রামগঞ্জ স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদায়

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর শহরের স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ইং শিক্ষাবর্ষের ৫ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে বার্ষিক দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। পবিত্র কুরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরন করে নেন বিদায়ী শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রামগঞ্জ এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে, রামগঞ্জ স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন পাটওয়ারী ও সহকারি শিক্ষক ইউনুছ বেলালের যৌথ সঞ্চালনায় এই দোয়া ও বিদায়ী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রামগঞ্জ স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও রামগঞ্জ পৌর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেদুল হাসান।

এইসময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবীবা মীরা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মেয়র, রামগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, এমপি মহোদয়ের স্থানীয় প্রতিনিধি বেলাল আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সদস্য সৈকত মাহমুদ শামছু, অভিভাবক রামগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সোহেল রানা,

এইসময়ে উপস্থিত ছিলেন অভিবাবক সদস্য এম এ হালিম খান লিটন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিব উল্লাহ, কল্যান কমিটির সভাপতি নুর হোসেন, অত্রবিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক অভিবাবিকাসহ প্রমুখ।




‘ভুয়া চিকিৎসকদের’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার নির্দেশ; হাইকোর্ট

চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিসের জন্য বৈধ সনদ ও নিবন্ধন নেই এমন ‘ভুয়া’ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি). সভাপতি ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা ‌‌”ভুয়া” চিকিৎসকদের শাস্তির জন্য বিদ্যমান ৩ বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ সংশোধনে তারা নিষ্ক্রিয় কেন, তা আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে রুল জারি করা হয়েছে।

রুলে, কর্মকর্তাদের শাস্তি বাড়ানোর জন্য মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০-এর ২৮ (৩) এবং ২৯ (২) ধারা সংশোধনের পদক্ষেপ নিতে কেন বলা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিনের দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তিনি গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিসাবে আবেদনটি জমা দেন। যেখানে ‘ভুয়া’ চিকিৎসকদের শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সরকারকে প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবেদনে তিনি বলেন, ‘প্র্যাকটিস করার বৈধ সার্টিফিকেট ও রেজিস্ট্রেশন না থাকা ভুয়া চিকিৎসকের মাধ্যমে অনেক রোগী প্রতারিত হচ্ছেন।’

এ ধরনের ‘ভুয়া’ চিকিৎসক রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বেআইনি কাজের শাস্তি মাত্র ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা যা খুবই অপ্রতুল।’

পিটিশনকারী জে আর খান রবিন নিজেই আবেদনটি উপস্থাপন করেন এবং আজ আবেদনের শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।।




বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার শঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আঘাত হানতে পারে ভারতে।

এর প্রভাবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বাংলাদেশে। বৃষ্টি হতে পারে দু-এক জায়গায়। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর শীত বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, লঘুচাপটি আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তারপর তা আরও শক্তি অর্জন করে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি ভারতের অন্ধ্র বা তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা আছে।

বজলুর রশীদ বলেন, ‘লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে বাংলাদেশে আঘাত হানার তেমন শঙ্কা নেই।’ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে নাম হবে ‌‘মানদাউস’। এই নামটি আরব আমিরাতের দেওয়া।




সমাবেশের স্থান নির্ধারণে এখনো অপেক্ষায় বিএনপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছে। প্রতিনিয়তই সভা-সমাবেশ করছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। এরমধ্যে গত কয়েকদিনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে বর্তমানে অনেকটাই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজধানীতে। এরই মধ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় ছাড়াও এর আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পুলিশ।

যদিও সমাবেশের সময় ঘনিয়ে এলেও সমাবেশস্থল এখনো ঠিক হয়নি। অবশ্য, ২৬ শর্তে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তবে নিজেদের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়াপল্টনেই সমাবেশে অনড় বিএনপি। এমন অবস্থায় আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টন ব্যতীত নতুন ভেন্যু নিয়ে এখনো অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিএনপিকে।

এ নিয়ে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল চারটা থেকে ৫টা পর্যন্ত পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসির সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টার আলোচনা শেষেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। তবে বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবারও (৬ ডিসেম্বর) মতিঝিল জোনের ডিসির সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন এ্যানী।




হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, কর্মচারীরা অফিস করেন নিজেদের ইচ্ছামতো

মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীর উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে চলছে অনিয়মের রাজত্ব। সেখানে মানা হচ্ছে না সরকারি কোনো নীতিমালা, অফিস সময়ে টানানো হয় না জাতীয় পতাকা।কর্মচারীরা অফিস করছেন নিজেদের ইচ্ছামতো।

