কমলনগরে ঝরাজীর্ন ঘরে থাকেন শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধা পরিবার

লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে ঝরাজীর্ন ঘরে থাকেন শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধা পরিবার। উপজেলার চর লরেঞ্চ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তোরাবগঞ্জ বাজার সংলগ্ন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ী। ৬জন সদস্য নিয়ে ০৬শতাংশ জমির উপর একটি টিনের দোচালা ছাপড়া ঘরে বসবার করছে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবার।
জানা যায়, শহীদ মোস্তাফিজুর রহমানের জন্ম ১৯৪৬ সালে শহীদ হন ০৩/১০/১৯৭১ইং তারিখ। মৃত্যু কালে তার ১ছেলে ও স্ত্রী রেখে যান। বর্তমানে তার ১ছেলে মোঃ শাহজাহান (৪৭) ৩ নাতি মোঃ রাশেদ নবম শ্রেণীর ছাত্র, রেদওয়ান ২য় শ্রেনীর ছাত্র, শাহীন (৬) নাতনি জান্নাতুল ফেরদাউস ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ১স্ত্রীসহ মোট ৬সদস্য। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক বাহিনী এদেশের নিরস্ত্র জনতার উপর ঝাপিয়ে পড়ার পর পরই মোস্তাফিজুর রহমান তার সাথীদের নিয়ে ভারতে গিয়ে যুদ্ধের উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহন করে ২নং সেক্টরের অধীন রনক্ষেত্রে কৃতিত্বের সাথে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। ০৩-১০-১৯৭১ ইং তারিখ সকাল বেলা মোস্তাফিজুর রহমান ও তার ১সাথী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানা (বর্তমানে কমলনগর উপজেলা) করইতলা ও তোরাবগঞ্জ রাজাকার মিলিটারী ক্যাম্প পর্যবেক্ষনে গিয়ে পাশ্ববর্তী খামার বাড়ীতে অবস্থান গ্রহন করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মিলিটারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে তাদের উপর আক্রমন করা। ঐ খামার বাড়ীতে ২জন মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান রাজাকাররা টের পেলে তারা মিলিটারীকে খবর পাঠায়, মিলিটারী তাৎক্ষনিক খামার বাড়ী ঘেরাও করে তাদের ধরে ফেলে অকথ্য নির্যাতনের মাধ্যমে গুলি করে হত্যা করে। তার একমাত্র পুুত্র সন্তান তেমন কোন পড়ালেখা করতে পারেন নাই বর্তমানে সে অসুস্থ অবস্থায় আছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় এই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারটি একটি দোচালা টিনের ছাপড়া ঘরে অবস্থান করছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা বলতে কোন কিছুই তাদের ভাগ্যে জোটে নাই। ছেলে শাহজাহানের সাথে একান্ত আলাপে বলেন আমি নিজেই অসুস্থ তার মধ্যে আমার চার ছেলে মেয়ে নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করি। সরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য শুনেছি অনেক কিছু করছে কিন্তু আমি তার কিছুই পাই নাই। আমার বাবার নামে রাস্তায় তোরণ নির্মান করা হয়েছে কিন্তু আমাদের খোজ কেউ নিচ্ছে না। বতর্মানে আমার সন্তানদের লেখাপাড়া ও বসতঘর নিয়ে আমি দুঃচিন্তায় আছি। যদি সরকার বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানের নাতি ও নাতনিদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেয় ও তাদের মাথা গোজার একটু ঠাই দেয় তাহলে এই শহীদের আত্মা শান্তি পাবে বলে আমি মনে করি।




১৫ জানুয়ারির মধ্যে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামি ৩১ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে গোপন ব্যালটে নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। ভোটে জয়ী হতে কৌশলে প্রচারনা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে লক্ষ্মীপুরের কর্মরত সকল সাংবাদিকদের নিয়ে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতীতের সকল রাগ-অভিমান ভুলে গিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাব গঠনের লক্ষ্যে একমত হন। এসময় পূর্বের আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়েকজনকে প্রেসক্লাবের সদস্য করা হয়। তাদের নামও ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও সভায় সর্বসম্মতিক্রমে চারটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরমধ্যে রয়েছে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন, আগামি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, নির্বাচন কমিশন গঠন, ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা।
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক নতুন চাঁদ পত্রিকার সম্পাদক ও ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি হোসাইন আহাম্মদ হেলালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও আজীবন সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক এমএ মালেক, সাবেক সভাপতি আ হ ম মোস্তাকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো.কাউছার, মো. কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক গাজী গিয়াস, এম জে আলম, মহি উদ্দিন ভূঁইয়া মুরাদ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন, সাংবাদিক অধ্যাপক আজিজুল হক, মো. তৌহিদুর রহমান রেজা, জহির উদ্দিন, জান্নাতুল ফেরদাউস নয়ন, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, এম এ মালেক, কামাল হোসেন, ইসমাইল হোসেন জবু, সাঈদ হোসেন নিক্সন ও সাইদুল ইসলাম পাবেল প্রমুখ।
জেলাবাসীর স্বার্থে লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ প্রেসক্লাব জরুরী ছিল। দীর্ঘদিন পরে হলেও সবাই একমত হতে পেরেছি; আমাদের বন্ধন অটুট থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর থেকে প্রেস ক্লাবের কমিটি নিয়ে অচলাবস্থা ও মামলাসহ নিজদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। সিনিয়র সাংবাদিকদের উদ্যোগে ওই পরিস্থিতির অবসান হচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন ঐক্যে প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অভিনন্দন জানিয়েছে।




কমলনগরে লেগুনার ধাক্কায় ২ মাদ্রাসা ছাত্র গুরুতর আহত

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দ্রুতগতির লেগুনার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মো. তারেক (১৫) ও শরিফ (১৫) নামের দুই মাদ্রাসা ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের হাজিরহাট বাজারে উত্তর পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তারেক উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নের আবদুচ সাত্তারের ছেলে, শরিফ আবদুল মালেকের ছেলে। তারা দুইজন ফলকন সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। আহত তারেককে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরিফকে লক্ষ্মীপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর জানায়, তারেক-শরিফ দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে করে হাজিরহাট বাজার উত্তর পাশে সিটিসেল টাওয়ারের সামনে পৌঁছলে বিপরিত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির নিবন্ধন বিহীন যাত্রীবাহী লেগুনা (জমিদার-১) মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। এতে তারা দুইজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে পাঠায়।
কমলনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হান্নান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লেগুনাটি আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ায় চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। আহতদের স্বজনদের থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলেছি। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-রামগতি-কমলনগর সড়কে অনুমোদনহীন লেগুনা বেপরোয়াভাবে যাত্রীনিয়ে চালাচল করে আসছে। এসব লেগুনার চালকের আসনে অদক্ষ ও লাইসেন্স বিহীন চালক-হেলফার। যে কারণে এই সড়কে আশঙ্কাজনকহারে দুর্ঘটনা বেড়েছে। অকালে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা বিভিন্নস্থানে একাধিকবার লেগুনা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।




