১৩ বছর ধরে কমিটি নেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির। এ নিয়ে হাই কমান্ড থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কমিটির কোনো খবর নেই। অধিকন্তু লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে অতি সম্প্রতি বাংলাদেশি অধ্যুষিত স্টেট ও সিটিসমূহে বিএনপির কমিটির অনুমোদন দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা হতে আগ্রহীরা ক্ষুব্ধচিত্তে ৩০ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
শতাধিক ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীর এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিলুপ্ত কমিটির অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ এবং যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া।
অতীতের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির সমর্থনে মার্কিন কংগ্রেস-সহ আন্তর্জাতিক মহলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দরকার বলে অনেকে অভিমত দেন। যাদের নেতৃত্বে স্টেট ও সিটি কমিটি হয়েছে তারা মাঠে সরব থাকলেও সিনেটর-কংগ্রেসের সাথে লবিংয়ে সক্ষম হবেন না বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
আবার কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হতে না পারার খেসারত দিতে হচ্ছে কমিটিহীন অবস্থায় থেকে। বিএনপির মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, বেগম জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও বহুবার যুক্তরাষ্ট্রে এসে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়ে গেছেন। কেউ কেউ নগদ-নারায়ন অথবা মূল্যবান উপঢৌকনের বিনিময়ে কাউকে কাউকে সভাপতি/সেক্রেটারি বানানোর অঙ্গিকার করেও গেছেন। কোনো কিছুরই বাস্তবায়ন ঘটেনি।
উল্লেখ্য, কমিটি বিলুপ্ত করার সময় লন্ডনে তলব করেছিলেন শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনকে। তারেক রহমানের সাথে লাগাতার কয়েকদিন বৈঠকেরও পরও নিজেরা ঐক্যমতে উপনীত হতে পারেননি বলে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। এ অস্থায় ৩/৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে নানা কর্মকান্ড চালাচ্ছেন বিলুপ্ত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সর্বশেষ এই মতবিনিময়ে অধ্যাপক দেলোয়ার-আকতার হোসেন বাদলের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ ব্যতিত অন্য সকল গ্রুপ অংশ নেয় এবং বিএনপির বর্তমান সংকটের কথা ভেবে ঐক্যবদ্ধ থাকার সংকল্প ব্যক্ত করেন।