হরিজনদের ছাত্র-ছাত্রী ও বয়স্ক ভাতা না দেওয়ার অভিযোগ

image_pdfimage_print

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী হরিজন গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রী ও বয়স্ক ভাতা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ হাসান সাদিক মাহমুদ’র বিরুদ্ধে।

এনিয়ে গত (১৬ জুন বৃহস্পতিবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে উপকার ভোগীরা। দীর্ঘ দিন পার হয়ে গেলেও সেই অভিযোগের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত চক্রবর্ত্তী। উপকার ভোগীরা বলছে, আমাদের ছেলেমেয়েরা উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজে অধ্যায়নরত আমরা এলাকার একদম দরিদ্র সিমার নিচে রয়েছি যার কারণে আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শুধু তাইনয় আমাদের হরিজন ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দুস্থ বয়স্ক ভাতা ভোগীরাও ভাতা পাচ্ছে না প্রায় দু’বছর হয়ে গেলো।এই দু’বছর আমরা ভাতা না পেয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ ও পরিবার চালাতে চরম কষ্ট হচ্ছে।আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছি প্রায় তিন মাস হয়ে গেলো কিন্তু তিনি আজ পর্যন্তও কোনো প্রদক্ষেপ নেননি।

সমাজ সেবা কর্মকর্তা হাসান সাদিক মাহমুদ বলছেন,আবারও তারা পাওয়া শুরু করেছে। দু’বছরের টাকা পায় নাই এটা অর্থবছর শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে, আমি আসার আগে এটা।এই টাকা গুলো ছিলো ব্যাংকে এটা ম্যানুয়ালিদিতে হবে জিডিপিতে যাবে না।এই টাকা দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা দিতে হলে ইউএনও স্যারের সাইন লাগবে।অর্থবছর শেষ হলে উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে এটি দিতে হবে।তারা যদি লিখিত দেয় তাহলে আমরা দিতে পারবো।আর জিডিপির টা তারা আবারও পাওয়া শুরু করেছে।

এবিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা