সারাদেশে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’য়ের প্রভাবে দেশের অনেক এলাকায় সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝেমধ্যে দমকা বাতাস বইছে। এমন অবস্থায় সারাদেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ট্রাফিক) রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ২ নম্বর সংকেত দেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ছোট লঞ্চগুলো চলাচল বন্ধ করা হয়। এখন চলছে তিন নম্বর সংকেত। ফলে আমরা সব ধরণের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ বন্ধ থাকবে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরসমূহকে ৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত (পুনঃ) ৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।




১৭৩ জনকে নিয়ে ছিটকে গেল বিমান

কোরিয়ান এয়ারের একটি বিমান মধ্য ফিলিপাইনে খারাপ আবহাওয়ায় অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানে থাকা ১৭৩ জনের কেউ কোনো আঘাত পাননি।

রোববার গভীর রাতে সেবু প্রদেশের ম্যাকটান দ্বীপে এ ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এসোসিয়েট প্রেস।

কোরিয়ান এয়ারের ফ্লাইট কেই-৬৩১ এ ১১ জন ক্রু এবং ১৬২ জন যাত্রী ছিলেন। কর্মকর্তারা ও এয়ারলাইন্স জানিয়েছে যে, ক্ষতিগ্রস্ত বিমান থেকে বাঁচতে জরুরি স্লাইড ব্যবহার করেছিলেন সবাই।  ফিলিপাইনের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সকল যাত্রী নিরাপদে আছেন এবং জরুরি কর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন।’ বিমানটি সোমবার ম্যাকটান সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একা রানওয়ের শেষে ঘাসের মধ্যে আটকে যায়। এর ফলে  বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিমানের সামনের নীচের অংশটি এবং এর নাক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবরে বলা হয়।

ছবিতে দেখা গেছে যে, বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে ঘাসের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এর সামনের অবতরণের চাকাটি দেখা যায়নি। এছাড়া বিমানের দরজায় জরুরি স্লাইডগুলো স্থাপন করা হয়েছিল।




মঙ্গলবার ভোরে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’

পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে সিত্রাং; থাই ভাষায়, যার মানে হল পাতা।

ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিত্রাং আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এটির কেন্দ্রে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ অনুযায়ী এটি বাঁক খেয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। মঙ্গলবার বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হেনে স্থলভাগে উঠে আসবে। তবে এখনো প্রায় উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) অমাবস্যা। এ সময়ে সমুদ্রে জোয়ারে পানির উচ্চতা এমনিতেই বেশি থাকবে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ো বাতাস। ফলে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, সিত্রাং উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে থাকার ফলে দেশের কোন কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। প্রায় সব উপকূলেই এর প্রভাব পড়বে।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল ২৫ অক্টোবর ভোরে এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।




১০ জেলায় তীব্র ঝড়ের সম্ভাবনা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১০ জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, আজ ভোর থেকে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি এবং বজ্র বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। বিশেষ করে উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে।




লক্ষ্মীপুরে ১শ’ ৮৫ আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাইক্লোন শেল্টারসহ ১শ’ ৮৫টি আশ্রয়ন কেন্দ্র ও ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে জরুরী সভা ডেকে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ আলমের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন আহম্মদ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পলাশ কান্তি নাথ, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক আশফাকুর রহমান মামুনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এর থেকে মানুষ ও গবাদি পশু রক্ষায় সকল ধরণের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হবে। যারা নদীতে আছেন তাদেরকে দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৮৫টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে ৩ হাজার ২৮০ জন মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। ৬৬টি মেডিকেল টিম কাজ প্রস্তুত রয়েছে। জেলার সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া ২৬০ মেট্টিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৬০০ কার্টুন বিস্কুট সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। উপজেলার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত কর্মস্থল এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাহায্য ডেস্ক চালু করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মোবাইল নাম্বারগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে।

নদীর ঘাটে নৌকা প্রস্তুত রাখতে হবে। যেন আটকা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ করতে সুবিধা হয়। ঘূর্ণিঝড়ে নদী তীরে ভাঙন বেড়ে যায়। ভাঙন থেকে উপকূল রক্ষায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।




ঘূর্ণিঝড় ‌‘সিত্রাং’ নামটি যেভাবে এলো

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নিয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দুপুরের মধ্যে দেশের ১০টি জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে দেশে আঘাত হানতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের আলোচনা। তারা আসলে জানতে চাচ্ছে কীভাবে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘সিত্রাং’ হলো আর এই নামের অর্থই বা কী।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সমুদ্রে সৃষ্ট কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টা ৩৯ মাইলের বেশি হলেই সেই ঝড়টি একটি নাম পায়। অন্যদিকে কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মেইল ছাড়িয়ে গেলে তাকে হারিকেন, সাইক্লোন, বা টাইফুন হিসেবে ভাগ করা হয়।

জানা যায়, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নাম করণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে ১৩টি দেশ (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন)।

এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে রাখে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড় নাম দেওয়া হয় ‘সিত্রাং’। এ নামটি  থাইল্যান্ডের দেওয়া। এস্কেপের তালিকা অনুযায়ী ‘সিত্রাং’ এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মন্দোস’। এই নামটি দিয়েছে সৌদি আরব। মন্দোস এর পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোচা’। এই নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।

