লক্ষ্মীপুরে :
লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পর মো. নুরনবী নামের এক বৃদ্ধের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে সদর উপজেলার শাকচরের হাজিরহাট এলাকার একটি পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পুলিশও এ ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড মনে করছেন। তবে ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি তারা। নিহত নুরনবী শকচর গ্রামের মৃত আবদুস সামাদ বেপারীর ছেলে। তিনি ৬ মেয়ে ও এক ছেলের পিতা।
নিহতের ছেলে বেলাল ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় নুরনবী বাড়ি থেকে হাজিরহাটের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে আর বাড়ি ফিরেননি। স্বজনরা বহু খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে সোমবার সদর থানায় নিখোঁজের বিষযে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়রিতে নুরনবীর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকা প্রতিপক্ষদের ৬ জনকে সন্দেহ পোষণ করে অভিযুক্ত করা হয়। আজ সকালে ঘটনাস্থলের পুকুর পাড় থেকে গাছের ঢাল কেটে উঠাতে গিয়ে একটি লাশ ভেসে উঠতে দেখেন জৈনক ব্যক্তি।
পরে তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে নুরনবীর মরদেহ হিসেবে সনাক্ত করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এসময় তার আঙ্গুল কাটা, মুখ থেতলানো ও দাঁড়ি পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। তারা খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
এদিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত বৃদ্ধের লাশটি দেখে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ঘটনার তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।