ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তোনিও গুতেরেস টেলিফোনে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন। তারা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিতে এবং তাদের নিরাপদ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ থেকে মিয়ানমারকে চাপ দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গেল মাসে জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেয়া ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়নে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ফোন করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গা সংকটে ধারাবাহিকভাবে সম্পৃক্ত থাকা এবং সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, আপনি যথেষ্ট সচেতন আছেন এই সমস্যার মূল মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও পাওয়া যাবে মিয়ানমারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং এর বাস্তবতা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইর্য়ক সফর করবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার পাঠাচ্ছি।
এ সময় স্রোতের মতো লাখ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে আসার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সেবার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রশংসাও করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে পক্ষে আনতে ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে আসা ৬ লাখ সহ ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওগুলোকে কক্সবাজার এলাকায় কাজ করতে পুরোপুরি প্রবেশাধিকার দেয়ার কথা এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান প্রধানমন্ত্রী।