জুয়েল রহমান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
বানিয়াচংয়ের ৬নং কাগাপাশায় স্কুলের বেঞ্চ নিজের বাসায় নিয়ে রমরমা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শামীম হোসেন।
সোর্স মারফত খবর পাওয়ার পর ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের বাগহাতা শান্তিপুরে অবস্থিত ওই শিক্ষকের কোচিং সেন্টারটি
রবিবার (১১ ডিসেম্বর)সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা ও একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।কোচিং চলাকালীন সময়ের স্থিরচিত্র এবং যাবতীয় প্রমাণাদি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
জানা যায়, একতা উচ্চ বিদ্যালয় হাওড় বাওড় ঘেরা ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের চমকপুর গ্রামে অবস্থিত।২০১০ সালে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর এবং ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভূক্ত হয়।বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ৬০০ জন শিক্ষার্থী
লেখাপড়া করছে।স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই হাওর পাড়ের দরিদ্র পরিবারের সন্তান।কিন্তু চোর শুনেনা ধর্মের কাহিনি। অসহায় দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে মাসোহারার বিনিময়ে কোচিং করতে বাধ্য করছেন ওই বিদ্যালয়েরই সহকারী শিক্ষক (কৃষি)মোঃ শামীম হোসেন।
স্থানীয়রা জানান,প্রায় সাত বছর পূর্বে একতা উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মোঃ শামীম হোসেন।যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্কুলের বেঞ্চ নিজের বাসায় নিয়ে মাসিক অর্থের বিনিময়ে প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস দিচ্ছেন।শুধু তাই নয় সরকার নিষিদ্ধ বিভিন্ন গাইড বই শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করা ও স্কুলে বিভিন্ন কোন্দল সৃষ্টির কারন ওই শিক্ষক।ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়ার দাবী জানান তারা।
এব্যাপারে একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মান্নান চৌকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,স্কুলের একটি পরিত্যাক্ত কক্ষ থেকে বেঞ্চ নিয়ে নিজের বাসায় কোচিং করাচ্ছে সে।খবরটি শুনার পর তাকে বারন করা হয়েছে এবং বেঞ্চগুলো স্কুলে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।এসময় তিনি সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান।
অভিযুক্ত শিক্ষক শামীম হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কয়েকটি বেঞ্চ প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে নিজের বাসায় নিয়েছি।কোচিং বানিজ্যের বিষয়ে মাত্র ৫/৬ জনকে কোচিং পড়াচ্ছি বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওসার শোকরানা বলেন,কোচিং বানিজ্য সরকার নিষিদ্ধ। স্কুলের বেঞ্চ নিজের বাসায় নিয়ে কোচিং বাণিজ্য তার ঠিক হয়নি।বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখবো।