নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে কোনো ভুল অথবা বইয়ের কোনো বিষয়ে কারো অস্বস্তি থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বইগুলোতে কোথাও ভুল থাকতে পারে, কোনো কোনো বিষয় নিয়ে কারো অস্বস্তি থাকতে পারে। আমাদেরকে জানাবেন, আমরা আগামী বছরের জন্য সেগুলো সংশোধন করব এবং বাকি ক্লাসের বইগুলো আমরা সেই আলোকে তৈরি করব। এই বছরের বইগুলো কিন্তু পরীক্ষামূলক সংস্করণ।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা উপহার বিতরণ ও ‘একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্রসমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যা শিখব তা করে করে শিখব। সেই লক্ষ্যেই নতুন শিক্ষাক্রম। ২০২৩-২৪ ও ২৫- এই তিন বছর মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। এ বছর আমরা ৩৩ হাজার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রমের বই দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক (প্রতিক্রিয়া) নেব এবং সারা বছর বইগুলোকে আমরা পরিমার্জন, পরিশীলন করব।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার চর্চার জন্য ক্লাবভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। পাঠাগারগুলোকে উন্নত করতে চাই। কারণ, শিক্ষার্থীরা যত বেশি বই পড়বে তত বেশি তাদের চিন্তার জগত প্রসারিত হবে। পাশাপাশি দাবার ক্লাব, বিতর্কের ক্লাব, উদ্যোক্তা তৈরি করার ক্লাব, স্কাউট অবশ্যই সব প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে। আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী স্মার্ট শিক্ষার্থী হবে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সভাপ্রধান ছিলেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।