রাজিবপুরে মহান বিজয় দিবস পালন

সাব্বির মামুন, (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা:

আজ ১৬ই ডিসেম্বর শুক্রবার মহান বিজয় দিবস । কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপিত হয়েছে । লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় এ দিনটি উৎসাহ , উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়।

আনুষ্ঠানিক ভাবে সকল প্রস্তুতি শেষে সকাল ১১ ঘটিকায় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত চক্রবর্ত্তী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল হাই সরকার, হুমায়ুন কবির ছক্কু, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চর রাজিবপুর উপজেলা শাখা, চর রাজিবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম, বেলাল সরকার, ডেপুটি কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজিবপুর, রফিকুর ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা ও আব্দুর রউফ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রমুখ ।




বিজয়ের মাসেও বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে: আনোয়ার খান এমপি

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

বিজয়ের মাসেও বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। তারাই মহান বিজয় দিবসের উদযাপন নস্যাৎ করার জন্য এখনো চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেন লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান।
তিনি বলেন, বিএনপি এদেশের বিজয়কে, স্বাধীনতাকে বির্তকিত করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, সুকৌশলে তাদের প্রভুদের ইঙ্গিতে সমস্ত অপচেষ্টা করতে থাকে। জনগণ সব সময় অপশক্তিকে প্রতিরোধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি আগামী দিনেও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে কবর রচনা করবে।’

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অশুভ শক্তি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই পরাজিত শক্তিকে প্রতিহত করবো। বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হবে এই অপশক্তিকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করা।

এদিন, দুপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এতে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরার সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার শরীফ উল্লা সামছ্ এর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, রামগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম রুহুল আমিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ, রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক প্রমুখ।
এছাড়া রামগঞ্জ সরকারি কলেজ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন এমপি আনোয়ার খান। এতে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর উমেশ চন্দ্র লোধ।




বিয়ে করলেন অভিনেতা পলাশ

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ বিয়ে করেছেন। বেশ কিছুদিন আগে ঘরোয়া আয়োজনে নাফিসা রুম্মান মেহনাজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশ নিজেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়ে করেছি। আলহামদুলিল্লাহ্, দাম্পত্যজীবনে আমরা ভীষণ সুখে আছি। সবার কাছে দোয়া চাই, জীবনের বাকিটা সময় যেন পরষ্পরের অপরিহার্য হয়ে একসঙ্গে থাকতে পারি।’

পলাশ আরও জানান, ঘরোয়া পরিসরে অনাড়ম্বর আয়োজনে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে দুই পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউ ছিলেন না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বড় পরিসরে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে তাদের।




বিজয় দিবসে রামগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের উদ্যোগে র‍্যালী ও পুষ্পস্তবক অর্পণ

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

আজ মহান বিজয় দিবস। দিবসটিকে ঘিরে রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির দুই গ্রুপের উদ্যোগে র‍্যালী ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে রামগঞ্জ হাজীগঞ্জ সড়কে র‍্যালী শেষে সোনাপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাহার, যুগ্ন আহবায়ক জিএস মনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির আহবায়ক শেখ কামরুল, পৌর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ, এ্যাড তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু, আওরঙ্গজেব বাবলু, সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন পলাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন কানন, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছাত্তার মজুমদার, যুবদল নেতা আঃ আজীজ, আঃ রহমান, মিজান,কাউছার মাল,জামিল চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক দুলাল হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক খোরশেদ রাব্বানী, পৌর শ্রমিকদলের আহবায়ক মোঃ আলম মিয়া,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জহির রায়হান বাবু, সদস্য সচিব রাকিব হোসেন।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির অব্যাহতি পাওয়া বিএনপির নেতা শাহবুদ্দিন তুর্কি, ভিপি আবদুর রহিম, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক জাকির হোসেন মোল্লা, যুগ্ন-আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু, সদস্য সচিব মিয়া আলমগীর হোসেনেনর নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাকিব হাসান, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শাহিন আলম মুন্না, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির সাদ্দাম,পৌর যুবদল নেতা সুমন চৌধুরী, শেখ পিন্টু, রাসেল ভূইয়া, উপজেলা ও পৌর বিএনপির আলাদা গ্রুপের নেতাকর্মরা নেতা-কর্মীরা বিজয় স্তম্বে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।




লক্ষ্মীপুর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও রামগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক সায়েম হোসাইন।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও সাধারণ মাহাবুব ইমতিয়াজ এ অনুমোদন দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া ও লক্ষ্মীপুর জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও সাধারণ মাহাবুব ইমতিয়াজ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই সময় সায়েম হোসাইন বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সাবেক ছাত্রলীগ ও উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম । আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দিন রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো।




ফ্রিজে যেসব খাবার রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়

মাছ-মাংস, শাক-সবজি প্রাকৃতিক পরিবেশ রাখলে দ্রুত পচন ধরে। তাই এসব খাবার ফ্রিজে রেখে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো ফ্রিজে রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়। বরং কক্ষ তাপমাত্রায়ই এগুলো ভালো থাকে। এমনই কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানুন।