লক্ষ্মীপুরে আনন্দ উৎসবে বড় দিন উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুরে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন তথা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে জেলা শহরের বাগবাড়ীস্থ সেন্ট জোসেফ চার্চ গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সুচনা করা হয়। এসময় গীর্জার ফাদার গর্ডন ডায়েস যিশুখ্রিস্টের গুণকীর্তন করে প্রার্থনা করেন। পরে সংগীতানুষ্ঠান উপভোগ করেন সকলে। এতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী শিশু কিশোরসহ অর্ধশতাধিক লোক অংশ নেন। গীর্জা প্রাঙ্গণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা ছিল লক্ষনীয়।এদিকে বড়দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে গর্ডন ডায়েস বলেন, প্রভু যিশুখ্রিস্টের যে বাণী ‘ভালোবাসো মানুষকে’ এ কথাটি এই দিনে নবায়ন করা হয়, নতুন করে দীক্ষা ও প্রতিজ্ঞা নেয়া হয় যে ভালোবাসার শক্তি সবাইকে এক করে তোলে, আর হিংসা বিদ্বেষ বিচ্ছেদ এনে দেয়, বড়দিনে উপসনালয়ে যিশু বিশ্ববাসীরা নিজেদের অন্তরকে নবীকরণ করে সকলের সঙ্গে ভালো আচার, ব্যবহার ও কার্যক্রমের প্রতিজ্ঞা নেন বলে জানান গীর্জার ফাদার।




কমলনগরে ৪ জলদস্যু আটক

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিহাট ইলিশ ঘাট সংলগ্ন মেঘনায় নদী থেকে ৫ জেলে অপরহণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৪ জলদস্যু কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের মোঃ শাহে আলম (৪৫), জামাল (২৮), তারেক (৩০), শিপন (২৮)। এ সময় অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রামগতির চরগজারিয়া এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে গেলে দস্যুদের হামলার শিকার হন জেলেরা। উদ্ধারকৃত জেলে আনু মাঝি ও জুয়েল জানান, মাছ শিকারে গেলে হঠাৎ ১০/১২ জনের এক দল জলদস্যু তাদেরসহ ৫টি মাছ ধরার ট্রলারে আক্রমন করে।
এ সময় ট্রলার গুলোতে থাকা মাছ, জাল, সোলার প্যানেল, তেলসহ আনুমানিক ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জমাদি লুট করে তারা। একই সঙ্গে তাদেরকেসহ ৫ জন জেলেকে অপহরণ করে ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। রবিবার সকালে স্থানীয় মতির হাট মাছ ঘাটে দস্যুদের ট্রলার থামিয়ে মাছ বিক্রি করতে আসলে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে চিৎকার করেন অপহৃতরা। এ সময় স্থানীয়রা ৪ জলদস্যুকে আটক করে পুলিশ খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।




কমলনগরে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদল নেতা আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এতে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি মো. রাশেদ আহত হয়েছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার করইতলা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত রাশেদের ভাই সেলিম জানান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু রামগতি থেকে ঢাকা ফেরার পথে কমলনগরের করইতলা বাজারে পৌঁছলে স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তার সাথে সাক্ষাত করেন। বাবুকে বিদায় দেওয়ার পর হঠাৎ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের ওপর হামলা করে। এতে ছাত্রদল নেতা রাশেদ আহত হয়। পরে করইতলা বাজার কমিটির লোকজন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, কে বা কারা ছাত্রদলের নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেছে; বিষয়টি আমার জানা নেই।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




