শিশুদের অনুপ্রেরণা হোক শেখ রাসেল
১৯৬৪ সাল। সময়টা ছিল লড়াই আর যুদ্ধের উত্তেজনায় মুখর। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে চলেছে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
ওই সময় পাকিস্তান জুড়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডামাডোল। একদিকে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান, অন্যদিকে সম্মিলিতবিরোধী দলের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নাহ। অনিশ্চয়তা আর অন্ধকারের মধ্যেও এ অঞ্চলের মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছে। যিনি এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বাঙালি জাতিকে এনে দেবেন মুক্তির স্বাদ, বাঙালির সেই অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘর আলো করে জন্ম নিল এক শিশু।১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িতে শেখ রাসেলের জন্ম। রাসেলের যেদিন জন্ম হয় বঙ্গবন্ধু সেদিন ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে প্রচারে অংশগ্রহণের জন্য চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। জন্মের সময় বাবা কাছে না থাকলেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পিতা-পুত্রের চিরপ্রস্থান ঘটেছে একসঙ্গেই।
ছোট ছেলের রাসেল নামটি রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই। তার প্রিয় লেখক ছিলেন পৃথিবী বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বার্ট্রান্ড রাসেল। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যের নাম রাখা হলো রাসেল। শেখ রাসেল। এই নামটিকে ঘিরে নিশ্চয়ই বঙ্গবন্ধুর মহৎ কোনো স্বপ্ন বা আকাক্সক্ষা ছিল।শিশু রাসেলের ভুবন ছিল তার পিতা-মাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে। তাদের সবার ভালোবাসার ধন ছিল ছোট্ট রাসেল। রাসেলের জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে বাবা মুজিবের সান্নিধ্য ছাড়া। কারণ, বাবা মুজিব বন্দি হয়ে কারাগারে ছিলেন দিনের পর দিন। শেখ রাসেল বেশ কয়েকবারই কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছে। তবে তার প্রথম কারাগার দেখা ১৯৬৬ সালের ৮ মে। পিতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর।
কারাগারে দেখা করার সময় রাসেল কিছুতেই তার বাবাকে রেখে আসতে চাইত না। এ কারণে তার মন খারাপ থাকত। কারাগারের রোজনামচায় ১৯৬৬ সালের ১৫ জুন দিনলিপিতে রাসেলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘১৮ মাসের রাসেল জেল অফিসে এসে একটুও হাসে না- যে পর্যন্ত আমাকে না দেখে। দেখলাম দূর থেকে পূর্বের মতোই আব্বা আব্বা বলে চিৎকার করছে।
জেল গেট দিয়ে একটা মালবোঝাই ট্রাক ঢুকেছিল। আমি তাই জানালায় দাঁড়াইয়া ওকে আদর করলাম। একটু পরেই ভেতরে যেতেই রাসেল আমার গলা ধরে হেসে দিল। ওরা বলল আমি না আসা পর্যন্ত শুধু জানালার দিকে চেয়ে থাকে, বলে আব্বার বাড়ি। এখন ধারণা হয়েছে এটা ওর আব্বার বাড়ি। যাওয়ার সময় হলে ওকে ফাঁকি দিতে হয়।’
শিশু রাসেল ছিল অভিমানী। এ নিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজেই লিখেছেন কারাগারের রোজনামচায়। ১৯৬৭ সালের ১৪-১৫ এপ্রিল অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু রাসেলকে নিয়ে লিখেছেন, ‘জেল গেটে যখন উপস্থিত হলাম ছোট ছেলেটা আজ আর বাইরে এসে দাঁড়াইয়া নাই দেখে আশ্চর্যই হলাম। আমি যখন রুমের ভেতর যেয়ে ওকে কোলে করলাম আমার গলা ধরে আব্বা আব্বা করে কয়েকবার ডাক দিয়ে ওর মার কোলে যেয়ে আব্বা আব্বা করে ডাকতে শুরু করল। ওর মাকে আব্বা বলে।’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ব্যাপার কী? ওর মা বলল, ‘বাড়িতে আব্বা আব্বা করে কাঁদে তাই ওকে বলেছি আমাকে আব্বা বলে ডাকতে। রাসেল আব্বা আব্বা বলে ডাকতে লাগল। যেই আমি জবাব দিই সেই ওর মার গলা ধরে বলে, তুমি আমার আব্বা। আমার ওপর অভিমান করেছে বলে মনে হয়। এখন আর বিদায়ের সময় আমাকে নিয়ে যেতে চায় না।’
শিশু রাসেলকেও কাটাতে হয় বন্দিজীবন। অত্যন্ত কষ্টকর ছিল তার দিনগুলো। তার বন্দিত্ব সম্পর্কে বোন শেখ হাসিনা ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ নিবন্ধে লিখেছেন, ‘ছোট্ট রাসেলও বন্দি জীবনযাপন শুরু করে। ঠিকমতো খাবার-দাবার নেই। কোনো খেলনা নেই, বইপত্র নেই, কী কষ্টের দিন যে ওর জন্য শুরু হলো। বন্দিখানায় থাকতে আব্বার কোনো খবর আমরা জানি না। কোথায় আছেন, কেমন আছেন, কিছুই জানি না। প্রথমদিকে রাসেল আব্বার জন্য খুব কান্নাকাটি করত। তার ওপর আদরের কামাল ভাইকে পাচ্ছে না, সেটাও ওর জন্য কষ্টকর।’ (ইতিহাসের মহানায়ক, পৃষ্ঠা ২১)।ছোট থেকে বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগারে দেখতে দেখতে বড় হওয়া রাসেল অজান্তেই চাপা স্বভাবের হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বিষয়ে বক্তৃতায় বলেন, ‘খুব চাপা স্বভাবের ছিল। সহজে নিজের কিছু বলত না। তার চোখে যখন পানি, চোখে পানি কেন জানতে চাইলে বলত, চোখে যেন কী পড়েছে। ওইটুকু ছোট বাচ্চা, নিজের মনের ব্যথাটা পর্যন্ত কীভাবে লুকিয়ে রাখতে হয় শিখেছিল।’
শেখ রাসেল ছিল বন্ধুবৎসল, গরিবদের জন্য ছিল তার দরদ, মমতা। জাতির পিতার গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যখন সে যেত তখন গ্রামের ছেলেদের জন্য সে জামা নিয়ে যেত। তাদের উপহার দিত। আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে দেশ একজন মানবদরদি মানুষ পেত।
শেখ রাসেলের এই ছোট্ট জীবন আমাদের জন্য অনেক শিক্ষণীয়। প্রথমত, আমাদের শিশুরা যদি শেখ রাসেলকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে তার মতো বেড়ে ওঠে, তাহলে আমরা আদর্শ শিশু পাব। যাদের হাত ধরে বিনির্মিত হবে আগামী দিনের চেতনার নাগরিক। শিশুদের তাই শেখ রাসেলের ছোট্ট জীবনটা জানাতে হবে। যাতে শিশুরা অনাবিল সুন্দরের সৌন্দর্যে বেড়ে ওঠে, হাসতে পারে, খেলতে পারে, দুষ্টুমি করতে পারে, বন্ধুত্ব করতে পারে, গরিব মানুষকে ভালোবাসতে পারে। এভাবে যদি প্রতিটি শিশু বেড়ে ওঠে তাহলে এই শিশুরা বড় হয়ে আলোকিত মানুষ হতে পারে। এ কারণেই শেখ রাসেলের জীবন আমাদের জানাটা অত্যন্ত জরুরি।শেখ রাসেল নিজেকে কীভাবে গড়ে তুলত, তা বলার উপায় নেই। তবে পারিবারিক ঐতিহ্য, আদর্শের উত্তরাধিকার তার চরিত্র গঠনে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত, তাতে সন্দেহ নেই। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, অন্তত এই দেশ, দেশের মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ থাকত তার অন্তর ও চেতনাজুড়ে। পরিণত হয়ে উঠত দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য। তার আগ্রহের বিষয়গুলো আয়ত্ত করে সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারত। সেটিই স্বাভাবিক ছিল তার জন্য। আজ রাসেল থাকলে একজন মেধাবী মানুষ বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামে থাকত প্রথম সারিতে।
দুর্ভাগ্য এই যে জীবনের পথ, ইতিহাসের গতিধারা সব সময় স্বাভাবিক সূত্র ধরে এগোয় না। অনভিপ্রেত বহু ঘটনা এসে সেই যাত্রাপথ বিপৎসংকুল করে তোলে, বাঁক ঘুরিয়ে দেয়, ভিন্ন খাতে নিয়ে যায়। তখন আবার সঠিক পথে ফিরতে প্রয়োজন হয় কঠিন সংগ্রামের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে এমনি এক ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করা হয়েছিল এই দেশকে। এরই নির্মম শিকার হয়েছিল শিশু শেখ রাসেল। ফলে তার জন্মদিনটি আনন্দ নয় বরং বেদনাই বয়ে আনে বিবেকবান মানুষের কাছে।
শেখ রাসেলের জন্মদিন ১৮ অক্টোবর ‘জাতীয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ শেখ রাসেল দিবস পালনের প্রস্তাব এবং যৌক্তিকতা মন্ত্রিসভায় পেশ করে। ২৩ আগস্ট ২০২১, মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ রাসেল দিবস ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে পালনের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর জন্য আমরা আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।শিশু শেখ রাসেলের অকালপ্রয়াণের শোক-দুঃখ কোনো দিনই শেষ হওয়ার নয়। শেখ রাসেলের জন্মদিনে আমাদের কামনা শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা পৃথিবীই শিশুদের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠুক। হানাহানির অবসান হোক, প্রতিষ্ঠিত হোক চিরকাক্সিক্ষত শান্তি।
লেখক : বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিমন্ত্রী
মাসুম আজিজের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
অভিনয়শিল্পী ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অভিনয়ের মাধ্যমেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এই গুণী শিল্পী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী মাসুম আজিজের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নতুন অভিজ্ঞতা : সিইসি
সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে নতুন অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আগামীতে এ অভিজ্ঞতা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটাররা এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সিইসি একথা বলেন।
বাংলাদেশে আসা হচ্ছে না নোরা ফাতেহির
আগামী ১৮ নভেম্বর ‘গ্লোবাল অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির। তবে তাকে এই আয়োজনে অংশগ্রহন করার জন্য অনুমতি দেয়নি সরকার।
আজ সোমবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ খালেদ হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সুসংহত রাখার লক্ষ্যে উইমেন লিডারশিপ করপোরেশন ঢাকার ব্যবস্থাপনায় আগামী ১৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গ্লোবাল অ্যাচিভার অনুষ্ঠানে ভারতীয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহিকে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রদান করা যাচ্ছে না। ’
জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী সৈকত মাহমুদ সামছু
আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা, প্রশাসনিক কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে তালা প্রতিক নিয়ে বিশাল ভোটে বিজয় লাভ করেন রামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য সৈকত মাহমুদ সামছু। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহন। ভোট গননা শেষে সৈকত মাহমুদ সামছু ১৩৫ ভোটে পেযে নির্বাচিত হোন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন ভোট পেয়েছেন ১০ ভোট।
দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ ইয়াছিন আলম, ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বিল্লাল হোসেন, ফারুক হোসেন, ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইয়াসিন আরাফাত ওয়াসিম, আলী আশ্রাফ মেম্বার জানান, সৈকত মাহমুদ সামছু তফসিল ঘোষণার পূর্বে থেকে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামীলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করছেন।
বিজয়ী প্রার্থী সৈকত মাহমুদ সামছু বলেন, এ বিজয় রামগঞ্জ উপজেলার সবগুলো জনপ্রতিনিধি ভোটারদের বিজয়। এ বিজয় আমার নহে এ বিজয় সমস্ত উপজেলার জেলা পরিষদের ভোটারদের। তিঁনি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন লক্ষ্মীপুর -১ রামগঞ্জ সংসদীয় আসনের এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন এমপিকে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনির হোসেন চৌধুরী, মেয়র বীরমুক্তি যোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার,কাউন্সিলরদেরকে। জেলা পরিষদ থেকে রামগঞ্জ জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করে সাফল্য মাধ্যমে আমার এ বিজয় স্বার্থকতা ফিরে আসবে।
নিবন্ধন পেতে ইসিতে এবি-পার্টির আবেদন
সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পেতে আবেদন জমা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি।
আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে দলটির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী আবেদনটি ইসির উপ-সচিব মো. আব্দুল হালিম খানের কাছে জমা দেন।
আবেদন জমা দেওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, আমরা মোট ৪৫ হাজার ডকুমেন্ট ইসিতে জমা দিয়েছি। নিবন্ধন পেতে যত শর্ত আছে সব পূরণের চেষ্টা করেছি।
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু জানান, জামায়াত কিংবা সরকার কারো আনুগত্যে নেই এবি পার্টি।
এবি পার্টির নেতারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত শর্তানুযায়ী দলের গঠনতন্ত্র, প্রস্তাবিত পতাকা ও প্রতীক, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ও মালিকানা বা ভাড়ার দলিল বা চুক্তিপত্র, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তালিকা, ন্যূনতম এক তৃতীয়াংশ (২২টি) জেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলার ন্যূনতম ২০০ করে অর্থাৎ সর্বমোট ২২ হাজার নিবন্ধিত ভোটার সদস্যের তালিকা, তাদের ভোটার নম্বর ও দলে যোগদানের প্রমাণ পত্র, জেলা ও উপজেলা মিলিয়ে ১২২টি দলীয় অফিসের ঠিকানা ও মালিকানা বা ভাড়ার দলিল বা চুক্তিপত্র, দলের ব্যাংক হিসাব ও সর্বশেষ লেনদেনের স্থিতিসহ সব প্রামান্য দলিল জমা দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত নতুন দলগুলো নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ২০টির মতো দল আবেদন করেছে বলে জানা যায়।
৪৭ রানে ৭ উইকেট হারালো বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একের পর এক উইকেট হারিয়ে হারের পথে এগোচ্ছে টাইগাররা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০ রান।
রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ রানেই উইকেট হারান নাজমুল হাসান শান্ত। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার ১ রান করে ফেরেন মুজিব উর রহমানের বলে। এরপর ব্যাট করতে নামা সাকিব আল হাসান ১ ও আফিফ হোসাইন ০ রানে পরপর দুই বলে উইকেট হারান। একপ্রান্তে থিতু হয়ে থাকা মিরাজকে সঙ্গ দিতে নেমে কিছুক্ষণ টিকে থাকেন নুরুল হাসান সোহান। ৮ বলে ১৩ রান করে তিনিও বিদায় নেন ফরিদ আহমেদের বলে। এরপর মিরাজও আর থিতু হতে পারেননি। ৩১ বলে ১৬ রান করে নাভিন উল হকের শিকার হন তিনি।
সোমবার (১৭ আগস্ট) ব্রিসবেনের অ্যালান বর্ডার ফিল্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮৯
করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪০২ জনে। এ সময় আরও ৩৮৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮৮২টি করোনা পরীক্ষাগারে মোট পাঁচ হাজার ৬৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় মোট পাঁচ হাজার ৬২৫টি নমুনা। পরীক্ষায় আরও ৩৮৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৬ দশমিক ৯২ ভাগ।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ ভাগ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৫ ভাগ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ ভাগ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হন ৬৪৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫২ জনে।
আয়ারল্যান্ডকে ১৭৫ রানের টার্গেট দিল জিম্বাবুয়ে
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছে আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। হোবার্টে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আইরিশরা। শুরুতে ভালো বোলিং করলেও মিডেল ওভারে সিকান্দার রাজার ঝড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।
অলরাউন্ডার রাজার ৪৮ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের করে ক্রেইগ আরভিনের দল।
বিস্তারিত আসছে…