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে সরকার ঘোষিত নীতিমালা ও নিয়মকানুন কোনোটাই মানা হয় না। কর্মরতরা নিজেদের ইচ্ছায় অফিসে আসা-যাওয়া করেন। বেলা একটার পর আর কাউকে পাওয়া যায় না। রোগী কে এলো, কে গেলো এসব বিষয়ে তাদের কোনো গুরুত্ব নেই। রোগী এলে অনেক সময় বসিয়ে রেখে কাউকে ওষুধ দেওয়া হয় আবার কাউকে ওষুধ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করলেও সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ও ফ্যামিলি কল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) অফিসে আসেন ও বাসায় যান নিজেদের ইচ্ছে মত। ওই কেন্দ্রেই তাদের বাস করার কথা থাকলেও তারা থাকেন অন্যত্র।

রবিবার বেলা ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিস তালা বন্ধ ও অফিস প্রাঙ্গণে ওড়ানো হয়নি জাতীয় পতাকা। কর্মকর্তাদের বাস ভবনে পরিবার নিয়ে থাকছেন করছেন ইউসুফ নামের এক দিনমজুর। তিনি এখানে কিভাবে থাকছেন জানতে চাইলে বলেন, অনুজ বাবু আমাকে এখানে থাকতে দিয়েছেন। আর নৈশ প্রহরী আসেন না তাই রাতেও দেখাশুনা করতে বলেছেন। কর্মকর্তারা কোথায় জানতে চাইলে ইউসুফ বলেন, স্যাকমো অনুজ স্যারে আজ আয় নায় আর বৃস্টি ম্যাডামে বাসায় চইলা গেছে। আর নৈশ প্রহরী মাঝে মাঝে অফিসে আয়।

স্যাকমো আনুজ রায়কে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে, মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্যে পটুয়াখালী এসেছি।

ফ্যামিলি কল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) বৃস্টিকে ফোন করলে বলেন, আমি এক প্রসূতি রোগীকে দেখতে তার বাড়ি এসেছিলাম এখন ক্লিনিকে আসছি। ফোন দেবার আধা ঘন্টা পরে ফ্যামিলি কল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) বৃষ্টি ক্লিনিকে এসে ইউসুফের কাছ থেকে ক্লিনিকের চাবি নিয়ে তালা খোলেন। তার কাছে তার অফিস বন্ধ করে যাবার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি উল্টো ভবন ভাঙ্গা সেবা দেয়ার মত না এসব কথা বলে কথা এরিয়ে যান। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের সেবার রেজিস্ট্রার খাতা দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।

সুমন নামের এক স্কুল ছাত্র জানায়, ১১টার দিকে অফিসে আসেন আবার কিছুক্ষণ পরে চলে যান। আমরা অনেক সময় স্কুলে যেতে পথে এ কেন্দ্রে ঢুকে ওষুধ চাইলে লোক না থাকায় আয়া আমাদের দিতে পারেন না।

এ বিষয়টি জানাতে আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: আলমগীর হোসাাইন বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ও ফ্যামিলি কল্যাণ পরিদর্শক (এফডব্লিউভি) স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে সেবা দেয়ার কথা। চাকমুর ছুটিতে আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের ছুটি দেবার দায়িত্ব মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) এর।

মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) বুলবুল আহমেদ ফোনে জানান, স্যাকমো অনুজ রায় তার কাছে থেকে লিখিত কোন ছুটির আবেদন করেন নি। তবে শুনেছি আমার অফিস সহকারীর কাছে মৌখিকভাবে জানিয়ে গিয়েছেন যেটা আসলে ঠিক করেন নি। আমি তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিবো।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহমুদুল হক আজাদ জানান, হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের অভিযোগের বিষয়ে আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে এ বিষয়ে স্যাকমোর বিরুদ্ধে ব্যবস্তা গ্রহন করতে বলেছি। আশা করছি এলাকাবাসী এরপর থেকে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা পাবেন।




নোয়াখালী জেলা আ. লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিমের নাম ঘোষণা

মোঃ বদিউজ্জামান ( তুহিন) নোয়াখালী প্রতিনিধি:

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে এসেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নেতাকর্মীরা জেলা শহর মাইজদী হয়ে সম্মেলন স্থল শহীদ ভুলু ষ্টেডিয়ামে এসেছেন। ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ এবং নেতার নাম নিয়ে স্লোগান দেয়।

এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের চারপাশসহ পুরো শহর ছেয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে এসব ব্যানার, তোরণ সাঁটিয়েছেন নেতাকর্মীরা। সব মিলে সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেন বিএনপির মনে বড় জ্বালা অন্তর জ্বালা। খেলা হবে খেলা হবে ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। উদ্বোধন করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

এছাড়া আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদিকা সাবেক এমপি বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল-আলম হানিফ, সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সাড়ে ৫০০ পুলিশ সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। সে সময় সভাপতি হিসেবে এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছিলেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীতে মত বিরোধ থাকায় ১৭ ডিসেম্বর পুনরায় নির্বাচন ঘোষনা করেন।




নরসিংদীতে কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত দুই জনের মরদেহ উদ্ধার

মোঃ মোবারক হোসেন,নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে কলাবাগানের ভেতর থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের কলাবাগান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এখনো নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে ফিঙ্গার নেওয়ার পর নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ জানায়, রায়পুরা উপজেলার আাদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের একটি কলাবাগানে দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশে এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

হত্যার পর নিহতদের মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে একটি মরদেহের গলা কাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। একটি মরদেহের পড়নে লুঙ্গি ও বেগুনি রঙের শার্ট, অপরটিতে হাল্কা ছোট চেকের সাদা শার্ট পড়নে কোন কাপড় ছিলনা।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময় তাদের হত্যার পর খুনিরা নির্জন স্থানে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। নিহতদের পরিচয় সনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।




গণিতে ফেল করা সেই ১৩ জনের ১২ জনই পেল জিপিএ-৫

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পিতৃভূমি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের গণিতে ফেল করা সেই ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে উত্তীর্ণ হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা জেএসসি এবং এসএসসিতে প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ-৫ সহ শতভাগ উত্তীর্ণ হয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিদ্যালয়ের ৭২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ওই ৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ জন জিপিএ-৫ সহ ৫৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্য ১৩ জন শুধু গণিতে ফেল করেছে। শুধু তাই নয়, শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ১৩ পরীক্ষার্থীসহ একই হলের আরও ৩৯ জন গণিতে ফেল করে।

বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আব্দুল মতিন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) শিক্ষাবোর্ড তাদের ওয়েবসাইটে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের সংশোধিত ফল প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, হুমায়ূন আহমেদের স্কুল শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ফেল করা ১৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এই ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সবাই মেধাবী। ফল প্রকাশের পর যখন দেখলাম ১৩ জন গণিতে ফেল করেছে, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম,হয়তো কিছু একটা ভুল হয়েছে। যাই হোক, অবশেষে আজ আমরা পুনরায় রেজাল্ট পেলাম। গণিতে ফেল করা ১৩ জনের সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ১২ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এখন আমাদের ফলাফল শতভাগ পাস এবং মোট ৭২ জনের জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ জন।




বরগুনার বেতাগীতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলড্রেস ও শীতবস্ত্র বিতরণ

মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনার বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়েনর দক্ষিণ করুনা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন কাজিরাবাদ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা। ৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নেয় এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।

গতকাল রবিবার বিকেলে বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ভাইস চেয়াম্যান মো. আব্দুস ছোবাহানের সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাজিরাবাদ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নকীব মো. নিজাম উদ্দীন ও মোঃ শওকাতুল আলম পান্না মৃধা, বেতাগী নাগরিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন মো. শামীম সিকদার, বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য শাহ আলী, মোঃ মোতালেব হোসেন মাস্টার, কাজিরাবাদ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা দপ্তর সম্পাদক মো. রাজীব গাজী, প্রচার সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম শাওন ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্য আরিয়ান আরিফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অবহেলিত প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস ও শীতবস্ত্র পেয়ে আনন্দিত।

কাজিরাবাদ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি এজেডএম শিমুল ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। গত তিন বছরে বরগুনা জেলায় বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক সহায়তা করে আসছে।




এই শক্তি ও অনুপ্রেরণা ইতিহাসের দান

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরো সময়ের মধ্যে ডিসেম্বর মাসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসেই ঘুরে যায় যুদ্ধের মোড়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দখলমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। ৫ ডিসেম্বর ছিল রোববার। সর্বাত্মক লড়াইয়ে এদিন শত্রুমুক্ত হয় বাংলার আকাশ। মিত্রশক্তির বিমানবাহিনী ঢাকার আকাশ পুরোপুরি দখলে নেয়। সারা দিন ভারতীয় জঙ্গিবিমান পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলোয় প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। অকেজো করে দেয় বিমানবন্দরগুলো। এর একদিন পরই ভারত সরকার বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজয়ের খবর আসতে থাকে। বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে রয়েছে নানা মোড়। আজও ছড়িয়ে আছে যুদ্ধের অনেক না জানা ইতিহাস, ত্যাগরে কাহিনি।

