বাংলাদেশকে এখনো কেউ আইসিটি গন্তব্য হিসেবে মনে করে না

দেশের সফটওয়্যার ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ১৩ আগস্ট। সম্প্রতি ২৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছে সংগঠনটি। দেশের সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নে বেসিস কী ভূমিকা রাখছে, ভবিষ্যতে কী ভূমিকা রাখবে, সেসব নিয়ে কথা বলেছেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেসিস কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পল্লব মোহাইমেন ও ইশতিয়াক মাহমুদ।

নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে জেআরসি (জামিলুর রেজা চৌধুরী) কমিটির সুপারিশ থেকে ভারতের ন্যাসকমের আদলে বেসিসের প্রতিষ্ঠা। মূলত দেশের সফটওয়্যার রপ্তানি বাড়ানোর যে উদ্দেশ্য নিয়ে বেসিসের যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২৫ বছর পর এসে তা সফল হয়েছে কি?

রাসেল টি আহমেদ: সফলতার মাপকাঠি অনেকগুলো। জেআরসি কমিটি মূলত গঠন করা হয়েছিল দেশ থেকে সফটওয়্যার রপ্তানি করতে করণীয় নির্ধারণের জন্য। সেই কমিটির বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে একটি ছিল সফটওয়্যার রপ্তানির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক (আইটিইএস) সেবাগুলোর জন্য আলাদা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা। সেই সুপারিশের আলোকে ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে বেসিস। বেসিসের সদস্যরা বর্তমানে বছরে ১৮০ কোটি ডলারের সফটওয়্যার বিদেশে রপ্তানি করছে। সংগঠনটি বর্তমানে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নে ২৫ বছর ধরে ভূমিকা রাখা বেসিস ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বেসিস প্রতিষ্ঠার পর বছরে ১০০ কোটি ডলারের সফটওয়্যার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার কথা আমরা শুনেছি। কয়েক বছর ধরে এই লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ কোটি ডলার বলা হচ্ছে। বাংলাদেশ আসলে কী পরিমাণ সফটওয়্যার রপ্তানি করে? বর্তমান পরিস্থিতিতে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাত থেকে ৫০০ কোটি ডলার রপ্তানি করা কি আদৌ সম্ভব?

রাসেল টি আহমেদ: লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ছুটতে হলে কিছু কর্মপরিকল্পনা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের কিছু ঘাটতি ছিল। আমাদের সফটওয়্যার রপ্তানির প্রধান চারটি বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও জাপান। দেশগুলোর প্রযুক্তি খাতে এখন প্রায় এক কোটি দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। আমরা যদি ১০ লাখ কর্মীর কাজও দেশে বসে করে দিতে পারি, তবে বছরে দুই হাজার কোটি ডলার আয় করা সম্ভব। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কর্মপরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করেছি। আমরা ৩/৩ একটা সূত্রের কথা বলছি। সফটওয়্যার খাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকার—এ তিন খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আর তিনটি কাজ করতে হবে। এক. গবেষণা। ধরুন ডটনেটে দক্ষ মানুষ প্রয়োজন জাপানের। আমাদের সেই দক্ষ জনবল আছে, কিন্তু জাপানে তাঁদের জাপানি ভাষা জানতে হবে, নিয়োগ পাওয়ার আগেই। কোথায় কেমন মানুষ পাঠাতে পারব বা কোন বাজার কীভাবে ধরতে পারব, সে জন্য নির্দিষ্টভাবে গবেষণা প্রয়োজন। দুই. দেশের ব্র্যান্ডিং। বাংলাদেশকে এখনো কেউ আইসিটি গন্তব্য (ডেস্টিনেশন) হিসেবে মনে করে না। তাহলে কাজ দেওয়ার জন্য আমাদের কথা কীভাবে ভাববে? এ জন্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরে বিদেশে ‘বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং’ করতে হবে। ৩/৩ সূত্রের তিন নম্বরে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো। কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতকদের নিয়ে শুধু ভাবলে হবে না, গ্রাফিক ডিজাইনার, ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস) ডিজাইনার এমন দক্ষ মানুষের চাহিদাও বাইরে রয়েছে।

সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং হালের স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনে সফটওয়্যার ও আইটিইএস ব্যবসা খাত কতটা ভূমিকা রাখতে পারে?

রাসেল টি আহমেদ: ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ভিত্তিক। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সব খাতকে স্মার্ট হতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে সব খাতে। আর এ ক্ষেত্রে আইসিটি খাত হবে সবকিছুর নিউক্লিয়াস।

বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যার ও আইটিইএস বাজার কত বড়?

রাসেল টি আহমেদ: প্রায় ২০০ কোটি ডলারের অভ্যন্তরীণ বাজার আমাদের রয়েছে। ভবিষ্যতে এর পরিমাণ হতে পারে ৪০০ থেকে ৬০০ কোটি ডলার।

বেসিসের সদস্য কারা হতে পারে? সদস্যরা কীভাবে লাভবান হয়?

রাসেল টি আহমেদ: বর্তমানে ২ হাজার ৩০০–এর বেশি সহযোগী বা অ্যাসোসিয়েট, সাধারণ বা জেনারেল, অ্যাফিলিয়েট ও আন্তর্জাতিক সদস্য রয়েছে বেসিসের। সফটওয়্যার ও আইটিইএস নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো বেসিসের সদস্য হতে আবেদন করতে পারে। তবে এ জন্য ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। বেসিস মূলত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য–সংশ্লিস্ট নীতিমালা নিয়ে কাজ করে। যার সুফল সদস্যরা ভোগ করে। বেসিসের সদস্য হলে সফটওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা পাওয়া যায়। সফটওয়্যারভিত্তিক সরকারি টেন্ডারে অংশ নিতে বেসিসের সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক। এসবের পাশাপাশি সদস্যদের উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বেসিস থেক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগও পায় সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো।

তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তি উন্নয়নে বেসিস কি কোনো ভূমিকা রাখে কিংবা বেসিসের ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ আসলে আছে কি?

রাসেল টি আহমেদ: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য আমাদের বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) নামের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। ১২ বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন পেশাদার ও স্বল্পমেয়াদি কোর্স পরিচালনা করছে কেন্দ্রটি। বিআইটিএম থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থী বেকার নেই। ভবিষ্যতে বিআইটিএমকে আরও পরিসরে পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশিক্ষণের বিষয় হিসেবে বাজারে চলতি চাহিদা রয়েছে, এমন বিষয়কে বেছে নেওয়া হয়।




আইসিটি ইন এডুকেশন প্রশিক্ষণ শিখন ঘাটতি পূরণে সহায়ক হতে পারে

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের অধীনে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আইসিটি ইন এডুকেশন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ব্যবহার, শিক্ষকদের ডিজিটাল নানা উপকরণ তৈরি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনার জন্য দেওয়া হচ্ছে এ প্রশিক্ষণ।

প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তি ১৪ দিন। বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোয় (পিটিআই) এ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে আমাদের দক্ষ প্রশিক্ষকেরা প্রশিক্ষণার্থীদের কম্পিউটারের নানা ব্যবহার থেকে শুরু করে এমএস ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট ও টিপিসিকে, এক্সেল, ইন্টারনেট ও অনলাইন নেটওয়ার্কিং ও লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, কোডিং পর্যন্ত ধারণা দেন এবং হাতে–কলমে শেখান। এ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামটি যদি শিক্ষকেরা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন, তবে একজন আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষক হয়ে ওঠার সুযোগ তিনি পাবেন।

১৪ দিনের প্রশিক্ষণ কোর্সটি সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষক পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শিখন উপযোগী কনটেন্ট বা উপকরণ খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন। এ ছাড়া ব্লক কোড ব্যবহার করে অ্যানিমেশন ও গেম তৈরি করতে পারবেন, যা শিশুদের সামনে উপস্থাপন করা হলে শিশুদের শেখার চাহিদা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। ব্লক প্রোগ্রামিংগুলো প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে–কলমে শেখানো গেলে, তারা প্রোগ্রামিংকে আরেকটি ভাষা হিসেবেই শিখতে পারবে, যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগে শিশুকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখবে। প্রোগ্রামিং তখন তার কাছে কঠিন কিছু মনে হবে না, শিশু খেলতে খেলতে শিখবে। শিশুর মানসিক বিকাশ সাধনে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের এ প্রশিক্ষণ প্রদান করছে, সে উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গ্রামের স্কুলগুলোয় কিছু প্রতিবন্ধকতা পরিলক্ষিত হয়। সরকার ইতিমধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করেছে। কিন্তু দক্ষ শিক্ষকদের অভাবে বছরের পর বছর এসব মূল্যবান উপকরণগুলো অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। অনেক সময় তা নষ্টও হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া স্কুলগুলোয় মাল্টিমিডিয়ার উপকরণগুলো যথাযথ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না বা শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির ছোঁয়া পাচ্ছে কি না, প্রশিক্ষিত শিক্ষকেরা প্রশিক্ষণ শেষে তাঁর জ্ঞান শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন কি না, তা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনিটর করার প্রয়োজন অনুধাবন করি। মনিটরিং কার্যক্রম যথাযথ হলে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সুফল পুরো জাতি পাবে, অন্যথায় সেটা কাগজে–কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে।




ডিজিটাল মার্কেটিং, সাইবার সিকিউরিটি, আইসিটি সহ ১২টি বিষয়ে পিজিডির সুযোগ

ইংরেজি, আরবি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ট্যুরিজম, সাইবার সিকিউরিটি, আইসিটি, ডেটা অ্যানালাইটিকস সহ ১২টি বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এক বছর (দুই সেমিস্টার) মেয়াদি পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া অনলাইনে শুরু হয়েছে।

১২টি বিষয়

১. ল্যাঙ্গুয়েজ (ইংরেজি)

২. ল্যাঙ্গুয়েজ (আরবি)

৩. এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ (শিল্পোদ্যোগ)

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং

৫. আইসিটি ইন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড বিজনেস

৬. সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট

৭. ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট

৮. ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট

৯. সাইবার সিকিউরিটি

১০. ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি)

১১. ডেটা অ্যানালাইটিকস

১২. ফার্মিং টেকনোলজি

ভর্তির আবেদনের যোগ্যতা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ইউজিসি স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক (পাস)/স্নাতক (সম্মান)/সমমান ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম ও শর্তানুযায়ী যোগ্য বিবেচিত হলে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হতে পারবেন।

ভর্তির সময়সূচি

  • অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণের শেষ তারিখ: ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমাদান: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত
  • মৌখিক পরীক্ষার তারিখ: ১৯ মে ২০২৪ থেকে ২৬ মে ২০২৪ পর্যন্ত (সকাল ১০টা),
  • মৌখিক পরীক্ষার স্থান: ১০২, ইসলাম টাওয়ার, শুক্রাবাদ, ঢাকা।
  • চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন গেটওয়ে: ২৪ জুন ২০২৪ পর্যন্ত

     

    প্রতিটি কোর্সের ১ বছরের ফি ৩০ হাজার টাকা, যা দুই কিস্তিতে গ্রহণ করা হবে। প্রথম কিস্তির ১৫ হাজার টাকা ভর্তির সময় জমা দিতে হবে।

    বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: nu.edu.bd




হুয়াওয়ের আইসিটি প্রতিযোগিতায় এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে তৃতীয় হলো রুয়েট

টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিযোগিতার (আইসিটি কমপিটিশন) এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। হুয়াওয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বছর শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক, ক্লাউড, কম্পিউটিং, ইনোভেশন—এই চারটি ভাগে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিটি ভাগ থেকে ১০ জন করে শিক্ষার্থীকে তাঁদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

পরবর্তী সময়ে তাঁদের মধ্য থেকে শীর্ষ ১২ শিক্ষার্থী চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে প্রতিযোগিতা করেন। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্কে এবং আরেকটি দল অংশ নেয় কম্পিউটিং ভাগে। কম্পিউটিংয়ে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একটি দলও। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল অংশ নেয় ক্লাউড ভাগে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে শীর্ষ তিনে স্থান করে নিয়েছে।

বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন রুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের ছাত্র শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার ও মো. মাজহারুল ইসলাম। জাকার্তায় বৃহস্পতিবার তাঁদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক পর্বে অংশ নেবে।




আইসিটি খাত: অপার সম্ভাবনা, নাকি সম্ভাবনার অপমৃত্যু?

