পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বউকে নিয়ে হানিমুনে এসে মারধরের স্বীকার হন বলে অভিযোগ করেছেন মনিরুল ইসলাম নামের এক পর্যটক। পরে মনিরুল ইসলামকে রেখে তার স্ত্রী সাবেক প্রেমিকসহ ওই হামলাকারীদের সঙ্গে পালিয়ে যায় বলে এমন অভিযোগ উঠে।
গত মঙ্গলবার (২০) রাত সাড়ে ১১টায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট ফ্রাই মার্কেট সংলগ্ন সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ মনিরুল ইসলামকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলেও খোঁজ মেলেনি তাঁর স্ত্রী নুরে জান্নাতের।
মারধরের স্বীকার পর্যটক মনিরুল ইসলাম বরগুনা জেলার কেজি স্কুল সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন।
মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান,‘আমরা সৈকতে ঘোরাঘুরির পরে সন্ধ্যায় রুমে আসি কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে বারবার অনুরোধ করলে আমরা আবার সৈকতে যাই। সৈকতের জিরো পয়েন্টে দাড়িয়ে থাকি কিছুক্ষণ পরে সে আমাকে বারবার অনুরোধ করে হাটাহাটির জন্য।
আমার অনিচ্ছাস্বত্তেও ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে অন্ধকারে নিয়ে গেলে হঠাৎ আমার উপরে ৪-৫ জন লোক আক্রমণ করে কিন্তু আমি বাঁচার চেষ্টা করি এবং স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরি তবে আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে এবং কোনো প্রকার ডাক চিৎকার না দিয়ে যারা আমাকে মেরেছে তাদের সাথে পালিয়ে যায়। আমার মনে হচ্ছে ওর সাবেক প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে।’
মনিরুল ইসলামের শ্বশুর হারুন অর-রশিদ জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমি জামাইকে নিয়ে বাড়িতে এসেছি আমার মেয়ের খোঁজ করতেছি। পারিবারিক বিষয় নিজেরাই সমাধান করব।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে গিয়ে দেখি ওই পর্যটক আহত অবস্থায় রয়েছে, আমরা তাঁকে হেফাজতে এনে তার স্ত্রীর খোঁজ করেও পাইনি। পরে ওই পর্যটকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।