিকি জাহেদের “চিরকাল আজ”। এটা আমার জন্যে অনেক চ্যালেঞ্জিং। এটা ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন এবং প্রিয় কাজ ছিলো আমার জন্য।’

আজকের মেহজাবীন হয়ে ওঠার পেছনের গল্পটিও বলেন মেহজাবীন। তাঁর মতে, ‘আমার কখনই অভিনেত্রী হওয়ার প্ল্যান ছিল না। দেশে ফেরার পর লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারে যাই, যাওয়ার পর দেখি কত দূর যেতে পরি। পাশাপাশি দেশে যেহেতু কোনো বন্ধু ছিল না, আমার মনে হয়েছে, এখানে অনেক মেয়ে আছে। হয়তো একজন-দুজন বন্ধু হতে পারে। ধারণা ছিল না এটাতে আমি জিতে যাব। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসাটাও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আম্মুকে শর্তও দিয়েছিলাম, প্রতিযোগিতার ব্যাপারে ঢাকার আত্মীয়–স্বজনদের বলা যাবে না। কারণ, যদি আমি হেরে যাই, তাহলে খুবই লজ্জা পাব। আমি একেবারেই কাউকে বলতে দিইনি।’




লাপাতা লেডিস: গ্রাম্য সরলতা আর মিষ্টি প্রেমের গল্প

এখন আলোচিত হিন্দি ছবি মানেই যেন সহিংসতা, যৌনতা আর নারীবাদের কচকচানি। এসবের মধ্যে একমুঠো তাজা বাতাস নিয়ে এসেছে কিরণ রাও পরিচালিত ছবি ‘লাপাতা লেডিস’। প্রায় ১২ বছর পর পরিচালনায় ফিরলেন কিরণ। আর ফিল্মি ময়দানে নেমেই ছক্কা হাঁকালেন আমির খানের সাবেক স্ত্রী। বড় পর্দার পর এবার নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘লাপাতা লেডিস’।

ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আমির খান। নিজের প্রযোজিত ছবির ব্যাপারে তিনি কতটা খুঁতখুঁতে, তা কারও অজানা নেই। তাঁর সব ছবির সঙ্গে আবেগ, ভালোবাসা আর পরিশ্রম যে মিশে থাকে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ‘লাপাতা লেডিস’। এই ছবির আদ্যোপান্তজুড়ে আছে গ্রাম্য সরলতা। অনেক দিন পর এক নিটোল মিষ্টি প্রেমের গল্পের সাক্ষী হলেন দর্শক। তবে এই ছবির পরতে পরতে লুকিয়ে আছে সামাজিক বার্তা, নারীশিক্ষা, পুরুষের একাধিপত্য, নারীর অসহায়ত্ব, যন্ত্রণা ও অসম্মানের কথা। তবে পরিচালক আড়ম্বরহীন, মোলায়েমভাবে ও হাস্যরসের ছোঁয়ায় সেসব কথা ছবিতে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। তাই এই ছবি কোথাও কাঁদাবে, কোথাও হাসাবে, আবার কোথাও ভাবাবে। আর মন ছুঁয়ে যাবে আনকোরা একঝাঁক তরুণ-তরুণীর সরল–সাদাসিধে অভিনয়।




৪০০ বছর আগে নিয়ে যাবে ‘কাজলরেখা’

থ্রিলার, রহস্যে ভরপুর, মারদাঙ্গা সিনেমা নয়। নেই বলিউডের ছায়া। গল্পের পুরোটাজুড়েই যেন বাঙালির অতীত সংস্কৃতির যোগ পাওয়া যায়। গল্প বলা ও উপস্থাপনার ঢং নিয়ে যায় বাঙালির শত শত বছর আগে ফেলে আসা অতীতে। বলছি ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘কাজলরেখা’র কথা। ৪০০ বছর আগের একটি প্রেমের গল্প। যে গল্প কাজলরেখাকে ঘিরে। পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের এ সিনেমার পরতে পরতে ছিল মুগ্ধ করার মতো উপকরণ।

বন্দনাসংগীত দিয়েই শুরু হলো এই সংগীতনির্ভর সিনেমা। গানটিতে ঠোঁট মিলিয়েছেন অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই অভিনেতাকে সিনেমায় ভিন্ন পাঁচটি চরিত্রে দেখা গেছে। প্রতিটি চরিত্রে স্বল্প সময়ের জন্য পর্দায় এলেও পাশা খেলার সঙ্গী, জেলে, পুরোহিতসহ সব চরিত্রে আলাদা করে নজর কেড়েছেন। বলা যায়, ছোট-বড় চরিত্রের চরিত্রায়ণগুলোতে সফল পরিচালক।

শুরু থেকেই সিনেমাটি সমান গতিতে এগিয়েছে। তেমন মেদ ছিল না। ছিল পরিচ্ছন্ন সময়ের চিত্র। বিশাল এক পাহাড়ি এলাকা। তার পাশে রাস্তা। পাশেই একটি পুকুর। তার মাঝে একটি ঘর। সেখানে সাধু ধনেশ্বরের পাশা খেলার আসর বসে। সেই আসরের অভিনয়শিল্পীদের সাজসজ্জা, বাঁশ দিয়ে তৈরি ঘর, ভাষা, শারীরিক অভিব্যক্তি আমাদের নিয়ে যায় ৪০০ বছর আগে।

নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর ছিল শুটিংয়ের লোকেশন। সেখানে তিন মাস ধরে সেট নির্মাণ করা হয়। চরিত্রের কস্টিউম, লোকেশন, আবহ সংগীতের জন্য যে অনেক সময় দিতে হয়েছে, সেটা বোঝা গেল। এক মিনিটের একটি দৃশ্যের জন্য ৪০০ বছর আগের রেঙ্গুনের বাজার তৈরি করা হয়। সেই সময়ের লোকসংস্কৃতি ও বাঙালির ঐতিহ্য দেখতে দেখতে গল্পে ঢুকতে খুব বেশি সময় লাগে না। দক্ষতার সঙ্গে চিত্রগ্রহণের কারণে সিনেমাটি যেন ৪০০ বছর অতীতে ভ্রমণের মতো মনে রসদ জোগাচ্ছিল।

সরলরৈখিক গল্পটাই বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনার কারণে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখে। শুরুতে সাধুর পাশা খেলার দৃশ্য ছিল উত্তেজনায় ভরা। সে খেলায় সাধু সবকিছু হারিয়ে পাগলপ্রায়। রাজা থেকে নিঃস্ব। জুয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় স্ত্রী ও কাজলরেখারা। তাদের নিয়ে নতুন করে আবার শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। এই দুঃসময়ে রহস্যময় সুখপাখি তাঁদের ভাগ্য ফেরাতে আসে। ধনেশ্বর সুখপাখিটি স্ত্রীর কাছে নিয়ে এসে বলেন, ‘এই পাখির কথা শুনলেই বদলে যাবে আমাদের ভাগ্য।’ সাধুর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করা সাহানা সুমি এ কথায় তেমন গুরুত্ব দেন না। তিনি বলেন, ‘যে শোনে না মানুষের কথা, সে শুনবে পাখির কথা।’ জীবনের ঘাত–প্রতিঘাতে এবার শক্ত এই সাধু। আবার শুরু করেন বাণিজ্য।

সাধু ধনেশ্বর চরিত্রে বিশেষ করে বলতে হয় অভিনেতা ইরেশ যাকেরের কথা। সিনেমার বড় অংশের হাল তিনিই টেনেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিল কালজরেখা চরিত্রে সাদিয়া আয়মানের অভিনয়। নাটকে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই অভিনেত্রী যখন সিনেমাটি করেন, তখনো তাঁকে কেউ চেনে না। প্রথম সিনেমা হলেও অভিনয়ে জড়তা ছিল না। ছিলেন সময়ের সঙ্গে মানানসই। তাঁর সংলাপ বলার ধরন, অভিব্যক্তি, ১৩ বছরের কিশোরীর চরিত্রে সরলতা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো অভিনয়শিল্পীসহ অনেকে।

