নতুন মন্ত্রিসভার শপথ সোমবার

ঢাকা:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার পুনরায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী সোমবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের লেভেল-১ এ একাদশ সংসদের সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। সাক্ষাতের সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ।

সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন  মোবাইল ফোনে জানান, আগামী সোমবার বিকেলে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। এবার নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা সব মিলিয়ে মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে




শপথ নিলেন নতুন এমপিরা

ঢাকা:

নতুন বছরে ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। আর দেশের ইতিহাসে চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথকক্ষে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনাসহ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। তারপর সংসদ সচিবালয়ে সিনিয়র সচিবের রুমে শপথ বইতে স্বাক্ষর করবেন এমপিরা। এর আগে সংসদ সদস্য ও স্পিকার হিসেবে শপথ পাঠ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। আর সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সব দলের অংশগ্রহণে এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ রেকর্ড গড়ে।

এবারের নির্বাচন মূলত দুটো জোটে বিভক্ত হয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভোটের লড়াইয়ে নামে। এরমধ্যে একটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের মহাজোট। এ জোটে এবার নতুন যোগ হয় ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশ। অন্যদিকে ছিল গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধার একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় ওই আসনটির নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। এছাড়া একটি আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে গোলযোগের কারণে ওই আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়। স্থগিত কেন্দ্রেগুলোর ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ওই আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

বাকি ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮টি আসন। তারমধ্যে আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৫৭টি আসন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। তাদের আসন সংখ্যা ২২। তারপর ৫টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে বিএনপি। বিএনপির জোট ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম পায় দু’টি আসন। অর্থাৎ জোটগতভাবে ঐক্যফ্রন্ট পায় ৭টি আসন। এছাড়া মহাজোটভুক্ত ওয়াকার্স পার্টি ৩টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দু’টি, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ) দু’টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন একটি এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি আসনে বিজয়ী হয়।

২৯৮টি আসনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করে। সংবিধানের ১৪৮ (২ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটভুক্ত দলের এমপিরা শপথ নিলেও শপথ নেননি বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের সাত এমপি। যদিও বৃহস্পতিবারই শপথ নেওয়ার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে না।

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর আগামী ৫ বা ৬ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে। আগামী ১০ জানুয়ারির আগেই নতুন সরকার গঠন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে ৫ বা ৬ জানুয়ারিই হতে পারে নতুন সরকার- এরকম একটি আলোচনা রয়েছে।




গোসলের ভিডিও প্রকাশ করে ফের আলোচনায় পুনম পাণ্ডে

আবারও আলোচনায় ভারতের বিতর্কিত মডেল ও অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা ভারত জিতলে নিজের কাপড় খোলার কথা বলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে নিয়ম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়ে ঝড় তোলা তার রীতি হয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের প্রথম দিন ভক্তদের নিরাশ করলেন না ২৭ বছর বয়সী এই মডেল। বাথটবে গোসলের ভিডিও প্রকাশ করে ফের আলোচনায় এলেন পুনম পাণ্ডে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ইনস্টাগ্রামে বছরের প্রথম দিনেই ভাইরাল হলো পুনম পাণ্ডের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বাথটবে নগ্ন অবস্থায় নেমে যাচ্ছেন লাস্যময়ী এই মডেল। ভিডিওতে ভক্তদের একটি বার্তাও দিচ্ছেন পুনম।এই ভিডিওর ক্যাপশান ‘‘কামিং সুন, হ্যাপি ২০১৯’’। তাহলে কি এটা ট্রেলার-এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পুনম ভক্তদের মধ্যে। তাই তো বাকিটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে তাদের।

https://www.youtube.com/watch?v=ZcgfLGiM1KA




নতুন এমপিদের শপথ আজ

আজ একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ গ্রহণ করবেন। বিধি মোতাবেক দশম সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ পাঠ করাবেন। বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে শপথ অনুষ্ঠান হবে।

এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। নবনির্বাচিত এমপিদের শপথকক্ষে প্রবেশের সময় ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হবে। শপথকক্ষে ঢোকার পর সবার হাতে তুলে দেওয়া হবে শপথনামার ফোল্ডার। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন গ্রহণের পর পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হবে শপথ অনুষ্ঠান।
এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে। স্পিকার নিজেও একাদশ সংসদের এমপি নির্বাচিত হওয়ায় অন্যদের শপথ পড়ানোর আগে তিনি নিজে নিজের শপথ গ্রহণ করবেন। এরপর অন্য এমপিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

একাদশ সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে স্পিকারের পর শপথ নেবেন আওয়ামী লীগের এমপিরা। এমপির সংখ্যা বেশি হওয়ায় কয়েক ভাগে তাদের শপথ পড়ানো হতে পারে। তাদের শপথ গ্রহণ শেষে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেব জাতীয় পার্টির এমপিরা ও সব শেষে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র এমপিরা শপথ নেবেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন সংসদ সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান।

এদিকে একাদশ সংসদের নবনির্বাচিত এমপিদের স্বাগত জানাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। ইতিমধ্যে শপথকক্ষসহ সংসদ সচিবালয় ধুয়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। শপথকক্ষ পর্যন্ত নতুন লাল কার্পেট বিছানো হয়েছে। ফুলের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে সংসদের প্রবেশপথ ও লবি।

শপথ গ্রহণের পর সদস্যদের জন্য নির্ধারিত ফরম ও কার্যপ্রণালিবিধির কপি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট গতকাল সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছেছে। সে অনুযায়ী সংসদ সচিবের স্বাক্ষর করা আমন্ত্রণপত্র নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পাঠানোর পাশাপাশি টেলিফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র আরও জানান, শপথ গ্রহণের পর এমপিদের তৃতীয় তলার ভিআইপি ক্যাফেটেরিয়ায় আপ্যায়ন করা হবে। এরপর নবনির্বাচিত এমপিরা সংসদ সচিবের কক্ষে রক্ষিত সংরক্ষিত রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করবেন এবং সংসদ স্টুডিওতে গিয়ে প্রোফাইল ছবি তুলবেন। শপথ অনুষ্ঠানের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ নেতা নির্বাচন করা হবে।

এসব বিষয়ে গতকাল দফায় দফায় রিহার্সাল করতে দেখা গেছে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের। সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নতুন এমপিদের শপথ গ্রহণের ও এক মাসের মধ্যে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের আইন কর্মকর্তা জানান, একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন। নতুন স্পিকারকে রাষ্ট্রপতি শপথ পাঠ করাবেন। তবে বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের জানান, সংবিধান অনুযায়ী আমরা বিরোধী দল হতে পারব, সমস্যা নেই। মহাজোটের সঙ্গে আলোচনা করে ও দলের প্রেসিডিয়ামের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব আমরা বিরোধী দলে যাব কিনা।

এদিকে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আজকের শপথ অনুষ্ঠানে তাদের নির্বাচিত সদস্যরা অংশ নেবেন না। উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন স্থগিত ছিল।




দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন মার্চে

ঢাকা: 

আগামী মার্চে সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ভবনে বুধবার (২ জানুয়ারি) ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে সময় নেই। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা আর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় আছে কেবল মার্চ মাসে। তাই এ সময়টাই বেছে নিতে চায় কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চে নির্বাচন করতে হলে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।

সেসময় ছয় ধাপে ৪৮৭টির বেশি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে গতবার নির্দলীয় ভোট হলেও এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে ওই সব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, মেয়াদ পূর্তির আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে




জ্যোতিষীর চোখে ২০১৯

নতুন বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের শুভ যাত্রা। তিনি সরকার গঠন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ বছর ইংরেজি নববর্ষ শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। জ্যোতিষ শাস্ত্র মোতাবেক, মঙ্গল হলো দেবসেনাপতি। এ রাশির ফলে কুমরি ও অঙ্গার গ্রহের প্রভাব থাকবে। ফলে বিপরীত ভাবের প্রতিফলন ঘটবে। এ ছাড়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট সরকার হটানোর আন্দোলন ও কর্মসূচি দিলেও সফল হবে না। এমনকি বিএনপির ভুল রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে দলে ভাঙন দেখা দিতে পারে। গতকাল জ্যোতিষ লিটন দেওয়ান চিশতি, ড. কে সি পাল ও ড. রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য্যরে সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা আরও বলেছেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বছরের বিভিন্ন সময়ে হরতালসহ নানা কর্মসূচি দিলেও সাধারণ মানুষ এতে আশাব্যঞ্জক সাড়া দেবে না। বছরের বেশির ভাগ সময় দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ বিরাজ করবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে শুরু হবে ভাঙা-গড়ার খেলা। এ ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে এমপিরা আওয়ামী লীগে যোগদান করবেন। দেশ পরিচালনা ও মানবতায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে বিরল সম্মান লাভ করার সম্ভাবনা আছে। ২০১৯ সালে অগ্নিকা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংস এবং হামলার ঘটনা সফলভাবে মোকাবিলা ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সফলভাবে শেষ করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের দিকে এগোবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হবে। দাতাসংস্থার সঙ্গে সরকারের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন দিগন্তের পথ দেখাবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক সফলতাও বাড়বে। জ্যোতিষীর মতে, ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সফলতার বছর। ব্যবসা ও শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বছরের মাঝামাঝি ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টিতে প্রাণ ও শস্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। তবে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। আমদানি বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দেবে নানা জটিলতা। জ্যোতিষীরা আরও বলেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে রাজনৈতিক অস্থিরতা। লিটন দেওয়ান চিশতি  বলেন, ভুল রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথা চাড়া দেবে। ফলে দলে ভাঙন দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত কিছুটা সহিংস রূপ নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বিক উন্নতি বিগত বছরের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিদেশে সরকারের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়ে যাবে। বিদেশি দাতা ও সাহায্য সংস্থাগুলো সহযোগিতা বাড়িয়ে দেবে। প্রধানমন্ত্রীর খ্যাতি ও কর্মদক্ষতা প্রশংসিত হবে। আইনি জটিলতায় এ বছর খালেদা জিয়া জামিন নাও পেতে পারেন। ড. কে সি পাল বলেন, বিএনপির টানাপড়েন দলের ভিতরে নতুন করে সমস্যার জন্ম দেবে। দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটতে পারে। এ বছরও তারেক রহমানের দেশে ফেরা অনিশ্চিত থাকবে। তুচ্ছ কারণে সহিংস রাজনৈতিক কার্যকলাপ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। ড. রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য্যরে মতে, নতুন বছরের শুরুতে এক জোট ত্যাগ করে অন্য জোট গঠনসহ রাজনীতির নানা ক্ষেত্রে নতুন মেরুকরণ হতে পারে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।




৩ জানুয়ারি শপথ নেবেন সংসদ সদস্যরা: তথ্যমন্ত্রী

আগামী ৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।




একাদশ সংসদের সদস্য হলেন যারা

ঢাকা:

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৯৮টির বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে নির্বাচিত হয়ে একাদশ সংসদে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ২৫৬ জন রাজনীতিক। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন। এছাড়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৩ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দুই অংশের ৩ জন, তরিকত ফেডারেশনের ১ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১ জন এতে নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে মহাজোটের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ২৮৮ জন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৫ জন। তাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জোট দেওয়া গণফোরামের দুই রাজনীতিকও হয়েছেন সংসদ সদস্য। এর বাইরে আরও তিন স্বতন্ত্র রাজনীতিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সদস্যরা হলেন
গোপালগঞ্জ-৩: শেখ হাসিনা
গোপালগঞ্জ-২: শেখ ফজলুল করিম সেলিম
গোপালগঞ্জ-১: মুহাম্মদ ফারুক খান

কক্সবাজার-১: আশেক উল্লাহ রফিক
কক্সবাজার-২: জাফর আলম
কক্সবাজার-৩: সাইমুম সরওয়ার কমল
কক্সবাজার-৪: শাহীন আক্তার

কুষ্টিয়া-১: আ ক ম সরোয়ার জাহান বাদশা
কুষ্টিয়া-২: হাসানুল হক ইনু (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ)
কুষ্টিয়া-৩: মাহবুব উল আলম হানিফ
কুষ্টিয়া-৪: সেলিম আলতাফ জর্জ

মেহেরপুর-১: ফরহাদ হোসেন দোদুল
মেহেরপুর-২: সাহিদুজ্জামান

নাটোর-১: শহীদুল ইসলাম বকুল
নাটোর-২: শফিকুল ইসলাম শিমুল
নাটোর-৩: জুনাইদ আহমেদ পলক
নাটোর-৪: আব্দুল কুদ্দুস

ফেনী-১: শিরিন আখতার (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ)
ফেনী-২: নিজাম উদ্দিন হাজারী

জামালপুর-১: আবুল কালাম আজাদ
জামালপুর-২: ফরিদুল হক খান দুলাল
জামালপুর-৩: মির্জা আজম
জামালপুর-৪: ডা. মুরাদ হাসান
জামালপুর-৫: ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন

ঠাকুরগাঁও-১: রমেশ চন্দ্র সেন
ঠাকুরগাঁও-২: প্রার্থী দবিরুল ইসলাম

নীলফামারী-১: আফতাব উদ্দিন সরকার
নীলফামারী-২: আসাদুজ্জামান নূর

নড়াইল-১: কবীরুল হক মুক্তি
নড়াইল-২: মাশরাফি বিন মর্তুজা

ভোলা-১: তোফায়েল আহমেদ
ভোলা-২: আলী আজম মুকুল
ভোলা-৩: নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন
ভোলা-৪: আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব

লক্ষ্মীপুর-১: আনোয়ার খান
লক্ষ্মীপুর-৩: একেএম শাহজাহান কামাল
লক্ষ্মীপুর-৪: মেজর (অব.) আবদুল মান্নান (বিকল্পধারা বাংলাদেশ, নৌকা)

চুয়াডাঙ্গা-১: সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার
চুয়াডাঙ্গা-২: আলী আজগর টগর

মানিকগঞ্জ-১:  এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়
মানিকগঞ্জ-২: মমতাজ বেগম
মানিকগঞ্জ-৩: জাহিদ মালেক

চাঁদপুর-১: ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর
চাঁদপুর-২: মো. নুরুল আমিন
চাঁদপুর-৩: ডা. দীপু মনি
চাঁদপুর-৪: মুহম্মদ শাফিকুর রহমান
চাঁদপুর-৫: মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম

সাতক্ষীরা-১: মুস্তফা লুৎফুল্লাহ (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি)
সাতক্ষীরা-২: মীর মোস্তাক আহমেদ রবি
সাতক্ষীরা-৩: ডা. আ ফ ম রুহুল হক
সাতক্ষীরা-৪:  জগলুল হায়দার

নওগাঁ-১: সাধন চন্দ্র মজুমদার
নওগাঁ-২: শহিদুজ্জামান সরকার
নওগাঁ-৩: ছলিম উদ্দিন তরফদার
নওগাঁ-৪: ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক
নওগাঁ-৫: নিজাম উদ্দিন জলিল জন
নওগাঁ-৬: ইসরাফিল আলম

পি‌রোজপুর-১: অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম
‌পি‌রোজপুর-২: আ‌নোয়ার হো‌সেন মঞ্জু (জাতীয় পার্টি-জেপি, বাইসাইকেল প্রতীক)

