শুক্রবার সকাল ৮টার আগেই শেষ ভোটের প্রচারণা

image_pdfimage_print

ঢাকা:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার কাজ শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার আগেই শেষ করতে হবে। এক্ষেত্রে সকাল ৭টা ৫৯ মিনিট হচ্ছে প্রচার কাজের শেষ সময়।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের এক নির্দেশনার আলোকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ‘১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টা ও ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে অর্থাৎ, ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত সব নির্বাচনী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল, শোভাযাত্রা করা যাবে না।’

অর্থাৎ, সংসদ নির্বাচনের সব প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টার আগেই। আর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না।

এছাড়া যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের আগের দিন রাত ১২টা থেকে ভোটগ্রহণের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, বেবিট্যাক্সি/অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, লঞ্চ, ইজিবাইক, ইঞ্জিনবোট ও স্পিডবোটগুলোর চলাচলের উপর উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

তবে সারাদেশে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ক্ষেত্র বিশেষ আরো অধিককাল মোটরসাইকেল বা অনুরূপ যান চলাচল নিষেধ থাকবে।

জাতীয় মহাসড়ক এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যানবাহন বা নৌযান ও জরুরি সেবা প্রদানকারী বা অনুরূপ যান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য হবে।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহন বিভাগ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কেও এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।

এবার নিবন্ধিত ৩৯টি দলই প্রার্থী দিয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী যোগ হয়ে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১ হাজার ৮৪৭ জন

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা