শীতে পিপাসা কম পাওয়ার কারণে অনেকেই পানি কম খান। কিন্তু এতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। শীতে শরীরে পানির অভাবে নানা রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে পানিশূন্যতার সম্ভাবনা বেশি বাড়ে । যেহেতু এই মৌসুমি তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ পিপাসা অনুভব করে না, তাই পর্যাপ্ত পানি খেতেও ভুলে যায়। শীতকালে গরম পোশাক পরার কারণে শরীর আরও বেশি গরম হয়ে যায়। ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাসে ঘাম আরও দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়, যার ফলে শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা দেয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, শরীরের ৩০ শতাংশ তরল এবং বাকি ৭০ শতাংশ অস্থি ও মজ্জা নিয়ে গঠিত। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা পানিকে জীবনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মানুষ খাবার ছাড়া কিছু সময় বাঁচতে পারে কিন্তু পানি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। অর্থাৎ পানি ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না।
সাধারণত সবাই পানিশূন্যতার সমস্যা খুব হালকাভাবে নেয়। এর ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যান। শরীরে পানিশূন্যতা হলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন-
১. শরীরে পানির অভাব হলে ঠোঁট খুব শুষ্ক হয়ে যায় এবং ত্বক ফাটতে শুরু করে। অনেক সময় ঠোঁট থেকেও রক্ত বেরোতে দেখা দেয়।
২. পানির অভাবে গলা ক্রমাগত শুষ্ক থাকে এবং বারবার তৃষ্ণা লাগে । তখন বারবার পানি খেলেও পিপাসা দূর হয় না।
৩. শরীরে পানির অভাবের ফলে বুকে হালকা জ্বালাপোড়া, অ্যাসিডিটি বা পেটে অস্বস্তি পর্যন্ত হতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্টে দুর্গন্ধ হয়। এমনকি ব্রাশ করার পরেও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ অনুভব করতে পারেন।
এছাড়াও পানি কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। শীতে ত্বকে শুষ্কতা বাড়তে থাকে এবং ত্বকের সমস্যা বাড়তে থাকে। পানির অভাবে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা অনেক কমে যায়।