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেন, তখন থেকেই দেশের আইসিটি তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বড় রকমের একটি বিপ্লব আমরা দেখতে পাই। ২০০৮ সালে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে যেখানে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার, সেটি ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে। ২০০৮ সালের মাত্র ৫০ হাজারের আশপাশে কর্মসংস্থানের জোগান দেওয়া এই ইন্ডাস্ট্রি এখন কর্মসংস্থান দিচ্ছে প্রায় ২০ লাখ মানুষের।

কিন্তু কেউ যদি প্রশ্ন করে, এই বিপ্লবের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কোনটি ছিল? নিঃসন্দেহে বলা যায়, এককথায় সবাই উত্তর দেবেন, ‘সরকারের পলিসি সাপোর্ট’। সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা দিল, সফটওয়্যারের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হলো আর দেশীয় সফটওয়্যারের রক্ষার জন্য বিদেশি সফটওয়্যারের ওপর কর আরোপ করা হলো প্রায় ৫৮ শতাংশ।

অন্যদিকে নীতিমালা করা হলো, সরকারের সব সফটওয়্যার ক্রয় করতে হবে বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস) সদস্যদের কাছ থেকে; অর্থাৎ সফটওয়্যার কিনতে হবে দেশের কোম্পানি থেকে। এই পলিসির সুবিধাও কিন্তু দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত হাতেনাতেই পেল, আর সেই সঙ্গে লাভবান বলো এই দেশ আর দেশের মানুষ।




শাকিব ও তাঁর পরিবার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বুবলী

চিত্রনায়ক শাকিব খানের দাবি, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনই তাঁর কাছে এখন অতীত। নানা সময়ে দুজনই টেলিভিশন, অনলাইন, প্রিন্টসহ নানা জায়গায় শাকিব খানকে জড়িয়ে কথা ওঠে। বাচ্চাদের সামনে রেখে দুজনই শাকিব প্রসঙ্গে এনে নানা কথা বলেন তাঁরা। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন দুই তারকা। দুজনের এমন ঘটনায় নানা সময়ে শাকিব নাকি বিরক্ত! বিরক্ত হন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।

গত ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্যই দিয়েছেন বুবলী। একবার বলছেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ শাকিবের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এই নায়িকা। গণমাধ্যমে বুবলীর এমন মন্তব্যের পর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শাকিব খান ও তাঁর পরিবার। যদিও এ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে শোনা যায়নি। সম্প্রতি শোনা গেছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব; ছেলের জন্য পাত্র দেখছেন পরিবারের সদস্যরা।
এসব প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস ও বুবলী দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অপু আপাতত কথা বলতে চাননি। জানিয়েছেন শিগগিরই কথা বলবেন তিনি।

রোববার সন্ধ্যায় বুবলীর সঙ্গে কথা হয়। প্রথম আলোকে বলেন,‘আমার নিজেকে বা নিজের সিনেমাকে আলোচনায় রাখার জন্য কারও নাম বা কাহিনি বলতে হয় না। কারণ, আমার এবং আমার সিনেমার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা, সিনেমার টিম এবং আমার দর্শকেরাই যথেষ্ট। বরং আপনারা দেখছেন কারা আলোচনায় থাকার জন্য একের পর এক সিরিজ নিউজ করে আমার নাম নিয়ে যেকোনো প্রোগ্রাম বা সাক্ষাৎকারে কথা বলেই যাচ্ছে বছরের পর বছর।’

তবে শাকিব খান বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগের ব্যাপারে এই নায়িকার বক্তব্য, ‘নিউজটি দেখেছি। অনেক অভিযোগ। দেখুন নিউজে ঘনিষ্ঠ সূত্র, পরিবারের এক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক—এসব সূত্রেই বা কী কথা বলব? নির্দিষ্ট কারও নাম বা কথা থাকলে কথা বলতে সুবিধা হতো। অভিযোগ ধরে ধরে বলা যেত।’

