সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন দিচ্ছে ব্রাজিল!

ব্রাজিলের মিশন হেক্সা মাঝপথে থেমেছে। তবে বিশ্বকাপ জয়ের লড়াইয়ে এখনও টিকে আছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। ফুটবল মাঠে দুই দেশ চির-বৈরি হলেও, লাতিন প্রসঙ্গে তারা একাট্টা।

তার নজির আবারও দেখা যায়। নিজেরা আসর থেকে বাদ যাওয়ার পর এবার আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন দিচ্ছে ব্রাজিল। কারণ, তারা চায় বিশ্বকাপের শিরোপা লাতিনদের হাতেই উঠুক।

স্পোর্টস সেন্টাল ব্রাজিলে দেশটির ফুটবল সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফের্নান্দো সার্নে আর্জেন্টিনার প্রতি সমর্থন বলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের একতা বজায় রাখতে হবে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সবাই আর্জেন্টাইন। আমি আশা করি, তারা বিশ্ব সেরার ট্রফি লাতিন আমেরিকায় নিয়ে আসবে।’ বিশ্বকাপ শুরুর পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও একইরকম কথা বলেছিলেন, যদি তারা বিদায় নেন তাহলে ব্রাজিলকে সমর্থন দেবেন।




বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদে থাকা নিজেদের সাতটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে ছয়টিতে সরাসরি ভোট হবে এবং একটি আসন সংরক্ষিত। ইতোমধ্যে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করেছেন স্পিকার। এবার সেই আসনে উপনির্বাচনের তোড়জোর শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহেই এসব আসনে ভোটের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। সেখানে বিএনপির এমপিদের শূন্য আসনগুলোতে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করা আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পেয়েছে। পরবর্তী প্রসিডিউর হচ্ছে আমরা সভায় বসবো। বৈঠকে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো যে, কবে নির্বাচন হবে, তার শিডিউল ঘোষণা করা হবে।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘তফসিল আমরা খুব তাড়াতাড়িই দেবো, ইনশাআল্লাহ। যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরেকজন নির্বাচন কমিশনার আজকে ঢাকার বাইরে আছেন। আগামীকাল থাকবেন। পরশু হয়তো আসবেন। এরপর বৃহস্পতিবার অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে হয়তো আমরা বসবো। মিনিমাম সময় যেটা দিতে হয়, সেটি দিয়ে আমরা হয়তো দিয়ে দেবো। আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করবো না। যেহেতু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এক বছরের একটু বেশি সময় আছে। ওই হিসেবে ৯০ দিনের আগেই দিয়ে দেবো।’ চলতি সংসদে বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে একজন সংরক্ষিত আসনের এবং ছয়জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন এমন গুঞ্জন আগেই ছিল। গত শনিবার দলটির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরদিন রোববার বিএনপির সংসদ সদস্যরা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে গিয়ে তাদের পদত্যাগপত্র দেন। পরে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, তাদের আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে কোনো চাপ অনুভব করছেন না জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা কোনো প্রেশার অনুভব করছি না। আমাদের হলো রেফারির কাজ। আমরা মাঠ প্রস্তুত রাখবো, গ্যালারি প্রস্তুত রাখবো। সবকিছু প্রস্তুত রাখবো প্লেয়াররা খেলতে আসবেন।’

আলমগীর বলেন, ‘মাঠে আসার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব কিন্তু যারা এটির আয়োজন করে তাদের। সরকার এবং রাজনীতিবিদদের। এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা মাঠ তৈরি করবো, গ্যালারি তৈরি করবো।’




বেগমগঞ্জে সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠান

মোঃ বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি লটারি উপজেলা মিলনায়তনে ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন আরাফাত বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নোয়াখালীর খ্যাতনামা চিকিৎসক ডেন্টাল সার্জন ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আ,লীগ নেতা সামছু, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ বদিউজ্জামান তুহিন, দৈনিক বিজয় বাংলাদেশ পএিকা
বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ রিয়াজুল সোহাগ,
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃগাউছুল আজম পাটোয়ারী সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সহ প্রমুখ।




চরভদ্রাসনে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধঃ

চরভদ্রাসনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপন

“প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি “‘ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সোমবার(১২ ডিসেম্বর) সারাদেশে ন্যায় চরভদ্রাসনেওউদযাপিত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২।

দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চরভদ্রাসন উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা গন উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, চরভদ্রাশন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেওয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর, উপজেলা প প অফিসার রমেশ দাস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ জিয়াউল হক, এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী সাগর আহমেদ, চরভদ্রাসন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আরা পারভীন,সাংবাদিক মেজবাহউদ্দিন ও আবুল কালাম প্রমুখ।




সংসারে শান্তি বজায় রাখার আমল

শয়তানের প্ররোচনাতেই মূলত সংসারের শান্তি দূর হয়। ঘরে লেগে থাকে অশান্তি ও কলহ-বিবাদ। শয়তানের কাছে পবিত্র সম্পর্ক নষ্ট করার চেয়ে বড় খুশির খবর নেই। তেমনই এক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘শয়তান পানির ওপর তার সিংহাসন স্থাপন করে, তারপর (পুরো বিশ্বে) তার বাহিনী পাঠিয়ে দেয়। আর (ওই শয়তান সদস্য) তার সবচেয়ে বেশি নৈকট্যপ্রাপ্ত, যে (মানুষের মাঝে) সবচেয়ে বেশি ফেতনা সৃষ্টি করে। শয়তান সিংহাসনে বসে সবার ঘটানো ফেতনার বর্ণনা শোনে। একজন এসে বলে আমি অমুক কাজ করেছি, শয়তান বলে তুমি তেমন কোনো কাজ করোনি। এভাবে শয়তান তার পাঠানো অন্যদের (শয়তান সদস্যদের) মন্দ কাজের বিবরণ শুনতে থাকে। অতঃপর একজন এসে বলে- ‘আমি অমুকের সঙ্গে ধোঁকার আচরণ করেছি, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছি। এ (ফেতনার) কথা শুনে শয়তান তাকে তার কাছাকাছি (বুকে) টেনে নেয়। আর বলে- তুমিই বড় কাজ করেছ। হাদিস বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, অতঃপর শয়তান তাকে তার বুকের সঙ্গে জড়িয়ে নেয়।’ (মুসলিম: ৭২৮৪; আহমদ: ১৪৩৭৭)

অতএব সংসারে শান্তি বজায় রাখতে হলে শয়তানের ধোঁকা-প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আর শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচতে কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী আমল ও দোয়ার বিকল্প নেই। এ বিষয়ে যেসব দোয়া ও আমল করা জরুরি তা হলো-

১) ঘরে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া: বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করতেই সালামের পর সুন্নতের দিকনির্দেশনা মোতাবেক এ দোয়া পড়া- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাল মাউলিজি, ওয়া খাইরাল মাখরাজি; বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা; ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আগমন ও প্রস্থানের কল্যাণ চাই। আপনার নামে আমি প্রবেশ করি ও বের হই এবং আমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করি।’ (আবু দাউদ: ৫০৯৬)

২) পরিবারে সালামের প্রচলন করা: পরিবারের কোনো সদস্য বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করতেই ঘরে অবস্থানরত পরিবারের অন্য লোকদের সালাম দেওয়ার প্রচলন চালু করা। এটি কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশ। আর এতেই রয়েছে কল্যাণ। আল্লাহ তাআলার নির্দেশ-
فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُون ‘যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম করবে অভিবাদন স্বরূপ যা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র। (সুরা নূর: ৬১)। রাসুলুল্লাহ (স.)আনাস (রা.)-কে বলেন, ‘হে বৎস, যখন তুমি তোমার পরিবারের কাছে ফিরবে, তখন তাদের সালাম দেবে। এটা তোমার ও তোমার ঘরবাসীর জন্য বরকতের কারণ হবে।’ (তিরমিজি: ২৬৯৮)

৩) খাবারগ্রহণের আগে-পরে দোয়া পড়া: খাবার গ্রহণের আগে পরে দোয়া পাঠ করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে খাবারে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, সে খাবারে শয়তানের অংশ থাকে। সেই খাবার মানুষের সঙ্গে শয়তানও ভক্ষণ করে।’ (মুসলিম: ৫৩৭৬) তাই খাওয়া বিসমিল্লাহ বলে ডান হাত দিয়ে শুরু করতে হবে। অতঃপর এই দোয়াটি পড়া- اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَ اَطْعِمْنَا خَيْراً مِّنْهُ ‘আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা- ফী-হি ওয়া আত্বইমনা খাইরাম্ মিনহু।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো উত্তম খাদ্য দিন’। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মেশকাত: ৪২৮৩)