জাপার বাজিমাত, আ.লীগ-বিএনপির বড় হার

অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুরে ভোটে বড় জয়ই পেল সংসদে প্রধান বিরোধী দলটি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা সারাদেশে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি পাত্তাই পেল না বৃহস্পতিবারের ভোটে।
তিন সপ্তাহের নির্ঘুম প্রচার শেষে বৃহস্পতিবার রংপুরবাসী ভোট দিয়েছে উৎসবের আমেজে। বিকাল চারটার পর শুরু হয় ভোট গণনা। আর কিছুক্ষণ পর থেকে আসতে থাকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল। যত সময় গড়াতে থাকে, ভোটের ফল ততই একপেশে হতে থাকে।
ভোট নেয়া ১৯৩টি কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ভোট পেয়েছেন মোট ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ২০১২ সালের নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু তার অর্ধেক ভোটও পাননি। তিনি পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিএনপির কাওসার জামান বাবলা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৬ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ কমিউনিটি হলে বসানো নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে। তবে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই কেন্দ্রওয়ারী ফলাফল জেনে যান তিন প্রার্থীর সমর্থকরা। আর রাত যত গড়াতে থাকে জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস আর আনন্দ তত বাড়তে থাকে, আর ম্রিয়মান হতে থাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্খকরা।
রংপুরে ভোটে অবশ্য বিএনপি সাম্প্রতিক সময়ে কখনও ভালো করতে পারেনি। ফলে এবারও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা নৌকা আর লাঙ্গলের মধ্যেই হবে বলে ধারণা ছিল। হয়েছেও তা। তবে ভোটের ব্যবধান গত কয়েক বছরের নির্বাচনগুলোর চেয়ে হয়েছে অনেক বেশি।
২০১২ সালের নির্বাচনেও এই তিন প্রার্থী ছিলেন ভোটের লড়াইয়ে। তবে তখন দলীয় প্রতীকে ভোট হয়নি। ফলে অনেকটা ব্যক্তিগত কারিশমার ওপরও নির্ভর করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু এবার ভোট হয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা, বিএনপির ধানের শীষ আর জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের মধ্যে।
গত নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ঝণ্টুর ভোট কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আর মোস্তফার ভোট বেড়েছে অনেক বেশি। পাঁচ বছর আগে ভোটের আগের দিন বিএনপির বাবলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও ব্যালটে তার নাম ছিল। এবার তিনি ভোট পেয়েছেন গতবারের চেয়ে কিছু বেশি।
২০১২ সালের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমদ ঝন্টু এক লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পান ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট।
সাম্প্রতিক সময়ে যত নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের পর রংপুরের এই ভোটটিই হয়েছে সবচেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট নেয়া ১৯৩ কেন্দ্রের কোনোটিতেই গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি, কোথাও জাল ভোট দেয়ার অভিযোগও উঠেনি, ভোটারদেরকে বাধা দেয়া বা ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে এমন প্রমাণও মেলেনি।
ভোটের সকালেই আওয়ামী লীগর সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু এবং জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে জয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন। তবে বিএনপির কাওসার জামান বাবলা কিছু কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেন। তবে পরে তিনি আর কোনো অভিযোগ না করলেও রাতে সংবাদ সম্মেলন করে কারচুপির অভিযোগে এনে ফল প্রত্যাখ্যান করেন বাবলা।
ঢাকায় বসে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আর নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।
অবশ্য বিএনপির অভিযোগকে নাকচ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, সব জায়গায় ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ এবং এ নিয়ে কমিশন সন্তুষ্ট।
আরেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এই ভোটকে মডেল নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মডেল নির্বাচন করার কথা আপনাদের বলেছিলাম। রংপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। একটি মডেল নির্বাচন হয়েছে।’
সন্ধ্যায় বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল যখন আসতে শুরু করে, তখন আগেভাগেই পরাজয় স্বীকার করে নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, রংপুরে ভোটে হারলেও রাজনৈতিকভাবে জয় হয়েছে আওয়ামী লীগের। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে আসলে জিতেছে জনগণ।
আওয়ামী লীগের আরেক নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক দুপুরে আরেক সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনকে পুরোপুরি সুষ্ঠু আখ্যা দিয়ে বলেন, বিএনপি কেন কারচুপির অভিযোগ করছে, সেটা তারা জানেন না।
রংপুরে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট পড়ার কথা ভোট শেষে জানিয়েছিলেন একজন নির্বাচন কমিশনার। তবে সার্বিক হিসাব পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়ার পর জানা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৬ হাজার ২৫৬ এবং নারী এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।
এই নির্বাচনকে ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরেই রংপুরে আরোপ করা হয়েছে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। বহিরাগতদেরকে শহর ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। হোটেলগুলোতেই নির্বাচনী এলাকার বাইরে কাউকে না তোলার নির্দেশ ছিল।
এই নির্বাচনে প্রচার চালাতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুর সফর করেছেন। ভোটারদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তাদের প্রার্থীকে বেছে নিতে। তবে ভোটাররা নিরাশ করেছেন তাদের।
ভোটে জয়ের আভাস পেয়ে বিজয়ী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমাকে ভোট দেয়ায় আমি রংপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। রংপুর সিটিকে একটি বাসযোগ্য নগরী করার জন্য আমি যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, তা পূরণ করতে আমি আমার জীবন উৎগর্গ করব।’
মোস্তফা বলেন, ‘আমি নিজে দুর্নীতি করব না, কাউকে দুর্নীতি করার সুযোগ দেবো না।’




