সৌদির ক্লাব থেকে প্রস্তাব পাননি মেসি

পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সৌদি ক্লাবে যাওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জনটা। মেসিকেও নাকি প্রস্তাব দিয়েছিল রোনালদোর দল আল নাসেরের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আল হিলাল। তবে এমন প্রস্তাবের কথা উড়িয়ে দিলেন স্প্যানিশ ফুটবল বিশেষজ্ঞ গিলেম বালাগ। আল হিলাল থেকে নাকি কোনো প্রস্তাবই পাননি আর্জেন্টিনার মহাতারকা লিওনেল মেসি।

গিলেম বালাগ জানিয়েছেন, লিওনেল মেসিকে পাওয়ার জন্য সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল কোনো প্রস্তাব দেয়নি। বরং ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের জোর সম্ভাবনা আছে আর্জেন্টাইন মহাতারকার। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির কাছে তিনি বলেছেন, ‘এমন কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। পিএসজি ও মেসি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকে বসবে যাতে তাকে প্যারিসে ধরে রাখার চুক্তি চূড়ান্ত করা যায়।’

গত মাসে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন মেসি। এবার তার সামনে চ্যালেঞ্জ, পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে দেওয়ার। আর মেসির চাওয়াও ইউরোপে খেলা। বালাগ বলেছেন, এই মুহূর্তে মেসির ইচ্ছা ইউরোপে থাকার।

এর আগে স্পেনের ক্রীড়াভিক্তিক সংবাদমাধ্যম মুন্ডো দেপোর্তিভোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আল হিলাল মেসিকে তাদের ক্লাবে নিতে চাচ্ছে। এজন্য বড় অঙ্কের অর্থও দিতে রাজি আল নাসেরের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবটি। সেখানে বলা হয়েছে, মেসিকে বছরে ৩০ কোটি ডলার পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে আল হিলাল।

সংবাদমাধ্যমের খবর, রোনালদোকে আল নাসের যে পরিমাণ বেতন দিচ্ছে মেসিকে তার থেকেও বেশি দিতে চায় আল হিলাল। সেটা রোনালদোর ২ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার চেয়েও বেশি। যদিও ক্লাবটির পক্ষ থেকে এমন কোনো কথা শোনা যায়নি।

আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদির ঘরোয়া লিগ সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বেশ ভালো। আল হিলাল ও আল নাসেরের মধ্যকার ম্যাচ হলো সৌদি আরবের ‘এল ক্লাসিকো’, যেটিকে সৌদি আরবে ‘রিয়াদ ডার্বি’ বলা হয়।




চট্টগ্রামের বিপক্ষে ঢাকার লড়াকু পুজি

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৫৯ রানের টার্গেট দিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডমিনেটর্স। টানা তৃতীয় হার এড়াতে ঢাকার বিপক্ষে ১৫৯ রান করতে হবে চট্টগ্রামকে।

আগে ব্যাট করতে নেমে মন্থরগতিতে রান তোলে ঢাকার দুই ওপেনার উসমান ও মিজানুর। ৯.২ ওভারে ৬০ রান আসে ওপেনিং জুটিতে। ৩৩ বলে ২৭ রানে ফেরেন মিজানুর। এদিকে ৩৩ বলে ৪৭ রান করেন গনি।

টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার সৌম্য সরকার ফিরেছেন মাত্র ৪ রান করেই। এরপর দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার হতেই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মিঠুন আলীও বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৯ রানে। চাপের মুখে হাল ধরেন নাসির। ১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ঢাকার অধিনায়ক খেলেন ২২ বলে ৪ চারে সাজানো ৩০ রানের ইনিংস। শেষদিকে ঢাকার রানের চাকা সচল রাখেন আরিফুল হক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া এই ব্যাটার ১৮ বলে করেছেন ২৯ রান।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান ও মেহেদি হাসান রানা। এছাড়া একটি করে উইকেট করে নিয়েছেন শুভাগত হোম ও মালিন্দা পুষ্পকুমারা।




নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নতুন বছরে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো জোরদার হোক, সব সংকট দূরীভূত হোক, সব সংকীর্ণতা পরাভূত হোক এবং সবার জীবনে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি―এই প্রার্থনা করি। ’

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।




নতুন আলোর প্রত্যাশায় স্বাগত ২০২৩

কালের গর্ভে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। বিদায় ২০২২, স্বাগত ২০২৩। ঘড়ির কাঁটা ১২টা অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নতুন বর্ষ গণনা। সব ব্যথা-বেদনা, দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন আলোর প্রত্যাশায় সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও বরণ করে নেওয়া হচ্ছে নতুন বছরকে।

