বিনা অপারেশনে কিডনি ক্লিন! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়

তেল, ঝাল, মশলা খেয়ে হাত তো ঠিকই ধুচ্ছেন, তবে কিডনি কি পরিষ্কার করছেন? না, সে কি সম্ভব নাকি! উত্তর হবে- হ্যাঁ, সম্ভব। হাতের কাছেই আছে এর সমাধান।

কীভাবে পরিষ্কার করবেন? জেনে নিন, কিডনি পরিষ্কারের ঘরোয়া উপায়। তাও আবার মাত্র পাঁচ টাকায়।

১. পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন এক আঁটি ধনেপাতা।

২. এরপর কুচি কুচি করে কেটে একটি পাত্রে রাখুন।

৩. পাত্রে কিছুটা পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।

৪. ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রেখে দেন। ফ্রিজেও রেখে দেয়া যেতে পারে ওই বোতল।

৫. এরপর প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খেলেই হাতেনাতে মিলবে ফল।

কিডনির মধ্যে জমে থাকা লবণ এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে।

শুধু কিডনিই নয়। এক আঁটি ধনেপাতায় আছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন k, ১৩৫% ভিটামিন A, ৪৫% ভিটামিন C, ১৬% ফলেট।

বছরের পর বছর, দিনের পর দিন কিডনি ঠিক এভাবেই ছাঁকনির কাজ করে চলে। লবণ, বিষ এবং অবাঞ্ছিত পদার্থ শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকাই মুশকিল।




স্কুলে শাস্তির পক্ষে ৬৯ শতাংশ মা-বাবা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুরা বেত, ডাস্টার, স্কেল দিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ব্লাস্ট পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘নিয়মানুবর্তিতার জন্য’ এ নির্যাতনে ৬৯ শতাংশ পিতা-মাতা ও অভিভাবকের সায় আছে।

আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্লাস্ট দেশের ২৫টি জেলায় কাজ করে। ২০১৬ সালে তাদের কর্ম এলাকায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্লাস্ট ও সেভ দ্য চিলড্রেন ‘শিশুর অধিকার সুরক্ষায় শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিরসন’ বিষয়ে গণশুনানি হয়। এ গণশুনানিতেই গবেষণার তথ্য তুলে ধরা হয়।

অভিভাবকদের ৫৫ শতাংশ মনে করেন, শাস্তি শিশুকে ভালো পথে নিয়ে যায়। ২৭ শতাংশ মনে করেন, শাস্তি না হলে শিশুরা বখে যায় এবং ২৫ শতাংশের মতে, শাস্তি দিলে শিশুরা শিক্ষকদের কথা শোনে।
শিশুদের প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সামাজিক, মানসিক ও আইনগত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। বেশ কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষাপটও তুলে ধরা হয়। এ গণশুনানিতে বিচারক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, আইনজীবী, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, মনোবিদ নির্যাতনের শিকার পরিবার এ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এখানে অংশ নেন।

আলোচনায় জুরিবোর্ডের সদস্য গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘যাঁরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন, তাঁরা নিজেরাই কতটুকু সচেতন, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আর শারীরিক নির্যাতন বন্ধ হলেও মৌখিকভাবে নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের এগিয়ে আসতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, গায়ে হাত না পড়লে শিশুরা মানুষ হবে না, এ ধারণা থেকে অভিভাবকদের বেরিয়ে আসা উচিত।

দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, ‘আইন আছে, কিন্তু এর প্রয়োগ নেই। শিশুদের শাস্তি নয়, ভালোবাসা দিয়ে বোঝাতে হবে। ভুল শুধরে দেওয়ার মানসিকতা আমাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে।’
আলোচনায় একজন অভিভাবক বলেন, শাস্তি শব্দটি শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার না করাটাই ভালো। কারণ, শিশুরা অপরাধ করে না, ভুল করে।

সহজপাঠ উচ্চবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোমেনা বেগম বলেন, শিশুদের মানসিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে মিশে যেতে হবে।

গণশুনানির আলোচনায় বক্তব্য দেন ব্লাস্টের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য জেড আই খান, সেভ দ্য চিলড্রেনের ম্যানেজার একরামুল কবির, হিউমেন ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের সভাপতি কাজী ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