লালমনিরহাট-১: মোতাহার হোসেন
লালমনিরহাট-২: নুরুজ্জামান আহমেদ

পটুয়াখালী-১: অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া
পটুয়াখালী-২:  আ স ম ফিরোজ
পটুয়াখালী-৩: এস এম শাহজাদা সাজু
পটুয়াখালী-৪: মহিবুর বরহমান মহিব

দিনাজপুর-১: মনোরঞ্জন শীল গোপাল
দিনাজপুর-২: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
দিনাজপুর-৩: ইকবালুর রহিম
দিনাজপুর-৪: আবুল হাসান মাহমুদ আলী
দিনাজপুর-৫: মোস্তাফিজুর রহমান
দিনাজপুর-৬: শিবলী সাদিক

টাঙ্গাইল-১: ড. আব্দুর রাজ্জাক
টাঙ্গাইল-২: তানভীর হাসান ছোট মনির
টাঙ্গাইল-৩: আতাউর রহমান খান
টাঙ্গাইল-৪: হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী
টাঙ্গাইল-৫: মো. ছানোয়ার হোসেন
টাঙ্গাইল-৬: আহসানুল ইসলাম টিটু
টাঙ্গাইল-৭: একাব্বর হোসেন
টাঙ্গাইল-৮: অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের

মাদারীপুর-১: নূর ই আলম চৌধুরী লিটন
মাদারীপুর-২: শাজাহান খান
মাদারীপুর-৩: ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ

শরীয়তপুর-১: ইকবাল হোসেন অপু
শরীয়তপুর-২: একেএম এনামুল হক শামীম
শরীয়তপুর-৩: নাহিম রাজ্জাক

নারায়ণগঞ্জ-১: গোলাম দস্তগীর গাজী
নারায়ণগঞ্জ-২: নজরুল ইসলাম বাবু
নারায়ণগঞ্জ-৪: একেএম শামীম ওসমান

জয়পুরহাট-১: সামছুল আলম দুদু
জয়পুরহাট-২: আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

শেরপুর-১: আতিউর রহমান আতিক
শেরপুর-২: মতিয়া চৌধুরী
শেরপুর-৩: একেএম ফজলুল হক

পাবনা-১: শামসুল হক টুকু
পাবনা-২: আহমেদ ফিরোজ কবির
পাবনা-৩: মকবুল হোসেন
পাবনা-৪: শামসুর রহমান শরীফ
পাবনা-৫: গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স

খুলনা-১: পঞ্চানন বিশ্বাস
খুলনা-২: শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল
খুলনা-৩: বেগম মন্নুজান ‍সুফিয়ান
খুলনা-৪: আবদুস সালাম মুর্শেদী
খুলনা-৫: নারায়ণ চন্দ্র চন্দ
খুলনা-৬: শেখ মো. আখতারুজ্জামান বাবু

ব‌রিশাল-১: আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ
ব‌রিশাল-২: মো. শা‌হে আলম
ব‌রিশাল-৪: পংকজ নাথ
ব‌রিশাল-৫: ক‌র্নেল (অব.) জা‌হিদ ফারুক শামীম

ঝিনাইদহ-১: আব্দুল হাই
ঝিনাইদহ-২: তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি
ঝিনাইদহ-৩: শফিকুল আজম খান চঞ্চল
ঝিনাইদহ-৪: আনোয়ারুল আজিম আনার

ঝালকাঠি-১: বজলুল হক হারুন
ঝালকাঠি-২: আমির হোসেন আমু

নেত্রকোনা-১: মানু মজুমদার
নেত্রকোনা-২: আশরাফ আলী খান খসরু
নেত্রকোনা-৩: অসীম কুমার উকিল
নেত্রকোনা-৪: রেবেকা মোমিন
নেত্রকোনা-৫: ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল

বরগুনা-১: অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু
বরগুনা-২: শওকত হাচানুর রহমান রিমন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: বিএম ফরহাদ হোসেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: অ্যাডভোকেট আনিসুল হক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: এবাদুল করিম বুলবুল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম

যশোর-১: শেখ আফিল উদ্দিন
যশোর-২: মেজর জেনারেল (অব.) মো. নাসির উদ্দিন
যশোর-৩: কাজী নাবিল আহমেদ
যশোর-৪: রণজিত কুমার রায়
যশোর-৫: স্বপন ভট্টাচার্য
যশোর-৬: ইসমাত আরা সাদেক

বাগেরহাট-১: শেখ হেলাল উদ্দীন
বাগেরহাট-২: শেখ সারহান নাসের তন্ময়
বাগেরহাট-৩: হাবিবুন নাহার বিপুল
বাগেরহাট-৪: ডা. মোজাম্মেল হোসেন

ময়মনসিংহ-১: জুয়েল আরেং
ময়মনসিংহ-২: শরীফ আহমেদ
ময়মনসিংহ-৩: নাজিম উদ্দিন আহমেদ
ময়মনসিংহ-৫: কাজী খালিদ বাবু
ময়মনসিংহ-৬: মোসলেম উদ্দিন অ্যাডভোকেট
ময়মনসিংহ-৭: হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী
ময়মনসিংহ-৯: আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন
ময়মনসিংহ-১০: ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল
ময়মনসিংহ-১১: কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু

মৌলভীবাজার-১: মো. শাহাব উদ্দিন
মৌলভীবাজার-৩: নেছার আহমদ
মৌলভীবাজার-৪: মো. আব্দুস শহীদ

হবিগঞ্জ-১: শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী
হবিগঞ্জ-২: অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান
হবিগঞ্জ-৩: অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির
হবিগঞ্জ-৪: অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী

সিরাজগঞ্জ-১: মোহাম্মদ নাসিম
সিরাজগঞ্জ-২: ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না
সিরাজগঞ্জ-৩: ডা. আব্দুল আজিজ
সিরাজগঞ্জ-৪: তানভীর ইমাম
সিরাজগঞ্জ-৫: আব্দুল মমিন মন্ডল
সিরাজগঞ্জ-৬: হাসিবুর রহমান স্বপন

চট্টগ্রাম-১: ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন
চট্টগ্রাম-২: সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)
চট্টগ্রাম-৩: মাহফুজুর রহমান মিতা
চট্টগ্রাম-৪: দিদারুল আলম
চট্টগ্রাম-৬: এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৭: ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৮: মইনউদ্দীন খান বাদল (জাসদ-আম্বিয়া, নৌকা প্রতীকে)
চট্টগ্রাম-৯: ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
চট্টগ্রাম-১০: ডা. আফছারুল আমীন
চট্টগ্রাম-১১: এমএ লতিফ
চট্টগ্রাম-১২: সামশুল হক চৌধুরী
চট্টগ্রাম-১৩: সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ
চট্টগ্রাম-১৪: নজরুল ইসলাম চৌধুরী
চট্টগ্রাম-১৫: আবু রেজা নদভী
চট্টগ্রাম-১৬: মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী

নরসিংদী-১: মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু
নরসিংদী-২: ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খাঁন দিলীপ
নরসিংদী-৩: জহিরুল হক ভূইয়া মোহন
নরসিংদী-৪: নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন
নরসিংদী-৫: রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু

রাজশাহী-১: ওমর ফারুক চৌধুরী
রাজশাহী-২: ফজলে হোসেন বাদশা (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি)
রাজশাহী-৩: আয়েন উদ্দিন
রাজশাহী-৪: ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক
রাজশাহী-৫: ডা. মনসুর রহমান
রাজশাহী-৬: শাহরিয়ার আলম

কিশোরগঞ্জ-১: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
কিশোরগঞ্জ-২: নূর মোহাম্মদ
কিশোরগঞ্জ-৪: রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক
কিশোরগঞ্জ-৫: আফজাল হোসেন
কিশোরগঞ্জ-৬: নাজমুল হাসান পাপন

গাইবান্ধা-২: মাহাবুব আরা বেগম গিনি
গাইবান্ধা-৪: মনোয়ার হোসেন চৌধুরী
গাইবান্ধা-৫: অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া