খাবারগ্রহণ শেষে এই দোয়া পড়া—الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়া সাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন।’ (আবু দাউদ: ৩৮৫০)

৪) সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা: রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘সবকিছুরই একটি চুড়া থাকে আর কোরআনের চুড়া হল সুরা আল-বাকারা। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যে বাড়িতে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সে বাড়িতে শয়তান প্রবেশ করে না।’ (তিরমিজি: ২৮৭৭)

৫) অশ্লীল বিনোদন থেকে পরিবারকে মুক্ত রাখা: ঘর ও পরিবার-পরিজনকে গান-বাজনা এবং গান-বাজনার সরঞ্জাম থেকে মুক্ত রাখা শান্তির অন্যতম উৎস। কেননা গান-বাজনা হলো শয়তানের আওয়াজ। শয়তানের উদ্দেশে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ বলেন চলে যা, অতঃপর তাদের মধ্য থেকে যে তোর অনুগামী হবে, জাহান্নামই হবে তাদের সবার শাস্তি-ভরপুর শাস্তি। তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়াজ (বাদ্য-বাজনা) দ্বারা, স্বীয় অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ কর, তাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে শরিক হয়ে যা এবং তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দে। ছলনা ছাড়া শয়তান তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয় না।’ (সুরা বনি ইসরাঈল: ৬৩-৬৪)

আরও পড়ুন: জাহান্নামের আগুন থেকে পরিবারকে বাঁচাবেন যেভাবে

আল্লাহর জিকির যেমন শয়তানকে দূরে রাখে তেমনিভাবে গান এবং বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ রহমতের ফেরেশতাগণকে দূরে রাখে। আর ঘর থেকে যখন ফেরেশতা বের হয়ে যায়, তখন সেখানে শয়তান তার রাজত্ব কায়েম করে। এভাবে সংসার থেকে শান্তি দূর হয়ে যায়।

৬) ঘরে কুকুরের প্রবেশ থেকে সাবধান থাকা: ঘরকে কুকুরের প্রবেশ থেকে হেফাজত করা। হাদিসে এসেছে- ‘যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।’ (নাসায়ি: ৫৩৪৭-সহিহ)

৭) ঘরে ছবি ও জীব-জন্তুর মূর্তি না থাকা: ছবি এবং বিভিন্ন জীব জন্তুর মূর্তি থেকে ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখা। হাদিসে এসেছে- ‘যে ঘরে মূর্তি বা ছবি থাকে সেখানে ফেরেশতা প্রবেশ করে না’ (মুসলিম)। আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কেয়ামতের দিনে ছবি বা মূর্তি নির্মাতাদের সর্বাধিক কঠিন শাস্তি হবে।’ (বুখারি: ৫৯৫০, মুসলিম: ২১০৯)

অতএব মুসলমানের উচিত হবে ঘরে অবস্থানকালীন সময়ে কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মেনে চলা। সুন্নতের পুরোপুরি অনুসরণ ও অনুকরণ করা। তাতে শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ঘরে ফিরে আসবে শান্তি ও নিরাপত্তা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।




গুগল-ক্রোমে যে পরিবর্তন করলেই বাড়বে ফোনের স্পিড ও ব্যাকআপ

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজার গুগল ক্রোম। সম্প্রতি এই ব্রাউজারে এসেছে নতুন আপডেট। এই আপডেট ইনস্টল করলেই মিলবে দুটি দারুণ সুবিধা। একদিকে বাড়বে ডিভাইসের স্পিড। অন্যদিকে বাড়বে ব্যাটারি লাইফ।

শিগগিরই ব্যবহারকারীদের ফোনে নতুন এই আপডেট পাঠাতে শুরু করবে গুগল। সুবিধাটি পাবেন উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, ক্রোম ওএস গ্রাহকরা। নতুন আপডেট ইনস্টল করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ২০ শতাংশের নিচে গেলে গুগল ক্রোম নিজে থেকেই পাওয়ার সেভিং মোডে চলে যাবে। ফলে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়বে। সেভিং মোড ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাকটিভিটি লিমিট করবে। একই সঙ্গে কমাবে ওয়েবসাইটের ভিজুয়াল অ্যাকটিভিটিও।

এই আপডেট ইনস্টল করার পরে ওপরের ডান কোণায় একটি পাতার আইকন দেখা যাবে। যার মাধ্যমে যেকোনো সময় এনার্জি সেভিং মোড এনেবেল বা চালু করা যাবে। আর ফোনের ব্যাটারি যদি ২০ শতাংশের নিচে নামে, তবে এই মোড নিজে থেকেই এনেবেল হয়ে যাবে। নতুন আপডেট ইনস্টলের পরে ক্রোমে অ্যাকটিভ হবে মেমোরি সেভিং মোড। যেসব ব্যবহারকারী একই সঙ্গে অনেক ট্যাব ওপেন করে কাজ করেন তাদের কাজ আরও সহজ করবে এই ফিচার। এটি ইনস্টলের ফলে ল্যাপটপ ও মোবাইল ৩০ শতাংশ ফাস্ট চলবে। বাড়বে ব্রাউজিং স্পিডও।

কীভাবে নিজের ডিভাইসে এই আপডেট ইনস্টল করবেন?

প্রথমে গুগল ক্রোম ব্রাউজার ইনস্টল করুন। এবার ওপরের ডান কোণায় থাকা থ্রি ডট মেনু সিলেক্ট করুন।
এখান থেকে ‘হেল্প’ অপশন সিলেক্ট করে ‘অ্যাবাউট গুগল ক্রোম’ অপশনে যান। এবার ‘গুগল ক্রোম আপডেট’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।

কোনো আপডেট পেন্ডিং না থাকলে এখানে ‘ইউর গুগল ক্রোম ইজ আপডেটেড’ লেখা দেখাবে। নাহয় এখানে আপডেট ইনস্টল করার অপশন দেখা যাবে। আপডেট ইনস্টলের পর গুগল ক্রোম ব্রাউজার বন্ধ করে আবার ওপেন করুন। এবার সেটিংসে পারফরম্যান্স সাইড বার দেখতে পারেন।




জয়ের পরামর্শেই দেশ ডিজিটাল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শেই দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগে জয় আমাকে পরামর্শ দিলো; এবার নির্বাচনী-ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিতে হবে। তাই জয়ের পরামর্শেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেই। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে। এছাড়া ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট আর সমাজ হবে স্মার্ট সোসাইটি এমন ঘোষাণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ নিয়ে থাকছে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।




বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেমিফাইনালে হারেনি আর্জেন্টিনা

টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। কিন্তু সেই জয়রথের দৌড়ে বাধা হয়ে দাড়ায় সৌদি আরব। অপরদিকে সেই ম্যাচে লিওনেল মেসিদের হোচটের পরের সৌদি কোচ হার্ভি রেনারে জানিয়েছিলেন, ‘আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব পার করবে এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতবে।’ হয়তো শেষ পর্যন্ত তার কথায় সত্য হতে যাচ্ছে। সেই ভবিষ্যৎ বাণীকে সত্য প্রমাণ করার একদম দ্বারপ্রান্তে আলবিসেলেস্তারা।

আর মাত্র ২টি ম্যাচ পার করতে পারলেই মরুর বুকে সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন মেসি-ডি মারিয়ারা। আপাতত সেমিফাইনাল বাধা টপকাতে হবে স্কালোনিদের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ গত আসরের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া। তবে অতীতের পরিসংখ্যান বলছে ‘সেমিতে কখনো হারেনি আলবিসেলেস্তারা।’ কারণ, সেমিফাইনাল মানেই আর্জেন্টিনা ফেবারিট! অন্তত অতীত পরিসংখ্যান সেই কথা বলে আর্জেন্টাইনদের। কাতার বিশ্বকাপের আগে এ পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে মেসিরা। যার একটিতেও হারের মুখ দেখতে হয়নি তাদের। প্রথমে ১৯৩০ সালের উরুগুয়ে বিশ্বকাপে এরপর ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে ও সর্বশেষ ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রত্যেকটিতে সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। যার কোনটাতেই পরাজয়ের নাম নেই লাতিন আমেরিকার দেশটি।

১৯৩০ উরুগুয়ে বিশ্বকাপ

সেইবার আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল খেলেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। তবে সেই বিশ্বকাপে হট ফেবারিট ছিলেন মার্কিনরা। লড়াইয়ে আগে তারাই ছিল এগিয়ে। কিন্তু সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্র হেরে যায় ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে।

১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপ

এই আসরে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ চারে লড়েছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। তবে ফুটবলের বরপুত্রের অনন্য ফুটবল প্রদর্শনীতে ‘রেড ডেভিলদের’ বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পায় আলবিসেলেস্তারা। সেবার ম্যারাডোনা একাই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ।

১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপ

ইতালি আসরে স্বাগতিক ইতালির বিপক্ষে সেমিফাইনালের পুরো ১২০ মিনিটে ১-১ গোলের ব্যবধানে ড্র করে আর্জেন্টিনা। তবে পেনাল্টি শুট আউটে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও গয়কোচিয়ার অসাধারণ নৈপুন্যে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জয় পায় তারা।

২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ

নেদারল্যান্ডসের সাথের সেমিফাইনালের ১২০ মিনিটই ছিল পুরোপুরি গোলশূন্য। অরেঞ্জদের বিপক্ষে পুরো খেলায় নিজের ছায়াকেই যেন খুঁজে ফিরছিলেন মেসি। তবে গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর নৈপুণে সেদিনের দারুণ সব সেভের পর টাইব্রেকারে ঠেকিয়ে দেন দু-দুটি শট। তাতেই আলবিসেলেস্তাদের জন্য খুলে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালের দরজা। আগামী ১৩ নভেম্বর রাত ১ টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া মহারণ দিয়ে শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপের শেষ চারের প্রথম লড়াই।




দেশের ফুটবলভক্তদের জন্য ৩০ ফ্লাইট চালু করছে মরক্কো

কাতার বিশ্বকাপের বিস্ময় মরক্কো। গত শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে ইয়াসিন বোনের দল।

এরই সঙ্গে বিশ্বকাপে আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিতের গৌরব অর্জন করল দলটি।তবে মরক্কোর স্বপ্ন আরও বড়। ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর তারা। আর দলের স্বপ্নে সঙ্গী হতে কাতারে যোগ দিতে চান বহু মরক্কান।

নিজ দেশের ম্যাচ সরাসরি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করতে চান তারা। দলের ১১ তারকাকে দিতে চান উৎসাহ ও সমর্থন। আর সেজন্য অতিরিক্ত ৩০টি বিশেষ ফ্লাইট চালু করছে মরক্কোর সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা রয়েল এয়ার মারোক। যাতে সেমিফাইনাল পর্বে নিজেদের দেশের প্রথম ম্যাচ যেন মরক্কোর ফুটবলভক্তরা মাঠে গিয়ে সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।

সোমবার এক বিবৃতিতে রয়েল এয়ার মারোক জানিয়েছে, আগামী মঙ্গল ও বুধবার দোহার উদ্দেশে মরক্কোর বাণিজ্যিক রাজধানী ক্যাসাব্লাঙ্কা থেকে এসব ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। সেমিফাইনালে আগামী বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপক্ষে নামবে মরক্কো। তার আগেই দোহায় পৌঁছে যাবেন ‘মারোকরা’। মরক্কোর জনগণরা ‘মারোক’ নামে পরিচিত।

কাতার বিশ্বকাপে চমকের পর চমক দেখিয়ে যাচ্ছে মরক্কো দলটি। উত্তর আফ্রিকার এই দেশের রক্ষণ সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছে। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মরক্কোর জালে প্রতিপক্ষ কোনো বল জড়াতে পারেনি। একটি গোল হয়েছে অবশ্য, তবে সেটা আত্মঘাতী।




ডায়াবেটিস থাকলে কাজ করুন দাঁড়িয়ে!

ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এটি নিয়ন্ত্রণে তাই প্রয়োজন নিয়ম মেনে জীবন-যাপন।

হিসাব করে ক্যালোরি গ্রহণ ও খরচ। এক সমীক্ষা বলছে, যারা সারা দিন বসে কাজ করেন, তাদের শরীরের ক্যালোরি বেশি জমা থাকে। অন্যদিকে যারা অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের ১০ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খরচ হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেহের শক্তি বাড়ানোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস করা উচিত। অতিরিক্ত বসে থাকায় ডায়াবেটিস, ব্যাক পেইনসহ বাড়ছে নানা রোগের ঝুঁকি।

খুব সহজেই টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেন স্পেইনের গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফ্রান্সিস্কো জে আমারো গ্যাহেতে।

তিনি বলেন, এনার্জি ফ্যাটে রূপান্তরিত হওয়া আটকাতে অফিসেও বেশ অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে কাজ করুন।