বঙ্গমাতা সেতু; দক্ষিণের আরেকটি দুয়ার খুলল

বাংলাদেশ আর চীন। এই দুই দেশের অর্থায়নে কচা নদীর ওপর শুরু হয়েছিল স্বপ্নের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর কাজ। তাও ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। সেতুর দু’মাথা জোড়া লেগেছে।

হয়ে গেছে দুই পাড়ের রাস্তাও। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দুই মাস পর প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল ১০টায় বঙ্গভবন থেকে বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করেন।

এখন অপেক্ষা শুধু যাতায়াতের। সেতু চালুর ফলে পায়রার সঙ্গে মোংলা বন্দরের সরাসরি নিরবিচ্ছিন্ন সড়কযোগ স্থাপন হবে। লাভবান হবেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চল থেকে মানুষ, পণ্যবাহী ট্রাক দ্রুত পৌঁছতে পারবে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায়। তাতে করে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। আপাতত সেতু দিয়ে যাতায়াতের অপেক্ষায় রয়েছেন কচা নদীর দু’পাড়ের মানুষজন। পিরোজপুর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে বেকুটিয়া ফেরিঘাটের কাছে সেতুটি নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুতে ৯টি স্প্যান ও ১০টি পিলার স্থাপন করা হয়েছে। টোল প্লাজা, সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক, পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ১২ মিটার সেতু ও বক্স কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে। সেতুটি নদীর তলদেশ থেকে ২৮ দশমিক ৯৮ মিটার উঁচু।

প্রায় ৮২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে চায়না রেলওয়ে-১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করছে। মোট বরাদ্দের ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীন সরকার ও ১৬৭ কোটি ৪ লাখ টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগব্যবস্থা তৈরির জন্য চীন সরকারের অনুদানে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা