যুক্তরাষ্ট্রে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে, চরম মুদ্রাস্ফীতি

image_pdfimage_print

যুক্তরাষ্ট্রে জিনিসপত্রের দাম বেশ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। দেশটিতে চরম মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। ১৯৭০’র দশকের পর থেকে থেকে সেখানে দ্রব্যমূল্য কখনও এতটা বাড়েনি। মুদি দোকানে যেসব জিনিসপত্র বিক্রি হয়, সেগুলোর দাম গত এক এক বছরে ১৩.৫ শতাংশ বেড়েছে।

সামনের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এমন অবস্থায় মানুষ এখন যে বেতন পাচ্ছে, তা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না।

দ্রব্যমূল্য এখন এত বেশি কেন?

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এক কার্টন ডিমের দাম তিন ডলারের বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি ৩১৩ টাকার মতো)। ২০২১ সালের শুরুর জো বাইডেন যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন এর দাম ছিলো এখনকার চেয়ে অর্ধেক। গরু ও মুরগির মাংসের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া এক গুচ্ছ কলার দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

‘এটা খুব কঠিন সময়’ বলে দাবি করেছেন ৭৮ বছর বয়সী এড্ডা চার্বন। জিনিসপত্রের মূল্য বাড়তে শুরু করে করোনা মহামারির সময়, তখন মানুষের রেস্টুরেন্টে খাওয়া ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল এবং মুদি দোকানের জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ে।

তাছাড়া করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উৎপাদন ব্যবস্থাও ব্যহত হয়। উৎপাদনের জন্য কোম্পানিগুলোর যে অতিরিক্ত খরচ হয়, তা তারা ভোক্তাদের ওপর ঠেলে দিয়েছে। যেমন তাদের মজুরি বাড়াতে হয়েছিল এবং জ্বালানির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে।

এরপর চলতি বছরে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সার, গম ও অন্যান্য শস্যের সরবরাহ বিঘ্নত হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে শস্যের উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। অন্যদিকে বার্ডফ্লু ছড়িয়ে পড়ার জন্য ডিমের সরবরাহ কমে যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা