ব্যতিক্রমধর্মী সুনিপুণ দক্ষতার মাধ্যমে শহরের দীর্ঘদিনের যানযট নিরসন ও ফুটপাত দখলমুক্ত করে আলোচনায় এসেছেন লক্ষ্মীপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ।
পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও পুলিশ সুপার সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিচ্ছেন। যোগদানের একমাসের ভিতর জনগণের আস্থার অর্জণ করতে পেরেছেন।
এ ছাড়াও বাজারের দোকানপাট, শপিংমল, খাবার রেস্টুরেন্ট পরিদর্শনকালে যত্রতত্র মোটরসাইকেল পাকিং সহ চালকদের হেলমেট বিহীন চলাচল ও তিনজন আরোহী বহন না করার নিদের্শ প্রদান করেন পুলিশ সুপার।
এরআগে তিনি পুলিশ লাইন্স মেস পরিদর্শন ও সকল পুলিশ সদস্যের সাথে বসে খাবারের মান যাচাই করেন এই নবাগত পুলিশ সুপার। এছাড়াও তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকা আরআই (পুলিশ লাইন্স) মোঃ আব্দুস সামাদ’কে দেখতে যান ও তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার সাধারণ মানুষ বলেন, স্বল্প সময়ে মাহফুজ্জামান আশরাফ একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ সুপার হিসেবে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন। তাঁর কাছে ধনী-গরিব, রিক্সাচালকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। একজন নির্যাতিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হবে বর্তমান পুলিশ সুপার।
লক্ষ্মীপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘“পুলিশ জনতার এবং জনতা পুলিশের” আমি এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস মুক্ত করতে এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমি একটি কথা বলবো জনগণের উদ্দেশ্যে-আপনারা পুলিশ কে নিজের বন্ধু ভাবুন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের শুধু বন্ধুই নয়, সেবকও। পুলিশ সব সময়ই জনগণের বন্ধু হিসেবে জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও পাশে থাকবে। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের পক্ষে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সেবা দেয়া সম্ভব নয়।