প্রকাশিত খবরের অভিযোগের ব্যাপারে বুবলী আরও বলেন, ‘আমি আমার সিনেমা মুক্তির প্রমোশনাল প্রোগ্রামে যখন অংশগ্রহণ করি, তখন আমার সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিষয় চলে আসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে। তখন আমি সবাইকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক উত্তর দিই। কোথাও কাউকে অসম্মান করে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি না। এখন কেউ সম্মান দেওয়া হজম করতে না পারলে জোর করে আর সম্মান দেব না। তাহলে যাঁরা যেসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন, সেসব আর থাকবে না।’

প্রকাশিত খবরে শাকিবের পরিবার থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, আপনি নাকি শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মিথ্যাচার করেন। কী বলবেন—এ ব্যাপারে  বুবলী বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে কোনোই মিথ্যাচার করিনি, যা নিয়ে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আর মিথ্যাচার করে আমার কী লাভ হবে আপনারাই বলুন? আপনাদের দোয়ায় আমি নিজেই প্রতিষ্ঠিত। চাঁদের মতো আমার সন্তান শেহজাদ আছে। আমার বাবা–মায়ের ভালোবাসা আছে আমার সঙ্গে। তাই আমার জীবনে তো নতুন করে চাওয়া–পাওয়ার কিছুই নেই।’

সবশেষ ঈদে একটি বেসরকারি টিভিতে শাকিবকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন বুবলী, এতে শাকিবের পরিবার মারাত্মক চটেছে! এ কারণে বুবলীকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্তান শেহজাদের অজুহাতে তিনি যেন শাকিবের বাসা বা অফিসে না আসেন।
এ ব্যাপারে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘দেখুন, আমাকে ওই বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বলেই আমি যাই। তাঁর বাসায় যাওয়া না যাওয়া, মানা করা বা না করা, এটা যেমন শুধু শাকিব খানের সিদ্ধান্ত হতে পারে,  তেমনি আমি যাব কি যাব না, এটা আমারও সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ, আমাদের সন্তান আছে, আমার সন্তানের নিরাপত্তা আমার কাছে সবার আগে। কেউ চাইলেই তো আমি আমার সন্তানকে একা কোথাও ছাড়ব না।’
তবে কথা প্রসঙ্গে অপুকে ইঙ্গিত করে বুবলী বলেন, ‘বাবা, মা হিসেবে শেহজাদের জন্য আমরা কী করব, কী বলব, কীভাবে একত্রে সময় কাটাব, ওটাও আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়েও যখন অন্য কেউ অনধিকার চর্চা করেন, নানান ব্যাখ্যা দেন, তখন খুব হাস্যকর লাগে।



৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মেয়েকে নিয়ে যে ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন জেট লি

তাঁর আসল নাম লি লিয়ান জি। নামটির উচ্চারণ করতে কঠিন মনে হয় ফিলিপাইনের মানুষের কাছে। সেখানে প্রচার গিয়েছিলেন এই অভিনেতা। তখন প্রচারণার পোস্টারে লেখা হয় জেট লি।

তিনি মাত্র আট বছর বয়সে মার্শাল আর্টিস্ট হিসেবে চীনের হয়ে পুরস্কার জয় করেন। তিনি জাতীয় চাম্পিয়ন ছিলেন পাঁচ বছর।

মার্শাল আর্টিস্ট হিসেবে তিনি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নাম লেখান সিনেমায়। প্রথম ‘শ্যালোন টেম্পল’ সিনেমায় নাম লেখান। দুই বছর পর সিনেমাটির সিকুয়েল ‘কিডস ফ্রম শ্যালোন’–এ অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন। ১৯৮৪ সালে সিনেমাটি চীনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেয়

মার্শাল আর্টিস্ট হিসেবে তিনি জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নাম লেখান সিনেমায়। প্রথম ‘শ্যালোন টেম্পল’ সিনেমায় নাম লেখান। দুই বছর পর সিনেমাটির সিকুয়েল ‘কিডস ফ্রম শ্যালোন’–এ অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন। ১৯৮৪ সালে সিনেমাটি চীনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেয়

