লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে গভীররাতে জলদস্যুদের হামলায় ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় মহিউদ্দিন (৩৫) নামে এক জেলেকে নিয়ে গেছে দস্যুরা।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে নদীতে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৪টার দিকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে মৎস্য আড়ৎদাররা।
বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) ফেরদৌস আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন— মো. আব্বাস মাঝি (২৮), মো. ফারুক (৩৫) ও মো. ইউসুফ (২৭)। আব্বাস কমলনগর উপজেলার চরফলকন এলাকার তসির আহম্মদের ছেলে, ইউসুফ রামগতির পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের মো. ইউনুসের ছেলে ও ফারুক নোয়াখালীর সুবর্ণ চরের আলমগীর ফরাজির ছেলে।
নিখোঁজ মহিউদ্দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার নানু ফরাজির ছেলে।
আহত আব্বাস মাঝি বলেন, ‘আমরা নদীতে জাল ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দূর থেকে আমাদের নৌকাতে জলদস্যুরা গুলি ছোঁড়ে। এতে আমরা তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। আমাদের সহকর্মী মহিউদ্দিনকে দস্যুরা নিয়ে গেছে।’
কমলনগরের লুধুয়া মাছঘাটের মৎস্য আড়ৎদার মো. লিটন জানান, মধ্যরাতে আব্বাস মাঝির নৌকাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ ও আলেকজান্ডার কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডারকে (সিসি) জানিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন গেলে কোস্টগার্ড যাবে বলে জানিয়েছেন। এতে তাদেরকে জানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ঘটনাস্থল থেকে আহত জেলেদের উদ্ধার করে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক একে আজাদ বলেন, তিনজন গুলিবিদ্ধ রোগী এসেছেন। তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ভোলার দৌলতখান এলাকার মেঘনা নদীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাতেই ঘটনাটি শুনেছি।
এদিকে, বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এ ঘটনায় কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। পরে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে আহতদের ও নিখোঁজ জেলের তথ্য নেন।