মহান মুক্তিসংগ্রামে অনন্য ভূমিকা পালন করেন গবেষক, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক। তিনি যুগান্তরকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতি এখনো আমাদের হানা দেয়। যখন পেছনদিকে তাকাই, তখন অনেক কথাই মাথায় ঘুরপাক খায়। একটি স্মৃতি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের ২৫ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা পেল। আমরা এই জাদুঘরের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি।

এই জাদুঘর সর্বজনের সমর্থন পেয়ে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এই জাদুঘর করার পেছনে যে চ্যালেঞ্জ ছিল, তা হলো উপকরণ আহরণ ও সংরক্ষণ করা। আর সে দায়িত্ব আমরা পালন করছি। আমার খুব মনে পড়ে নিজামউদ্দিন আজাদের কথা। ১৯৭১ সালে সে ছিল আমাদের অনুজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ছোট ভাই। মিটিংয়ে, মিছিলে আজাদ সব সময় সামনের সারিতে থাকে। সব সময় স্লোগান দেয়, দেখতে সুদর্শন। আজাদের বাবা কামরুদ্দিন আহমেদ বিশিষ্ট আইনজীবী। অনেকভাবে আজাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আমরা একত্রে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেদিন রাতে যে আক্রমণ হলো তাতে প্রতিরোধের প্রয়াসগুলো ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আমরা নানাদিকে ছড়িয়ে পড়ি। তারপর কারফিউ উঠল অল্প সময়ের জন্য। প্রথমদিন সম্ভবত ঘণ্টা দুয়েকের জন্য এবং তারপর আরেকটু বাড়তি সময়। দ্বিতীয়বারের জন্য যখন কারফিউ উঠল, তখন আজাদ এসেছিল আমার বাসায়। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করছিলাম। আজাদ ছোট্ট রুমালে বাঁধা একটা পুঁটলির মতো নিয়ে এসেছিল। আমাকে বলল, সে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, জগন্নাথ হলে পাকিস্তানি বাহনীর হত্যাযজ্ঞ নিজে দেখে এসেছে।

গিয়েছিল শিববাড়ীতে যে কোয়ার্টারে মধু দাকে হত্যা করা হয়। ও দুই ঘণ্টায় যখন কারফিউ শেষ হলো, সে তখনই ওখানে যায়। মধু দার ফ্ল্যাটেও সে ঢুকেছিল। সেখানে রক্তের চিহ্ন, দেওয়ালে বুটেলের চিহ্ন দেখেছে। সেখান থেকে কয়েকটা বুলেটের খোসা তুলে এনেছিল। সেটাই রুমালে করে নিয়ে এসে আমাকে দেখাল। এখন মাঝেমধ্যে মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করার যে প্রয়াস আমরা ২৫ বছর পরে নিয়েছিলাম, সেই কাজটা সে ২৫ মার্চের পরই শুরু করেছিল। সেই আজাদও ১১ নভেম্বর শহিদ হলো। এ স্মারকগুলো যখন দেখি, তখন স্মৃতিকাতর হই, একধরনের আকুলতা কাজ করে। সব মিলিয়ে মনে হয়, আজাদের কাজটাই যেন আমরা এখন করছি। আজাদ নেই; কিন্তু তবুও যেন আজাদ আছে আমাদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আজাদের লাশ পাওয়া যায়নি। কেনো আনুষ্ঠানিক দাফনও হয়নি। এরকমভাবে যারা হারিয়ে গেছে, তাদের মায়েরা কিন্তু আশা ছাড়েননি। আজাদের মা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আশা ছাড়েননি, অপেক্ষা করেছেন। তার ছেলে বেঁচে আছে এবং ফিরে আসবে।

মফিদুল হক বলেন, এই যে একটা অসাধারণ লড়াই এবং তার পরতে পরতে এতকিছু জড়িয়ে আছে, সেটা যেন বহমান থাকে। নবীনরা যেন এটা অনুধাবন করতে পারে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে তারা নিজেরাই শক্তি খুঁজে পাবে। বহু বাধা চড়াই-উতরাই তো জীবনে থাকেই। কিন্তু এই যে একটা প্রেরণা এবং শক্তি, যা আমাদের ইতিহাস আমাদের জুগিয়েছে। আমরা যেন এই ইতিহাসের প্রতি অবহেলা না করি এবং শক্তিটা যেন ধারণ করার চেষ্টা করি।