আরও জানা যায়, ‘সিত্রাং’ শব্দের ভিয়েতনামি অর্থ পাতা। আবার সিত্রাং থাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের পদবিও।




শুরুতেই ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ

এবারের বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ দিয়ে মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে নেদারল্যান্ডসকে।

এই ম্যাচে টস ভাগ্যটা সঙ্গ দেয়নি বাংলাদেশকে। নেদারল্যান্ডস জিতেছে টসে। বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর অনুমিত সিদ্ধান্তটাই নিয়েছে ডাচরা। শুরুতেই দুই উইকেট হারালো টাইগাররা।

বিস্তারিত আসছে………




সরে দাঁড়িয়েছেন জনসন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সুনাক

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাড়াঁলেন বরিস জনসন। রোববার (২৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাতে এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ফলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের।

জানা যায়, ইতোমধ্যে ১৫০ জনের বেশি এমপির সমর্থন পেয়েছেন সুনাক। অপর দিকে পেনি মর্ডান্টের পেয়েছেন ২৫ জনের। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ঋসি সুনাক।

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে লিজ ট্রাসের বিদায়ের পর নতুন নেতা হওয়ার দৌড়ে যে ক’জনের নাম উচ্চারিত হচ্ছিল তাদের মধ্যে বরিস জনসনও ছিলেন। রোববার রাতে বিবৃতিতে তিনি বলেন, পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা তাকে সমর্থন করা শর্তেও তিনি সরে দাঁড়ালেন। আপাতত প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ে থাকা ঠিক হবে না বলে মনে করছেন তিনি।

বরিস জানিয়েছেন, পার্লামেন্টে ১০২ জন আইনপ্রণেতা তাকে সমর্থন করছিলেন। তবে বিবিসি বলছে, বরিসকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন এমন আইনপ্রণেতার সংখ্যা আসলে ৫৭ জন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। মাস দেড়েক আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তবে তার পদত্যাগের পর এখন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পাটির পরবর্তী নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নির্ধারণের জন্য আরেকটি নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে।




বাগেরহাটে মুষলধারে বৃষ্টি, আতঙ্ক বাড়ছে উপকূলবাসীর!

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা এবং মাঝারি ধরনের দমকা হাওয়া রয়েছে।

সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর আতঙ্ক তত বাড়ছে। স্থানীয়রা প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে আশ্রয়ন কেন্দ্রে যাওয়ার।

শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালীর আব্বাস তালুকদার জানান, রোববার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টি রাতে মুষলধারায় নেমেছে। এখনও নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ের সময় কি হবে জানিনা।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহর বুনিয়া এলাকার হাফিজুর রহমান জানান, সিত্রাং যদি সিডরের মত রূপ নেয়, তাহলে আমরা খুব বিপদে পড়ে যাব। নদীবেষ্টিত আমাদের এই ইউনিয়নকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য কোনো বাঁধও নেই। জলোচ্ছ্বাস হলে অনেক জানমালের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।




ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ভয়াবহ হয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ ভয়াবহ হয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে সমুহে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে মাদারীপুরে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির এই ধারা সারাদিন থাকবে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে মাদারীপুর সদর উপজেলা, কালকিনি, রাজৈর, শিবচর ও ডাসার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির খবরও পাওয়া গেছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। জীবিকার তাগিদে একপ্রকার বাধ্যহয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাহিরে বের হয়েছেন তারা। এছাড়া জেলার পৌর শহরের অনেক স্থানে বৃষ্টির পানি আটকে থাকার জন্য বেড়েছে দুর্ভোগ।

শহরের কলেজ রোড এলাকায় মাথায় প্লাস্টিক জড়িয়ে রিকশা নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে আব্দুল হক নামের একজনকে। তার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, ‘সব জিনিস কিন্না খাইতে হয়। ঘরে বইসা থাকলে তো কেউ খাওনা দিয়া আসবো না। রিকশা লইয়া বের হইছি এখন আল্লাহ মিলাইলে যাত্রী পাইমু।’

শরীফ বাড়ি এলাকার চায়ের দোকানি সেলিম মোল্লা বলেন, ‘ভোর থেকে এই দুর্যোগ শুরু হইছে। সকাল থেকে দোকান খুলে বসে আছি। লোকজন তেমন বের হয় নাই। বৃষ্টি কমলে হয়তো লোকজন বের হইবো তখন হয়তো কিছু কেনাবেচা হইব।’ ডিসি ব্রিজ এলাকার লন্ড্রি ব্যবসায়ী উত্তম দাস বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে শহরে কোনো বিদ্যুৎ নাই। বিদ্যুৎ না থাকায় আমরাও দোকান খুলে বেকার বসে আছি। বিদ্যুৎ না থাকায় কাস্টমারের দেওয়া মালগুলো ডেলিভারি করতে পারছি না। বাতাস আর বৃষ্টি কমলে হয়তো বিদ্যুৎ আসবো।’

সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির গতিবেগ কমে আসলেও বৃষ্টি পড়া অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া দমকা হাওয়ার সঙ্গে আকাশে রয়েছে মেঘ।