কলা

ফ্রিজে রাখার চেয়ে ঘরের তাপমাত্রায় কলা দীর্ঘদিন ভালো থাকে। কারণ ঘরের তাপমাত্রায় কলা পাকে ভালো। পচন ধরে দেরিতে।

কফি ফ্রিজে রাখলে তার মধ্যে আপনি অন্যান্য দ্রব্যের গন্ধ পেতে পারেন। তাই কফি সূর্যালোক থেকে দূরে একটি সিলড কন্টেনারে রাখা ভালো।

টমেটো

টমেটো ফ্রিজে রাখলে ঠান্ডায় এর স্বাদ নষ্ট হয়। পচনও ধরে তাড়াতাড়ি।

মধু

মধু কখনও ফ্রিজে রাখবেন না। এয়ারটাইট কন্টেনারে বাইরে রাখুন।

পাঁউরুটি

পাঁউরুটিও ফ্রিজের থেকে ঘরের তাপমাত্রায় ভালো থাকে।

তেল

নারকেল, অলিভসহ বিভিন্ন রান্নার তেল ফ্রিজে রাখতে তাড়াতাড়ি তাতে ছত্রাক জন্মায়। তাই বাইরে রাখুন।

পেঁয়াজ

কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে তার গন্ধ সবেতে হয়। তাই পেঁয়াজ খোসাসহ বাইরে রাখুন।

আলু

আদা

আলুর মত আদাও বাইরে রাখুন। তাতেই ভালো থাকবে।




করোনা : বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩শ’র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ লাখের নিচে।

আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩২৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৫৯ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৭ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৪৫ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৮ জনে।




‘স্বাধীনতার ৫১ বছরে যা কিছু অর্জন সব জাতির পিতার হাত ধরেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫১ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশে উন্নীত করেন, আর আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে গেছি। স্বাধীনতার পর বিগত ৫১ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে, ইনশাল্লাহ ।

১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজয় দিবস বাঙালি জাতীয় জীবনের এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। এদিন বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তি হলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এ দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি জাতি।




মেসি বনাম এমবাপ্পে

বিশ্বকাপের ফাইনাল আরও দুই দিন পর। তবে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনালের উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে এখনই। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়েছিল লিওনেল মেসির। চার বছর পরে আবারও দুই দল মুখোমুখি। কী অপেক্ষা করছে এবার! লিওনেল মেসি গতবারের শোধ নেবেন? নাকি আবারও ফ্রান্সই জয়ের মালা গলায় পরবে! ফরাসি কোচ এবার বেশ সতর্ক।

দিদিয়ের দেশম এরই মধ্যে বলেছেন, চার বছর আগের মেসি আর এবারের মেসি এক নন। তিনি আরও ভয়ংকর। আরও বেশি পরিণত। আরও বেশি নিখুঁত। দেশমই কেবল নন, লিওনেল মেসিকে নিয়ে পুরো বিশ্বই প্রায় একই সুরে কথা বলছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে লিওনেল মেসিই সবচেয়ে বেশি আলোচনায়।

তার বাম পায়ের আরও কয়েকটা জাদু বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখা গেলে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়েই বাড়ি ফিরতে পারে। লিওনেল মেসিকে আটকানোর কত কৌশলই না বের হয়েছে। প্রতিপক্ষ কোচরা মেসিকে জোনাল মার্কিংয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছেন।

ফুটবল বিশ্বকাপের প্রায় শত বছরের ইতিহাসে হয়নি, এমন একটা রেকর্ডের সামনে লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদুকর একই সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারেন। আবার সর্বোচ্চ এসিস্টকারীও। এরই মধ্যে ৫টি গোল করেছেন তিনি। ৫টি গোল আছে কিলিয়ান এমবাপ্পেরও। ৩টি গোলে এসিস্ট করেছেন মেসি। ৩টি করে গোলে এসিস্ট করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, হ্যারি কেইন এবং আতোয়ান গ্রিজম্যানও।




ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জনতার ঢল নেমেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায়। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছিল স্বাধীন দেশ, সেই শহীদদের স্মরণে শুক্রবার প্রথম প্রহরেই জেগে উঠে স্মৃতিসৌধ এলাকা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর হাতে ফুল নিয়ে স্মৃতিসৌধে শহীদদের জন্য তৈরি বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান হাজারো মানুষ। সূর্য সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিবেদনে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে ফুল দিচ্ছেন আবালবৃদ্ধবনিতা।

হাজারো মানুষের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে স্মৃতিসৌধ এলাকা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শীতকে উপেক্ষা করে ভোর থেকেই ভিড় করতে থাকেন শিশু-ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী মানুষ। শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও। তাদের অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছিল লাল-সবুজের পতাকা আর রঙবেরঙের ফুল। পোশাকেও লাল-সবুজের বাহারি উপস্থিতি। অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে ব্যানার। অনেকের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে দেশের গান।

ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি। ভোর সাড়ে ছয়টার পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তাদের চলে যাওয়ার পর স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর ফুল হাতে জনতার ঢল নামে সৌধ প্রাঙ্গণে। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদের স্মৃতির মিনার।

বিজয় দিবসে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন জন্য আসায় সৌধ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।