কুড়িগ্রাম-১: আসলাম হোসেন
কুড়িগ্রাম-৩: অধ্যাপক এম এ মতিন
কুড়িগ্রাম-৪: মো জাকির হোসেন

কুমিল্লা-১: মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া
কুমিল্লা-২: সেলিমা আহমেদ
কুমিল্লা-৩: ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন
কুমিল্লা-৪: রাজী মোহাম্মদ ফখরুল
কুমিল্লা-৫: অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু
কুমিল্লা-৬: আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার
কুমিল্লা-৭: অধ্যাপক আলী আশরাফ
কুমিল্লা-৮: নাসিমুল আলম চৌধুরী নজরুল
কুমিল্লা-৯: মো. তাজুল ইসলাম
কুমিল্লা-১০: আ হ ম মুস্তফা কামাল
কুমিল্লা-১১: মো. মুজিবুল হক

সুনামগঞ্জ-১: মোয়াজ্জেম হোসেন রতন
সুনামগঞ্জ-২: জয়া সেন গুপ্তা
সুনামগঞ্জ-৩: এম এ মান্নান
সুনামগঞ্জ-৫: মহিবুর রহমান মানিক

নোয়াখালী-১: এইচএম ইব্রাহিম
নোয়াখালী-২: মোরশেদ আলম
নোয়াখালী-৩: মামুনুর রশীদ কিরন
নোয়াখালী-৪: একরামুল করিম চৌধুরী
নোয়াখালী-৫: ওবায়দুল কাদের
নোয়াখালী-৬: আয়েশা ফেরদৌস

পঞ্চগড়-১: মজাহারুল হক প্রধান
পঞ্চগড়-২: অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন

বগুড়া-১: আব্দুল মান্নান
বগুড়া-৫: হাবিবর রহমান

সিলেট-১: ড. এ কে আব্দুল মোমেন
সিলেট-৩: মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী
সিলেট-৪: ইমরান আহমদ চৌধুরী
সিলেট-৫: হাফিজ আহমদ মজুমদার
সিলেট-৬: নুরুল ইসলাম নাহিদ

মাগুরা-১: অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর
মাগুরা-২: বীরেন শিকদার

গাজীপুর-১: আ ক ম মোজাম্মেল হক
গাজীপুর-২: জাহিদ আহসান রাসেল
গাজীপুর-৩: ইকবাল হোসেন সবুজ
গাজীপুর-৪: সিমিন হোসেন রিমি
গাজীপুর-৫: মেহের আফরোজ চুমকি

ঢাকা-১: সালমান এফ রহমান
ঢাকা-২: অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম
ঢাকা-৩: নসরুল হামিদ বিপু
ঢাকা-৫: হাবিবুর রহমান মোল্লা
ঢাকা-৭: হাজী মো. সেলিম
ঢাকা-৮: রাশেদ খান মেনন (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি)
ঢাকা-৯: সাবের হোসেন চৌধুরী
ঢাকা-১০: শেখ ফজলে নূর তাপস
ঢাকা-১১: এ কে এম রহমতুল্লাহ
ঢাকা-১২: আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
ঢাকা-১৩: সাদেক খান
ঢাকা-১৪: আসলামুল হক
ঢাকা-১৫: কামাল আহমেদ মজুমদার
ঢাকা-১৬: ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ
ঢাকা-১৭: আকবর হোসেন পাঠান ফারুক
ঢাকা-১৮: অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন
ঢাকা-১৯: ডা. এনামুর রহমান
ঢাকা-২০: বেনজির আহমেদ

মুন্সিগঞ্জ-১: মাহী বি চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ)
মুন্সিগঞ্জ-২: সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি
মুন্সিগঞ্জ-৩: মৃণাল কান্তি দাস

রাজবাড়ী-১: কাজী কেরামত আলী
রাজবাড়ী-২: জিল্লুল হাকিম

ফরিদপুর-১: মনজুর হোসেন
ফরিদপুর-২: সাজেদা চৌধুরী
ফরিদপুর-৩: ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন

রংপুর-২: আহসানুল হক চৌধুরী
রংপুর-৪: টিপু মুনশি
রংপুর-৫: এইচ এন আশিকুর রহমান
রংপুর-৬: শিরীন শারমিন চৌধুরী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: সামিল উদ্দিন

খাগড়াছড়ি: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
রাঙামাটি: দীপঙ্কর তালুকদার
বান্দরবান: বীর বাহাদুর উশৈসিং

জাতীয় পার্টি
রংপুর-১: মসিউর রহমান রাঙ্গা
রংপুর-৩: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
ঢাকা-৪: সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা
ঢাকা-৬: কাজী ফিরোজ রশীদ
বগুড়া-২: শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ
বগুড়া-৩: অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার
ফেনী-৩: লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী
নারায়ণগঞ্জ-৩: লিয়াকত হোসেন খোকা
নারায়ণগঞ্জ-৫: একেএম সেলিম ওসমান
লালমনিরহাট-৩: গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের
নীলফামারী-৩: রানা মোহাম্মদ সোহেল
নীলফামারী-৪: আহসান আদেলুর রহমান
‌পি‌রোজপুর-৩: ডা. রুস্তম আলী ফরাজী
কিশোরগঞ্জ-৩: অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু
ময়মনসিংহ-৪: বেগম রওশন এরশাদ
ময়মনসিংহ-৮: ফখরুল ইমাম
সুনামগঞ্জ-৪: পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ
ব‌রিশাল-৩: গোলাম কি‌বরিয়া টিপু
ব‌রিশাল-৬: নাস‌রিন জাহান রত্না
চট্টগ্রাম-৫: ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
গাইবান্ধা-১: ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
কুড়িগ্রাম-২: পনির উদ্দিন আহম্মেদ

বিএনপি
বগুড়া-৪: মোশারফ হোসেন
বগুড়া-৬: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ঠাকুরগাঁও-৩: জাহেদুর রহমান
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: আমিনুল ইসলাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: হারুনুর রশিদ

অন্যান্য
সিলেট-২: মোকাব্বির খান (গণফোরাম, উদীয়মান সূর্য প্রতীক)
মৌলভীবাজার-২: সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ (ঐক্যফ্রন্ট, ধানের শীষ) (৩)
লক্ষ্মীপুর-২: মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম (স্বতন্ত্র, আওয়ামী লীগ)
বগুড়া-৭: রেজাউল করিম বাবলু (স্বতন্ত্র, বিএনপি) (২)
ফরিদপুর-৪: মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন (স্বতন্ত্র, আওয়ামী লীগ)

অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিন কেন্দ্রে ভোট স্থগিত রয়েছে। এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে পুনঃতফসিল ঘোষিত হয়েছে গাইবান্ধা-৩ আসনে।




বিপুল ভোটে বিজয়ী শেখ হাসিনা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এস এম জিলানী পেয়েছেন মাত্র ১২৩ ভোট।

এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মারুফ শেখ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭১ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. এনামুল হক আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. উজির ফকির সিংহ প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৪ ভোট।




লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে নৌকার জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) হলেন মেজর আব্দুল মান্নান। এর আগে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশ দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় যুক্তফন্টের হয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থন (নৌকা প্রতীক) নেন।

জানা যায়, যুক্তফন্ট প্রার্থী মেজর আব্দুল মান্নান নৌকা প্রতীক নিয়ে ১লাখ ৮৩ হাজার ৯শ’ ৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে জয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় ঐক্যফন্টের প্রার্থী আ স ম রব ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৯শ’ ৭৩ ভোট পেয়ে হেরে যান।

মেজর আব্দুল মান্নানের জয়ে রামগতি-কমলনগরের সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তাঁর নেতাকর্মীরা এই বিজয়কে জনগণের বিজয় বলে শ্লোগান দিতে দেখা যায়।