ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সর্বাত্মক প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এই অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সূত্রে সরকারি বার্তা সংস্থা সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে এই খবর জানান।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের উপকূলীয় লঞ্চলে আঘাত করতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে থেকে তথ্য জানছেন এবং এই ঝড়ের ফলে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দিয়েছেন।




উপকূল থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে ‘সিত্রাং’

সাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এছাড়াও এটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের ৯নং বিশেষ সতর্কবার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় (অক্ষাংশ: ১৯.২° উত্তর, দ্রাঘিমাংশ: ৮৯.২° পূর্ব) অবস্থান করছে।

এটি আজ দুপুর ১২টায় (২৪ অক্টোবর, ২০২২) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাত/আগামীকাল ভোর নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।




সন্ধ্যায় আঘাত হানবে; ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক  ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত  হয়েছে। আবহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম  করবে।

তিনি আরও বলেন, সিত্রাং  বাংলাদেশে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। সব থেকে বেশি আঘাত  হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী।




নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চলছে মাইকিং, প্রস্তুত আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলো

বাগেরহাটের উপকূলে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টি, সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। মোংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে ৭ নম্বর সংকেত। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং চলছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গতরাত ভর হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সোমবার সকাল থেকে ভারিবৃষ্টি ও ঝড়োবাতাস বইছে। সিত্রাং মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাগেরহাট প্রশাসন।গতকাল বিকেলে দূযোগ কমিটির সভায়

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ৩৪৪ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ২৯৮ মেট্রিকটন চাল ও নগদ চার লাখ ৮০ হাজার টাকা উপকূলীয় উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলার স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার মো মহিউদ্দিন জামান বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সাবধান করতে মাইকিং করা হচ্ছে।

তাদের নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এদিকে মাছ ধরার জন্য২৮ তারিখ পযন্ত  নিষেধাজ্ঞা থাকায় সমুদ্রগামি ট্রলার গুলো ও শত শত জেলে নিরাপদে রয়েছে। বাগেরহাটের প্রধান ম্যসৎ অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজার সংলগ্ন ভৈরব নদীতে অনেক ট্রলার নোঙর করে রয়েছে।

বৃষ্টি  ঝড়ো হাওয়ার জন্য জেলা শহরের রাস্তা ঘাট অনেকটাই ফাঁকা। জরুরী প্রয়োজন এর মধ্যেও কিছু মানুষকে ছাতা নিয়ে বের হতে দেখা গেছে।

তবে আমবশ্যার সাথে ঘুনিঝড় হওয়ায় বাগেরহাটের উপকুলের  মানুষের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকির মধ্যে  আতংক বিরাজ করছে।




৭ বিভাগে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, পাহাড় ধসের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে দেশের সাত বিভাগে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে হতে পারে পাহাড়ধস। সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তায় এই তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে সোমবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও হতে পারে ভূমিধস।

‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আসায় এরইমধ্যে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় বিক্ষুব্ধ রয়েছে সাগর।

দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।




গতি বাড়িয়ে এগোচ্ছে ‘সিত্রাং’ ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

সময় যত ঘনিয়ে আসছে আরও উত্তাল হচ্ছে সাগর। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলে ঝড়ো বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের গতিও।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বরিশাল উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে দেশের চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার কথা জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।

 

 

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ৮ নম্বর বিশেষ সতর্কবার্তায় এমন শঙ্কার কথা জানানো হয়।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলসহ বেশিরভাগ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আগামীকাল ভোরে এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।




প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার দোয়া

প্রকৃতি কখনো বিরূপ আকৃতি ধারণ করে। যেটাকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলি। যেমন- ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, ভারী বর্ষণ, বন্যা, খরা, দাবানল, শৈত্যপ্রবাহ, দুর্ভিক্ষ, ভূমিকম্প ও সুনামি প্রভৃতি।

প্রকৃতির যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা আল্লাহর অধীনে। এসব কিছু কেবল তার হুকুমেই হয়। তার হুকুম ও আদেশের বাইরে গাছের একটি পাতাও নড়ে না।

পবিত্র কোরআনে দুর্যোগের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা, নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে, “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা,আয়াত : ১৫৫-১৫৭)

দুর্যোগের আল্লাহর রাসুল (সা.) যা করতেন

দমকা হওয়া বইতে দেখলে রাসুল (সা.) আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যেতেন এবং উদ্বিগ্ন হয়ে চলাফেরা করতেন। যখন বৃষ্টি হতো তখন তিনি খুশি হতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতো এবং ঝোড়ো বাতাস বইত—তখন রাসুল (সা.) এর চেহারায় চিন্তার রেখা ফুটে উঠত। এই অবস্থা দেখে তিনি এদিক-সেদিক পায়চারি করতে থাকতেন এবং এ দোয়া পড়তেন—

اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ




১৪৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।

পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু পেলেও মিডেল ওভারে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।

শেষ দিকে আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভর করে করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮  উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেছে সাকিবের দল।

বিস্তারিত আসছে… 




নোয়াখালীতে কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল, ৪০১ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন। সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৪০১ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে নিজ সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

জেলা প্রশাসক জানান, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খুলেছি। সেইসঙ্গে উপকূলে ৮ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মেডিকেল টিম, সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা দোয়া করি যেন আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। কোনো ধরনের অসুবিধা হওয়া বা হওয়ার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত থাকব।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, গণমাধ্যমকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠেনর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালীতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালী ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় এসেছে। আজ সন্ধ্যার দিকে সিত্রাং শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।




১৫জেলায় ৭ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১৫ জেলায় ৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের পূর্ভাবাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়ার ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। বিশেষ করে উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।