লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে অসাদচরণের অভিযোগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.সালাহ উদ্দিন শরীফকে আটকের পর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের কাকলি শিশু অঙ্গণ বিদ্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে দু’জনের বাক বিতন্ডার পর হাতাহাতির ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সালাহ উদ্দিন শরীফকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। পরে পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠান। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। এ ঘটনার পর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরে জেলা প্রশাসক আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দিলে শান্ত হন তারা। তবে এসব ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি প্রশাসনের কেউ। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র ও চিকিৎসকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, সকালে শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে শিশুদের আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের বাক বিতন্ডা হয়। এসময় তাদের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পুলিশের মাধ্যমে ডাক্তারকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ভ্রাম্যামাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৩ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে জানিয়ে পুলিশ ওই ডাক্তারকে কারাগারে পাঠায়। তড়িঘড়ি করে সাজা দেয়ার বিষয় নিয়ে জেলায় কর্মরত বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এসময় গণমাধ্যমকে কোন ছবি তুলতে দেয়া হয়নি। বৈঠক থেকে বের হয়ে বিএমএ জেলা সভাপতি ডা. আশফাকুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসক আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দিলে চিকিৎসকরা শান্ত হন। নিয়ম মেনেই আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন, ডা. রাবিক হোসেন, ডা. জাকির হোসেন, ডা. হামিদ হোসেন প্রমুখ।