বিদায়ী খ্রিষ্টীয় বছর অনেকের জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ অতীতের পথ ধরেই সাজাতে হয় বর্তমান। আর সেজন্যই অতীতকে মনে রাখতে হয়। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০২২ একটি ঘটনাবহুল বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে বছরটির কথা মনে থাকবে অনেক দিন।

প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষবরণ উৎসবে মেতেছে জাতি। তবে বিধিনিষেধের কারণে সেই উৎসবে আনন্দের মাত্রা কিছুটা হলেও ম্লান হচ্ছে।

এবারও উন্মুক্ত স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। আগেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে আতশবাজি ও বাড়ির ছাদসহ খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। সন্ধ্যার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়।
ইংরেজি নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় নগরবাসীকে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস না ওড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া র‌্যাবের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষ-২০২৩’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, নববর্ষ সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। বিরাজমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দুঃস্থ, অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর নববর্ষকে বরণ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হলেও করোনা মহামারির কারণে বিগত দুই বছর উৎসবের আমেজ ছিল অনেকটাই ম্লান। এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের এক স্বর্ণযুগ। আমরা গত বছর ২৬ জুন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু চালু করেছি। ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার মেট্রোরেল যোগাযোগ চালু করেছি। ২১ ডিসেম্বর দেশের ৫০টি জেলায় উন্নয়নকৃত ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন করেছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘২৬ নভেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সম্পন্ন করেছি। ৭ নভেম্বর দেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু নির্মাণ করে উদ্বোধন করেছি। ১৯ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২ এর রিঅ্যাক্টও প্রেসার ভেসেল স্থাপন করেছি। ২১ মার্চ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (১ম পর্যায়) উদ্বোধন করেছি। আমাদের অন্যান্য মেগা ও মাঝারিসহ সকল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে।’

নববর্ষ মানেই সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া।




বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব আর নেই

প্রবীণ আইনজীবী ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পারিবারিক ও বিএনপি দলীয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।




রামগঞ্জে তৃনমূল আওয়ামীলীগের নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চন্ডিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জামায়াতের অর্থদাতা হাউজিং ব্যবসায়ী আবুল কালামের শীতবস্ত্র,ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন,স্থানীয় চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল ইসলাম সুমন সহ রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ওই প্রোগরামে উপস্থিত থাকায় উপজেলাব্যাপী তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী মাঝে চরম ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে৷
চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূইয়া ও যুগ্ন আহবায়ক জিএস নজরুল ইসলাম জানান, আমরা জামায়েত নেতার অর্থায়নে অনুষ্ঠান হচ্ছে জানতে পেরে উক্ত অনুষ্ঠান বয়কট করেছি। জামায়াতের এই অর্থদাতা আবুল কালামের সভাপতিত্বে ২০১৯ সালে এলাকায় জামায়াতের ওয়াজিন মুফতী কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালীকে অতিথি করে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করলে দলীয় নেতাকর্মীদের বাধার মুখে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উক্ত ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেয়৷ তারপরও জামায়াতের এমন চিহিৃত ব্যক্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওযামীলীগ সাধারন সম্পাদক কিভাবে আসছেন তা আমরা জানি না৷
২৯(ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত শীতবস্ত্র,ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বেলাল আহমেদ, লামচর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল্লাহ জিসান, চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম সুমন প্রমূখ৷ এ ব্যাপারে হাউজিং ব্যবসায়ী আবুল কালামের সাথে যোগাযোগেন চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি৷
চন্ডিপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর শেখ জানান, অএ ইউনিয়নে আওয়ামী নামদারী কিছু কুচক্রী মহল জামায়াত নেতার টাকা খেয়ে অনুষ্ঠানে সফল করার লক্ষে ওখানে গিয়েছিলো। এজন্য প্রকৃত আওয়ামীলীগ হিসাবে এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল পাটোয়ারী জানান, জামায়াতের অর্থদাতা আবুল কালামের বাড়ি আমার বাড়ি থেকে ১০কিঃমিঃ দুরে। উনাকে আমি চিনি না জানিনা। আর সেই অনুষ্ঠানে কোন দাওয়াতও আমি পাইনি।
৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিতরন অনুষ্ঠানের সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন জানান, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) সংসদীয় আসনের এমপি ও লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন আমাকে ফোন দেওয়ার কারনে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছি। প্রোগরামে গিয়ে দেখি আমাকে সভাপতি রাখা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
পৗর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বেলাল আহমেদ জানান, আবুল কালাম একসময় জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল৷ এটা স্থানীয় অনেকের মাধ্যমে জানতাম। তবুও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আসছেন তাই গিয়েছি।
এ বিষয় জানতে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) সংসদীয় আসনের এমপি ও লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।




তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করেন এম পি শাওন

ভোলা প্রতিনিধি:

ভোলার তজুমদ্দিনে আশ্রয়ের শীতার্থ মানুষের মাঝে দুই হাজার কম্বল বিতরন করেন এম পি শাওন। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের মাঠে ও চাঁদপুর ইউনিয়নের গুরিন্দা বাজার আবাসনের মাঠে এই কম্বল বিতরন করেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম পি শাওন বলেন বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারনে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় মানুষ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে আশ্রয়নের অসহায় এবং হতদরিদ্র মানুষের জন্য শীতবস্ত্র পাঠিয়েছেন। তারেই নির্দেশনায় আমি আপনাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছি শীত বস্ত্র নিয়ে। মুজিব বর্ষে আপনাদের জন্য পাকা ঘরের ব্যবস্থা করেছে যাতে করে আপনাদের বাসস্থান তৈরি হয়। এই প্রচন্ড শীতে আপনাদের জন্য কম্বল পাঠিয়েছে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবেন।

চাঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়ার ও চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুল্যাহ কিরনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাবা মরিয়ম বেগম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক জনাব ফজলুল হক দেওয়ান। তজুমদ্দিন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মুরাদ। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহিউদ্দিন পোদ্দার। তজুমদ্দিন হোসনেয়ারা চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সুমন,জেলা পরিষদের সদস্য ইশতিয়াক হাসান, শম্ভুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।




জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষে ৪ মামলা, আসামি দেড় শতাধিক

রাজধানীর মৌচাক এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা করেছে পুলিশ। তিন থানায় করা এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে জামায়াতের দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে।

মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর অনুমতি ছাড়াই জামায়াতের লোকজন মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

এ সময় দলটির নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়। এর মধ্যে রামপুরা থানায় একটি, খিলগাঁও থানায় দুটি এবং শাহজাহানপুর থানা একটি মামলা হয়েছে।

খিলগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, আমার থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলার বাদী এসআই রেজাউল ইসলাম। মামলায় ৭৫ জন আসামির নাম উল্লেখ থাকলেও বাকিরা অজ্ঞাত। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।




একাদশে ভর্তির ফল রাতে

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল শনিবার রাত ৮টায় প্রকাশ করা হবে। ভর্তিচ্ছুরা ভর্তির ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পারবেন।

সোয়া ১৩ লাখ ২৩ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু একাদশে ভর্তির আবেদন আবেদন করেছিল। তারা বিভিন্ন কলেজের ৭০ লাখ ২০ হাজারের বেশি আসন পছন্দ দিয়েছেন।

অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) রাত ৮টায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে বলে ভর্তি নীতিমালায় জানানো হয়েছে।




ডলারের হিসাবে টাকার মান কমেছে ২৫ ভাগ

তীব্র সংকটের কারণে চলতি বছর ডলারের বিপরীতে টাকার রেকর্ড অবমূল্যায়ন হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে লাগামহীনভাবে বেড়েছে ডলারের দাম, কমেছে টাকার মান। বছরের প্রথম দিকে ডলার বাজার স্থিতিশীল থাকলেও মে মাস থেকে চরম অস্থিরতা বিরাজ করে। অস্থিরতা কমলেও সংকট এখনো প্রকট। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ দরের হিসাবে ৩৫ দশমিক ২০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। অন্যদিকে খোলা বাজারে ডলারের দামের হিসাবে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩৭ শতাংশ।

ADVERTISEMENT

গত ১০ বছরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, করোনার কারণে ডলারের চাহিদা কম থাকায় ও আয় বেশির কারণে ২০২০ সালে টাকার মান বেড়েছিল সামান্য। অন্যান্য সময়ে ডলারের দাম বেড়েছে। টাকার মান কমেছে। সেগুলোর বেশিরভাগই ১ শতাংশের কম থেকে ২ শতাংশের মধ্যে। শুধু ২০১৭ সালে কমেছিল পৌনে ৫ শতাংশ। শুধু এবারই রেকর্ড হারে ২৫ শতাংশ কমেছে। অন্য হিসাবে কমেছে ৩৫ থেকে ৩৭ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির হারে ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুস্মরণের ঘোষণা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূল্যস্ফীতির হার ঠেকাতে কয়েক দফায় তাদের নীতি সুদের হার বাড়ায়।

ডলারের দামও বেড়ে যায়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। তবে আগে থেকেই দেশের অর্থনীতিতে নানা সংকট দেখা দিয়েছিল। যুদ্ধের ধাক্কায় এ সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমায় ডলার সংকট প্রকট হয়। রিজার্ভ থেকে ডলারের জোগান দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। তারপরও ডলারের দাম বেড়েছে পাগলা ঘোড়ার গতিতে। অতীতে কোনো সময়ে এভাবে ডলারের দাম বাড়েনি।

নতুন বছরেও ডলার সংকট থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ আরও কমতে পারে। তবে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। মার্চ থেকে ঋণের অর্থ ছাড় হতে পারে। জুনের দিকে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ পাওয়া যেতে পারে। এরপর ডলার বাজারে চাপ কিছুটা কমতে পারে।

গত বছরের শেষ দিন বা চলতি বছরের শুরুর দিনে ব্যাংকের হিসাবে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। বছর শেষে বৃহস্পতিবার শেষ লেনদেনের দিনে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। ওই এক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ২১ টাকা ২০ পয়সা। এ হিসাবে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। অন্যদিকে গত অক্টোবরে ডলারের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা হয়েছিল। সরকারি খাতে ব্যাংকসহ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা করে রেমিট্যান্স কিনেছে। একই দরে তারা আমদানির জন্য আগাম ডলার বিক্রি করেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও ওই দরে ডলার কিনে দেনা পরিশোধ করেছে। এই হিসাবে গত এক বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা ২০ পয়সা। এ হিসাবে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩৫ দশমিক ২০ শতাংশ। খোলা বাজারে বছরের শুরুর দিকে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা। তখন ডলারের চাহিদা কম থাকায় ব্যাংকের চেয়ে দাম কম ছিল খোলা বাজারে। এখন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকায় উঠেছে। এ হিসাবে ডলারের দাম বেড়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। ওই সময়ে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

চলতি বছরে ডলার ছাড়াও অন্যান্য প্রধান প্রতিযোগী মুদ্রার বিপরীতেও টাকার মান কমেছে। এর মধ্যে বছরের শুরুতে যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ডের দাম ছিল ১১৫ টাকা। বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাড়ায় ১২৮ টাকায়। ওই সময়ে পাউন্ডের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ। একই সময়ের ব্যবধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোর দাম ৯৭ টাকা থেকে বেড়ে ১১৩ টাকা হয়েছে।

এর বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে সাড়ে ১৬ শতাংশ। ভারতীয় রুপির দাম বছরের শুরুতে ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা। গত এক বছরে রুপির বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে সৌদি রিয়ালের দাম ২২ টাকা থেকে বেড়ে ২৮ টাকা হয়েছে। এর বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। একই সময়ে কানাডিয়ান ডলারের দাম ৬৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। ওই সময়ে এর বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ।

চলতি বছরে ডলারের বিপরীতে প্রায় দেশের মুদ্রার মানই কমেছে। ডলারের বিপরীতে যেভাবে ইউরো, পাউন্ড, ভারতীয় রুপির দাম কমেছে, সে তুলনায় টাকার মান কম হারে কমেছে। তবে সৌদি রিয়ালসহ আরও কিছু দেশের মুদ্রার মান ডলারের বিপরীতে কমেনি। বরং বেড়েছে। ওইসব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় মুদ্রার মান কমেনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৬৯ টাকা ১৭ পয়সা। ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ টাকা ৬১ পয়সায়। ওই এক বছরে ডলারের দাম বেড়েছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছিল ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। এরপর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর প্রায় কাছাকাছি হারে টাকার মান কমেছিল।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ টাকা ৭৮ পয়সায়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ টাকা ৮০ পয়সায়। ওই এক বছরে ডলারের দাম বড়েছে মাত্র ২ পয়সা। এ হিসাবে টাকার মান কমেছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ।

২০১৭ সালে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ টাকা ৫৫ পয়সা। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ডলারের দাম বাড়ে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। ওই সময়ে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৮ সালে ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮৩ টাকা ৯০ পয়সায়। আগের বছরের তুলনায় ডলারের দাম বাড়ে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। টাকার মান কমে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ২০১৯ সালে ডলারের দাম বেড়ে হয় ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছরের তুলনায় দাম বৃদ্ধি পায় ১ টাকা। টাকার মান কমে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ।