লক্ষ্মীপুরে ফুটপাতে বসছে শীতবস্ত্র দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে শীতের শুরুতেই ফুটপাতে বসেছে গরম কাপড়ের ভ্রাম্যমান দোকান। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ছোট বড় সব বয়সীদের স্যুয়েটার, জ্যাকেট, কোর্ট, গেঞ্জি, বেবিস্যুট, মাংকিটুপি ও কম্বলসহ নানা রংয়ের ও ধরনের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। শীত আসতে না আসতেই এসব দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। শীতে নিজেদের একটু উষ্ণ রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার নিম্মবিত্তের মানুষগুলো। তবে ফুটপাতে ভালো পোশাক কম দামে পাওয়াতেই মধ্যবিত্তের ক্রেতারা পছন্দের পোশাকটি কিনছেন।
সরোজমিনে জেলার কয়েকটি ভ্রাম্যমান দোকান ঘুরে দেখা যায়, গেঞ্জি, স্যুয়েটার, বেবিস্যুট, জ্যাকেট, কোর্ট, কম্বল সহ নানা রংয়ের ও ডিজাইনের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। আর দোকানগুলোতে নিম্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকদের উপচে পড়া ভিড়। বড় বড় মার্কেটগুলোর চেয়ে কম দামে ভালো পোশাক পাওয়াতেই সবাই ফুটপাথে ভিড় করছেন এবং কয়েকটি দোকান ঘুরে পছন্দের পোশাকটি ক্রয় করছেন। তবে এবার বাচ্চা ও মহিলাদের পোশাকের চাহিদা বেশী। অন্য দিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হওয়াতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। আর এসব দোকানে ৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বাহারি শীতের পোশাক। আর কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকার মধ্যে।
ভ্রাম্যমান দোকানের বিক্রেতা আজাদ বলেন, অধিক লাভের ফলে প্রতিবছরের মতো এবারো শীতের মৌসুমে ফুটপাথেই বিক্রি করছি শীতের পোশাক। তবে অন্য বারের চেয়ে এবার শীতের শুরুতেই বেচাকেনা একটু বেশি। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা বিক্রি করি। তবে শীত বাড়লে বিক্রি আরো বেশি হবে।
জেলার বড় বড় মার্কেট থেকে শীতের পোশাক না ক্রয় করে ফুটপাত থেকে কেন ক্রয় করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে হামছাদি গ্রামের ফারহানা বলেন, ঐখানে শীতের পোশাকের দাম অনেক বেশি। আর এইখানে কমদামে বিভিন্ন রংয়ের ও ডিজাইনের ভালো পোশাক পাওয়া যায় তাই কিনতে আসছি।
বিক্রেতা মোবারক বলেন, বছরের অন্য সময়ে বিভিন্ন কাজ করি। কিন্তু শীতের মৌসুমে শীতের পোশাক বেল্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ক্রয় করেছি। স্যুয়েটারের বেল্ট ক্রয় করি ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা কিন্তু বিক্রি করি ১০ থেকে ১৭ হাজার টাকা। বেবি স্যুট এর বেল্ট ক্রয় করি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা কিন্তু বিক্রি হয় ১৬ থেকে ১৯ হাজার টাকা। গেঞ্জির বেল্ট ক্রয় করি ৪ থেকে ৮ হাজার টাকায় কিন্তু বিক্রি হয় ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা। এভাবে প্রত্যেকটা শীতের পোশাকই আমাদের প্রায় দ্বিগুন লাভ হয়।
রিকশাচালক শাহিন আলম জানান, শীত এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। তারপরেও আগেভাগেই শীতের পোশাক কিনছি। আর বড় বড় মার্কেট থেকে কিনার সামর্থ নাই তাই এইখান থেকেই কিনছি।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভা অফিসের সামনে ভ্যানে করে শীতের পোশাক বিক্রি করছেন বাঞ্চানগরের জাকির হোসেন তিনি বলেন, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতেই সাজিয়ে রেখেছি শীতের পোশাক। তবে এবার অন্য বারের চেয়ে শীতের শুরুতেই বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। আর শীত বাড়লে বেচাকেনা ও আরো বাড়বে।




লক্ষ্মীপুরে ছেলের প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য মায়ের অসমাপ্ত অপেক্ষার প্রহর

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ছেলের প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দরজায় ঘুরতে-ঘুরতে ক্লান্ত মা আলেয়া বেগম। তাঁর প্রশ্ন কত অপেক্ষা করলে পাবে বাতার কার্ড প্রতিবন্ধী ছেলে রিপন।
কিশোর মো. রিপন হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামের নতুন বাড়ির মৃত,আবুল কালামের ছোট ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুশু পাটোয়ারী বলেন, সামনে তালিকা আসলে রিপনের নামে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

জানা যায়, রিপন ছোট বেলা বন্ধুদের সাথে খেলা-ধুলা করতে গেলে তার পায়ে কাঁটার আঘাত লাগে।
কিছুদিন পর তার জ্বর ও দুইটি পা ফুলকা দেখা দেয়। ব্যাথার যন্ত্রণা সে স্বাভাবিক ভাবে চলাফিরা করতে পারেনা।স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ভাল হয়ে উঠেনি তার পা।বর্তমানে রিপন শারীরিক ভাবে দুর্বল।

প্রতিবন্ধী রিপন বলে বন্ধুরা আমাকে খেলাধুলাত নেয় না।কেউ আমার সাথে মিশে না।আমি পড়া-লেখা করতে চাই।যখন ব্যাথা দেখা দেয় চলা ফিরা করতে খুব কষ্ট হয়।

রিপনের মা আলেয়া বেগম বলেন,তার অসুস্থতার পর থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে বহুবার গিয়েও কোনোরকম সহযোগীতা পায়নি। প্রতিবন্ধী একটি কার্ডের জন্য অনেক আকুতি করেছি তারপরও মেলেনি। তাদের দয়ামায়া বলতে কিছুই নেই। কয়েক মাস পূর্বে সন্তানের চিকিৎসার জন্য গ্রামে ভিক্ষা করে ১১ হাজার টাকা তুলে ঢাকা নিই।
প্রায় দেড় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। তারপরও ভালো করা সম্ভব হয়নি।খুব কষ্টে জীবন-যাপন করি। বড় ছেলে নির্মাণ শ্রমিক। তার সামান্য আয় দিয়ে চলে সংসার।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরজ্জামান
বলেন, খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবন্ধী তালিকায় তার নাম রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হবে।




এসএসসি পরীক্ষার রুটিন দেখুন

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ইং তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু।

এসএসসি পরীক্ষার রুটিন দেখুন

 

 




৮ লক্ষ দাম উঠল মাছটির

ভারতের এক জেলের জালে মাছটি ধরা পড়েছে। প্রায় ৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি হল মাছটি।
ভোলা মাছটির ওজন ৪০ কেজি। বুধবার দীঘার মোহনায় নিলামে উঠে মাছটি। সেখানেই মাছটি কিনেছেন দেবাশিষ জানা নামক এক মৎস ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, মাছটি বিক্রির জন্য আড়তে নিয়ে গেলে কেজি প্রতি মাছটির দাম দাড়ায় ১৯ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ৩৮ কেজি ৫০০ গ্রামের মাছটির দর হয় ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এমআরএফটি সংস্থা কিনে নেয় বিশাল আকারের ভোলা মাছটি। মাছটি তেলিয়া ভোলা শংকর প্রজাতির মাছ। এই মাছ সাধারণত গভীর সমুদ্রে থাকে। তবে আর পাঁচটি সামুদ্রিক মাছের মতোই তেলিয়া ভোলা মাছও প্রজননের সময় ডিম পাড়ার জন্য উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে।
ঠিক তখনই মৎস্যজীবীদের জালে ধরে পড়ে যায় মাছটি।




খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এই পরোয়ানা জারি করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী তপন চৌধুরী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে অসমাপ্ত বক্তব্য এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বাম দলগুলোর ডাকা অর্ধ দিবস হরতালের কারণে নিরাপত্তারজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি আদালতে হাজির হননি।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দু’বছর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।




রামগতিতে মেঘনা থেকে অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩০) গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চর আবদুল্লাহ’র তেলির চর এলাকা থেকে এ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, জোয়ারে মৃতদেহটি তেলির চর এলাকায় ভেসে আসে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।




গায়ের রঙেই বিখ্যাত এই মেয়ে!

২০০৭ সালে মা ও ভাই-বোনদের হাত ধরে, খালি পায়ে এসে পৌঁছায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মেয়েটির বয়স তখন ১৪ বছর।
দক্ষিণ সুদান থেকে প্রথমে ইথিওপিয়ার এক রিফিউজি ক্যাম্প। সেখান থেকে কেনিয়া হয়ে শেষে আমেরিকা।

নেয়াকিম গ্যাটওয়েক, আন্তর্জাতিক মডেলিং দুনিয়ায় যার পরিচিতি ‘কুইন অফ দ্য ডার্ক’ নামে। যিনি ১৪ বছর বয়স পর্যন্তও জানতেন না ‘মডেল’ শব্দের অর্থ।