 




২৪বছর পর সম্মেলন : লক্ষীপুরে উৎসবের আমেজে উজ্জিবিত হয়ে উঠেছে জেলা যুবলীগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

লক্ষীপুরে উৎসবের আমেজে উজ্জিবিত হয়ে উঠেছে জেলা যুবলীগ। দীর্ঘ ২৪ বছর পর আগামী ২৩ নভেম্বর আয়োজিত সন্মেলনকে ঘিরে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগ বেশ উদ্যোমী এবং সক্রিয়। তবে সম্মেলনকে সফল করতে পোস্টার, ডিজিটাল ব্যানার টানানো হয়েছে শহরের প্রাণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে। সম্মেলন ঘিরে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাঝে বেশ চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। ব্যানার ও ফেস্টুন ছড়িয়ে পড়ছে পুরো জেলায়। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক ষ্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের পছন্দনীয় নেতার অবস্থান জানান দিচ্ছে তাদের অনুসারীরা।

তবে এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে কোন প্রতিদ্বন্ধী প্রাথী না থাকায়, বর্তমান জেলা যুবলীগের আহব্বায়ক এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপুই আগামী দিনে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বদন্ধি প্রার্থী না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হতে অনেক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণায় সরগরম। প্রার্থীরা সভাপতি ছাড়া অন্যান্য মূল পদ পেতে দলীয় হাই-কমান্ডের কাছে ধরনা দিচ্ছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে একাধিক নেতাকর্মী বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় সরাসরি এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপুকে জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায়।

লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনের প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। প্রধান বক্তা থাকবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। এছাড়াও লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর আসন) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান লাক্ষ্মীপুর-৪ মো:আব্দুল্লাহ আল মামুন, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য, দক্ষিণ এশিয়ার বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী সংরক্ষিত সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহাজান, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলন সফল করতে গত শনিবার দলীয় কার্যালয় বর্ধিত সভা করেছে জেলা যুবলীগ। সম্মেলনকে ঘিরে প্রতিদিনই হচ্ছে মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ।

জেলার প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলায় সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের দেখে মনে হচ্ছে জেলা যুবলীগের সম্মেলন তাদের জন্য বইছে যেন আনন্দের জোয়ার।

সম্মেলন সফল করতে রাত-দিন কাজ করছেন দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। এর পর দীর্ঘ দুই যুগ কেটে গেলেও লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নী। দীর্ঘ দিন সম্মেলন না হওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা সংগঠন বিমূখ হতে থাকেন।

পরে গত সাত বছর আগে ২০১১ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তাতে সৈয়দ আহম্মদকে আহবায়ক, এ কে এম সালাহ্উদ্দিন টিপু ও এ্যাডভোকেট রহমতউল্যা বিপ্লবকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়। তখনকার আহবায়ক কমিটি পেয়ে যেন প্রাণ ফিরে প্রায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।

মূলত তখনকার কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম সালাহ্উদ্দিন টিপু দায়িত্ব পাওয়ার পরে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে দল গোছাতে কাজ শুরু করেন। তাতে তিনি সফল হয়েছেন অনেকটা। তার নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীরা উজ্জিবিত হয়ে উঠেন। তখন দলের নেতা-কর্মীরা টিপুর নেতৃত্বে দল ও সরকারের সকল কর্মসূচিতে স্বতঃপূর্ত ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।

এছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ও পরে যখন বিএনপি-জামায়াত লক্ষ্মীপুুুরে আন্দোলনের নামে গাছকেটে-রাস্তাকেটে মানুষের মনে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করে, তখন প্রায় প্রতিদিন যুবলীগ নেতা এ কে এম সালাহ্উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে সরকারের পক্ষে সংগ্রাম করেছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।

সরকার বিরোধী সকল অপকর্ম প্রতিহত করতে রাজপথে মিছিল, মিটিং করেছিল যুবলীগ। এর পরে ২০১৬ সালে জেলা যুবলীগের আগের কমিটি ভেঙ্গে আবার নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আগের কমিটির যুগ্ম আহবায়ক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ্উদ্দিন টিপুকে আহবায়ক, শেখ জামাল রিপন ও বায়জিদ ভূঁইয়াকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়।

তাতে আরেকবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। জেলা যুবলীগের মূল নেতৃত্বে আসার পরে এ কে এম সালাহ্উদ্দিন টিপু আবার দলকে নতুন করে গোছানোর কাজ শুরু করেন। তার হাতের ছোয়ায় যুবলীগ জেলায় একটি কর্মী বান্ধব, সু-সংগঠিত সংগঠনে পরিণত হয়। আন্দোলন-সংগ্রাম ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে টিপুর নেতৃত্বে যুবলীগ আগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

এরই মধ্যে যুবলীগের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলন সফল করতে ও সম্মেলনে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেতা-কমীদের নিয়ে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ কে এম সালাহ্উদ্দিন টিপু।

এদিকে সম্মেলনে কে হচ্ছেন নতুন সভাপতি ও সম্পাদক তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে একক প্রার্থী থাকায় প্রায় নিশ্চিত আগামী দিনে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হচ্ছেন, জেলা যুবলীগের বর্তমান আহবায়ক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, যুবলীগের নিবেদিত প্রাণ, হাজারও কর্মী গড়ার কারিগর, আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এ কে এম সালাহ্উদ্দিন টিপু।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে একাদিক প্রার্থী থাকায় আগামী দিনে কে হচ্ছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন- জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের সদস্য আবদুল্যা আল নোমান।

সম্মেলনের প্রস্তুতি সর্ম্পকে জানতে চাইলে জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ কে এম সালাহ্উদ্দিন টিপু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশে সম্মেলন সফল করতে যুবলীগের সকল ইউনিটের নেতা-কর্মীদের ইতিমধ্যে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেই মতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ও হাজার-হাজার যুবলীগের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে একটি সফল সম্মেলন উপহার দিতে পারবো।




লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুরে :

লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর মো. নুরনবী নামের এক বৃদ্ধের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে সদর উপজেলার শাকচরের হাজিরহাট এলাকার একটি পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পুলিশও এ ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড মনে করছেন। তবে ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি তারা। নিহত নুরনবী শকচর গ্রামের মৃত আবদুস সামাদ বেপারীর ছেলে। তিনি ৬ মেয়ে ও এক ছেলের পিতা।

নিহতের ছেলে বেলাল ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় নুরনবী বাড়ি থেকে হাজিরহাটের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে আর বাড়ি ফিরেননি। স্বজনরা বহু খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে সোমবার সদর থানায় নিখোঁজের বিষযে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়রিতে নুরনবীর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকা প্রতিপক্ষদের ৬ জনকে সন্দেহ পোষণ করে অভিযুক্ত করা হয়। আজ সকালে ঘটনাস্থলের পুকুর পাড় থেকে গাছের ঢাল কেটে উঠাতে গিয়ে একটি লাশ ভেসে উঠতে দেখেন জৈনক ব্যক্তি।
পরে তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে নুরনবীর মরদেহ হিসেবে সনাক্ত করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এসময় তার আঙ্গুল কাটা, মুখ থেতলানো ও দাঁড়ি পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। তারা খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
এদিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত বৃদ্ধের লাশটি দেখে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ঘটনার তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।




লক্ষ্মীপুরের আমেনা বেগমকে এডিশনাল ডিআইজি ব্যাজ পরালেন আইজিপি

নিজস্ব প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ও নরসিংদীর পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি আমেনা বেগম পিপিএমকে পদোন্নতির এডিশনাল ডিআইজি ব্যাজ পড়িয়ে দেন বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান একে. এ এম শহিদুল হক বিপিএম,পিপিএম(বার)।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে আমেনা বেগমসহসহ আরো ২৭ পুলিশ সুপারের পদোন্নতির কথা জানানো হয়।




লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় জেলেদের ওপর হামলা, আহত ১০

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ভোলার জেলেরা স্থানীয় জেলেদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে ১০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দিনগত রাতে মেঘনা নদীর চর আবদুল্লাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- মো. বশির, নুরনবী, মিজান, আবু ছায়েদ, সাত্তার, আব্বাস, ফারুক বাবুলসহ ১০ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত নুরনবী, বশির ও মিজানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহত জেলেরা জানান, রাতে মেঘনা নদীর রামগতি সীমানা চর আবদুল্লাহ এলাকায় মাছ ধরতে নদীতে জাল ফেলি। এসময় ভোলার জেলেরা আমাদের জালের ওপর কারেন্ট জালের ফাঁদ পাতার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে ভোলার কয়েক নৌকার জেলে সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ও নগদ টাকা। তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, নদীতে জেলেদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার খবর পেয়েছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।




লক্ষ্মীপুরে হোটেল শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ, আটক ৫

লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. রিয়াজ নামের ১৪ বছর বয়সের এক হোটেল শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিকসহ একই হোটেলের অপর এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে।

সোমবার রাত ৯টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর শহরের আলেকজান্ডার বাজারের গ্রামীন হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে মালিক পক্ষ পালিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা। এদিকে ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত শ্রমিক আবিরসহ আরো ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বলে জানায়। নিহত রিয়াজ পৌর শহরের শিক্ষা গ্রামের সফু মাঝির ছেলে।
নিহতের মা পারভীন আক্তার ও বাবা সফু মাঝি  বলেন, নদী ভাঙ্গা গৃহহীন জেলে পরিবারের সন্তান রিয়াজ। ঘর না থাকায় তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ছোট ভাইয়ের ঘরে (রিয়াজের চাচার ঘর)। দরিদ্র হওয়ার কারণে ৫ম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে পারেনি সে। পরিবারের অভাব মেটাতে ৩ বছর পুর্বে স্থানীয় গ্রামীন হোটেলে শ্রমিক হিসেবে চাকুরী নেন রিয়াজ। প্রতিদিন সকাল ৮টায় কাজে বের হয়ে রাত ১০ টায় বাড়ি ফেরা হতো তার।
সোমবার রাতে হোটেলের রান্না ঘরে তার সহকর্মী আবিরের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আবির ও হোটেল মালিক জাহেরসহ তাকে মারধর করে।
এসময় রিয়াজ গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে নেয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এসময় হাসপাতালে তার মরদেহ ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। প্রতিদিনের মতো রাত ১০টার দিকে রিয়াজ বাড়ি না ফিরলে স্বজনরা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন রিয়াজ আর নেই। এঘটনার বিচার দাবী করেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
এব্যাপারে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামীন হোটেলের কর্মচারী রিয়াজকে মারধর করলে সে মারা যায়। এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত আবিরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেল মালিকের ভাই জগলুসহ আরো ৪জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।




শতাধিক পদ শূন্য লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে

দীর্ঘদিন ধরে কৃষিতে বিপুল সম্ভাবনাময় লক্ষ্মীপুর জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ৭৮ কর্মকর্তাসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় শতাধিক পদ শূন্য রয়েছে। এতে উৎপাদন-সংশ্লিষ্ট পরামর্শ ও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।  লোকবলের অভাবে কৃষিসম্প্রসারণ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হচ্ছে।

কৃষকদের কল্যাণ ও দেশের কৃষি-অর্থনীতি আরও গতিশীল করতে জরুরি ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর কৃষি বিভাগের জনবল বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি।

লক্ষ্মীপুর একটি উপকূলীয় জেলা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি কৃষি উপযোগী। এজেলার উর্বর মাটিতে সয়াবিন, ধান, নারিকেল, সুপারি, পান, বাদাম, মরিচ ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হয়।

লক্ষ্মীপুর সয়াবিন উৎপাদনের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে। এই জেলাকে ‘সয়াবিনের রাজধানী’ বলা হয়। দেশের উৎপাদিত মোট ৭৫ ভাগ সয়াবিন লক্ষ্মীপুরেই উৎপাদিত হয়ে থাকে।এ কারণে সয়াবিনের সাথে মিল  রেখে লক্ষ্মীপুরের অলিখিত ব্র্যান্ড নেম রাখা হয়েছে ‘সয়াল্যান্ড’।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে জানা গেছে, জেলায় রামগতি, রায়পুর, কমলনগর, রামগঞ্জ ও সদরসহ পাঁচ উপজেলায় মোট ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌর এলাকায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মোট ১৭৮টি পদ রয়েছে। অথচ এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১১৫ জন; বাকি ৬৩ জনের পদ শূন্য। প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পদ থাকলেও রামগঞ্জ ছাড়া বাকি চার উপজেলায় পদগুলো শূন্য। প্রতি উপজেলায় দুইজন করে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার স্থলে রামগঞ্জে ও সদরে দুইজন আছেন, আটটি পদে জনবল নেই। জেলায় উপ-পরিচালক শস্য, উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও উদ্যান এই তিন পদও খালি; কেউ নেই। এছাড়া, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বেশি কয়েকটি পদ শূন্য রয়েছে।

চরাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তারা কখনোই কাছে পান না।

অপরদিকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বক্তব্য হচ্ছে, তিনজনের স্থলে ইউনিয়নে মাত্র একজনকে সব দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই একাই তাকে এতো এতো কাজ সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।

লক্ষ্মীপুর  কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খাঁন বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।




এক মোটরসাইকেলে ৫৮ জন সফর করে বিশ্ব রেকর্ড!

এক মোটরসাইকেলে ৫৮ জন চড়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। রবিবার ইন্ডিয়ান আর্মি সার্ভিস কোরের টর্নেডো টিম-এর ৫৮ জন সদস্য একটি ৫০০ সিসি রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক বুলেটে একসঙ্গে চেপে ১২০০ মিটার সফর করে এ বিশ্ব রেকর্ড গড়েন৷

এর পাশাপাশি ২০১০ সালের রেকর্ড ভেঙে দিল তারা৷ ২০১০ সালে এক মোটরসাইকেলে ৫৬ জন চড়েন।

রবিবার মেজর বানি শর্মার নেতৃত্বে এই সফর শুরু হয়৷ মোটরসাইকেল চালকের আসনে ছিলেন সুবেদার রামপাল যাদব৷ টর্নেডো টিম-এর ১৯টি বিশ্ব রেকর্ড এবং রাষ্ট্রীয় রেকর্ড এর আগে থেকেই রয়েছে৷ এই টিমে মোট ৩৯ সদস্য রয়েছে৷ ২ কমিশনড অফিসার, ২ জেসিও এবং ৩৫ অন্য সদস্য রয়েছে৷ এই টিম এখনো পর্যন্ত মোট ১০০০টি শো করেছে৷




রাখাইনের সঙ্কট সমাধানে কী চায় চীন?

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন তাতে রয়েছে তিনটি ধাপ।

মিয়ানমারে আসাম সম্মেলনের যোগদানের উদ্দেশ্যে ওয়াং এখন রাজধানী নেপিদ’তে রয়েছেন।
তিনি এই পরিকল্পনা নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে কথাবার্তা বলেছেন। পরিকল্পনাটি তিনি তার ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ সরকারের কাছেও ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী দুই দেশ মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন পরিকল্পনাই বর্তমান সঙ্কটের সমাধান করতে পারে।

অস্ত্রবিরতি
চীনা সরকারি বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার খবর অনুযায়ী, ওয়াং তার পরিকল্পনার প্রথম ধাপে রাখাইনে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে, যাতে সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র চলে যেতে না হয়।

তবে এই চীনা পরিকল্পনায় যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আছেন, তাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সরাসরি কোন কথা বলা হয়নি।

সংলাপ
শিনহুয়া বলছে, চীনা পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে এই সঙ্কটের সবগুলো পক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আলোচনার প্রক্রিয়া চালু রাখার তাগিদ দেয়া হয়েছে, যাতে ‘সমতার ভিত্তিতে এবং সৌহার্দপূর্ণভাবে’ সঙ্কটের সমাধান করা যায়।

উন্নয়ন
চীনা পরিকল্পনার তৃতীয় ধাপে রাখাইনের উন্নয়নের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে রাখাইন রাজ্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর।
কিন্তু সেখানে উন্নয়নের ধারা থমকে গেছে। রাখাইনের উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা করার ব্যাপারেও চীনা পরিকল্পনায় তাগিদ দেয়া হয়েছে।

চীনা সংবাদ মাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, এই পরিকল্পনার পেছনে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ উভয় সরকারের সমর্থন রয়েছে। তবে এই ব্যাপারে এককভাবে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানা যায়নি।