রসিক নির্বাচনের ফল বর্জন করলো বিএনপি

রংপুর : রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বর্জন করেছে বিএনপি।বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে শহরের গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা।
কাওসার জামান বাবলা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় নাই। এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
আমার বিজয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারানো হয়েছে। ‘জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটির বিভিন্ন মহল্লায় আমার জনপ্রিয়তা ছিল।একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারানো হলো।
‘কি কারণে ফলাফল বর্জন করলেন?’-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বকশি কেন্দ্রে দিনের বেলা সিল-স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এর মানে কি হতে পারে?আমার কর্মী ও তাদের পরিবারের ৬০ হাজারেরও বেশি ভোট রয়েছে। কিন্তু ফলাফলে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও ২০১২ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বাইরে থেকে নির্বাচন করে এর চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছি। এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে যেখানে আরও বেশি ভোট পাওয়ার কথা সেখানে উল্টোটা হয়ে গেল। এসবকিছুই প্রমাণ করে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারি রইস আহমেদ, মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




কমলনগর হাজিরহাট বাজারে চুরি ঠেকাবে কে ?

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলার হাজিহাট বাজারে চোরের দল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৩ মাসে দশটি দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাজারে পাহারাদার ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না; ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে চালার টিন কেটে ৩ দোকান-ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায় চোরের দল। বারবার এভাবে চুরির ঘটনা ঘটতে থাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। জানা গেছে, প্রতিদিনের মত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি যায়। রাতের কোন এক সময় সংঘবদ্ধ চোরের দল পরিকল্পিতভাবে দোকানে চালার টিন কেটে জিহাদ ফ্যাশন, ওহাব বস্ত্র বিতান ও আবদুর রবের চালের আড়তে ঢুকে টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। একইভাবে গত ৩ মাস আগে মসজিদ রোডের আয়েশা টেলিকমের চোর ঢুকে নগদ ও কয়েক লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ৩ মাস পার হয়ে গেলেও ওই ঘটনায় চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারিনি পুলিশ। এছাড়াও বাজারে আরো কয়েকটি দোকান-ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীরা জানায়, একের পর এক চুরি হতে থাকলেও চোরের দলকে ঠেকানো যাচ্ছে না। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেও কোন ফল আসছে না। চোরের দলকে আটক , চুরি ঠেকানো ও চুরি যাওয়া মাল উদ্ধার করতে পারছেনা পুলিশ। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, চুরি হওয়া মালামাল ও চোরের দলকে আটক করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




জয়ের পথে লাখ ছাড়াল লাঙ্গলের ভোট

শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে রংপুর সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত ১৩১টি কেন্দ্রের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষিত হয়েছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়াই করা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নিশ্চিত জয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন।
তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৫২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু ৩৮ হাজার ৪৮৮ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৫৬ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করছেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে পুলিশ লাইনে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে।
এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দিনভর বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটাররা। এবারই প্রথম রসিক নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে।
নির্বাচনে এবার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী। তাদের সঙ্গে ৩৩ ওয়ার্ডে লড়ছেন ২৭৬ কাউন্সিলর।
সিটি করপোরেশন এলাকার ১৯৩ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ২৫৬ জন। আর নারী ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।
রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার পর এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে নির্বাচন হয়েছে। তবে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ হচ্ছে এই প্রথম। এর আগে, ২০১২ সালের ২৮ জুন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।