বর্তমানে তার বয়স ২৪ বছর। আর ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। অবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার! যেখানে গায়ের রং নিয়ে উঠতে-বসতে টিকা-টিপ্পুনির শিকার হতে হয় মানুষকে, তেমনই বিশ্বে এক কৃষ্ণকলির এমন সম্মান, সত্যিই প্রশংসনীয়।

আন্তর্জাতিক ফ্যাশন মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নেয়াকিম জানিয়েছেন যে, আমেরিকা এসে তিনি স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে প্রথম দিকে তাকে গায়ের রঙের জন্য খুবই হেনস্থা হতে হয়।
কিন্তু, তিনি হার মানেননি।

নেয়াকিমের সাফল্যের প্রধান কারণ তিনি নিজেই বলেছেন। ‘আমি নিজেকে ভালোবাসি। আমি ভালোবাসি আমার গায়ের রং। ‘ তিনি মনে করেন, নিজেকে ভালো না বাসলে, অন্য কেউ আপনাকে ভালোবাসবে না।

আজ নেয়াকিম এক সফল মডেল। তাই তিনি চান বিশ্ব দরবারে সুদানের কথা তুলে ধরতে। তার ইচ্ছে, নিজের জন্মভূমির জন্য কিছু করার। বিশেষত, সেখানকার ছোট্ট ছোট্ট অসহায় মেয়েদের জন্য।




লক্ষ্মীপুর কলেজে ফরম পূরণের টাকা পিয়নের পকেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ও ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ৫১ ছাত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি। তারা ফরম পূরনের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের খন্ডকালিন কর্মচারী ওসমান গনির কাছে দিয়েছিল। তিনি টাকা নিয়েও শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করেননি। বুধবার (২৯ নভেম্বর) ওই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারে। এনিয়ে চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে তারা।

বিষয়টি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান নুরুল আফসার চৌধুরীর কাছে অভিযোগ করা হয়। তিনি আগামী বছর পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। এনিয়ে প্রতারিতদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বুধবার ওসমান কলেজে আসেনি, তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দেওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাবতীয় দাপ্তরিক কাজ খল্ডকালীন কর্মচারী ওসমান পরিচালচনা করেন। এ সুবাদে তিনি অক্টোবর ও নভেম্বরে অনার্স ও ডিগ্রি ২য় ও ৩য় বর্ষের নিয়মিত ও অনিয়মিতসহ ৫১ শিক্ষার্থীদের ফরম পূরনের কথা বলে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫শ টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা দেওয়া শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রবেশপত্র নিতে কলেজে আসেন। এসময় ওসমান তাদেরকে, বুধবার (২৯ নভেম্বর) পরীক্ষা শুরুর আগে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে বলে জানান। সকালে তারা প্রবেশপত্র নিতে এসে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এসময় তারা কলেজে ওসমানের দেখা পাননি। তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষের শিব্বির আহমেদ ও নুরে আলম  বলেন, ওসমান আমাদের বিভাগের প্রধান নুরুল আফসার চৌধুরীর খুব আস্থাভাজন কর্মচারী। তার নির্দেশে আমরা বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৫১ শিক্ষার্থী ওসমানকে ফরম পূরণের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকা দিয়েছি। তিনি ফরম পূরণ না করায় আমাদের কোন প্রবেশপত্রই আসেনি। প্রতারণার বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করা হবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান নুরুল আফসার চৌধুরীর মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান  বলেন, ফরম পূরণে নগদ টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি আজকে আমি অবগত হয়েছি। এনিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় একাডেমিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিভাগের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




‘৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হবে’

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন পেলে তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বুধবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করেছি। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর আশা করছি আগামী শীতকালীন অধিবেশনে জাতীয় সংসদে এটি উত্থাপন করতে পারব। ”

জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ১৬ কোটি নাগরিকের জন্য করা হচ্ছে। সুতরাং এখানে সাংবাদিক বলে আলাদা কোনো বিষয়বস্তু নেই। সম্প্রচার আইন যখন পরবর্তীতে আসবে, সেখানে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের কর্মীদের ব্যবস্থা করা হবে। ”




আগাম নির্বাচনেও প্রস্তুত ইসি: সিইসি

সরকার চাইলে আগাম নির্বাচনেও কমিশন প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আজ সন্ধ্যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করে বলেন, সরকার আগাম নির্বাচনের কথা বললে আমরা করতে পারবো, আমাদের সেই প্রস্তুতি রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা ৯০দিন সময় পাব। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাব। নির্বাচনের যে পরিবেশ রয়েছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট ইইউ প্রতিনিধিরা। একটা ভালো নির্বাচনের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এ কথা তাদের জানিয়েছি।