কমলনগরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে তিনবন্ধুসহ গণধর্ষণ, চুলকেটে নির্যাতন

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আবুল কালাম (৩৫) তার তিন বন্ধু মিলে পূর্বের স্ত্রীকে অপহরণ; মাথার চুল কেটে নির্যাতন ও মারধর করে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ওই নির্যাতিত নারীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা তোরাবগঞ্জ এলাকা থেকে ওই নারীকে অপহরণ করে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়।

নির্যাতিত ওই নারী কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি গ্রামের এক দরিদ্র কৃষকের মেয়ে। তার ছয় ও আট বছর বয়সী দুইটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

অভিযুক্ত তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আবুল কালাম পাশ্ববর্তী তোরাবগঞ্জ এলাকার আনোয়ার আলীর ছেলে।

নির্যাতিতার মা বলেন, ১০ বছর আগে আবুল কালামের সাথে তার মেয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে একাধিকবার নানা অজুহাতে যৌতুক নেয় সে। আরও যৌতুকের দাবী করতে থাকে। গত বছর ৫০ হাজার টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। টাকা না দেওয়ায় নির্যাতন করতে থাকে তার মেয়েকে। পরে উপায়ন্ত না পেয়ে আদালতের মাধ্যমে গত ছয় মাস আগে লম্পট স্বামীকে তালাক দেয়। এর জের ধরে ওই লম্পট তার আরও তিন বন্ধুকে নিয়ে আমার মেয়ে অপহরণ, চুলকেটে নির্যাতন, মারধর ও গণধর্ষণ করে।

নির্যাতিত ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার বিকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাহপুর গ্রামের তার ভাইয়ের বাসায় যাওযার জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা তোরাবগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে আগ থেকে উঁৎপেতে থাকা তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামীসহ আরও তিনবন্ধু মিলে তাকে অপহরণ করে আবুল কালামের বাড়ির একটি ঘরে বন্ধি করে রাখে। এসময় তাকে মারধর ও চুল কেটে নির্যাতন করা হয়। পরে তারা রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারাই। ভোরে তারা আমাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে আমার মা খবর পেয়ে আমাকে উদ্বার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্যাতিত ওই নারী চিকিৎসা চলছে। ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষা করলে জানা যাবে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এব্যাপারে কেউ থানা অভিযোগ করেনি। বিষয়টি শুনেছি। জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা