ফুটবলের ইতিহাসে নিজেকে চিনিয়েছেন অন্য রকমভাবে। যে মানুষটির ফুটবলার হওয়ারই কথা ছিল না তিনি আজ পুরো বিশ্বের মধ্যে অনন্য এক তারার মতো। ক্যারিয়ারে ফুটবল জগতের সমস্ত কিছুই অর্জন করেছেন। শুধুই অধরা রয়ে গেছে বিশ্বকাপ। কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ক্রোয়াটদের বধের পর এই ক্ষুদে জাদুকর জানিয়েছেন, ফাইনাল ম্যাচই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ।
সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা আলবিসেলেস্তেরা। গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিল লিওনেল স্ক্যালোনির দল। সেই সমীকরণ থেকে কাতারে বিশ্বকাপে নিজেদের সকল ম্যাচ জিতে আজ ফাইনালের মঞ্চে আর্জেন্টিনা।
গোটা বিশ্বের আর্জেন্টাইন সমর্থকরা যখন আনন্দে ভাসছেন। ঠিক তখনই মেসি জানালেন বিদায়ের খবর। ম্যাচ শেষে লা পুলগা বলেন, “এই স্থান অর্জন করতে পেরে, অনেক আনন্দে আছি। বিশ্বকাপে আমার ক্যারিয়ার শেষ করছি, ফাইনালই আমার শেষ খেলা। আর্জেন্টিনাতে মানুষ কেমন জীবনযাপন করেছে এবং তারা কীভাবে এ জয় উপভোগ করছে। এই বিশ্বকাপে আমি অনেক কিছু অনুভব করেছি , যা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।” আর্জেন্টিনা অধিনায়ক আরও যোগ করেন, “অবশ্যই এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ। পরের বিশ্বকাপের জন্য অনেক বছর আছে এবং আমি মনে করি না সেটি আমি পারব এবং এইভাবে শেষ করাটাই শ্রেয়।”
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে শিরোপার কাছে থেকেও হারতে হয়েছিল মেসিদের। জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলের হারে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সাতবারের ব্যালন ডিওর জয়ী এই তারকাকে। এবার ৮ বছর পর আবারও বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে এই আর্জেন্টাইন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে মাঠে নামবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যেখানে মেসিদের প্রতিপক্ষ থাকবে ফ্রান্স বনাম মরক্কোর মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দল।