সিনেমার প্রধান চরিত্রগুলোর পাশাপাশি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চরিত্রগুলোতে শিল্পীদের অভিনয়ও ছিল উল্লেখ করার মতো। বিয়ের গানের সঙ্গে যখন দাস–দাসিরা ঠোঁট মেলায়, তাদের সেই অভিনয় ছিল অনেক গোছানো। বলতে হয় ৪০০ বছর আগের রাজা চরিত্রের অভিনেতা শরীফুল রাজের কথা। রাজা বুঝতে পারেন, তাঁর দাসি আদতে দাসি নন, হয়তো কোনো এক রাজকন্যা। তাঁর পরিচয় কী? তাঁর প্রতি দুর্বলতা, রাগের মাথায় তাঁকে বাড়ি থেকে বনবাসে পাঠানোর পর রাজার হন্য হয়ে খোঁজার দৃশ্যগুলোতে তিনি ছিলেন মানানসই।

দাসি থেকে রানি বনে যাওয়া কাঁকন দাসি চরিত্রের মিথিলার কথা না বললেই নয়। একটি দৃশ্যে গর্ত খোঁড়া হচ্ছে। এটা দেখে কৌতূহলী হয়ে এই অভিনেত্রী রাজার কাছে জিজ্ঞাসা করেন, এখানে কী হবে? রাজা উদাস গলায় জানান, পাশের রাজ্যের রাজা আক্রমণ করবেন। আমরা এখানে পালাব। এ কথা শুনে দৌড়ে রানি চলে যান মূল্যবান জিনিসপত্র আনতে। সব নিয়ে নিজেই নেমে পড়েন গর্তে। তখনো তিনি বুঝতে পারেননি, দাসি হয়ে রানি সেজে থাকার জন্য এই গর্তে তাঁকে মাটি চাপা দেওয়া হবে। এমন অনেক দৃশ্যে নতুন এক মিথিলাকে দেখা গেল।
সিনেমাটিতে কাজলরেখা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ অনেকটা কাজে লাগিয়েছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। অভিব্যক্তি প্রকাশ ভালো হলেও তাঁর লুক অনেকটা সমসাময়িক মনে হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর সংলাপ বলার দিকেও একটু যত্নবান হওয়া যেত। কিছু দৃশ্যে এ কথা বলা যায় রাজের ক্ষেত্রেও। ভালো অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসারও। যদিও রাজের বন্ধুর চরিত্রে বয়সের কারণে তাঁকে কিছুটা মানানসই কম মনে হচ্ছিল। তা ছাড়া সিনেমার শেষ দৃশ্যে গল্প থেকে কিছুটা সরে গেছেন পরিচালক। সেটা না করলেও পারতেন। টাইটেলে শুরুতে ও শেষে শরীফুল রাজের নামের বানান দুই জায়গায় দুই রকম বিষয়টা চোখে পড়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, সিনেমাটি ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে। তরুণদের জন্য জানার দুয়ার খুলে দিবে।



চুম্বনের দৃশ্যে স্বাচ্ছন্দ্য নন, তাই সিনেমার প্রস্তাব ফেরাতে হচ্ছে ‘সীতা রামম’ অভিনেত্রীকে

৫ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে ম্রুণাল অভিনীত নতুন সিনেমা ‘দ্য ফ্যামিলি স্টার’। ছবিতে তাঁর জুটি ছিলেন বিজয় দেবারাকোন্ডা। বক্স অফিসে ভালো না চললেও দর্শকের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ভারতীয় গণমাধ্যম আইডিভার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ম্রুণাল জানান, অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেলেও তিনি রাজি হতে পারছেন না। কারণ, পর্দায় চুম্বনের দৃশ্যে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য নন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

এ প্রসঙ্গে ম্রুণাল বলেন, ‘আমি আসলে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে স্বাচ্ছন্দ্য নই। এটা আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। পর্দায় এমন দৃশ্য থাকলে আমি না বলে দিই। কিন্তু কত দিন এটা করতে পারব? একটা সময় হয়তো আমার মা-বাবাকে বলতে হবে এটা (পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য) আমি ঠিক করি না।’ ইনস্টাগ্রাম থেকে

একই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অনেক সিনেমার প্রস্তাব আমাকে ছাড়তে হয়েছে পর্দায় চুম্বনের দৃশ্য আছে বলে। অভিনেত্রী হিসেবে এ ধরনের দৃশ্যের জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, সিনেমায় হয়তো সত্যই এ ধরনের দৃশ্য থাকা দরকার। আপনি যদি এ ধরনের দৃশ্যে স্বাচ্ছন্দ্য না হন, সেটা নিয়ে আলাপ হতে পারে। কিন্তু আমি এ কারণে একের পর এক সিনেমা মিস করছি।’ অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘দ্য ফ্যামিলি স্টার’ বক্স অফিসে সেভাবে না চললেও চলতি বছর ম্রুণাল অভিনীত আরেকটি ছবি আসবে প্রেক্ষাগৃহে। ‘পূজা মেরি জান’ নামের ছবিটি দিয়ে তাঁর সুযোগ থাকবে ঘুরে দাঁড়ানোর। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে



হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালোই প্রতিরোধ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে এবার প্রথম ম্যাচে হারমানপ্রীত কৌরদের সামনে কোনো পাত্তাই পেল না টাইগ্রেসরা। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানার দল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪৫ রানে হারিয়েছে ভারতীয় নারী দল। ভারতের দেয়া ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছে টাইগ্রেসরা।

 
লক্ষ্যতাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চার মেরে গোড়াপত্তন করেন দিলারা আক্তার। তবে পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান রেণুকা সিং ঠাকুর। শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোবাহানা মোস্তারি এবং মুর্শিদা খাতুন। তবে সেই সুযোগ দেননি রেণুকা। পঞ্চম ওভারে সোবাহানাকে বোল্ড করেন তিনি। 
 
১৮ বলে ১৩ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন মুর্শিদা। বিপর্যয় সামাল দিতে এসে ১ রান করে আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার। তবে রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে।
 

১১ রান করে রাধার বলে স্বর্ণা আউট হওয়ার পর লড়াই থেকে একদমই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। উইকেটের একপ্রান্তে নিগার লড়াই করে গেলেও হারটা তখন সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়।
 
৪৮ বলে ৫১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন নিগার। তবে এই রান হার এড়ানো তো দূরের কথা, লড়াইটাকে কাছাকাছিও নিয়ে যেতে পারেনি। ১০০ রানে থামে বাংলাদেশ।
 
এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুনের বলে স্মৃতি মান্ধানার সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে মান্ধানাকে বড় রান করতে দেননি তৃষ্ণা। পরের ওভারে নিজে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন মান্ধানার উইকেট।
 
মান্ধানা না পারলেও ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেয়েছিলেন আরেক ওপেনার শেফালী ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তাকে মুর্শিদার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাবেয়া খাতুন। তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া।
 
বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল ভারত, এমন সময় এসে জুটি ভাঙেন ফাহিমা। ২২ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের ওভারে ইয়াস্তিকাকে ফেরান রাবেয়া। ২৯ বলে ৬ চারে ৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।  
 
শেষদিকে ভারতীয় ব্যাটারদের হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। রিচা ঘোষের ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।



বিশ্বকাপ জিতে ডোপ টেস্টে বাদ, ফিরে আসেন ঝড় হয়েই

১৯৮৮ সালের আজকের এই দিনে পৃথিবীর মুখ দেখেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। ১৯ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের পরে ২২ বছর বয়সে হয়েছিল টেস্ট অভিষেক। তবে রাসেলের মূলযাত্রা শুরু হয় টি-টোয়েন্টিতে ২০১১ সালে। এরপরেই একজন টি-টোয়েন্টি কিংবদন্তি হিসাবে নিজেকে মেলে ধরেন।

তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আর শেষ পর্যন্ত দলও জিতে নেয় শিরোপা। সে বছর বৈশ্বিক এই শিরোপার পাশাপাশি বিবিএল, সিপিএল, পিএসএল এবং বিপিএল শিরোপাও জিতে নেন। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজের জাত চেনান এভাবেই।

২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে ডোপিং টেস্টে পজেটিভ আসায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন রাসেল। তাতে ক্যারিয়ারে লাগে বড় ধাক্কা। কিন্তু হেরে যাওয়ার পাত্র নন এই ক্যারিবিয়ান। ২০১৮ সালে আইপিএলে ফিরে নিজেকে মেলে ধরেন পুরোনো রূপে। 

২০১৯ সালের আইপিএলের এক ম্যাচে জয়ের জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্সের ১৮ বলে ৫৩ রানের প্রয়োজন হলে তিনি ১৩ বলেই তুলে নেন ৪৮ রান। তাতে রাসেলকে নতুন করে দেখে ক্রিকেট বিশ্ব। 
উইন্ডিজ তারকা সেই মৌসুমে ২০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৫০০ রান করেছিলেন এবং ৯.৫ ইকোনমিতে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন। দুই বছর পর তিনি ১৪ বলে সিপিএলের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি রেকর্ড করেন। জীবনের পথ-পরিক্রমায় আন্দ্রে রাসেল পার করলেন ৩৬টি বসন্ত। এখনও ব্যাট ও বল হাতে বুঁদ করে রেখেছেন ভক্তদের।



যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন ফিজ

‘খুনে মানসিকতা’র সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দাপট দেখিয়েই হারিয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানদের চেন্নাই সুপার কিংস। ৭৮ রানে জেতা এই ম্যাচ দিয়েই যৌথভাবে এবারের আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে গেছেন ফিজ।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। ২টি উইকেটই তিনি নেন নিজের তৃতীয় ওভারে। শাহবাজ আহমেদের পর কাটার মাস্টার শিকারে পরিণত করেন জয়দেব উনাদকাটকে। ২ উইকেট শিকারের ম্যাচে ২.৫ ওভারে ফিজ দেন ১৯ রান।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২ উইকেট শিকার করার ফলে এবারের আসরে ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট হলো মুস্তাফিজের, যার গড় ২১.১৪ ও ইকোনমি ৯.৭৫। ফিজের সমানসংখ্যক উইকেট আছে জাসপ্রিত বুমরাহ ও হার্শাল প্যাটেলের। ৯ ম্যাচে ১৭.০৭ গড়ে ১৪ উইকেট নিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পেসার, পাঞ্জাব কিংসের প্যাটেল ১৪ উইকেট নিয়েছেন ২৩.২৮ গড় ও ১০.১৮ ইউকোনমিতে।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে এবারের আইপিএল শুরু করেছিলেন মুস্তাফিজ, গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে পরের ম্যাচে নেন ২ উইকেট। নিজের তৃতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় বারের মতো ২ উইকেট পান কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১টি ও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ১টি করে উইকেট শিকার করেন তিনি।

 




চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে কি খেলতে পারবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

মাঠে যাচ্ছেতাই সময় পার করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ ছয় ম্যাচের মাত্র একটিতে জেতা ইউনাইটেড ছিটকে গেছে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করার দৌড় থেকেও।

ঘরের মাঠ ওল্ড টাফোর্ড পরশু বার্নলির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পরই শঙ্কায় পড়ে ইউনাইটেডের চতুর্থ স্থান। পরে চেলসির বিপক্ষে অ্যাস্টন ভিলা ২-২ গোলে ড্র করায় নিশ্চিত হয় ইউনাইটেডের শীর্ষ চারের দৌড় থেকে ছিটকে পড়াও, যা ম্যানচেস্টারের দলটির চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে খেলার পথকেও রুদ্ধ করেছে।




কোহলি তাঁর স্ট্রাইক রেটের সমালোচকদের একহাত নিলেন

১০ ইনিংসের ৩টিতে ছিলেন অপরাজিত। ১টি সেঞ্চুরি, ৪টি ফিফটিসহ মোট রান ৫০০। এই রান নিয়ে এবারের আইপিএলে বিরাট কোহলিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক। ৯ ইনিংস খেলে ৪৪৭ রান নিয়ে তাঁর পরেই আছেন চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। কোহলি কার চেয়ে কত রানে এগিয়ে আছেন, এটা নিয়ে খুব একটা কথা হচ্ছে না। এবারের আইপিএলের প্রায় শুরু থেকেই আলোচনায় কোহলির স্ট্রাইক রেট।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যান ৫০০ রান করেছেন ৭১.৪২ গড়ে। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির চেয়ে বেশি গড় একমাত্র সঞ্জু স্যামসনের। রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক স্যামসন ৯ ইনিংসে ৩৮৫ রান করেছেন ৭৭ গড়ে। কোহলির এই গড়ের বিষয়টিতেও কেউ নজর দিচ্ছেন না। এ কারণেই হয়তো কাল ৪৪ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করে দলকে জিতিয়ে সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন কোহলি।

কোহলি ব্যাট হাতে ছন্দেই আছেন। কিন্তু ছন্দে থাকলেও তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন যেন কারও পছন্দ হচ্ছে না। ৫০০ রান যে তিনি করেছেন ১৪৭.৪৯ স্ট্রাইক রেটে। এবারের আইপিএলে কমপক্ষে ৩০০ রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির চেয়ে স্ট্রাইক রেট কম শুধু তিনজনের। গুজরাট টাইটানসের সাই সুদর্শন ১০ ইনিংসে ৪১৮ রান করেছেন ১৩৫.৭১ স্ট্রাইক রেটে। তাঁরই সতীর্থ শুবমান গিল ১৪০.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ১০ ইনিংসে করেছেন ৩২০ রান। আর লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের লোকেশ রাহুল ৯ ইনিংসে ৩৭৮ রান করেছেন ১৪৪.২৭ গড়ে।

গতকাল গুজরাটের ২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোহলির দল ম্যাচ জিতেছে ২৪ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখে। বেঙ্গালুরুর হয়ে ব্যাটিং করেছেন তিনজন—কোহলি, ফাফ ডু প্লেসি ও উইল জ্যাকস। ডু প্লেসি আউট হওয়ার আগে করেছেন ১২ বলে ২৪ রান, যার মানে রান তুলেছেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে। আর ১০০ রানে অপরাজিত থাকা জ্যাকসের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৪৩। ৪১ বলের ইনিংসে তিনি মেরেছেন ৫টি চার, ১০টি ছয়। আর কোহলি ৭৭ রান তুলেছেন ১৫৯.০৯ স্ট্রাইক রেটে।

এই ইনিংস খেলার পর সমালোচকদের উদ্দেশ করে কোহলি বলেছেন, ‘যেসব লোক স্ট্রাইক রেট এবং আমার স্পিন ভালো খেলতে না পারা নিয়ে কথা বলে, তারা এসব (পরিসংখ্যান) নিয়েই কথা বলে। আমার কাছে দলের জন্য ম্যাচ জয়ই আসল এবং এ কারণেই আপনি এটা ১৫ বছর ধরে করে যাবেন। আপনি দিনের পর দিন এটা করে যাচ্ছেন, আপনি দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমি জানি না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারা কখনো পড়েছেন কি না। কিন্তু বক্সে বসে ম্যাচ নিয়ে কথা বলছেন।’

যারা বলছে, কোহলি ধীরগতির ব্যাটিং করছেন এবং এটা নবধারার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না, তাদের উদ্দেশে ভারতীয় ব্যাটসম্যান এর আগে বলেছিলেন, ‘মানুষ দিনের পর দিন অনুমানের ওপর কথা বলতে পারে, কিন্তু যারা দিনের পর দিন কাজটা করে, তারা জানে আসলে কী ঘটছে। আমি অতি আক্রমণাত্মক হতে চাই না, বোলারকে ভাবনায় ফেলতে চাই। তারা চাইবে, আমি যেন আক্রমণাত্মক হই এবং আউট হই।’




আইপিএলে অনেক সাধারণ মানের বোলার দেখছেন ক্লুজনার

এবারের আইপিএলে রানবন্যা নিয়ে অনেকেই আঙুল তুলেছেন ইমপ্যাক্ট–সাব নিয়মের প্রতি। একজন খেলোয়াড় বদলি করার সুযোগ থাকায় ব্যাটসম্যানরা ঝুঁকি নিতে উৎসাহিত হচ্ছেন, আত্মবিশ্বাসী হয়ে দ্রুতলয়ে রান তুলছেন। ফলে দুই শ রান দেখা যাচ্ছে হরহামেশাই, বোলাররা খাচ্ছেন নাকানি–চুবানি।

তবে রানবন্যার পেছনে শুধু ইমপ্যাক্ট–সাবই নয়, মানসম্পন্ন বোলিংয়ের অভাবকেও অন্যতম কারণ মনে করেন ল্যান্স ক্লুজনার। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস সহকারী কোচের মতে, এবারের আইপিএলে সাধারণ মানের বোলার বেশি, ব্যাটসম্যানরা যার সুবিধা তুলছেন। এ ছাড়া বোলারদের তুলনায় ব্যাটসম্যানরা দ্রুতই নিজেদের পরের ধাপে নিয়ে যেতে পেরেছেন বলেও মত এই প্রোটিয়া কিংবদন্তির।

এবারের আইপিএলে প্রথম ৪৫ ম্যাচে দুই শ ছাড়ানো ইনিংস হয়েছে ২৮টি। এর মধ্যে আড়াই শর বেশি রানের ইনিংসই ৮টি, যা আইপিএলের আগের ১৬ আসর মিলিয়ে হয়েছে মাত্র দুবার। কলকাতা–পাঞ্জাব ম্যাচে তো ২৬১ রান তাড়া করে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। ক্লুজনারের মতে, ব্যাটসম্যানদের এই দাপটের পেছনে বোলারদের মানহীনতাও দায়ী, ‘পুরো টুর্নামেন্টের বোলিং পারফরম্যান্স দেখে আমি খুব হতাশই হয়েছি। খুব বেশি ভালো বোলিং দেখা যাচ্ছে না। অনেক সাধারণ মানের বোলার। আর এখনকার ব্যাটসম্যানরাও এতটা ভালো যে তারা এর সুবিধা তুলছে।’

এবারের আসরে দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা ১০ ম্যাচে ডেথ ওভারে (১৭ থেকে ২০তম ওভার) দিয়েছেন ৫৪৩ রান, যা গত আসরে ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান হজম করা মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের পুরো আসরের (১৬ ম্যাচে ৬৪৯) চেয়ে মাত্র ৯৬ রান কম। মুম্বাই গতবার ডেথ ওভারে দিয়েছিল ১২.৪৪ রান করে, এবারের আসরে এখনই তিন দলের ডেথ ওভারের গড় এর চেয়ে বেশি।

ক্লুজনারের মতে, ডেথ ওভারে বোলিংয়ের মান পড়ে গেছে, ‘আমরা যদি ছয়টা ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করে চারটাও ঠিকঠাক রাখতে পারি…এই দক্ষতাটা এখন দেখা যায় না। আমরা এখন স্লোয়ার বল বেশি করি, নানাভাবে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি। আমার মতে, নিখাদ ডেথ বোলিং হচ্ছে ইয়র্কার। সেটা ওয়াইড ইয়র্কার হোক বা স্টাম্প ইয়র্কার। এখনকার দিনে এই দক্ষতা খুব একটা দেখা যায় না।’

বোলিংয়ের মান কমে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরাও আগের চেয়ে ভালো ব্যাটিং করেন বলেও মত দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অলরাউন্ডারের, ‘সম্ভবত ব্যাটসম্যানরাও বোলারদের তুলনায় দ্রুত নিজের পাল্টে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত খুব বেশি ডেথ বোলিং আমি দেখিনি। ফ্ল্যাট উইকেটেরও একটা ভূমিকা আছে, বোলাররা সুইং করাতে পারছে না। তবে বোলারদের তুলনায় ব্যাটসম্যানরা দ্রুত নিজেদের বিবর্তন ঘটাতে পেরেছে।’