প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন : দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু জায়গায় কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো শুরু থেকেই সবার সহযোগিতা নিয়ে করা হবে। পাশাপাশি সব চাইতে বড় সমস্যা যেটি প্রশ্নপত্র ফাঁস, সেটি রোধ করতে হলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বেশি সহযোগিতা লাগবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় তিনি আরও বলেন, ফাঁসকৃত প্রশ্নের যতো বেশি চাহিদা থাকবে, অসৎ উপায় অবলম্বনকারীরা ততবেশি বের করার চেষ্টা করবে। আমাদের দায়িত্ব হলো এটি কোনোভাবেই যেন বের না হয়। আর এক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা যদি চায় আমরা এসব প্রশ্ন গ্রহণ করবো না। আমাদের প্রচেষ্টা থাকলে এটি বন্ধ করা সম্ভব হবে। এরপরেও যদি কেউ করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

দীপু মনি বলেন, দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আমরা কাজ করবো। পাশপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও দেশের সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী প্রমূখ।




কমলনগর রক্ষায় মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ জরুরি

লক্ষ্মীপুর:

বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার কয়েক হাজার পরিবারকে নিঃস্ব করেছে রাক্ষুসে এ নদী। গিলেছে বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার তিন ভাগের একভাগ এখন নদী গর্ভে।

গত দেড় বছরে উপজেলার এক কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে অন্তত আট বার। এ জনপদের মানুষ এখন নদী ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা। ভাঙন রোধে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এখানে আরও আট কিলোমিটার বাঁধ জরুরি।

ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে কমলনগরের বাসিন্দারা মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়েছেন। দাবির মুখে গত বছর এক কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মাত্র এক কিলোমিটার বাঁধ কমলনগরের যথেষ্ট নয়।

কমলনগরের নদী তীর রক্ষা বাঁধের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হওয়ার কথা থাকলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হলে যেটুকু বাঁধ নির্মাণ হয়েছে তাও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে মারাত্মক হুমকিতে পড়বে উপজেলা সদরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন।

সরেজমিনে মাতাব্বরহাট তীর রক্ষা বাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত এক কিলোমিটার বাঁধ প্রায় বিধ্বস্ত। গত দেড় বছরে ওই বাঁধে অন্তত আট বার ধস নামে। আগামী বর্ষা মৌসুমে এ বাঁধটিকে নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার ও দুই পাশে আরও বাঁধ নির্মাণ করা না হলে কমলনগরে জন্য মহাবিপদ নেমে আসবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে আরও তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ।

স্থানীয়রা বলেছে, গত বর্ষায় এক কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে মাতাব্বরহাট বাজারসহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকা রক্ষা পেয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ না হওয়ায় হুমকির মুখেও বাঁধটি। আগামী বর্ষার আগে তীর রক্ষা বাঁধের সংস্কার ও আরও আট কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ জরুরি।ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মেঘনার ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন প্রার্থীরা। এখন নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কাছে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় এলাকাবাসী।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুদ্দিন আজম বলেন, মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কমলনগরে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের দিক নির্দেশনা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে এখনও কাজ শুরু হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়া হলে নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাবে কমলনগর।

একাদশ জাতীয় সংসদের মহাজোট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরের দিন হাজিরহাট বাজারে নেতা কর্মীদের সাথে দেখা করে পথসভায় নদী ভাঙনের কাজ রোধ হবে বলে আশ্বাস দেন।

এর আগে ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দ টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সাড়ে তিন কিলোমিটার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে।

এদিকে ওই বরাদ্দের ৪৮ কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটারের কাজ পায় নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। অর্থ বরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে। ওই বছর নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের চাপের মুখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অনিয়মের প্রতিবাদে ও যথাযথভাবে কাজ করার দাবিতে ওই সময় মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে অনিয়মের মধ্য দিয়ে এক কিলোমিটার কাজ করা হলেও দেড় বছরে আট বার ধস নামে ওই বাঁধে।

২০১৭ সালের ১৪ মার্চ লক্ষ্মীপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগতি-কমলগর নদীর তীররক্ষা বাঁধের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের আশ্বাস দেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।




রামগতিতে কারেন্ট জালসহ আড়াই মণ জাটকা জব্দ

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও আড়াই মণ (১০০ কেজি) জাটকা জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

রামগতি উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, রামগতির কোস্টগার্ডের একটি দল মেঘনা নদীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে জাটকা ধরার সময় ১০ হাজার মিটার করেন্ট জাল ও আড়াই মণ জাটকা জব্দ করা হয়। তবে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জব্দ হওয়া জাটকা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করাসহ অবৈধ জালগুলো আলেকজান্ডার লঞ্চঘাট এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় বলেও জানান তিনি।




‘দল হিসেবে জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধন হচ্ছে’

ঢাকা:

যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের লক্ষ্যে আবারো আইন সংশোধনের উদ্যেগের কথা বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইন সংশোধন হচ্ছে রাজনৈতিক দল হিসেবে তার বিচার করা যায় কিনা? আমরা ড্রাফট করে রেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে যে আইন করা হয়েছিল সেটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যারা মানবতাবিরোধী ব্যক্তি তাদের বিচার করার জন্য। তখন সেই আইনটাতে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করার জন্য করা হয়নি। তবে ১৯৭২ সালে যখন সংবিধান প্রণয়ন করা হয় তখন জামায়াতকে ‘ব্যান্ড’ (বাতিল) করা হয়েছিল। সে কারণে দাবি উঠেছিল।

‘তাছাড়া তিনটি রায়ে দেখা গেছে যে জামায়াত দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত। তাদের বিচারের জন্য দাবি উঠেছে সেই সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম যে বিদ্যমান আইনে বিচার করা যায় না তাই সংশোধন প্রয়োজন। গত মেয়াদে আমরা সংশোধনে হাত দেই। আমরা কিছু সংশোধন করে আইন বিভাগে পাঠাই। পরে কিছু আইনগত শব্দ সংশোধন করে পাঠানো হয়, আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই মন্ত্রিসভায় ওঠানো হবে। এরপর পাস করা হবে।’

এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলা হত্যার নেপথ্যে থাকাদের খুঁজে বের করতে আইন কমিশন করা প্রয়োজন বলেও মত দেন মন্ত্রী।

যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন, যারা জেলা হত্যার নেপথ্যে ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় বা এমন একটা অনুশাসনের আওতায় আনতে হবে যেন মানুষ অন্তত এই বার্তা পায় যে অন্যায় করলে বা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের এই দেশে বিচার হয়। আইন বিভাগের এখন অন্যতম কাজ এটি।

তিনি বলেন, যদি নেপথ্যে থাকাদের চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো ষড়যন্ত্র থেকে বের হতে পারবো না, সেই ছায়া থেকে বের হতে পারবো না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগের জন্য করা হয়নি। আগের মেয়াদের সাহাহ্নে সাংবাদিকদের দাবির মুখে কিছু ধারা সংশোধনের কথা বললেও এবার একটু সুর পাল্টে মন্ত্রী বলেন, সংশোধনের চেয়ে আইনের যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে আমরা বেশি সর্তক।




নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাসহ ঐকফ্রন্টের ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা

একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দ্রুত মামলা দায়ের করাসহ তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐকফ্রন্ট। এছাড়া পেশাজীবীদের নিয়ে শিগগিরই জাতীয় সংলাপের আয়োজন এবং নির্বাচনী সহিংসতায় যেসব এলাকার নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেসব এলাকা সফর করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

রাজধানীর বেইলী রোডে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এসব কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, ঐক্য প্রক্রিয়ার সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।

অনিয়মের অভিযোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলফাল প্রত্যাখ্যানকারী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি নির্ধারণ করতে এ বৈঠক করেন। বিকাল পৌনে পাঁচটায় বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে অনিয়মের তথ্য প্রমাণ নিয়েই আমরা আদালতে যাবো। এজন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি চেয়েছি। যাতে তা আদালতে উপস্থাপন করা যায়। প্রমাণ হয় যে, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। এছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবে এক্যফ্রন্টের নেতারা। ভোটের দিন সিলেটের বালাগঞ্জে ঐক্যফ্রন্টের একজন কর্মী নিহত হন।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে, জনগণের জন্য জনগণের শাসন; অর্থাৎ জনগণ নিজেদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করবে। এর জন্য প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া পদ্ধতি। সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল ক্ষমতা ও দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। নীল নকশা অনুযায়ী ভোটের পূর্ব রাতে নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে, সরকারি সমর্থনপুষ্ট ‘সন্ত্রাসী’ বাহিনীকে ব্যালট পেপারে নৌকা ও লাঙল মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখতে সাহায্য করেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ফলে জনগণ নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথ্য-সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড গুরুতর অপরাধ।

এমতাবস্থায় বাংলাদেশের জনগণ নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিকট আমাদের জোর দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে নির্বাচনের কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক। জনগণ যেন কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের অনুলিপি পাওয়ার পর তা আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে যে, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।




কর্মসূচি নির্ধারণে বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ে আন্দোলনের কৌশল-কর্মসূচি নির্ধারণ করতে বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে এই বৈঠক শুরু হয়।
ড. কামাল হোসেনর পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।




চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাকে ৩টা ৪০ মিনিটে শপথ বাক্য পাঠ করান।

এর আগে রবিবার প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, নতুন মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।




জেনে নিন মন্ত্রীরা কে কোন দফতর পাচ্ছেন

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম নতুন মন্ত্রিসভার তালিকা প্রকাশ করেছেন।

তিনি আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তালিকা প্রকাশ করেন।

এর মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন ২৪ জন। তারা হলেন, ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহণ ও সেতু), আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক) , আবদুর রাজ্জাক (কৃষি), আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র), হাছান মাহমুদ (তথ্য), আনিসুল হক (আইন), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ), তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), দীপু মনি (শিক্ষা), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাঠ), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন), বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মোস্তাফা জব্বার (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি)।

১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হলেন

কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমবান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যু ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌ পরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পাণি সম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থানা ও ত্রান), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ (ধর্ম)।

৩ উপমন্ত্রী হলেন

হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।

আগামীকাল সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।




এক নজরে বিপিএলে কে কোন দলে?

বাংলাদেশের সবচেয়ে জমজমাট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে ৫ জানুয়ারি। এরমধ্যেই অনুশীলনে নেমে গেছে অংশগ্রহণকারী ৭টি দল। আসা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা।

তিনটি ভেন্যুতে এবারের বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে। ৫- ১৩ জানুয়ারি প্রথম পর্ব মিরপুরে, ১৫-১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব সিলেটে, ২১-২৩ জানুয়ারি তৃতীয় পর্ব মিরপুরে, ২৫-৩০ জানুয়ারি চতুর্থ পর্ব চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের বাকি সব ম্যাচ মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এবার দেখে নেওয়া যাক বিপিএলের দলগুলো।

রংপুর রাইডার্স:

দেশি ক্রিকেটার: মাশরাফি বিন মর্তুজা (আইকন), মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, শফিউল ইসলাম, ফরহাদ রেজা, সোহাগ গাজী, মেহেদি মারুফ, ফারদিন হোসেন এনি, নাহিদুল ইসলাম, আবুল হাসান রাজু ও নাদিফ চৌধুরী।

বিদেশি ক্রিকেটার: ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, রবি বোপারা, অ্যালেক্স হেলস, রিলে রুশো, শেন উইলিয়ামস, বেনি হাওয়েল ও শেলডন কটরেল।

ঢাকা ডায়নামাইটস:

দেশি ক্রিকেটার: সাকিব আল হাসান, শুভাগত হোম, রনি তালুকদার, নুরুল হাসান সোহান, রুবেল হোসেন, শাহাদাত হোসেন রাজীব, কাজী অনিক, মিজানুর রহমান, আসিফ হাসান ও নাইম শেখ।

বিদেশি ক্রিকেটার: সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, রোভম্যান পাওয়েল, কাইরন পোলার্ড, হজরত উল্লাহ জাজাই, অ্যান্ড্র বার্জ এবং ইয়ান বেল।

সিলেট সিক্সার্স:

দেশি ক্রিকেটার: লিটন দাস (আইকন), সাব্বির রহমান, তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, নাবিল সামাদ, এবাদত হোসেন, অলক কাপালি, জাকির আলী ও মেহেদি হাসান রানা।

বিদেশি ক্রিকেটার: ডেভিড ওয়ার্নার, সোহেল তানভির, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, সন্দীপ লামিচানে, মোহাম্মদ ইরফান, গুলবাদিন নাইব, আন্দ্রে ফ্লেচার, প্যাট ব্রাউন, নিকোলাস পুরান।

রাজশাহী কিংস:

দেশি ক্রিকেটার: মুস্তাফিজুর রহমান (আইকন), মুমিনুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, আলাউদ্দিন বাবু, আরাফাত সানি, ফজলে রাব্বি,মার্শাল আইয়ুব, কামরুল ইসলাম রাব্বি।

বিদেশি ক্রিকেটার: মোহাম্মদ হাফিজ, ক্রিস্টিয়ান জাঙ্কার, লরি ইভেনস, ইসুরু উদানা, রায়ান টেন ডেসকাট, কাইস আহমেদ, সেকুগে প্রশন্ন।

চিটাগং ভাইকিংস:

দেশি ক্রিকেটার: মুশফিকুর রহিম (আইকন), আবু জায়েদ রাহী, মোহাম্মদ আশরাফুল, মোসাদ্দেক হোসেন, নাঈম হাসান, খালেদ আহমেদ, সানজামুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রবিউল হক, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, নিহাদুজ্জামান এবং সাদমান ইসলাম।

বিদেশি ক্রিকেটার: সিকান্দার রাজা, লুক রঙ্কি, রবি ফ্রাইলিংক, নজিবুল্লাহ জাদরান, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, দাসুন সানাকা ও নাজিবুল্লাহ জাদরান।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস:

দেশি ক্রিকেটার: তামিম ইকবাল (আইকন), এনামুল হক, আবু হায়দার, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান, জিয়াউর রহমান, মোশরারফ হোসেন রুবেল, মোহাম্মদ শহীদ, শামসুর রহমান শুভ ও সঞ্জিত সাহা।

বিদেশি ক্রিকেটার: স্টিভ স্মিথ, শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, এভিন লুইস, থিসারা পেরেরা, অ্যাসেলা গুনারত্নে, লিয়াম ডসন, ওয়াকার সালমা খাই, আমের ইয়ামিন।

খুলনা টাইটানস:

দেশি ক্রিকেটার: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (আইকন), নাজমুল হোসেন শান্ত, আরিফুল হক, মোহাম্মদ আল আমিন, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম অমি, জহির খান, শুভাশিষ রায়, জুনায়েদ সিদ্দিকী, তানভীর ইসলাম এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

বিদেশি ক্রিকেটার: কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, লাসিথ মালিঙ্গা, ডেভিড মালান, আলী খান, সেলফেইন রাদারাফোর্ড, ইয়াসির শাহ ও ব্রেন্ডন টেলর।




একাদশ সংসদে বিরোধী দলে থাকছে জাতীয় পার্টি

একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এছাড়া মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির কোনো সদস্য থাকবেন না বলেও জানানো হয়।

শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির চেয়ারম্যান এ তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পদাধিকার বলে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভাপতি হবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। জাতীয় পার্টির কোনো সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না।

সংসদের মাননীয় স্পিকারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এরশাদ।