১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করা এই তারকার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা মধ্যে রয়েছে ‘হিরো’, ‘ফিস্ট অব লিজেন্ড’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন চায়না’, ‘বর্ন টু ডিফেন্স’ ইত্যাদি। বর্তমানে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে সিনেমা থেকে দূরে আছেন।

হলিউড রিপোর্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা জানিয়েছিলেন জীবনের মারাত্মক এক দুর্ঘটনার কথা। ২০০৪ সালে সুনামির ঘটনা। জেট লি তখন ঘুরতে যান মালদ্বীপে। হঠাৎই ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি।

সেই ভূমিকম্পে হোটেলের লবিতে মেয়েকে নিয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন। এমন সময় বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ে। তিনি মেয়েকে নিয়ে দ্রুত জীবন বাঁচাতে ওপরের দিকে দৌড়াতে থাকেন। এমন সময় হোটেলে একটা ফার্নিচার তাঁর পায়ে লেগে যায়। মারাত্মকভাবে জখম হয় তাঁর পা। সেই আঘাত তাঁকে এখনো ভোগায়। পরে তাঁকে অভিনয় ও মার্শাল আর্টে সাবধানে অংশ নিতে হয়। বর্তমানে তিনি সিনেমা থেকে অনেকটাই দূরে।




সনি ফিল্মমেকার অ্যাওয়ার্ডসে নুসরাতের সিনেমা

সনি ফিউচার ফিল্মমেকার অ্যাওয়ার্ডসে ঢাকার চিত্রনাট্যকার নুসরাত ইসলামের চিত্রনাট্যে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘বিলো দ্য উইন্ডো’ নির্বাচিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার সনি ফিউচার ফিল্মমেকার অ্যাওয়ার্ডসের ওয়েবসাইটে ৬টি বিভাগে নির্বাচিত মোট ৩০টি সিনেমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘স্টুডেন্ট’ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে আইরিশ সিনেমাটি।

এই বছর পুরস্কারটির জন্য বিশ্বের ১৪৮ দেশের ৫ হাজার নির্মাতার ৮ হাজার ৪০০ সিনেমা জমা পড়েছে। এর মধ্য থেকে সেরা ৩০ সিনেমা নির্বাচন করেছেন বিচারকেরা।

চিত্রনাট্যকার নুসরাত আজ বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে জানান, আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের ন্যাশনাল ফিল্ম স্কুলের স্নাতকোত্তর পড়াকালে ২০২২ সালে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা মিলে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।

ইরাসমোস ও কিনোআইজের পৃষ্ঠপোষতায় কাটনিস টুং চেংয়ের (হংকং) প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করেছেন মেক্সিকোর নির্মাতা সালভাদর আলেজান্দ্রো গুতেরেজ।

স্নাতকোত্তর শেষে ২০২৩ সালে দেশে ফেরেন নুসরাত। তিনি এখন ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

সনি ফিউচার ফিল্মমেকার অ্যাওয়ার্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্বাচিত সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকারদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে ভিসা জটিলতায় নুসরাত যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছেন না।

এই বছর নির্বাচিত ৩০ সিনেমা থেকে আগামী ৩০ মে কালিফোর্নিয়ার কালভার সিটির ঐতিহ্যবাহী সনি পিকচারস স্টুডিওজে জমকালো আয়োজনে সেরা ছয় সিনেমাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।




মেহজাবীন কোথায়?

তরুণ প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয় তিনি। যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন সহজেই। বলছি, এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী মেহজাবীন চৌধুরী। বহু বছর ধরে টিভি নাটকে তাঁর দর্শকপ্রিয়তা তুঙ্গে। উপহার দিয়েছেন বহু দর্শকনন্দিত নাটক। ওয়েব ফিল্মেও মেহজাবীনের জুড়ি মেলা ভার। যেকোনো চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন ‘আরারাত’, ‘পুনর্জন্ম’ অভিনেত্রী।

এই ঈদে মেহজাবীনের আলোচিত কোনো কাজ চোখে পড়েনি। সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকলেও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোতেও খুব একটা দেখা মিলছে না তাঁর। তাহলে অভিনেত্রী কোথায়, এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মেহজাবীন নিজেই। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।

ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ঈদের ছুটিতে কুয়ালালামপুরে গিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। মেহজাবীনের এই ভ্রমণের তত্ত্বাবধান করছে ট্রিপনেস্ট নামে একটি ট্রাভেল কোম্পানি। সেটিও ফেসবুকে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি বড় পর্দায় আসছেন বলে ঘোষণাও দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন। জানান, ‘সাবা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে তাঁর। প্রকাশ করেছিলেন সিনেমার পোস্টারও। সেখানে দেখা যায় এলোমেলো চুলে, আনমনা এক মেহজাবীনকে।




অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে নায়ক মান্না ভাই, কারণ…

ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে বেশ কয়েক দিন আগে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে গেছে। তবে বিনোদনজগতে যেন এখনো ফুরিয়ে যায়নি ঈদের আমেজ। প্রতিদিনই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করছে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। আর মজাচ্ছলে করা এসব আড্ডায় উঠে আসছে শোবিজ অঙ্গনের নিত্যনতুন সব তথ্য। তেমনই এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন হালের তরুণ নায়ক ইমন এবং ‘পরান’ অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম।
সম্প্রতি বেসরকারি চ্যানেল দেশ টেলিভিশনের তারার ক্যানভাস অনুষ্ঠানের ‘জানতে চাই’ সেগমেন্টে দারুণ সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন দুজন। সবচেয়ে ভালো সহ–অভিনেতা-অভিনেত্রী কাকে ভালো মনে হয়?

উত্তরে ইমন বলেন, ‘মীম সামনে আছে বলে বলছি না, মীমের সঙ্গে কাজ করতে যে রকম মজা পাই বা আনন্দ নিয়ে কাজ করি, আবার সবাই নয়, দুয়েকজনের সঙ্গে দেখা যায় রসায়নটা সেভাবে জমছে না।’

ইমনের কথার সঙ্গে একমত মীমও। অভিনেত্রীর মতে, ‘আসলে ওরকম একজন বলা যাবে না। আমার সঙ্গে যেমন ভাইয়ার দুটি কাজ হয়েছে। খুব সহজেই কাজ শেষ হয়ে গেছে। শেষ হয়ে যাওয়ার পর দেখা গেল আমরা সবাই একজন আরেকজনকে মিস করছি যে এত দিন আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। এ রকম আরও কয়েকজন আছেন যে তাঁদের সঙ্গে আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। হয়তো আমি বলিও, আমি ইমন ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে আরাম পেয়েছি, তোমার সঙ্গে কাজ করেও ভালো লাগছে, সে রকম কয়েকজন আছেন।’

ঢালিউডের গসিপ কুইন কে? প্রশ্নের জবাবে ইমন বলেন, ‘অপু বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব। কিন্তু গসিপিংটা ও খুব মজা করে আনন্দ নিয়ে করে, ভালো লাগে। ঢালিউডের সব খবরও থাকে অপু বিশ্বাসের কাছে। মানে অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে নায়ক মান্না ভাই। মানে মান্না ভাইয়ের কাছে সব ধরনের খবর থাকত। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কী হচ্ছে—অপু বিশ্বাসের কাছে খবর থাকে। এমনকি সে খুব সঠিক তথ্য দিয়ে দেয়।’ কিন্তু মীম বলেন, ‘আমি গসিপিংয়ের সঙ্গে থাকি না। তাই জানিও না কে?’

নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো নাচতে পারেন কে? এ প্রসঙ্গে ইমন বলেন, ‘নায়কদের মধ্যে আমার কাছে মনে হয় আরেফিন শুভ আর শাকিব খান খুব ভালো নাচতে পারেন। আর নায়িকাদের মধ্যে আমার মনে হয় অসম্ভব ভালো নাচে বিদ্যা সিনহা মীম আর নুসরাত ফারিয়া।’